এক)) “নাওয়াইতুয়ান উসাল্লিয়া লিল্লাহে…….”পড়ে নামাজের নিয়ত, এটি নবীজীর আমলে ছিলো না। হযরতের যামানার কয়েকশ বছর পর এটির প্রচলন হয়।।এটি বেদাত।
দুই)) মাদরাসা মক্তবে ছাত্র পড়িয়ে বেতনভাতা , এটা নবীজীর জামানায় ছিলো না l এটি বেদাত।
তিন)) রাসুল (স) সবসময় একটি তরকারি দিয়ে আহার করতেন, অল্প খেতেন। একাধিক তরকারি দিয়ে গলা পর্যন্ত খাবার l এটি বেদাত।
চার)) বর্তমানে মাদরাসা বা মসজিদের জন্য যে বিরাটাকার দালান নির্মিত হচ্ছে, এবং বিভিন্ন উপকরণ দ্বারা সজ্জিত করা হচ্ছে, নবীজীর জামানায় এমনটি ছিলো না। এটি বেদাত।
পাঁচ)) রাসুল (স) এর জামানার বহু বছর পরে কুরআন শরীফে জের, জবর, পেশ সংযোজিত l জের,জবর,পেশ ওয়ালা কুরআন lএটি বেদাত।
ছয়)) প্রতি বছর মাদরাসা/ মসজিদের সামনে সম্মেলন , এটা নবীজীর জামানায় ছিলো না, কাজেই এটি বেদাত।
সাত)) আজানের সময় মসজিদে মাইক ব্যবহার , এটা নবী (স) করেন নাই, কাজেই এটা বেদাত।
আট)) বিমানে চড়ে হজ্ব করতে আরব দেশে , এটা নবীজীর আমলে ছিলো না। কাজেই এটা বেদাত।
এমন অনেক নতুন বিষয়(বেদাত) রয়েছে, যা অবশ্যই পরিত্যাগ করা জরুরী । যেমন-
(ক) বর্তমানে যে পদ্ধতিতে মাদ্রাসায় ইলম শিক্ষা দেওয়া হয়, সেই পদ্ধতি সাইয়্যিদুল মুরসালিন, ইমামুল মুরসালিন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে শুরু করে “খাইরুল কুরুন” পর্যন্ত কারো সময়ই ছিলনা lকাজেই এটি বেদাত।
(খ) বর্তমানে আমরা যে নাহু সরফ শিক্ষা করে থাকি, তাও “খাইরুল কুরুনে” ছিল না ।কাজেই এটি বেদাত।
(গ) বর্তমানে আমরা যে পদ্ধতিতে তারাবীহর নামাজ পড়ে থাকি, এ পদ্ধতিও হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সময় ছিলনা ।কাজেই এটি বেদাত।
(ঘ) বর্তমানে আমরা মসজিদে জামায়াতের জন্য যে সময় নির্ধারণ করে থাকি, তাও সাইয়্যিদুল মুরসালিন, ইমামুল মুরসালিন হযূর পাক
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সময় ছিলনা ।কাজেই এটি বেদাত।
(ঙ) বর্তমানে আমরা যে পদ্ধতিতে জুময়ার সানী আজান দিয়ে থাকি, এ পদ্ধতি সাইয়্যিদুল মুরসালিন, ইমামুল মুরসালীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সময় ছিলনা ।কাজেই এটি বেদাত।
(চ) বর্তমানে আমরা যে পদ্ধতিতে ওয়াজ মাহফিল করে থাকি ঐরূপ পদ্ধতি সাইয়্যিদুল মুরসালিন, ইমামুল মুরসালীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম ওয়াজ মাহফিল করেননি ।কাজেই এটি বেদাত।
(ছ) বর্তমানে আমরা যে পোলাও, বিরিয়ারী কোর্মা, বুট, মুড়ী, পিয়াজো খেয়ে থাকি, তা সাইয়্যিদুল মুরসালিন, ইমামুল মুরসালীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম খাননি ।কাজেই এটি বেদাত।
(জ) বর্তমানে আমরা যে সকল যান- বাহনে চড়ে থাকি যেমন- মোটরগাড়ী, ট্রেন, প্লেন, রকেট, রিক্সা জাহাজ ইত্যাদি এবং পবিত্র হজ্বব্রত পালন করি ও বিদেশ ভ্রমনে যাই, তা সাইয়্যিদুল মুরসালিন, ইমামুল মুরসালীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সময় ছিলনা,তিনি ঐগুলোতে কখনো চড়েননি ।কাজেই এটি বেদাত।
(ঝ) বর্তমানে মানুষ যে সকল খাট-পালঙ্ক, সোকেস- আলমারী ইত্যাদি ব্যবহার করে থাকে, তা সাইয়্যিদুল মুরসালিন, ইমামুল মুরসালীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ব্যবহার করেননি ।কাজেই এটি বেদাত।
(ঞ) বর্তমানে বিয়ে- শাদীতে যে কাবিননামা করা হয়, তা সাইয়্যিদুল মুরসালিন, ইমামুল মুরসালীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর সময় ছিলনা ।কাজেই এটি বেদাত।
(ত) বর্তমানে যে সকল আধুনিক যন্ত্রপাতি মানুষ ব্যবহার করছে, যেমন- ফ্যান, ঘড়ি, চশমা, মাইক, কম্টিউটার ইত্যাদি, এগুলো সাইয়্যিদুল মুরসালিন, ইমামুল মুরসালীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর সময় ছিলনা ।কাজেই এটি বেদাত।
(থ) বর্তমানে যে পদ্ধতিতে মাদ্রাসার জন্য চাঁদা আদায় করা হয়, যেমন সদকা, ফেৎরা, যাকাত, কুরবানীর চামড়া, মান্নতের টাকা ইত্যাদি এবং যে পদ্ধতিতে মাদ্রাসা তৈরী করা হয়, তা যেমন সাইয়্যিদুল মুরসালিন, ইমামুল মুরসালীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সময় ছিলনা । তদ্রুপ ‘খায়রুল কুরুনেও’ ছিলনা ।কাজেই এটি বেদাত।
দ) স্কুল ,কলেজ ,বিশ্ববিদ্যালয় খায়রুল কুরুনে ছিলনা।কাজেই এটি বেদাত।
ধ)মসজিদে টাইলস,ফ্যান ,মাইক , এসি ,ঝাড়বাতি খায়রুল কুরুনে ছিলনা।কাজেই এটি বেদাত।
এমনিভাবে আরো অনেক বিষয়ই রয়েছে, যা সাইয়্যিদুল মুরসালিন, ইমামুল মুরসালীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বা “খায়রুল কুরুনে” ছিলনা কিন্তু আমরা তা দায়েমীভবে করছি ।আপনারা কি এগুলো ব্যবহার হতে বিরত থাকেন বা হেফাজতে আছেন?
তাহলে ঈদে মিলাদুননবির বিরুদ্ধে যারা বিদয়াত বলে থাকে তারা এসকল বিদয়াত কেন করছে ?নিজে সারাদিন বিদয়াতী কাজ করছেব আর নেক কাজকে বিদয়াত বলে বিভ্রান্ত করছেন !!! আর কত ভন্ডামী করবেন ???