আসুন, ইতিহাস ও বিজ্ঞান মিলিয়ে নেই........
সেই পবিত্র রাতটি প্রসঙ্গে স্বয়ং হুযুর পাক সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উনার সম্মানিতা আম্মাজান হযরত আমিনা আলাইহাস সালাম বলেন, ‘এটা ছিলো চন্দ্রের আলোয় আলোকিত রাত। চারপাশে কোন প্রকার অন্ধকার ছিলো না। সে সময় হযরত আব্দুল মুত্তালিব আলাইহিস সালাম উনার সন্তানাদিদের নিয়ে হারাম শরীফ-এর দিকে যান বাইতুল্লাহ শরীফ-এর ভাঙা দেয়াল মেরামত করার জন্য। (সূত্র: প্রখ্যাত মুহাদ্দিস ও ঐতিহাসিক আল্লামা হায়তামী রাহমাতুল্লাহি আলায়হি কর্তৃক রচিত 'আননি 'মাতুল কুবরা আলাল আলম)
অনেকে দাবি করে নবীজির বিলাদত নাকি ২, ৮ কিংবা ৯ই রবিউল আউয়াল তারিখে। কিন্তু এগুলো ভুল। কেননা ঐদিনের ঘটনাবলী এবং অ্যাস্ট্রোনমাদের গবেষণা বলে দিচ্ছে নবীজির বিলাদত ছিলো ১২ই রবিউল আউয়াল শরীফ। সুবহানাল্লাহ।
যুক্তি-১
২ রা রবীউল আউয়াল হবার সম্ভাবনা একারণেই নেই যে সেদিন চাঁদ উদয় হবার পর প্রায় ১ ঘণ্টা পর চাঁদ অস্ত গিয়েছিলো।
৯ ই রবীউল আউয়াল হবার সম্ভাবনা নেই কারণ সেদিন চাঁদের আলো ততটা তীক্ষ্ণ ছিলনা, ৮৬ ভাগ আলোকিত ছিল।
আর ১২ ই রবীউল আউয়াল শরীফ চাঁদ ১০০ ভাগ আলোকিত ছিল।
যুক্তি-২
সেদিন (১২ রবীউল আউয়াল শরীফ) সুবহে সাদিক শুরু হয়েছিলো ভোর ৪ টা ২০ মিনিটে
আর সূর্য উদয় হয়েছিলো ৬ টা ৪২ মিনিটে।
কিন্তু চাঁদ উঠেছিলো সন্ধ্যা ৬ টা ১৪ মিনিটে এবং চাঁদ অস্ত গিয়েছিলো সকাল ৫ টা ১১ মিনিটে
সেদিন মাগরিব শুরু হয়েছিলো ৬ টা ৫৪ মিনিটে। অর্থাৎ মাগরিব শুরুর পূর্বেই চাঁদ উঠেছিলো এবং চাঁদ আকাশে ছিল সুবহে সাদিকেরও পর দেড় ঘন্টা পর্যন্ত।
তাহলে সেই রাতে যে হযরত আব্দুল মুত্তালিব আলাইহিস সালাম উনার সন্তানাদিদের নিয়ে হারাম শরীফ-এর দিকে যান বাইতুল্লাহ শরীফ-এর ভাঙা দেয়াল মেরামত করার জন্য সে বিষয়টি সহজেই বোঝা যায়।
অর্থাৎ হযরত মা আমিনা আলাইহাস সালামের ভাষ্য অনুযায়ী সেদিন যে জোছনার রাত ছিল। তা প্রমাণিত। এবং তাহলে সেই মুবারক তারিখ অবশ্যই ১২ রবীউল আউয়াল শরীফ। সুবহানাল্লাহ।