১২ই রবিউল আউওয়াল শোকের দিন নাকি খুশির দিন !

“১২ই রবিউল শরীফ নবীজি বিদায় গ্রহণ করেছেন, তাই এ দিন শোকের দিন” এ কথা কতটুকু সত্য ?
অনেকেই বলে থাকে, “১২ই রবিউল আউয়াল নবীজি বিদায় গ্রহণ করেছেন, তাই এ দিন হচ্ছে শোকের দিন। তাই এ দিন খুশি প্রকাশ করা যাবে না, শোক প্রকাশ করতে হবে”। এ ধরনের বক্তব্য সরাসরি ইসলাম পরিপন্থী। কেননা হাদীস শরীফে সরাসরি আছে, --
لَا يَحِلُّ لِامْرَأَةٍ مُسْلِمَةٍ تُؤْمِنُ بِاللَّهِ وَالْيَوْمِ الْآخِرِ أَنْ تُحِدَّ فَوْقَ ثَلَاثَةِ أَيَّامٍ إِلَّا عَلَى زَوْجِهَا أَرْبَعَةَ أَشْهُرٍ وَعَشْرًا

অর্থঃ আল্লাহ উপর এবং কিয়ামত দিবসের উপর বিশ্বাস রাখে এমন কোন মুসলিম নারীর (কারো মৃত্যুতে) ৩ দিনের বেশি শোক পালন করা হালাল নয়। তবে তার স্বামীর জন্য ৪মাস ১০দিন শোক পালন করতে পারবে। (বুখারী শরীফ হাদীস নং-৫৩৩৮) অর্থাৎ ইন্তিকালের ৩ দিন পর শোক পালন করা জায়েজ নাই।
আবার যেহেতু ঐ একই দিন নবীজি পৃথিবীতে আগমণ করেছেন এবং উনাকে পাওয়ার জন্য সরাসরি কুরআন পাকে খুশি করতে বলা হয়েছে, তাই অবশ্যই এদিন খুশি প্রকাশ করতে হবে, যা মহান আল্লাহ তায়ালার নির্দেশ। এ সম্পর্কে সূরা ইউনুসের ৫৮ নং আয়াতে স্পষ্ট বলা হয়েছে-
“হে রাসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনি বলে দিন, তারা যে মহান আল্লাহ তায়ালার পক্ষ হতে ‘ফযল ও রহমত’ স্বরূপ আপনাকে (নবীজিকে) পেয়েছে, সে জন্য তারা যেনো খুশি প্রকাশ করে। নিশ্চয় তাদের এ খুশি প্রকাশ করাটা তাদের সমস্ত সঞ্চয়ের (ধন সম্পদ, আমল ইত্যাদি) থেকে উত্তম। (সূরা ইউনুস: ৫৮)
তাই যারা এদিনকে দুঃখের দিন বা শোকের দিন বলে প্রচার করে, এরা মূলত ইসলাম অপব্যাখ্যাকারী ও বিভ্রান্তিসৃষ্টিকারী। এরা আসলে নবীর ‍দুশমন, কাফির-মুশরিকদের এজেন্ট। এদের থেকে বেঁচে থাকা প্রত্যেক মুসলমানদের দায়িত্ব ও কর্তব্য।
পূর্ববর্তী পোস্ট
পরবর্তী পোস্ট