ক্রিসমাস থেকে ঈদে মীলাদুন্নবী নয়, বরং ঈদে মীলাদুন্নবী থেকে ক্রিসমাস এসেছে
মুসলমানদের মধ্যে সেই শুরু থেকে ঈদে মীলাদুন্নবী পালনের ইতিহাস দেখা যায়। দেখা যায় মুসলমানরা খুব উৎসাহ উদ্দিপনা এবং উৎসবের মাধ্যমে আখেরী রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের আগমণ দিবস পালন করেছেন।
যেমন:
১) কুরআন শরীফে ঈদে মীলাদুন্নবী পালন করতে বলা আছে।
(সূত্র: https://goo.gl/Zicj1G)
২) নবীজি নিজেই ঈদে মীলাদুন নবী পালন করেছেন এবং হাদীস শরীফে ঈদে মীলাদুন নবী পালনের ফজিলত বর্ণিত হয়েছে ।
(সূত্র:https://goo.gl/CXaSWD, https://goo.gl/P2983Q)
৩) সাহাবীগণ ঈদে মীলাদুন নবী পালনের ফজিলত বর্ণনা করেছেন।
(সূত্র: https://goo.gl/6cQxa8, https://goo.gl/Jqug0v)
৪) ইমাম মুজহাহিদ ও অাউলিয়াকিরামগণ ঈদে মীলাদুন নবী পালন করেছেন।
(https://goo.gl/hKGLZL, https://goo.gl/3BQRgu, https://goo.gl/HrSevG)
৫) মক্বা-শরীফ মদিনা শরীফসহ সর্বত্র ঈদে মীলাদুন নবী পালিত হয়ছে এবং হচ্ছে।
সূত্র: https://goo.gl/8VvB9n)
অপরদিকে খ্রিস্টানরা কিন্তু কখনই তাদের নবী হযরত ঈসা আলাইহিস সালামকে নিয়ে ক্রিসমাস এভাবে পালন করেনি। এটাই ঐতিহাসিক সত্য, খ্রিস্টানরা আগে ক্রিসমাসকে এখনকার মত পালন করতে জানতোই না। বরং খোদ পোপ পর্যন্ত ক্রিসমাস পালনকে নিষিদ্ধ বলতো। ১৯শ’ শতাব্দীর আগ পর্যন্ত তাদের ক্রিসমাস পালনের তেমন অস্তিত্ব ছিলো না। ১৯শ’ শতাব্দীতে চালর্স ডিকেন্স ‘এ ক্রিসমাস ক্যারল’ নামক উপন্যাস লিখে ক্রিসমাস খ্রিস্টানদের মধ্যে প্রচারে জোর ভূমিকা রাখে। তখন থেকেই খ্রিস্টানদের মধ্যে ক্রিসমাস জোর পালন শুরু হয়। কারণ খ্রিস্টানরা তখন দেখতো, মুসলমানরা তাদের নবীজির জন্য ঈদে মীলাদুন নবী কত যাকজমকভাবে পালন করে, ঘরবাড়ি সাজায়, মানুষ খাদ্য খাওয়ায়, উৎসব করে। মূলতঃ মুসলমানদের দেখেই খ্রিস্টানরা ক্রিসমাস পালন শিখে। এ সম্পর্কে ইতিহাস বলে- “Christmas did not become a legal holiday there until 1856. Even then, some schools continued to hold classes on December 25 until 1870 (সূত্র: http://goo.gl/AMwyuW)
অর্থাৎ ক্রিসমাস থেকে ঈদে মীলাদুন্নবী নয়, বরং ঈদে মীলাদুন্নবী থেকে ক্রিসমাসের কনসেপ্ট এসেছে।