প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষন!

প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষন!
আপনার পিতা শেখ মুজিব সাহেবের স্বপ্ন পুরণে ঈদে মিলাদে হাবীবি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম জাঁকজমকের সাথে পালন করার ব্যবস্থা গ্রহণ করুন।
প্রধানমন্ত্রী -----
স্বাধীনতা উত্তর বাংলাদেশে আপনার পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ সাহেব সর্বপ্রথম হক্বানী আলেম –ওলামা উনাদের সুসংগঠিত করে পবিত্র ইসলাম উনার সঠিক রুপ জনগনের সামনে তুলে ধরার উদ্যোগ গ্রহন করেন।উনার দিকনির্দেশনা ও পৃষ্ঠপোষকতায় ঢাকার “সীরাত মজলিস” নামে ১৯৭৩ ও ১৯৭৪ সালে পবিত্র রবিউল আউওয়াল শরীফ মাসে স্বাধীন বাংলাদেশে সর্ব প্রথম বৃহত্তর আঙ্গিকে পবিত্র ‌ঈদে মিলাদে হাবীবি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মাহফিল উদযাপনের কর্মসূচী গ্রহন করেন।সরকার প্রধান হিসেবে আপনার পিতা বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদ চত্বরে মাহফিলের শুভ উদ্বোধন করেন ।একজন সরকার প্রধান হিসেবে জাতীয়ভাবে পবিত্র ‌ঈদে মিলাদে হাবীবি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মাহফিলের উদ্বোধন উপমহাদেশের ইতিহাসে প্রথম এবং বিরল দৃষ্টান্ত ।এরই ধারাবাহিকতায় ইসলামিক ফাউন্ডেশন কতৃক প্রতি বছর জাতীয়ভাবে পবিত্র ঈদে মিলাদে হাবীবি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মাহফিল উদযাপন হয়ে আসছেন ।

পবিত্র ঈদে মিলাদে হাবীবি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যথাযোগ্য মর্যাদায় পালনের উদ্দেশ্যে বঙ্গবন্ধুই প্রথম বাংলাদেশে ঈদে মিলাদে হাবীবি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উপলক্ষে সরকারী ছুটি ঘোষনা করেন।দিবসের পবিত্রতা রক্ষার জন্য সিনেমা হলে চলচ্চিত্র প্রদর্শন বন্ধ রাখার নির্দেশনা প্রদান করেন ।
সুত্রঃ
১."মাওলানা আবদুল আওয়াল রচিত "বঙ্গবন্ধু ও ইসলামী মূল্যবোধ",ঢাকা: আগমনী প্রকাশনী,১৯৯৯, পৃ-৩৪"
২. আবু তাহের মুহাম্মদ মানজুর “ইসলামী চেতনা ও মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠায় বঙ্গবন্ধুর অবদান” ইসলামিক ফাউন্ডেশন পত্রিকা(ঢাকা:ই.ফা.বা.)জানুয়ারী-মার্চ-২০০৯ পৃ-৪১,
৩. মুহাম্মদ মাহবুবুর রহমান “মুসলিম বিশ্বের সাথে সম্পর্ক স্থাপন ও ইসলাম সম্প্রসারণে শহীদ বঙ্গবন্ধু শহীদ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের অবদান” অগ্রপথিক(জাতীয় শোক দিবস সংখ্যা, ঢাকা: ই.ফা.বা.)আগষ্ট-১৯৯৯,পৃ-২৪ )
প্রধানমন্ত্রী -
আপনি সেই পিতার সন্তান। যিনি পরপর দু’বার প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়ে সবসময় শেখ সাহেবের স্বপ্ন পুরনের কথা বলেন। বাস্তবায়িত করার কথা বলেন।সেই আপনার পিতা-ই নুরে মুজাসসাম,হাবিবুল্লাহ, হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে এতই মুহব্বত করতেন যে তিনি স্বয়ং ঈদে মিলাদে হাবীবি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এই বাংলার জমিনে সরকারীভাবে জাঁকজমকের সাথে পালন করেছেন।সরাসরি উপস্তিত থেকে পালন করেছেন, ছুটি দিয়েছেন, সিনেমা হল বন্ধ দিয়েছেন, গরীব দুখীদের খাইয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী -
একজন নাগরিক হিসেবে আমিও আপনার কাছে আশা করি আপনি আপনার পিতার বাস্তবায়নকৃত একটি ইচ্ছাকে আরো বেগবান করে-
১. এই পবিত্র দিবস উপলক্ষে ভাতা-বোনাস দিবেন
২. এই পবিত্র দিবস উপলক্ষে লক্ষ লক্ষ মানুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করবেন
৩. গৃহহীনদের জন্য বাড়ির ব্যবস্থা করবেন
৪. মাসব্যাপী ছুটি দিবেন।
৫. সারা দেশ আলোকসজ্জা করবেন
৬. প্রতিটি মসজিদে পালনের ব্যবস্থা করবেন
৭. প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পালনের ব্যবস্থা করবেন
৮. সিলেবাসে হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার জীবনী মুবারক চালু করবেন
৯. সকল ধরনের হারাম কর্মের উপকরণ সমূহ বন্ধের ব্যবস্থা করবেন।
যদি আপনি তা-ই করতে পারেন তাহলেই কেবল আপনার পিতার সোনার বাংলাদেশ গড়া সম্ভব।



পূর্ববর্তী পোস্ট
পরবর্তী পোস্ট