আমি যখন মীলাদ শরীফ – ক্বিয়াম শরীফ/ ঈদে মীলাদুন্নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালনের ব্যাপারে দলীল ভিত্তিক পোষ্ট করলাম তখন কিছু নাদান শ্রেনীর দেওবন্দী তাবলীগীরা সেটাকে সাথে সাথে সেটাকে বিদয়াত/হারাম/ শিরিক বলে চিল্লাচিল্লি শুরু করে দিলো। আমি তৎক্ষণাৎ দেওবন্দী সকল মুরুব্বী দের পীর হাজী ইমদাদুল্লাহ মুহাজিরে মক্কী রহমাতুল্লাহি আলাইহি , দেওবন্দীদের তথাকথিত হেকীমুল উম্মত আশরাফ আলী থানবী, খলীল আহমদ সাহরানপুরী, দেওবন্দী দের শায়খুল ইসলাম শামসুল হক ফরিদপুরীর কিতাবের দলীল দিয়ে প্রমাণ করে দেখালাম, তারা সবাই মীলাদ-ক্বিয়াম, ঈদে মীলাদুন্নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন জায়িয বলেছে, শুধু তাই নয় মুস্তাহাব বলেও ফতোয়া দিয়েছে !
এই দলীল গুলা দেখে উক্ত নাদান মার্কা দেওবন্দী বললো কোন মানুষই ভুলের উর্ধে নয় । তারা ভুল করেছে । তাই তাদের এই ফতোয়া গ্রহণ করা যাবে না !!
এবার চিন্তা করেন, কতবড় গাদ্দার এই দেওবন্দীরা নিজেদের মুরুব্বী দের বিরুদ্ধে ফতোয়া দিতেও পারে সার্থে বাধা হয়ে গেলে!
উক্ত দেওবন্দী দের জবাবে আমার
বক্তব্য হচ্ছে, তোমাদের ওই মুরুব্বী দের ব্যাপারে ভুলের ফতোয়া দিতে পারবে না। কারন ভুল তাকেই বলে যে কাজটা না জেনে কেউ করে।
দেখুন, দেওবন্দী মুরুব্বী গুলো কেউই না জেনে মীলাদ-ক্বিয়ামের
পক্ষে ফতোয়া দেয় নাই। কারন ওই
জামানায় এই ব্যাপারে অনেক বিতর্ক হয়েছিলো। সবকিছু জেনে বুঝে ঠান্ডা মাথায় বিতর্ককে সামনে রেখেই তারা মীলাদ-কিয়ামের পক্ষে রায় দিছে।
এখন যদি কেউ তাদের ফতোয়ার
বিরুদ্ধে বলতে চায়, তাহলে সর্বপ্রথম এটা বলতে হবে যে, উক্ত দেওবন্দী উলামারা বিদয়াতী ছিলো,এবং হারামকে হালাল করে কাফের হইছে।
কারন তারা জেনে শুনে এগুলা করছে।
ভুল করছে একথা বলা যাবে না।
বললে কাফের+ বিদয়াতি বলতে হবে।
এখন দেওবন্দী দের প্রতি আমার
বক্তব্য , তোমাদের জন্য দুইটা পথ
খোলা আছে !
(১) তোমরা মীলাদ- কিয়ামের
বিরুদ্ধে বলার পূর্বে নিজেদের ওই সকল মুরুব্বী দের কাফের+ বিদয়াতি ফতোয়া দাও !
(২) অথবা, ওই মুরুব্বী দের চাইতে বড়,যোগ্যতা সম্পন্ন, একাধিক মুরুব্বীর কিতাবের ঐক্যমত্য দেখাও যেখানে লিখা থাকবে, ” আমাদের উক্ত মুরুব্বীরা ভুলের উপর ছিলেন,তাদের ফতোয়া গ্রহনযোগ্য নয় !”
বর্তমান দেওবন্দীরা এই দুইটার একটাও যদি না পারো ভুলেও মীলাদ শরীফ এর বিরুদ্ধে বলো না।
কারন পাবলিক তোমাদের মুখের দাঁত একটাও রাখবে না।