ঈদে মীলাদুন্নবী কাদের কালচার ?

ইহুদী-খৃষ্টানরা হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর জন্মদিন কখনোই পালন করেনা। এটা পালন করেন একমাত্র তাঁরাই যারা খালিছ ভাবে হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে মুহব্বত করেন।
“তাওয়ারীখে হাবীবে ইলাহ্” কিতাবে বর্ণিত রয়েছে, “১২ই রবিউল আউয়াল মীলাদুন্ নবী উদযাপনের রীতি মদীনা বাসীদের মধ্যেও চলে এসেছে।”

“মুহাদ্দিস ইবনুল জূযী রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেছেন, “হেরমাইন শরীফাইন (পবিত্র মক্কা শরীফ ও পবিত্র মদীনা শরীফ), মিশর, সিরিয়া, সমস্ত আরব দেশ এবং প্রাচ্য ও পাশ্চাত্যের মুসলমানদের মধ্যে প্রাচীন যুগ থেকে এ নিয়মই চলে এসেছে যে, রবিউল আউয়ালের চাঁদ দেখলেই তাঁরা মীলাদ শরীফের মাহফিলসমূহ আয়োজন করতেন, খুশী উদযাপন করতেন, গোসল করতেন, উন্নত মানের পোশাক পরিধান করতেন, বিভিন্ন ধরণের সাজসজ্জা করতেন, খুশবু লাগাতেন, এ দিনগুলোতে (রবিউল আউয়াল) খুব খুশী ও আনন্দ প্রকাশ করতেন, সামর্থ অনুসারে লোকজনের জন্য টাকা-পয়সা ও জিনিষপত্র খরচ করতেন এবং মীলাদ শরীফ পাঠ ও শ্রবণের প্রতি পূর্ণাঙ্গ গুরুত্ব দিতেন। এরই মাধ্যম আল্লাহ্ পাক-এর পক্ষ থেকে মহান প্রতিদান ও মহা সাফল্যাদি অর্জন করতেন।” (বয়ানুল মীলাদিন্ নবী)
হযরত মুল্লা আলী ক্বারী রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেছেন,
অর্থঃ- “মক্কাবাসীগণ মীলাদুন্নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর প্রতি গুরুত্ব ঈদ অপেক্ষাও বেশী দিতেন।” (আল মাওরেদ আর রাবী)
এখানে উল্লেখ্য, পবিত্র কুরআন শরীফ-সুন্নাহ্ শরীফ সম্মত কোন আমল অন্য কোন ধর্মাবলম্বী পালন করলে যে তা মুসলমানের জন্য পালন করা যাবেনা এ আক্বীদা বা বক্তব্য সম্পূর্ণ ভুল, অশুদ্ধ।
যেমন,
- অনেক বিধর্মী দাঁড়ি রাখে সে জন্য মুসলমান কি দাঁড়ি রাখা ছেড়ে দিবে?
- শিখরা পাগড়ি পরে , মুসলমান কি ছেড়ে দিবে ?
- ইহুদীরা রোজা রাখে , মুসলমান কি বন্ধ করে দিবে ?
- খৃষ্টান নানেরা হিজাব পরে , মুসলমান কি বন্ধ করে দিবে ?
মুসলমান যে বিষয়টি পালন করবে সে বিষয়টি শরীয়ত সম্মত হলেই তা পালন করবে। আর শরীয়ত সম্মত না হলে তা পালন করা যাবেনা।
তাহলে যারা এ দিবসকে ইহুদী-খৃষ্টানদের কালচার বলে থাকে তারা কি উপরের কাজ ছেড়ে দিবে ?
যদি ছেড়ে না দেয় তাহলে এ দিবসকে কেন ইহুদী-খৃষ্টানদের কালচার বলে থাকে ?