রসুলে পাক সাল্লালাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর নাম দেখে চুম্বন করার কারণে বনী ঈসরাইলের এক ব্যক্তির ২০০ বছরের গুনাহ মাফ


" হযরত ওয়াহাব ইবনে মুনাব্বাহ(রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু) হতে বলেন,
"বনী ঈসরাইলের মধ্যে এক ব্যক্তি ছিল অত্যন্ত পাপী, যে ২০০ বছর পর্যন্ত আল্লাহর নাফরমানী করেছে । যখন সে মৃত্যুবরণ করে মানুষেরা তাকে এমন স্থানে নিক্ষেপকরল, যেখানে আবর্জনা ফেলা হতো।
তখন হযরত মূসা আলাইহিস সালাম এর প্রতি ওহী এল যে, লোকটিকে ওখান থেকে তুলে যেন তার ভালভাবে জানাজার নামাজ পড়ে তাকে দাফন করা হয়।
হযরত মূসা আলাইহিস সালাম আরজ করলেন, হে আল্লাহ পাক! বনী ঈসরাইল সাক্ষ্য দিচ্ছে যে,লোকটি ২০০ বছর পর্যন্ত তোমার নাফরমানী করেছিল।
ইরশাদ হল, হ্যাঁ, তবে তার একটি ভাল অভ্যাস ছিল। যখন সে তাওরাত শরীফ তেলওয়াত করত, যতবার আমার হাবীব হযরত মুহাম্মদ ছল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়াসাল্লাম  নাম মুবারক দেখত তখন সেটা ততবার চুম্বন করে চোখের উপর রাখত এবং উনার প্রতি দরুদ পাঠ করত।
এজন্য আমি তাকে ক্ষমা করে দিয়েছি এবং সত্তর জন হুর স্ত্রী স্বরুপ তাকে দান করেছি।" 
( ইমাম আবু নঈম রহমতুল্লাহি আলাইহি-  হুলিয়াতুল আউলিয়াঃ৩/১৪২পৃঃ , 
আল্লামা বোরহান উদ্দীন হালবী রহমতুল্লাহি আলাইহি-  সীরাতে হালবিয়্যাহঃ১/ ৮৩পৃঃ , 
ইমাম সুয়ুতি রহমতুল্লাহি আলাইহি-  খাসায়েছুল কুবরাঃ ১/ ৩০পৃঃ,হাদিসঃ৬৮, 
মাকতুত তাওফিকহিয়্যাহ, বৈরুত ,
আল্লামা আবদুর রহমান ছফূরীরহমতুল্লাহি আলাইহি - নুযহাতুল মাজালিসঃ২/ ১৪২পৃঃ ) 
উক্ত হাদিসের ব্যাপারে কোন মুহাদ্দিস মন্তব্য করেনি।তাদের নীরবতা পালন দ্বারা বুঝা গেল হাদিসটি সহিহ, কারন কোন মোহাদ্দেসের বিরোধিতা পাওয়া যায়নি।
পূর্ববর্তী পোস্ট
পরবর্তী পোস্ট