মীলাদুন্নবী পালনের বিরোধীতাকারীদের পরিচয়

হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে ওলীদ বিন মুগীরা পাগল বলে অপবাদ দিয়েছিল। এতে তার প্রতি অসন্তু'ষ্ট হয়ে আল্লাহ পাক এই আয়াত শরীফ-এ আপন হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, এর মর্যাদা ও মর্তবা প্রকাশ করেছেন। অতঃপর ওলীদ বিন মুগীরার স্বভাব সম্পৃক্ত দোষ এবং আভ্যন্তরীণ কলঙ্ক ও গলদ বিশ্ববাসীর অবহিতির জন্য আল্লাহ পাক স্থায়ী দৃষ্টান্ত হিসেবে এভাবে পাক কুরআন-এ অন্তর্ভুক্ত করেছেন: “(হে রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)! আপনি তার কথায় কর্ণপাত করবেন না। সে (ওলীদ বিন মুগীরা)

১.মিথ্যে শপথকারী,

২.অপমানিত,

৩.নিন্দাকারী,

৪.পরের দোষ বর্ণনাকারী,

৫.চোগলখোর,

৬.সৎকাজে নিষেধকারী,

৭.সীমা লংঘনকারী,

৮.পাপিষ্ঠ,

৯.বদ চরিত্র এবং

১০. অধিকন' সে অবৈধ সন্তান।”

(সূরা ক্বলম : আয়াত শরীফ ১০-১৩)

উপরোক্ত আয়াত শরীফ নাযিলের পর ওলীদ তার মাকে জিজ্ঞেস করে, “মুহম্মদ (ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াল্লাম)কে অপবাদ দেয়ার কারণে আমার দশটি দোষ বর্ণনা করা হয়েছে। এই দশটি দোষের মধ্যে আমি অবশ্যই নয়টিতে দোষী। কিন্তু' দশম দোষটি সম্পর্কে আমার কিছু জানা নেই। অর্থাৎ আমি অবৈধ সন্তান কিনা, মা তুমি সে সম্পর্কে আমাকে সত্য সংবাদ দাও। নইলে তরবারির আঘাতে তোমার মাথা শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলব।”

এর জবাবে তার মা প্রকম্পিত কণ্ঠে জানায়, “সত্যি তুমি অবৈধ সন্তান। তোমার পিতা ছিল অনেক ধন-সম্পদের মালিক, কিন্তু পুরুষত্বহীন। আমাদের সন্তানাদি না হলে ধন-সম্পদ হাত ছাড়া হয়ে যাবে, এই আশঙ্কায় আমি এক রাখালের সঙ্গে মিলিত হয়েছিলাম। তুমি সেই অবৈধ অবস্থানের ফসল।”

আলোচ্য আয়াত শরীফ আমাদেরকে শিক্ষা দেয় যে, যারা হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এবং ঈদে মিলাদুন্নবির প্রতি বিদ্বেষ পোষণ করে,অপবাদ দেয় এবং হেয় প্রতিপন্ন করার অপপ্রয়াসে এ লিপ্ত, তাদের মধ্যে বর্ণিত সমুদয় দশটি দোষ অথবা কিছু দোষ অবশ্যই বিদ্যমান থাকবে।

পূর্ববর্তী পোস্ট
পরবর্তী পোস্ট