চতুর্দশ হিজরী শতকে ঈদে মীলাদে হাবীবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন

চতুর্দশ হিজরী শতকে ঈদে মীলাদে হাবীবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন
১৯৩০ ঈসায়ীতে (১৩৪৮ হিজরী) ওহাবী রাষ্ট্র সউদী আরব প্রতিষ্ঠার পূর্বে পবিত্র মক্কা শরীফ ও পবিত্র মদীনা শরীফ উনাদের মধ্যে পবিত্র ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালিত হতো। যেমন পবিত্র মক্কা শরীফ উনার পত্রিকা আল ক্বিবলা পত্রিকা মতে- “পবিত্র ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পবিত্র মক্কা শরীফ উনার অধিবাসীরা পালন করতেন যার নাম ছিল ‘ইয়াওম আল ঈদ মাওলিদ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম’। মুসলমান উনারা উত্তম খাবার রান্না করতেন।
পবিত্র মক্কা শরীফ উনার আমীর এবং হিজাজের কমান্ডার তাঁর সেনাদের সাথে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার রওযা শরীফ যিয়ারত করতেন এবং পবিত্র ক্বাছীদা শরীফ পাঠ করতেন। পবিত্র মক্কা শরীফ থেকে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশের বরকতময় স্থান মুবারক পর্যন্ত আলোকসজ্জা করা হতো এবং দোকান-পাট সুসজ্জিত করা হতো। নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশের বরকতময় স্থান মুবারক-এ সকলে মিলে পবিত্র ক্বাছীদা শরীফ পাঠ করতেন। পবিত্র ১১ই রবীউল আউওয়াল শরীফ উনার রাতে বাদ ইশা পবিত্র ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালনের লক্ষ্যে একত্র হতেন। পবিত্র ১১ই রবীউল আউওয়াল শরীফ উনার মাগরীব থেকে পবিত্র ১২ই রবীউল আউওয়াল শরীফ উনার আছর নামায পর্যন্ত প্রতি নামাযের পরে ২১ বার তোপধ্বনি দেওয়া হতো।” (মাসিক তরিকত- লাহোর : জানুয়ারী ১৯১৭ ঈসায়ী (১৩৩৫ হিজরী), পৃষ্ঠা ২-৩)

বিস্তারিত

ত্রয়োদশ হিজরী শতকে ঈদে মীলাদে হাবীবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন :

ত্রয়োদশ হিজরী শতকে ঈদে মীলাদে হাবীবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন :
নির্ভরযোগ্য আলিম মাওলানা হাফিজ মুহাম্মদ আব্দুল হক্ব এলাহাবাদী মুহাজিরে মক্কী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি উনার স্বরচিত বিখ্যাত কিতাবে শায়েখ আব্দুল আযীয দেহলবী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার মন্তব্য তুলে ধরেছেন এভাবে- “শায়েখ আব্দুল আযীয দেহলবী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি মুহররমুল হারাম মাসের অনুষ্ঠান মরসিয়াখানি (শোক গাঁথা পাঠ) সম্পর্কে জনৈক ব্যক্তির জিজ্ঞাসার উত্তরে বললেন, সারা বছরের মধ্যে এ ফকীরের (আমার) বাড়িতে দুটি মজলিস অনুষ্ঠিত হয়।
একটি হচ্ছে মিলাদ শরীফ উনার আলোচনা অনুষ্ঠান, আর অপরটি হচ্ছে শাহাদাতে সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছালিছ আলাইহিস সালাম উনার আলোচনা।
বিস্তারিত

দ্বাদশ হিজরী শতকে ঈদে মীলাদে হাবীবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন :

