আজ থেকে ১০০ বছর আগে দেওবন্দীদের কেন্দ্রীয় আলিমগণও পবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করতো এবং এ উপলক্ষে খুশি প্রকাশ করলে বিনা হিসেবে জান্নাতে যাওয়ার কারণ বলে ফতওয়া দিয়েছে। এসব দুর্লভ দলিলসমূহ একত্রে একটি বইতে পাওয়া যায়। বইটির নাম “আল মুহান্নাদ আলাল মুফান্নাদ”। বইটির লেখক দেওবন্দের র্শীষস্থানীয় আলিম এবং আবু দাউদ শরীফের ব্যাখ্যাগ্রন্থ ‘বাজলূল মাজহুদ কী হল্লি আবু দাউদ’র লেখক মাওলানা খলীল আহমাদ শাহরানপুরী।
হারামাইন শরীফাইনের আলেমগণ দেওবন্দেরে উলামায়ে কেরামের এর নিকট ২৬ টি প্রশ্ন সম্বলিত একটি চিঠি পাঠালেন। বিশুদ্ধ আরবীতে উক্ত প্রশ্নগুলোর উত্তর প্রদান করে মাওলানা খলীল আহমাদ সাহারানপুরী। খলীল আহমাদ সাহারানপুরী এই উত্তরের উপর তৎকালীন দেওবন্দের সমস্ত উলামায়ে কেরাম সত্যায়ন ও সাক্ষ্যর করে। যেমন, মাওলানা মাহমুদুল হাসান, আশরাফ আলী থানবী, উসওয়াতুস সুলাহা হযরত মাওলানা শাহ আব্দুর রহীম রাইপুরী রহ, বাকিয়্যাতুস সালাফ হযরত মাওলানা হাফেজ মুহাম্মাদ আহমাদ সাহেব, কিফায়াতুল্লাহ । এছাড়াও দেওবন্দী উলামায়ে কেরামের সত্যায়নের পাশাপাশি হিজায, মিশর, শাম ও আরবের বিখ্যাত আলেমগণের সত্যায়ণ রয়েছে এই পুস্তকের উপর। খলীল আহমাদ সাহারানপুরী এর পুস্তকটি ১৩২৫ হি: সনে প্রকাশিত হয়। এই পুস্তকের নাম ছিলো আল-মুহান্নাদ আলাল মুফান্নাদ। এ পুস্তকে উক্ত প্রশ্নগুলোর আলোকে বিশুদ্ধ আক্বীদা-বিশ্বাস বিশ্লেষণ করা হয়েছে। এই পুস্তক সংক্ষিপ্ত হলেও এখানে দেওবন্দী আক্বিদার মৌলিক বিষয়গুলো খুবই স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে।
দেওবন্দী ইমাম মাওলানা খলীল আহমদ সাহারানপুরী রচিত ” আল মুহান্নাদ আ’লাল মুফান্নাদ” কিতাবে পবিত্র মক্কা শরীফ এবং মদীনা শরীফ এর আলেমদের মীলাদ শরীফ সম্পর্কে প্রশ্নের জবাব দেওবন্দী খলীল আহমদ সাহারানপুরী লিখে-
” রসূলে করীম ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের মুবারক বেলাদতের আলোচনা বা মীলাদ শরীফ পাঠ এমন কি তাঁর পাদুকা সংশ্লিষ্ট ধূলি অথবা তাঁর বাহন গাধাটির প্রশ্রাব-পায়খানা মুবারক আলোচনাকে আমরা কেন কোন সাধারণ মুসলমান বেদআতে মুহররমা বা হারাম বলতে পারে না। না আমরা কখনো বলিনি বলিও না।
ঐ অবস্থা যার বিন্দুমাত্র সম্পর্ক হযরত রসূলে করীম ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সাথে রয়েছে তার আলোচনা আমাদের মতে অধিকতর পছন্দনীয় ও উন্নতমানের মুস্তাহাব।”
দলীল-
√ আল মহান্নাদ আলাল মুফান্নাদ ২১ তম প্রশ্নের জবাব।
লেখক- মাওলানা খলীল আহমদ সাহারানপুরী দেওবন্দী।
বঙ্গানুবাদঃ অধ্যক্ষ মাওলানা মোঃ আবদুল হাকিম
প্রকাশকঃ আল হাবীব ফাউন্ডেশন ,
প্রকাশকালঃ অগাষ্ট ২০১২ , রমাদ্বান ১৪৩৩
খলীল আহমদ সাহারানপুরী এই বইতে লিখেছে এটাই দেওবন্দী আকাবিরদের আক্বীদা। এর বিপরীত আক্বীদা পোষনকারীরা দেওবন্দী গ্রুপের নয়।
তাহলে যেসকল কওমি, দেওবন্দী, তাবলীগী ঈদে মিলাদে হাবীবির বিরোধীতা করে তারা কি তাদের মুল গুরুদের বিরোধীতাকারী নয় ? তারা কি তাদের গুরুদের মতেই বদ আক্বিদা পোষণকারী নয় ?