সম্পূর্ণ বিজাতীয় সংস্করণে বাজি ফুটিয়ে, কালিমার অবমাননার মাধ্যমে (নাউজুবিল্লাহ মিন জালিক) সৌদি আরব ন্যাশনাল ডে পালন করল।
সৌদি আরবের জন্মদিন বা ন্যাশলান ডে হচ্ছে ২৩শে সেপ্টেম্বর। ১৯৩২ সালের ২৩শে সেপ্টেম্বর সৌদি রাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হয়। এদিন উপলক্ষে সউদী আরব সরকার ব্যাপক অানন্দ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। রাষ্ট্রীয়ভাবে এ দিনটি অতি অতি গুরুত্বের সাথে আনন্দ উদ্দিপনার সাথে পালন হয়। জনগণও এ দিন রাস্তায় নেমে আসে। সবাই এক সাথে আনন্দ উদ্দিপনা করে।
এ সম্পর্কে ভিডিওগুলো দেখতে পারেন:
১) https://youtu.be/dcJZbMs12VY
২) https://youtu.be/nGJs6DWGl0M
৩) https://youtu.be/y52RW0TSeoI
৪) https://youtu.be/LExN44iiWa0
৫) https://youtu.be/GswAJy6z-5w
উল্লেখ্য সউদী মুফতিরা, তাদের পূর্বপুরুষ এবং তাদের সাথে যোগসাজস রাখা সকল বক্তরা (পিসটিভি) ঈদে মীলাদুন নবীর বিরোধীতা করে। বলে জন্মদিন পালন করা হারাম। এ সম্পর্কে সউদী গ্রান্ড মুফতি ফতওয়া দেয় ঈদে মীলাদুন নবী পালন করা গুনাহের কাজ (http://www.moroccoworldnews.com/…/saudi-grand-mufti-says-c…/)।
অনেকে বলে, সউদী আরবে ঈদে মীলাদুন নবী পালন হয় না, বাংলাদেশে কেন হয় ? এগুলো বিদআত। তাদের জন্য এ পোস্ট। সউদী মুফতিদের ফতওয়া- নবীজির জন্মদিন পালন করা হারাম ও শিরক-বিদাত, কিন্তু সউদী আরবের জন্মদিন পালন করা হালাল।
তবে এটাও তাদের জেনে রাখা দরকার- বর্তমান সউদী ওহাবী সরকার আসার আগে দেশটিতে মহাসমারহে ঈদে মীলাদুন নবী পালন হতো এবং এর বিরুদ্ধে কেউ ফতওয়া দিলে তাকে কাফির বলে ফতওয়া দেওয়া হতো। কিন্তু বর্তমান সউদী সরকার এসে নবীজির জন্মদিন পালন বন্ধ করে (https://goo.gl/AFIAVr) এবং নিজ সরকারের জন্মদিন পালন শুরু করে। আর তাদের কথামত ফতওয়া দেয় তাদের সরকারি আলেমরা।
মুসলমানরা আজ অন্ধভাবে সউদীদের অনুসরণ করে গোমরাহ হচ্ছে। এ ঘটনাই তার প্রমাণ।