দ্বাদশ হিজরী শতকে ঈদে মীলাদে হাবীবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন :
হযরত ইমাম শাহ ওয়ালীউল্লাহ মুহাদ্দিছ দেহলভী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি দ্বাদশ হিজরী শতকের মুজাদ্দিদ। উনার সময়কালে তিনি নিজে পবিত্র ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করেছেন।
এমনকি তিনি পবিত্র মক্কা শরীফ যিয়ারতকালে সেখানে পবিত্র ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালনের ঘটনা উনার কিতাবে বর্ণনা করেছেন- “আমি এর পূর্বে পবিত্র মক্কা মু’আযযামায় পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশের বরকতময় হুজরা শরীফ উনার মধ্যে উপস্থিত ছিলাম। আর সেখানে লোকজন সমবেত হয়ে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার উপর একত্রে দরূদ শরীফ পাঠ করছিলেন।
নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশের সময় সংঘটিত অলৌকিক ঘটনাবলী ও উনার আনুষ্ঠানিক নুবুওওয়াত প্রকাশের পূর্বে সংঘটিত ঘটনাবলী আলোচনা করছিলেন। তারপর আমি সেখানে এক মিশ্র মুবারক নূরের ঝলক প্রত্যক্ষ করলাম। আমি বলতে পারিনি যে, এ মুবারক নূরগুলো চর্মচক্ষে দেখেছিলাম এবং এটাও বলতে পারি না যে, এগুলো কেবল মাত্র অন্তর চক্ষুতে দেখেছিলাম। এ দুটোর মধ্যে প্রকৃত ব্যাপার কি ছিল, তা মহান আল্লাহ পাক তিনিই ভালো জানেন। অতঃপর আমি গভীরভাবে চিন্তা করলাম এবং উপলব্ধি করতে পারলাম যে, এই নূর বা জ্যোতি ওই সব ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম, যাঁরা এ ধরণের মজলিস ও উল্লেখযোগ্য (ধর্মীয়) স্থানসমূহে (জ্যোতি বিকিরণের জন্য) নিয়োজিত থাকেন। আমার অভিমত হল সেখানে হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনাদের নূর ও রহমতের নূরের সংমিশ্রণ ঘটেছে।” (ফয়ূযুল হারামাইন [আরবী-উর্দু], পৃষ্ঠা ৮০-৮১)


বিস্তারিত

একাদশ হিজরী শতকে ঈদে মীলাদে হাবীবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন :

একাদশ হিজরী শতকে ঈদে মীলাদে হাবীবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন :
এই উপমহাদেশে যিনি হাদীছ শরীফ শাস্ত্রের প্রচার-প্রসার করেছেন, ইমামুল মুফাসসিরীন ওয়াল মুহাদ্দিছীন ওয়াল ফুক্বাহা হযরত শায়খ আব্দুল হক মুহাদ্দিছ দেহলভী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন-
مَنْ عَظَّمَ لَيْلَةَ مَوْلِدِهٖ بِـمَا اَمْكَنَهٗ مِنَ التَّعْظِيْمِ وَالاِكْرَامِ كَانَ مِنَ الْفَائزِيْنَ بِدَارِ السَّلَامِ.
অর্থ : “যে ব্যক্তি মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ দিবস উনাকে সাধ্য-সামর্থ অনুযায়ী তা’যীম-তাকরীম করবে এবং এ উপলক্ষ্যে খুশি প্রকাশ করবে সে সফলতা লাভ করবে ফলে সে চির শান্তিময় জান্নাতের অধিকারী হবে।”
বিশিষ্ট মুহাদ্দিছ হযরত মোল্লা আলী ক্বারী রহমতুল্লাহি আলাইহি, যিনি ইলমে হাদীছ শরীফ উনার ইলম হাছিলের জন্য পবিত্র মক্কা শরীফ ও পবিত্র মদীনা শরীফ সব স্থানে ভ্রমন করেন। তিনি সারাজীবন অসংখ্য কিতাব রচনা করে মুসলিম জাহানের জন্য এক বিশাল নিয়ামত রেখে গিয়েছেন। উনার সে অসংখ্য কিতাবের মধ্যে একটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং ঐতিহাসিক গ্রন্থের নাম হচ্ছে “মাওরিদুর রাভী ফি মাওলিদিন নাবী”।
বিস্তারিত

দশম হিজরী শতকে ঈদে মীলাদে হাবীবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন

