আমরা কাট্টা কাফির চির জাহান্নামী আবু লাহাব এর নাম সবাই জানি । দীর্ঘ এক যুগ হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে কষ্ট দেওয়ার কোশেশ করেছিল । যার সম্পর্কে স্বয়ং আল্লাহ পাক সুরা লাহাব শরীফ নাযিল করেছিলেন ।যে আবু লাহাবের বংশ আজ বিলীন। অথচ সেই আবু লাহাব জাহান্নামে থেকেও প্রতি সোমবার শরিফে জান্নাতি আরাম পায় ।ইহা কি করে সম্ভব হল ?
ঐতিহাসিক আল্লামা হযরত ইয়াকুব রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার তারিখে ইয়াকুবী ১ম খন্ড ৩৬২ পৃষ্ঠায় উল্লেখ আছে ” নুরে মুজাসসাম হাবিবুল্লাহ হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বলেন ‘আমি আবু লাহাবকে দেখেছি জাহান্নামের আগুনে নিমজ্জিত থেকে চিৎকার করে বলছে পানি দাও! পানি দাও! অতঃপর তার আঙ্গুলের গিরা দিয়ে পানি পান করানো হচ্ছে। নুরে মুজাসসাম হাবিবুল্লাহ হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সব কিছু জানা সত্বেও উম্মতকে শিক্ষা দেওয়ার জন্য জিজ্ঞাসা করলেন’ কি কারণে এ পানি পাচ্ছ ? আবু লাহাব বলল’ আপনার বিলাদত শরীফ উপলক্ষে খুশী প্রকাশ করে হযরত সুয়াইবা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা উনাকে মুক্ত করার কারণে এই ফায়দা পাচ্ছি। কেননা তিনি আপনাকে দুধ পান করিয়েছিলেন”
হাদিস শরিফ উনার মধ্যে আরো ইরশাদ মুবারক হয়েছে -“হযরত ইমাম সুহাইলি রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি উল্লেখ করেন যে , হযরত আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বলেন , আবু লাহাবের মৃত্যুর এক বছর পর স্বপ্নে দেখি যে সে অত্যন্ত দুরবস্থায় রয়েছে। তিনি তাকে জিজ্ঞাসা করলেন তোমার সাথে কিরুপ ব্যবহার করা হয়েছে ?
আবু লাহাব বলল , হে ভাই হযরত আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু আপনাদের কাছ থাকে বিদায় নেওয়ার পর আমি কোন সুখ শান্তির মুখ দেখিনি । তবে হা প্রতি সোমবার শরিফ যখন আগমন করে তখন আমার থেকে সমস্ত আযাব লাগব করা হয়, আমি শান্তিতে থাকি । হযরত আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বলেন আবু লাহাবের এ শান্তির কারন হচ্ছে, হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিলাদত শরিফ সোমবার শরিফ এর সুসংবাদ নিয়ে আবু লাহাবের বাদি হযরত সুয়াইবা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা তিনি যখন আবু লাহাব কে জানালেন তখন আবু লাহাব বিলাদত শরিফ এর খুশির সংবাদ শুনে খুশি হয়ে হযরত সুয়াইবা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা কে তৎক্ষনাত আযাদ করে দেয় “। সুবহানাল্লাহ ।আবু লাহাব দু আঙ্গুল দিয়ে যে বাদী উনাকে আযাদ করে দিয়েছিল সে কারণে সেই দুই আঙ্গুল দিয়ে ঠান্ডা ও সুশীতল পানি পান করতে পারছে । (ফতহুল বারী ৯ম খন্ড- ১১৮ পৃষ্ঠা , উমদাতুল কারী ২০ খন্ড -৯৫ পৃষ্ঠা)
