ঈদে মীলাদুন্নবীর বিরোধীতাকারীরা আবু লাহাবের উত্তরসূরি

ঈদে মীলাদুন্নবীর বিরোধীতাকারীরা আবু লাহাবের উত্তরসূরি
ঈদ-ই-মীলাদুন্ নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালনের মত খোদায়ী ঈদ, মুত্তালিবী ঈদ, রসূল প্রেমিকদের ঈদ, সকল ঈদের ঈদ সে বিষয়টিকে মূল্যায়ণ না দিয়ে বাতিল ফিরকারা উল্লেখ করছে যে, " জন্মদিন পালন করা খৃষ্টানদের রীতি। অথচ এর পিছনে যে কোন ভিত্তি নেই যা তারাও জানে তাদের গুরু শয়তানও জানে।"
বলাবাহুল্য, জন্মে খুশী হওয়া, মৃত্যুতে কাঁদা, বিয়েতে খুশী প্রকাশ করা, খাওয়া-দাওয়া, হাঁটা এগুলো মানুষের সহজাত ধর্ম। সব ধর্মেই এটা আছে। কিন্তু এক এক ধর্মে এক এক প্রক্রিয়া।


যেমন - 
একজন মুসলমানও খাবে একজন কাফিরও খাবে।
একজন মুসলমানও বিয়ে করবে, সন্তান হবে, খুশী প্রকাশ করবে।
কাফিররাও বিয়ে করবে, সন্তান হবে, খুশী প্রকাশ করবে।
তাই বলে -
মুসলমানদের বিয়ে করাকে কাফিরী বিয়ে,
মুসলমানদের সন্তান হওয়ায়, খুশী প্রকাশ করাকে কাফিরী খুশী বলা চলবেনা।
কারণ -
সন্তান হওয়ায় মুসলমান খুশী প্রকাশ করে মহান আল্লাহ্ পাক-এর নামে তার নির্ধারিত পন্থায়, শুকরিয়া আদায় করে মীলাদ শরীফ পড়িয়ে। যেমনটি, হযরত আব্দুল মোত্তালিব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর জন্ম মুবারকে খুশী হয়ে পবিত্র কা’বা শরীফ তাওয়াফ করেছিলেন, পশু জবেহ্ করে সকলকে খাইয়েছিলেন।
কিন্তু খৃষ্টানরা জন্মোৎসব পালন করে কেক কাটা আর নাচ-গানের পার্টি দিয়ে।
সুতরাং মানুষের ফিৎরাত হিসেবে মিল থাকলেও হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর জন্মে খুশী প্রকাশকে কখনই তাদের সাথে সম্পৃক্ত করা যাবেনা। কিন্তু তারপরেও যারা ঈদ-ই-মীলাদুন্ নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উদযাপনকে লাহাবী উৎসব বলে আখ্যা দিতে চায়, বলতে হয় তারা তাহলে লাহাবী সন্তান।
কারণ -
লাহাব যেমন বিয়ে করেছে, সন্তানের জন্ম দিয়েছে।
তাদের বাবারাও তেমনি বিয়ে করেছে, তাদের জন্ম দিয়েছে।
সুতরাং তারা লাহাবী সন্তান।
আর এরূপ যারা নিজেদের লাহাবী সন্তানরূপে মনে করে তাদের পক্ষেই ঈদ-ই-মীলাদুন্ নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে “লাহাবী উৎসব” মনে করা সম্ভব।