পবিত্র ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম অবশ্যই দ্বীন ইসলামে রয়েছে।
যেমন এ প্রসঙ্গে স্বয়ং আল্লাহ পাক উনার কালাম পাক-এ ইরশাদ করেন-
قل بفضل الله وبرحمته فبذلك فليفرحوا هو خير مما يجمعون
অর্থ: হে হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনি উম্মাহকে জানিয়ে দিন, আল্লাহ পাক ফযল-করম হিসেবে তাদেরকে যে দ্বীন ইসলাম দিয়েছেন এবং রহমত হিসেবে উনার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে পাঠিয়েছেন সেজন্য তারা যেন খুশি প্রকাশ করে। এই খুশি প্রকাশ করাটা সেসবকিছু থেকে উত্তম যা তারা দুনিয়া ও আখিরাতের জন্য সঞ্চয় করে। (সূরা ইউনুস-৫৮)
আর হাদীছ শরীফ-এ রয়েছে-
عن ابن عباس رضى الله تعالى عنهما انه كان يحدث ذات يوم فى بيته وقائع ولادته صلى الله عليه وسلم لقوم فيستبشرون ويحمدون الله ويصلون عليه صلى الله عليه وسلم فاذا جاء النبى صلى الله عليه وسلم قال حلت لكم شفاعتى.
অর্থ: হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু হতে বর্ণিত আছে যে, তিনি একদা উনার নিজ গৃহে সমবেত ছাহাবীগণকে আল্লাহ পাক-উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-উনার বিলাদত শরীফ-এর ঘটনাসমূহ শুনাচ্ছিলেন। এতে শ্রবণকারীগণ আনন্দ ও খুশি প্রকাশ করছিলেন এবং আল্লাহ পাক-উনার প্রশংসা তথা তাসবীহ-তাহলীল পাঠ করছিলেন এবং আল্লাহ পাক-উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-উনার শানে ছলাত-সালাম (দুরূদ শরীফ) পাঠ করছিলেন। এমন সময় হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সেখানে উপস্থিত হলেন। (তিনি যখন উপস্থিত হলেন সমবেত লোকজন দাঁড়িয়ে উনাকে সালাম পেশ করতঃ অভ্যর্থনা বা স্বাগত জানিয়ে আসনে বসালেন।) তিনি লোকজনের মীলাদ শরীফ-এর অনুষ্ঠান এবং বিলাদত শরীফ-এর কারণে খুশি প্রকাশ করতে দেখে উনাদেরকে উদ্দেশ্য করে বললেন, তোমাদের জন্য আমার শাফায়াত ওয়াজিব। (কিতাবুত তানবীর ফী মাওলিদিল বাশীর ওয়ান নাযীর, সুবুলুল হুদা ফী মাওলিদে মুস্তফা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, হাক্বীক্বতে মুহম্মদী ও মীলাদে আহমদী পৃষ্ঠা-৩৫৫)
কাজেই প্রতিভাত হলো যে, পবিত্র ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম দ্বীন ইসলামে রয়েছে।
তবে তা উলামায়ে ছূ’দের প্রবর্তিত দ্বীনে মওদূদী ও দ্বীনে দেওবন্দীর মধ্যে নেই। আর দ্বীনে মওদূদী ও দ্বীনে দেওবন্দীর মধ্যে না থাকার কারণেই উক্ত দ্বীন দ্বয়ের অনুসারীরা পবিত্র ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে অস্বীকার করে থাকে। শুধু তাই নয়, দ্বীন ইসলামের আরো অনেক বিষয়ই তাদের প্রবর্তিত মনগড়া দ্বীনের মধ্যে নেই। যেমন- আল্লাহ পাক- উনার হাবীব তিনি নূর মুবারক-এর সৃষ্টি, তিনি ইলমে গইব-এর অধিকারী, তিনি হাযির-নাযির, তিনি আমাদের মত মানুষ নন, উনার ছায়া মুবারক ছিল না, মীলাদ শরীফ, ক্বিয়াম শরীফ সুন্নত ইত্যাদি। বরং এসবের বিপরীতে দ্বীন ইসলামে যেসব বিষয় হারাম ও কুফরী সে বিষয়গুলোই তাদের প্রবর্তিত দ্বীনের মধ্যে রয়েছে। যেমন- ভোট, নির্বাচন, গণতন্ত্র করা, নারী নেতৃত্ব গ্রহণ করা, ছবি তোলা, টিভি দেখা, বেপর্দা হওয়া, গান-বাজনা করা, খেলাধুলা করা, হরতাল করা, লংমার্চ করা, ব্লাসফেমী আইন চাওয়া, মূর্তি বানানো, মূর্তি রাখা, কুশপুত্তলিকা দাহ করা, সুদ-ঘুষ খাওয়া, শরাব পান করা, ব্যভিচার করা ইত্যাদি। নাঊযুবিল্লাহ!
যারা ঈদে মিলাদুননবীর বিরোধীতা করে তারা পথভ্রষ্ট ,গোমরাহ,নাদান,বকলম,জাহেল, আবু লাহাব হতেও নিকৃষ্ট ।