যারা ঈদ–ই-মিলাদুন্নবী এর বিরোধীতা করে তারা আল্লাহ পাকের আদেশ মুবারকের বিরোধীতা করে ।

কিভাবে ? 
মহান আল্লাহ পাক নিজেই ইরশাদ মুবারক করেন “

يَا أَيُّهَا النَّاسُ قَدْ جَاءَتْكُم مَّوْعِظَةٌ مِّن رَّبِّكُمْ وَشِفَاءٌ لِّمَا فِي الصُّدُورِ وَهُدًى وَرَحْمَةٌ لِّلْمُؤْمِنِينَ 
হে মানবকুল, তোমাদের কাছে উপদেশবানী এসেছে তোমাদের পরওয়ারদেগারের পক্ষ থেকে এবং অন্তরের রোগের নিরাময়, হেদায়েত ও রহমত মুসলমানদের জন্য। 
قُلْ بِفَضْلِ اللَّهِ وَبِرَحْمَتِهِ فَبِذَٰلِكَ فَلْيَفْرَحُوا هُوَ خَيْرٌ مِّمَّا يَجْمَعُونَ 
হে হাবিব (ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আপনি বলে দিন,মুসলমানগণ যেন আল্লাহ পাক উনার নেয়ামত ও রহমত পাওয়ার কারনে যেন খুশি মানায়,যা তাদের যাবতীয় বস্তু হতে উত্তম” (সুরা ইউনুস ৫৭;৫৮)


হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু এ আয়াত শরিফের তাফসীরে বলেন এখানে আল্লাহ পাক উনার অনুগ্রহ (ফাদ্বলুল্লাহ) দ্বারা ইলমে দ্বীন বুঝানো হয়েছে আর (রহমত) দ্বারা সরকারে দু’আলম নূরে মুজাসসম আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহম্মদ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে বুঝানো হয়েছে।(সূত্রঃ সূরা আম্বিয়া আয়াত নং- ১০৭, তাফসীরে রুহুল মায়ানী, তাফসীরে কবির ও ইমাম সূয়ূতী রহমতুল্লাহি আলাইহি কৃত তাফসীরই আদ দুর রুল মুনছুর, ৪র্থ খন্ড- ৩৬ পৃষ্ঠায় ও অনুরূপ বর্ণনা করেছেন)।
২.সুরা দোহায় আল্লাহ পাক ইরশাদ করেন وَأَمَّا بِنِعْمَةِ رَبِّكَ فَحَدِّثْ “আল্লাহর তরফ হতে প্রাপ্ত নেয়ামতের খুব চর্চা কর” 
অতএব , এটা প্রমাণ হল যে, হুযুর পাকের শুভাগমন বান্দাদের জন্য শ্রেষ্ঠ নেয়ামত আর সেই উদ্দ্যেশে খুশি মানানো প্রকৃতপক্ষে আল্লাহ পাক উনার হুকুম পালন করা,আর এর বিরোধিতা বা অমান্য করা মানে প্রকৃত পক্ষে আল্লাহ পাক উনার হুকুমের অমান্য করা ।
আল্লাহ পাক আরো ইরশাদ মুবারক করেন “ 
إِنَّ اللَّهَ وَمَلَائِكَتَهُ يُصَلُّونَ عَلَى النَّبِيِّ ۚ يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا صَلُّوا عَلَيْهِ وَسَلِّمُوا تَسْلِيمًا 
আল্লাহ ও তাঁর ফেরেশতাগণ নবীর প্রতি ছলাত ও সালাম পাঠ করেন। হে মুমিনগণ! তোমরাও নবীর প্রতি ছলাত ও সালাম পাঠ কর পাঠ করার মত । (সুরা আহযাব ৫৬ ) 

আল্লাহ পাক তো কারো মুখাপেক্ষি নন অথচ তিনি নবির প্রতি ছলাত সালাম পাঠ করেন । 

মহান আল্লাহ পাক আরো ইরশাদ মুবারক করেন “ 

إِنَّا أَرْسَلْنَاكَ شَاهِدًا وَمُبَشِّرًا وَنَذِيرًا 
আমি আপনাকে প্রেরণ করেছি সাক্ষীদাতা, সুসংবাদদাতা ও সতর্ককারীরুপে । 

لِّتُؤْمِنُوا بِاللَّهِ وَرَسُولِهِ وَتُعَزِّرُوهُ وَتُوَقِّرُوهُ وَتُسَبِّحُوهُ بُكْرَةً وَأَصِيلًا 
যাতে তোমরা আল্লাহ ও রসূলের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন কর এবং উনার ছানা-ছিফত কর,তাযিম –তাকরিম কর সকাল-সন্ধ্যা অর্থাৎ অনন্তকাল ধরে । (সুরা ফাতহ ৮;৯ ) 

অন্যত্র ইরশাদ মুবারক করেন “ 

وَرَفَعْنَا لَكَ ذِكْرَكَ
আমি আপনার আলোচনাকে সমুচ্চ করেছি।( সুরা ইনশিরাহ ৪ )

إِنَّا أَعْطَيْنَاكَ الْكَو
নিশ্চয় আমি আপনাকে কাওসার দান করেছি। (সুরা কাউছার ১) 

উপরের সব আয়াত শরিফে দেখা যায় আল্লাহ পাক স্বয়ং খুশি প্রকাশ করতে বলেছেন, ছলাত –সালাম পাঠ করেন, ছানা-ছিফত কর,তাযিম –তাকরিম , আলোচনা করার কথা বলেছেন ।এমন কি হাউজে কাওসার দান করেছেন যার পানি পান করলে আর পিপাসা লাগেনা। আল্লাহ পাক আর কিভাবে বলবেন ? কত মুহব্বত তিনি নবীজীকে করেন । তাহলে মানুষ কি করে আল্লাহ পাক উনার আদেশের বিপরিত করতে পারে? নবিজীর মুহব্বত প্রকাশের একটা মাধ্যমের বিরোধীতা করতে পারে ? কোন মুসলমান যে আল্লাহ পাকের আদেশ কে মানেনা সে কি মুসলমান থাকতে পারে ? পারেনা ।