১২ই রবিউল আওয়ালে হুযুর সাল্লাল্লাহু আলায়হে ওয়া সাল্লামের ওফাতও হয়েছিল,কিন্ত সে কারনে ওই দিন দুঃখ কেন মানানো হয় না ?




উত্তরঃ- উম্মতদের জন্য হুযুর পাক সাল্লাল্লাহু আলায়হে ওয়াসাল্লামের আগমন ও প্রস্থান দুই-ই এক,হযরত আব্দুল্লা বিন মাসউদ বনর্ণা করেছেন হুযুর ইরশাদ করেছেন “আমার প্রকাশ্য জিন্দেগী এবং আমার বেসাল দুই-ই তোমাদের জন্য উত্তম”।(শেফা শ রীফ ২য় খন্ড ১৯ পৃঃ)
অপর স্থানে এর হিকমত প্রসঙ্গে বণীর্ত হয়েছে যখন আল্লাহ তায়ালা যখন কোন উম্মতের উপর নিজের খাস করম করতে চান তখন সেই উম্মতের মধ্য থেকে নবীকে পৃথক করিয়ে নেন,এবং তিনি ওই উম্মাতের জন্য শাফায়াতের মাধ্যম হয়ে যান(মুস লিম শ রীফ )।
তাছাড়া নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামা নিজে সোমবারের রোযা রাখার কারন হিসেবে তাঁর বেলাদত ও প্রথম অহী নাযিলের কথা উল্লেখ করেছেন।কিন্তু দুনিয়া থেকে বিদায় গ্রহন বা ইন্তিকাল উপলক্ষে শোক পালন করার কথা উল্লেখ করেননি।যদি করতেন,তাহলে আমরা তা পালন করতাম।সুতরাং একই দিনে ও একই তারিখে নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামা এর জন্ম এবং ইন্তিকাল হলেও ওফাত দিবস পালন করা যাবে না।এটাই কোরআন-হাদীসের শিক্ষা।
এ ছাড়াও তাঁর ওফাত শরীফ এমনটি নয় যে,উম্মতের সাথে উনার সম্পর্ক বিচ্ছেদ হয়ে গেছে।নবী পাক সাল্লাল্লাহু আলায়হে ওয়া সাল্লাম হলেন হায়াতুন্নাবী বরং তাঁর ফায়জান ক্বীয়ামত পযন্ত জারী থাকবে । যেমন ভাবে মোল্লা আলী ক্বারী বনর্না করেছেন “এখানে মওত বলা যাবে না, বরং এক অবস্থান থেকে অন্য অবস্থায় গমন” ।
পূর্ববর্তী পোস্ট
পরবর্তী পোস্ট