সাহাবায়ে কিরাম রাদ্বিয়াল্লাহু তায়লা আনহুমগণ ২৪ ঘন্টাই ঈদে মীলাদুন্নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করতেন।


নিচের হাদীছ শরীফ দ্বারা তা প্রমানিত -
عَنْ حَضْرَتْ أُبَىّ ِ بْنِ كَعْبٍ رَضِىَ اللهُ تَعَالى عَنْهُ قَالَ: قُلْتُ: يَا رَسُوْلَ اللهِ
صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اِنّـِىْ أُكْثِرُ الصَّلَاةَ عَلَيْكَ فَكَمْ أَجْعَلُ لَكَ مِنْ صَلَاتِىْ؟ فَقَالَ: «مَا شِئْتَ» قُلْتُ: الرُّبُعَ؟ قَالَ: «مَا شِئْتَ فَاِنْ زِدْتَ فَهُوَ خَيْرٌ لَّكَ» . قُلْتُ: النّـِصْفَ؟ قَالَ: «مَا شِئْتَ فَإِنْ زِدْتَ فَهُوَ خَيْرٌ لَّكَ » قُلْتُ: فَالثُّلُثَيْنِ؟ قَالَ: «مَا شِئْتَ فَإِنْ زِدْتَ فَهُوَ خَيْرٌ لَّكَ » قُلْتُ: اَجْعَلُ لَكَ صَلَاتِىْ كُلَّهَا؟ قَالَ: « قَالَ « إِذًا تُكْفٰى هَمُّكَ وَيُغْفَرُ لَكَ ذَنْبُكَ.
অর্থ: “হযরত উবাই ইবনে কা’ব রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি বললাম, ইয়া রসূলাল্লাহ, ইয়া হাবীবাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! নিশ্চয়ই আমি আপনার উপর বেশি বেশি ছলাত পাঠ করতে চাই, আপনার ছানা-ছিফত মুবারক করতে চাই ।। তাহলে আমি কী পরিমাণ সময় আপনার উপর ছলাত পাঠ করবো, আপনার ছানা-ছিফত মুবারক করবো? অর্থাৎ ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আমি কত ঘণ্টা আপনার উপর ছলাত পাঠ করবো, আপনার ছানা-ছিফত মুবারক করবো? আখিরী রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করলেন, আপনার যতক্ষণ ইচ্ছা।
আমি বললাম, এক চতুর্থাংশ সময় তথা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ৬ ঘণ্টা আপনার উপর ছলাত পাঠ করবো, আপনার ছানা-ছিফত মুবারক করবো? নূরে মুজাস্সাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করলেন, আপনার যতক্ষণ ইচ্ছা, আপনি করুন। তবে যদি এর চেয়ে বেশি সময় করেন, তাহলে তা আপনার জন্য উত্তম হবে। আমি বললাম, তাহলে আমি অর্ধেক সময় তথা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ১২ ঘণ্টা আপনার উপর ছলাত পাঠ করবো, আপনার ছানা-ছিফত মুবারক করবো ? আখিরী রসূল, নূরে মুজাস্সাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করলেন, আপনার যতক্ষণ ইচ্ছা, আপনি করুন। তবে যদি এর চেয়ে বেশি সময় করেন, তাহলে তা আপনার জন্য উত্তম হবে। আমি বললাম, তাহলে আমি দুই তৃতীয়াংশ সময় তথা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ১৬ ঘণ্টা আপনার উপর ছলাত পাঠ করবো, আপনার ছানা-ছিফত মুবারক করবো? আখিরী রসূল, নূরে মুজাস্সাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করলেন, আপনার যতক্ষণ ইচ্ছা, আপনি করুন। তবে যদি এর চেয়ে বেশি সময় করেন, তাহলে তা আপনার জন্য উত্তম হবে। তখন আমি বললাম, তাহলে আমি আমার সম্পূর্ণ সময় তথা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ২৪ ঘণ্টাই আপনার উপর ছলাত পাঠ করবো, আপনার ছানা-ছিফত মুবারক করবো ? তখন আখিরী রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করলেন, যখন আপনি এরূপ করবেন, তখন আপনার সমস্ত নেক মাক্বছূদগুলো পূর্ণ করে দেয়া হবে এবং আপনার সমস্ত গুনাহখতাগুলো ক্ষমা করে দেয়া হবে। সুবহানাল্লাহ!
(তিরমিযী শরীফ, মুস্তাদরকে হাকিম ২/৪২১, শুয়াবুল ঈমান ৩/১৩৮, মিশকাত শরীফ, জামিউল আহাদীছ ৩২/৩৭৩, জামিউল উছূল ১১/৮৪৬৭, রিয়াদুছ ছালিহীন ১/৩৪৭ ইত্যাদি)
চিন্তা করার বিষয় যে হযরত উবাই ইবনে কা’ব রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বলতে পারেন যে তিনি ২৪ ঘণ্টা মহান আল্লাহ পাক উনার ইবাদতে ,যিকিরে মশগুল থাকবেন।তিনি বলেছেন ২৪ ঘণ্টা শুধুমাত্র হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ছলাত , ছানা-ছিফত মুবারকে মশগুল থাকবেন।
এখন কি বাতিল ফিরকার লোকেরা বলবে উনি শিরক করেছেন?
হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি কি উনাকে নিষেধ করেছেন ?
এখান থেকেই তো প্রমানিত যে সাহাবায়ে কিরাম রাদ্বিয়াল্লাহু তায়লা আনহুমগণ ২৪ ঘন্টাই ঈদে মীলাদুন্নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করেছেন,করছেন এবং হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি তাতে খুশী প্রকাশ করেছেন,করছেন।
হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যে বিষয়ে খুশী প্রকাশ করেছেন তাঁর বিরোধীতা করে ঈদে মিলাদুননবীর বিরোধীতাকারীরা কার বিরোধীতা করছে ?
সে কি নিজেকে মুসলমান দাবী করতে পারবে?
সে কি নিজেকে উম্মত দাবী করতে পারবে?
যে বা যারাই ঈদে মিলাদুননবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিরোধীতা করবে তারা নাদান,গোমরাহ,পথভ্রষ্ট , বিভ্রান্ত , বাতিল, জাহেল , আবু লাহাব হতেও নিকৃষ্ট ।