ঈদে মিলাদুন্নবির বিরোধীতাকারীদের অতীতের গুরুদের মিলাদ -ক্বিয়াম পালন ( দেওবন্দ মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা ) -৩

ঈদে মিলাদুন্নবির বিরোধীতাকারীদের অতীতের গুরুদের মিলাদ -ক্বিয়াম পালন ( দেওবন্দ মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা ) -৩

দেওবন্দ মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতার দৃষ্টিতে মীলাদের কিয়াম মুস্তাহসান : 

দারুল উলুম দেওবন্দ মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা হাজী সৈয়দ আবেদ হুসাইন ৪০১.৫০ (চারশত এক টাকা আট আনা) চাদা সংগ্রহ করে “দেওবন্দ মসজিদ” ছাত্তা নামক জায়গায় মাদরাসাটির লেখা-পড়ার কার্যক্রম শুরু করে । প্রথমে  মাদরাসার পৃষ্ঠ-পোষক কাম মুহতামিম পদে অবৈতনিক ভাবে খেদমত আঞ্জাম দেয় । কিছুদিন পর  মোলভী রফিউদ্দিনকে মাদরাসার মুহতামিম পদে নিযুক্ত করে হজ্জ্বব্রত পালন উদ্দেশ্যে মক্কা অভিমুখ রওয়ানা হয় । হজ্জ্ব সমাপনের পর দেশে ফিরলে মাদরাসার পরামর্শ কমিটির অনুরোধে আবার মুহতামিমের দায়িত্ব গ্রহণ করে । এরপর শিক্ষক ও পরিচালনা কমিটির মধ্যে কোন্দল দেখা দিলে, মুহতামিম পদ হতে ইস্তফা দিয়ে হযরত মাখদুম রহমাতুল্লাহে আলাইহি-এর দরবার “কালিয়ার” অভিমুখে গমন করে । মাদরাসার পরামর্শ কমিটির সদস্যগণ তার পিছনে ছুটল , আর অনুরোধে করতে লাগল যে, পৃষ্ঠপোষকতা ও মুহতামিমের দায়িত্ব হতে পৃথক না হওয়ার জন্য, প্রয়োজনে পরিচালনার ভার অন্য কাউকে সোপর্দ কর । 


অবশেষে সে মুন্সী ফজলে হক সাহেবকে মুহতামিম নিযুক্ত করল । আর পরামর্শ কমিটির একজন সাধারণ সদস্য পদ মঞ্জুর করল । ২য় বারের মত হজ্জ্বে গমন করল । ইতোমধ্যে পরস্পরের কোন্দলের জের ধরে মাদরাসায় চরম বিশৃঙ্খলা দেখা দেয় ।সে হজ্জ্ব হতে এসে মাদরাসার সার্বিক অবস্থা তদারকি পূর্বক মাদরাসার যাবতীয় কার্যক্রম হতে সম্পর্ক ছিন্ন করতে বাধ্য হল । বিদায় কালে ওহাবী ও নজদী আকীদা পুষ্য মোল্লা-মৌলভী এবং পরিচালনা পরিষদের উদ্দেশ্যে সে বলেছিল- “এখানে স্বার্থহীনতা এবং লিল্লাহিয়ত খতম হয়ে গেছে, স্বার্থপরতা ও নফছানিয়ত প্রবলভাবে গ্রাস করেছে, ঐ কাজ কর্মের সাথে আল্লাহর অলী ফকিরগণের কি সম্পর্ক ?” ওহাবী নজদীদের অত্যাচার-অনাচার ও লাগামহীন ফতোয়াবাজির খপ্পর হতে দারুল উলুম দেওবন্দ মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা মুহতামিমও রেহাই পায়নি, সেখানে আমরা…!!! দারুল উলুম দেওবন্দ মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা মুহতামিম হাজী সৈয়দ আবেদ হোসাইন হানাফী সেখানে প্রত্যেক শুক্রবার মাগরীবের পর মীলাদ শরীফের আয়োজন করত । ঐ মীলাদ মাহফিলে অনেক টাকা পয়সা খরচ করত । হাজী সাহেব এর মৃত্যুর পূর্বক্ষণ পর্যন্ত মীলাদ ও কিয়ামের অনুষ্ঠান পালন করত এক মাত্র বরকত ও উত্তম আমল হিসেবে । 
ফরমানে মোস্তফা, কৃতঃ আল্লামা আযিযুল হক আল কাদেরী, পৃষ্ঠা নং- ১১০