নবীজির আগমন উপলক্ষে খুশি প্রকাশ করা

আল্লাহ পাক ইরশাদ করেন-
قال بفضل الله و برحمته فبذالك فليفرحوا هو خيرمما يجمعون
অর্থ : হে আমার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ! আপনি উম্মাহকে বলে দিন , মহান আল্লাহ পাক অনুগ্রহ ও রহমত( হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) প্রেরন করেছেন , সেজন্য তারা যেন খুশি প্রকাশ করে। এ খুশি প্রকাশ করাটা সবচাইতে উত্তম, যা তারা সঞ্চয় করে রাখে !”
দলীল-
√ সূরা ইউনূছ ৫৮

উক্ত আয়াত শরীফে তাফসিরে বিখ্যাত মুফাসসির, সমগ্র মাদ্রাসায় যাঁর তাফসীর পড়ানো হয়, হাফিযে হাদীস, আল্লামা জালালুদ্দীন সূয়ূতী রহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেন–
عن ابن عباس رضي الله تعال عنهما قال في الاية فضل الله العلم و رحمته محمد صلي الله عليه و سلم قال الله تعالي وما ارسلناك الا رحمة للعلمين
অর্থ : হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু আনহুমা বলেন, এ আয়াত শরীফের তাফসিরে এখানে আল্লাহ পাক উনার অনুগ্রহ বলতে ” ইলিম” বুঝানো হয়েছে। আর রহমত দ্বারা বুঝানো হয়েছে ” হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম” উনাকে। যেমন, আল্লাহ পাক বলেন, আমিতো আপনাকে তামাম আলমের জন্য রহমত স্বরূপ প্রেরন করেছি।”
দলীল-
√ তাফসীরে দূররুল মানছুর – ১০ নং সূরা – ১১ পারা- সূরা ইউনূছ ৫৮ আয়াত।
√ তাফসীরে রুহুল মা’য়ানী।
√ তাফসীরে কবীর।
দেখুন, উক্ত আয়াতের তাফসীরে ” রহমত” মানে কিন্তু হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে বুঝানো হয়েছে।
আর এ তাফসীর যিনি করেছেন তিনি হচ্ছেন, রঈসূল মুফাসসিরিন ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু আনহু।
যাঁর সম্পর্কে বুখারী শরীফে বর্নিত আছে – নবীজী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে বুকে জড়িয়ে ধরে দোয়া করেছেন আয় আল্লাহ পাক উনাকে কুরআন শরীফের ইলিম এবং হেকমত দান করুন !”
কুরআন শরীফের তাফসীরে সবচাইতে জ্ঞনী ব্যক্তিত্ব ইবনে আব্বাস তিনিই বলতেছেন উক্ত আয়াতের ” রহমত” হচ্ছেন হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম।
তাহলে আয়াত শরীফের অর্থ কি দাঁড়াচ্ছে ?
অর্থ দাড়াচ্ছে, আল্লাহ পাক উনার অনুগ্রহ এবং রহমত হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আগমনের কারনে খুশি বা ঈদ পালন করো !”
সুবহানাল্লাহ্ !!