মক্কা-মদীনা শারীফে পবিত্র ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম

বিরোধী সম্প্রদায়ের লোকেরা দাবী করে মক্কা-মদীনার দেশ সৌদি আরবে ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করা হয় না, তাই আমাদেরও পালন করা উচিত নয়। তাদের এই কথাটি সম্পূর্ণ ভূল। ব্রিটিশদের সহযোগীতায় আল-সৌদ ও ওহাবী-খারেজী সম্প্রদায় দ্বারা মক্কা-মদীনা দখলের আগে সেখানেও যে মীলাদুন্নবী ছল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর প্রচলন ছিল যার প্রমাণ পাওয়া বিভিন্ন আলেমগণের লেখনীতে -

১. প্রখ্যাত মুহাদ্দীস ইবন জাওযী রহমতুল্লাহি আলাইহি মন্তব্য - 

“সর্বদা মক্কা ও মদিনাবাসী, মিসর, ইয়ামেন, সিরিয়াবাসী এবং আরবের পূর্ব-পশ্চিমের সকলেই মীলাদুন্নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম অনুষ্ঠান করে থাকেন। রবিউল আউয়াল মাসের নব চন্দ্রের আগমনে আনন্দ উতসব করেন এবং তারা সকলেই এ সমস্ত অনুষ্ঠানাদি দ্বারা মহান পুরষ্কার ও সফলতা লাভ করেন”
• বিয়ান আল মীলাদুন্নাবী, পৃঃ ৫৮


২. শাহ ওয়ালীউল্লাহ মুহাদ্দীস দেহলভী রহমতুল্লাহি আলাইহি নিজেও মক্কা নগরীতে ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করেছিলেন যা তাঁর লেখনীতেই পাওয়া যায়-
“আমি এর পূর্বে মক্কা মু’আযযামায় বেলাদত শরীফের বরকতময় ঘরে উপস্থিত ছিলাম। আর সেখানে লোকজন সমবেত হয়ে হুযুর ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর উপর একত্রে দরুদ শরীফ পাঠা করছিলেন। তার (হুযুরের) শুভাগমনের সময় সংঘটিত অলৌকিক ঘটনাবলী ও তার নবুয়ত প্রকাশের পূর্বে সংঘটিত ঘটনাবলী আলোচনা করছিলেন। তারপর আমি সেখানে এক মিশ্র নূরের ঝলক প্রত্যক্ষ করলাম। আমি বলতে পারিনি যে, এ নূরগুলো চর্মচক্ষে দেখেছিলাম এবং এটাও বলতে পারি না যে, এগুলো কেবল মাত্র অন্তর চক্ষুতে দেখেছিলাম। এ দুটোর মধ্যে প্রকৃত ব্যাপার কি ছিল, তা আল্লাহ পাকই ভাল জানেন। অতঃপর আমি গভীরভাবে চিন্তা করলাম এবং উপলব্ধি করতে পারলাম যে, এই নূর বা জ্যোতি ঐ সব ফিরিশতার, যারা এ ধরণের মজলিস ও উল্লেখযোগ্য (ধর্মীয়) স্থানসমূহে (জ্যোতি বিকিরণের জন্য) নিয়োজিত থাকেন। আমার অভিমত হল সেখানে ফিরিশতাদের নূর ও রহমতের নূরের সংমিশ্রণ ঘটেছে”।




ফয়ূযুল হারামাইন (আরবী-উর্দু), পৃষ্ঠা নং- ৮০-৮১