ইতিহাস ঘাটলে একটা জিনিস পাওয়া যায়,
অতীতে মুসলমানরা অতি সল্প সংখ্যক সৈন্য নিয়ে অধিক সংখ্যক কাফিরের বিরুদ্ধে বিজয় লাভ করেছিলেন। কিন্তু সেটা কিভাবে সম্ভব হলো ? এই প্রশ্ন সবার।
সত্যিই বলতে, মুসলমানরা হচ্ছে একটি বারুদের মত। এই বারুদ যখন জ্বলে উঠে, তখন তা পুরো দুনিয়াকে জ্বালিয়ে পুড়িয়ে দিতে সক্ষম হয়। শর্ত হচ্ছে সেই বারুদকে জ্বলতে হবে। কিন্তু সে জ্বালাবে সেই বারুদ ?
হ্যা, নবীজির মুহব্বতই পারে একজন মুসলমানের মনের অন্তরের বারুদকে জ্বালিয়ে দিতে। এটা কেউ অস্বীকার করতে পারবে না, একমাত্র নবীজির পবিত্র নাম মুবারক শুনলে মুসলমানদের মনের ভেতর এমন এক উন্মাদনা সৃষ্টি হয় এমন এক অগ্নিস্ফুলিঙ্কের সৃষ্টি হয় যে, তাবৎ দুনিয়ার সামর্থ নেই সেই আগুন নেভানোর। এ এমন এক উন্মদনা সেই উন্মাদনার দরুন গোটা কয়েক সাহাবী মিলে বদর যুদ্ধ, উহুদ যুদ্ধ, রোম পারস্যের বিরুদ্ধে যুদ্ধে জয়লাভ করেছিলেন। এই শক্তি এমন এক শক্তি যার ছোয়ায় উহুদ জিহাদের সময় রাসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে আড়াল করে নিজ গায়ে তীর বিদ্ধ করছিলেন তারা। এই শক্তি এমন এক শক্তি যার ছোয়ায় পেয়েছিলেন স্পেন বিজয়কারী হযরত তারেক বিন জিয়াদ রহমতুল্লাহি। তিনি স্বপ্নে দেখলেন, নবীজিকে। নবীজির ছোয়ায় তিনি এমন শক্তিবান হলেন যে তিনি ঘুম থেকেই উঠেই সমস্ত জাহাজে আগুন ধরিয়ে দিলেন। তার নির্ভীক আচরণের কারণেই মুসলমানরা বিজয় লাভ করেছিলো স্পেনে।
আমি হলফ করে বলতে পারি, কাফিরদের ভয় শুধু এই জায়গাতে। তারা ভাবে, “ইশ! যদি মুসলমানরা আবার সেই শক্তি ছোয়া পায়, তবে তারা এমনভাবে জেগে উঠবে, এমনভাবে নির্ভীক হবে যে তাদের ঠেকানো কোনভাবেই সম্ভব হবে না। তখন মুসলমানাদের কাছে তখন তুলার মত উড়ে যাবে কাফিররা। এই কথা চিন্তা করেই কাফিররা সারা দিন ভয়ে ইতস্তত থাকে “
তাই তো তারা বিভিন্ন ফেরকা তৈরী করে মুসলমানদের মূল কেন্দ্রবিন্দু বা নবীজির সম্পর্কে বিষেদগার করে। তাদের মাধ্যমে ফতওয়া দেয়-
নবীজির কোন ফজিলত নাই,
তিনি আমাদের মত সাধারণ মানুষ,
নবীজির মুহব্বত মানে শিরক,
শুধু আল্লাহকে মানবো, নবীজিকে না মানলেও চলে,
কালেমা শরীফে শুধু তাওহিদ থাকলেই হয়, রিসালাত বাদ দেওয়া উচিত,
নবীজির রওজা শরীফ সরিয়ে ফেলা উচিত (নাউযুবিল্লাহ)
ঈদে মীলাদুন নবী বিদাত, নবীজির এত প্রশংসা করা উচিত নয়।
নবীজির বেশি প্রশংসা করলে শিরক হয়, শুধু আল্লাহ’র প্রশংসা করলেই হয়্।
ইত্যাদি ইত্যাদি। (নাউযুবিল্লাহ)
আফসুস লাগে,
মুসলমানরা বুঝলো না, নবীজির মুহব্বত কি জিনিস। কিসে তাদের উপকার। কি হলে মুসলমানদের অন্তর আবার দাউ দাউ করে জ্বলে উঠবে, কিসের ছোয়ায় মুসলমানরা আবার সেই পুরোনো ঐতিহ্য ফিরে পাবে। এই কারণেই মুসলমানদের আজ এত অধঃপতন এত হেনস্থা।
আল্লাহ তায়ালা মুসলমানদের নবীজির মুহব্বত আবার অনুভব করার তৌফিক দান করুন। আমিন।