অনুরুপভাবে বুখারি শরিফ মুল ২য় খন্ড ,৭৬৪ পৃষ্ঠায় হযরত উরওয়া রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার মারফত উক্ত হাদিস শরিফ বর্ননা করা হয়েছে ।আরো উল্লেখ রয়েছে আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া ১ম খন্ড ৩৩২ পৃষ্ঠা, মাছাবাতা বিস সুন্নাহ১ম/৮৩ পৃষ্ঠা,তারিখে ইয়াকুবী ১ম খন্ড ৩৬২ পৃষ্টা , শরহুয যারকানী ১ম খন্ড ২৬১ পৃষ্ঠা ।
এ প্রসঙ্গে ‘মাওলাহিবুল লাদুননিয়া’ কিতাবের বিখ্যাত শরাহ ‘শরহুয্ যারকানী’ কিতাবের ১ম খ-ের ২৬১ পৃষ্ঠায় উল্লেখ আছে, হযরত ইবনুল জাযরী রহমতুল্লহি আলাইহি তিনি বলেন, “আবু লাহাবের মতো কাট্টা কাফির যার নিন্দায় কুরআন শরীফ-এর আয়াত শরীফ ও সূরা পর্যন্ত নাযিল হয়েছে, তাকে যদি নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিলাদত শরীফ-এর রাত্রিতে আনন্দিত হয়ে খুশি প্রকাশ করার কারণে জাহান্নামেও তার পুরস্কার দেয়া হয়ে থাকে তবে হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার উম্মতের কোনো মুসলমান যদি ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উপলক্ষে খুশি প্রকাশ করে তার সাধ্যানুযায়ী টাকা-পয়সা ইত্যাদি খরচ করে তাহলে তাদের অবস্থা কিরূপ হবে? নিশ্চয়ই আল্লাহ তায়ালা উনার ফযল ও করমে অবশ্যই অবশ্যই তাকে নিয়ামতপূর্ণ জান্নাতে প্রবেশ করাবেন।” সুবহানাল্লাহ! (মাছাবাতা বিস সুন্নাহ ১ম খ-, ৮৩ পৃষ্ঠা)
এ প্রসঙ্গে ‘মাওলাহিবুল লাদুননিয়া’ কিতাবের বিখ্যাত শরাহ ‘শরহুয্ যারকানী’ কিতাবের ১ম খ-ের ২৬১ পৃষ্ঠায় উল্লেখ আছে, হযরত ইবনুল জাযরী রহমতুল্লহি আলাইহি তিনি বলেন, “আবু লাহাবের মতো কাট্টা কাফির যার নিন্দায় কুরআন শরীফ-এর আয়াত শরীফ ও সূরা পর্যন্ত নাযিল হয়েছে, তাকে যদি নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিলাদত শরীফ-এর রাত্রিতে আনন্দিত হয়ে খুশি প্রকাশ করার কারণে জাহান্নামেও তার পুরস্কার দেয়া হয়ে থাকে তবে হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার উম্মতের কোনো মুসলমান যদি ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উপলক্ষে খুশি প্রকাশ করে তার সাধ্যানুযায়ী টাকা-পয়সা ইত্যাদি খরচ করে তাহলে তাদের অবস্থা কিরূপ হবে? নিশ্চয়ই আল্লাহ তায়ালা উনার ফযল ও করমে অবশ্যই অবশ্যই তাকে নিয়ামতপূর্ণ জান্নাতে প্রবেশ করাবেন।” সুবহানাল্লাহ! (মাছাবাতা বিস সুন্নাহ ১ম খ-, ৮৩ পৃষ্ঠা)
আবু লাহাব যে খুশি প্রকাশ করেছিল তা নবি -রাসুল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হওয়ার কারনে করেনি, করেছিল তার ভ্রাতিষ্পুত্র হওয়ার কারনে ।
তাহলে দেখা যাচ্ছে যে আবু লাহাব কাট্রা কাফির ,চিরজাহান্নামী হয়েও খুশী প্রকাশ করার কারণে জাহান্না্মে থেকেও বিশেষ ব্যবস্থায় শান্তি পাচ্ছে ।
তাহলে যারা হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার উম্মত হয়ে,উনাকে মুহব্বত করে কোন মুসলমান যদি খুশি প্রকাশ করে তাহলে তার প্রতি মহান আল্লাহ পাক কতটুকু রহম করবেন ,কতটুকু সন্তুষ্ট তা বলার অপেক্ষা রাখেনা ।
এখন তাহলে প্রশ্ন হল যারা খুসি প্রকাশ না করে উলটা সাইয়্যিদুল আইয়াদ শরীফ উনার বিরোধীতা করে তাদের কি হবে ?
তারা আবু লাহাব হতেও নিকৃষ্ট ,চিরজাহান্নামী ,মালউন ।