পবিত্র কোরান শরীফ হতে হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার দুনিয়ায় আগমনের ঈদ বা আনন্দ উৎসব করার দলীল


পবিত্র কুর’আনের এই আয়াতটি-
 قُلْ بِفَضْلِ اللَّهِ وَ بِرَحْمَتِهِ فَبِذَالِكَ فَلْيَفْرَحُوْا هُوَا خَىْرٌ مِمَّا ىَجْمَعُوْنَ 

আর্থাৎ- "হে রাসুল আপনি বলুন আল্লাহর “অনুগ্রহ” ও “রহমত” প্রাপ্তিতে তাঁদের মুমিনদের খুশি উদযাপন করা উচিত এবং এটা হবে তাদের অর্জিত সকল কর্মফলের চেয়েও শ্রেষ্ট"। [সুরা ঈউনূছ,আয়াত ৫৮]

এখানে অনুগ্রহ ও রহমত বলতে আল্লাহ পাক কি বুঝাতে চেয়েছেন ? 



১. এই আয়াতের ব্যাখ্যা ৯ম শতাব্দী মুজাদ্দিদ ইমাম জালালুদ্দিন সুয়ুতি রহমতুল্লাহি আলাইহি  তাঁর বিখ্যাত তাফসীর গ্রন্থ ‘আদ্দুররুল মনসূর’ এ উল্লেখ করেন, 
"হযরত আব্দুল্লাহ ইবন আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু এই আয়াতের তাফসীরে বলেন, এখানে আল্লাহ এর “অনুগ্রহ” দ্বারা ইলমে দ্বীন এবং “রহমত” দ্বার হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কথা বুঝানো হয়েছে।
যেমন আল্লাহ তা’আলা এরশাদ করেন, হে হাবীব আমি আপনাকে সমগ্র বিশ্ব জগতের প্রতি রহমত হিসেবে প্রেরণ করেছি"। 
[আদ্দুররুল মনসূর পৃঃ ৩৩০] 

২. এই আয়াতের ব্যাখ্যায় আল্লামা আলুসি রহমতুল্লাহি আলাইহি তাঁর স্বীয় তাফসীরগ্রন্থে উল্লেখ করেন, "হযরত আব্দুল্লাহ ইবন আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বলেন, নিশ্চয়ই ‘অনুগ্রহ’ হল ইলমে দ্বীন এবং ‘রহমত’ হল নবী কারীম ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম"। 
[তাফসীর রুহুল মা’আনী ১১তম খন্ড, পৃঃ ১৮৩]।

সুতরাং আলোচ্য আয়াত এবং তাফসীরের মাধ্যমে বুঝা গেল, রহমত হলেন হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এবং তা পাওয়ার কারনে আমাদের খুশি প্রকাশ করতে বলেছেন । 
এখন খুশি মানে কি ? -" ঈদ "
ঈদ কার ? - " হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার " 
তাহলে কি দাড়াল ?- ঈদে মিলাদুননবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম । 

সুতরাং যারা হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কে আল্লাহ এর রহমত বা অনুগ্রহ স্বীকার করতে চান না, তারা নিঃসন্দেহে গোমরায় নিমজ্জিত। আমরা পবিত্র কুর’আন ও ইসলামকেও আল্লাহ এর রহমত ও অনুগ্রহ হিসেবে স্বীকার করি। পবিত্র কুর’আন এর মাধ্যমে মিলাদুন্নাবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন প্রমাণীত হল নিঃসন্দেহে।