ঈদ-ই-মীলাদুন্ নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালনের মত খোদায়ী ঈদ, মুত্তালিবী ঈদ, রসূল প্রেমিকদের ঈদ, সকল ঈদের ঈদ সে বিষয়টিকে মূল্যায়ণ না দিয়ে বাতিল ফিরকারা উল্লেখ করছে যে, " জন্মদিন পালন করা খৃষ্টানদের রীতি। অথচ এর পিছনে যে কোন ভিত্তি নেই যা তারাও জানে তাদের গুরু শয়তানও জানে।"
“Encyclopedia Americana”- তে উল্লেখ আছে, BIRTHDAYS, anniversaries of the day of birth. The practice of markaing an individual’s exact reckoning of time by a fix Calendar.
The custom of observing birthday’s, althangh an ancient one and at present very popular in many countries is, far from being universal.
অর্থাৎ- “কারো জন্মের সঠিক তারিখটি সুনির্দিষ্ট করার রীতি চালু হয়েছে একটি নির্দিষ্ট ক্যালেন্ডার অনুযায়ী সময় গণনা করার ধারা প্রবর্তিত হওয়ার প্রেক্ষিতে। জন্মবার্ষিকী পালনের প্রথাটি খুবই প্রাচীন এবং বর্তমানে অনেক দেশেই অত্যন্ত জনপ্রিয়। তারপরেও তা সার্বজনীনতা লাভ করেনি।”
বলাবাহুল্য, জন্মে খুশী হওয়া, মৃত্যুতে কাঁদা, বিয়েতে খুশী প্রকাশ করা, খাওয়া-দাওয়া, হাঁটা এগুলো মানুষের সহজাত ধর্ম। সব ধর্মেই এটা আছে। কিন্তু এক এক ধর্মে এক এক প্রক্রিয়া।
একজন মুসলমানও খাবে একজন কাফিরও খাবে।
একজন মুসলমানও বিয়ে করবে, সন্তান হবে, খুশী প্রকাশ করবে।
কাফিররাও বিয়ে করবে, সন্তান হবে, খুশী প্রকাশ করবে।
তাই বলে মুসলমানদের বিয়ে করাকে কাফিরী বিয়ে, মুসলমানদের সন্তান হওয়ায়, খুশী প্রকাশ করাকে কাফিরী খুশী বলা চলবেনা। কারণ সন্তান হওয়ায় মুসলমান খুশী প্রকাশ করে মহান আল্লাহ্ পাক-এর নামে তার নির্ধারিত পন্থায়, শুকরিয়া আদায় করে মীলাদ শরীফ পড়িয়ে। যেমনটি, হযরত আব্দুল মাত্তালিব আলাইহিস সালাম আখিরী রসূল, হাবীবুল্লাহ্ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার জন্ম মুবারকে খুশী হয়ে উনাকে নিয়ে পবিত্র কা’বা শরীফ তাওয়াফ করেছিলেন, পশু জবেহ্ করে সকলকে খাইয়েছিলেন। কিন্তু খৃষ্টানরা জন্মোৎসব পালন করে কেক কাটা আর নাচ-গানের পার্টি দিয়ে।
সুতরাং মানুষের ফিৎরাত হিসেবে মিল থাকলেও আখিরী রসূল, হাবীবুল্লাহ্ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার জন্মে খুশী প্রকাশকে কখনই তাদের সাথে সম্পৃক্ত করা যাবেনা। কিন্তু তারপরেও যারা ঈদ-ই-মীলাদুন্ নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উদযাপনকে লাহাবী উৎসব বলে আখ্যা দিতে চায়, বলতে হয় তারা তাহলে লাহাবী সন্তান। কারণ -
লাহাব যেমন বিয়ে করেছে, সন্তানের জন্ম দিয়েছে।
তাদের বাবারাও তেমনি বিয়ে করেছে, তাদের জন্ম দিয়েছে। সুতরাং তারা লাহাবী সন্তান।
আর এরূপ যারা নিজেদের লাহাবী সন্তানরূপে মনে করে তাদের পক্ষেই ঈদ-ই-মীলাদুন্ নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে “লাহাবী উৎসব” মনে করা সম্ভব।