ঈদে মিলাদুন্নবির বিরোধীতাকারীদের অতীতের গুরুদের মিলাদ -ক্বিয়াম পালন ( মৌলভী হুসাইন আহমদ ) -৪
মৌলভী হুসাইন আহমদ দেওবন্দীর দৃষ্টিতে মীলাদের কিয়াম মুস্তাহাব :
মৌলভী হোসাইন আহমদ দেওবন্দী যে দারুল উলুম দেওবন্দ (ভারত) মাদরাসার শাইখুল হাদীস ছিল । সে জীবনে রাসুলে আকরাম ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর মীলাদ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে কিনা তা নিশ্চিত কোন তথ্য পাওয়া না গেলেও যারা মীলাদ কিয়াম করে তাদের পক্ষে মজবুত ফতোয়া দিয়েছে।
তার লিখিত- “মাকতুবাতে শাইখুল ইসলাম” কিতাবে বলে-
" হযরত সাইয়্যিদুনা আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন- " রাসুলে আকরাম ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন, “নিশ্চয়ই আল্লাহ তায়ালা এই জমিনে কিছু ভ্রমণকারী ফেরেশতা নিয়োগ করেছেন । তারা আমার উম্মতের প্রেরিত সালামগুলো আমার নিকট পৌছান” । (উক্ত হাদীসটি ইমাম নাসাঈ রহমাতুল্লাহে আলাইহি এবং ইমাম দারমী রহমাতুল্লাহে আলাইহি স্ব-স্ব কিতাবে বর্ণনা করেছেন) ।
হযরত আবু হোরায়রা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলে আকরাম ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন, “যে কোন উম্মত আমার উপর সালাম প্রদান করে আল্লাহ তা’য়ালা তা আমার রুহে পৌছান আর আমি তার সালামের উত্তর দেই” । (অত্র হাদীসটি ইমাম আবু দাউদ এবং ইমাম বায়হাকী বর্ণনা করেছেন) ।
স্মরণ রাখা উচিত, হযরত রাসুলে আকরাম ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর রওজা শরীফের সামনে সালাম পড়া হোক, তা খুব কাছের স্থান থেকে হোক কিংবা দূরবর্তী স্থান থেকে, তা রাসুলে মকবুল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর নিকট পৌছে । উপরোল্লিখিত হাদীসদ্বয়ে দূর ও নিকট থেকে সালাম দেয়ার কোন বৈশিষ্ট্য নেই । অর্থাৎ প্রত্যেক স্থান হতে সালাম তার নিকট পৌছে ।সালাম দাতা যখন ইচ্ছে সালাম প্রেরণ করতে পারবে । দাঁড়িয়ে বা বসে সালাম দেয়ার শর্ত আরোপ করা হয়নি । হ্যা, যদি রাসুলে আকরাম ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের যিকরে বেলাদত বা জন্ম বৃত্তান্ত আলোচনা কালে কেহ দাঁড়িয়ে সালাতু সালাম পড়লে, তাতে দোষের কি আছে ?"
মাকতুবাতে শাইখুল ইসলাম, ১ম খন্ড, পৃষ্ঠা নং-৩৩৯