আল্লাহ পাক তিনি আলমে আরওয়াহতে সমস্ত নবী-রসূলআলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে নিয়ে ঈদে মীলাদুন উদযাপন করেছেন- (১)


‘মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম’-এ সংযুক্ত শব্দ মুবারক-এর শাব্দিক ও পারিভাষিক অর্থ:
‘ঈদ’ অর্র্থ হচ্ছে খুশি বা আনন্দ প্রকাশ করা। আর ‘মীলাদ’ অর্র্থ জন্মের সময় বা দিন। النبى (আন নাবিইয়্যু) শব্দ দ্বারা নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকেই বুঝানো হয়।

কাজেই আভিধানিক অর্থে عيد ميلاد النبى (ঈদু মীলাদিন নাবিইয়ি) বলতে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিলাদত শরীফ-এর দিন উপলক্ষে খুশি প্রকাশ করাকেই বুঝায়।
আর পারিভাষিক অর্থে ‘ঈদে মীলাদুন নবী’ বলতে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিলাদত শরীফ-এর দিবস উপলক্ষে খুশি প্রকাশ করা, উনার ছানা-ছিফত, ফাযায়িল-ফযীলত, শান-মান বর্ণনা করা, উনার প্রতি ছলাত-সালাম ও তাসবীহ-তাহলীল পাঠ করা, উনার পূতপবিত্রতম জীবনী মুবারক-এর সামগ্রিক বিষয়ের আলোচনাকেই বুঝায়। 

মহান আল্লাহ পাক তিনি আলমে আরওয়াহতে সমস্ত নবী-রসূলআলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে নিয়ে ঈদে মীলাদুন নবীছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উদযাপন করেছেন
মহান আল্লাহ পাক তিনি আলমে আরওয়াহতেই সমস্ত নবী রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে একত্রিত করে হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিলাদত শরীফ তথা আগমন শরীফ-এর মহান খুশির খোশখবরী জানিয়ে দেন এবং উনার প্রতি ঈমান আনয়ন ও সার্বিক খিদমত ফরয করে তার যথাযোগ্য ওয়াদা নেন। এ সম্পর্কে মহান আল্লাহ পাক তিনি কুরআন শরীফ-এ ইরশাদ করেন-
واذ اخذ الله ميثاق النبين لما اتيتكم من كتاب وحكمة ثم جائكم رسول مصدق لما معكم لتؤمنن به ولتنصرنه قال اأقررتم واخذتم على ذلكم اصرى قالوا اقررنا قال فاشهدوا وانا معكم من الشاهدين. فمن تولى بعد ذلك فاولئك هم الفاسقون.
অর্থ: “(হে আমার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনি স্মরণ করুন সেই সময়ের কথা) যখন মহান আল্লাহ পাক তিনি (আলমে আরওয়াহতে) সমস্ত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের কাছ থেকে ওয়াদা নিয়েছিলেন যে, আপনাদেরকে আমি কিতাব ও হিকমত দান করবো। অতঃপর আপনাদেরকে সত্য প্রতিপাদনের জন্য (নুবুওওয়াত ও রিসালতের হাক্বীক্বী ফায়িয দেয়ার জন্য) আখিরী নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে প্রেরণ করবো। আপনারা উনার উপর অবশ্যই অবশ্যই ঈমান আনবেন তথা উনাকে অবশ্যই অবশ্যই নবী ও রসূল হিসেবে মেনে নিবেন এবং সার্বিক বিষয়ে উনার যথাযথ খিদমত করবেন (উনার মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করবেন)। আপনারা কি এই ওয়াদার কথা মেনে নিলেন? উত্তরে সকলে বললেন, হ্যাঁ আমরা এই ওয়াদা স্বীকার করলাম (অর্থাৎ আমরা যমীনে গিয়ে আখিরী নবী হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করব)। তখন মহান আল্লাহ পাক তিনি বললেন, আপনারা সাক্ষী থাকুন, আমিও আপনাদের সাথে সাক্ষী হয়ে গেলাম। তবে জেনে রাখুন যারা এই ওয়াদাকৃত বিষয় থেকে মুখ ফিরিয়ে নিবে (যারা ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করবে না বা এর বিরোধিতা করবে) তারা চরম পর্যায়ের ফাসিক (কাফির) হয়ে যাবে।” (সূরা আলে ইমরান- ৮১, ৮২)