দশম হিজরী শতকে ঈদে মীলাদে হাবীবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন
ইতিহাসবিদ শায়েখ ইবনে যাহিরা রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি উনার লিখিত ‘জামীউল লতিফ ফি ফাদলি মক্কাতা ওয়া আহলিহা’, শায়েখ হাফিয ইবনে হাযার আল হায়তামী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি উনার লিখিত ‘আল মাওলিদুশ শরীফুল মুনাজ্জাম’ এবং ইতিহাসবিদ শায়েখ আল নাহরাওয়ালি রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি উনার লিখিত ‘আল ইমাম বি’আলামি বাইতিল্লাহিল হারাম’ কিতাবের ২০৫ পৃষ্ঠায় উল্লেখ করেন- “প্রতি বছর মহাসম্মানিত ১২ই রবীউল আউওয়াল শরীফ বাদ মাগরীব ৪ জন সুন্নী মাযহাব উনার মুকাল্লিদ, বিচারক, ফিক্বহবিদ, শায়েখান, শিক্ষক, ছাত্র, ম্যাজিস্ট্রেট, বিজ্ঞজন এবং সাধারণ মুসলমান মসজিদের বাহিরে আসতেন এবং তাসবীহ-তাহলীল পাঠ করতে করতে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশের মুবারক স্থান-  হুজরা শরীফ পরিদর্শন করতেন। মুবারক স্থান-  হুজরা শরীফ যাওয়ার পথ আলোকসজ্জা করা হতো। সকলে উত্তম পোষাক পরিধান করতেন এবং সাথে উনাদের আল-আওলাদদের নিতেন। পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশের বরকতময় স্থানের ভিতরে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশের সময়কার বিভিন্ন বিষয়াদি বিশেষভাবে বর্ণনা করা হতো।
তারপর উসমানীয় খিলাফতের জন্য সবাই দোয়া করতেন এবং বিনয়ের সাথে দোয়া করা হতো। ইশা নামায শুরুর কিছুক্ষণ পূর্বে সকলে মসজিদে চলে আসতেন (যা থাকতো লোকে লোকারণ্য) এবং সারিবদ্ধভাবে মাক্বামে ইবরাহীম উনার সামনে বসতেন।”


বিস্তারিত

নবম হিজরী শতকে ঈদে মীলাদে হাবীবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন :

নবম হিজরী শতকে ঈদে মীলাদে হাবীবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন :
সুলত্বানুল আরিফীন হযরত ইমাম জালালুদ্দিন সুয়ূতী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি পবিত্র ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আালাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্পর্কে উল্লেখ করেন-
اَنَّ اَصْلَ عَمَلِ الْـمَوْلِدِ الَّذِيْ هُوَ اِجْتِمَاعُ النَّاسِ وَقِرَاءَةٌ مَا تَيَسَّرَ مِنَ الْقُرْاٰنِ وَرِوَايَةُ الْاَخْبَارِ الْوَارِدَةِ فِيْ مَبْدَاِ اَمْرِ النَّبِيّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَمَا وَقَعَ فِيْ مَوْلِدِهٖ مِنَ الْاٰيَاتِ ثُـمَّ يَـمُدُّ لَـهُمْ سِـمَاطَ يَأْكُلُوْنَهٗ وَيَنْصَرِفُوْنَ مِنْ غَيْرِ زِيَادَةٍ عَلٰى ذٰلِكَ هُوَ مِنَ الْبِدَعِ الْـحَسَنَةِ الَّتيْ يُثَابُ عَلَيْهَا صَاحِبُهَا لِـمَا فِيْهِ مِنْ تَعْظِيْمِ قَدْرِ النَّبِيّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَاِظْهَارِ الْفَرْحِ وَالْاِسْتِبْشَارِ بِـمَوْلِدِهِ الشَّرِيْفِ.
অর্থ : “পবিত্র মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আালাইহি ওয়া সাল্লাম উদযাপন যা মূলতঃ মানুষদের সমবেত করা, পবিত্র কুরআন শরীফ উনার অংশ-বিশেষ তিলাওয়াত, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার দুনিয়ায় তাশরীফ মুবারক (পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ) সংক্রান্ত ঘটনা ও মুবারক লক্ষণগুলোর বর্ণনা পেশ, অতঃপর তবাররুক (খাবার) বিতরণের জন্য দস্তরখানা বিছানো এবং সবশেষে সমাবেশ ত্যাগ, তা উত্তম কাজ (উদ্ভাবন); আর যে ব্যক্তি এর অনুশীলন করেন তিনি সওয়াব অর্জন করেন, কেননা এতে জড়িত রয়েছে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আালাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহান মর্যাদা মুবারক উনার প্রতি গভীর তা’যীম প্রদর্শন এবং উনার সম্মানিত বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশের প্রতি খুশি প্রকাশ।’’ (আল-হাওয়ী লিল্ ফাতাওয়া লি ইমাম জালালুদ্দিন সুয়ূতী রহমতুল্লাহি আলাইহি, ১ম খ-, ২৯২ পৃষ্ঠা, মাকতাবাল আসরিয়া, বৈরূত, লেবানন)
পবিত্র ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আালাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্পর্কে আরো উল্লেখ করা হয়-
قَالَ حَضْرَتْ سُلْطَانُ الْعَارِفِيْنَ الْاِمَامُ جَلَالُ الدّيْنِ السُّيُوْطِىُّ قَدَّسَ اللهُ سِرَّهٗ وَنَوَّرَ ضَرِيْـحَهٗ فِىْ كِتَابِهِ الُمُسَمّٰى اَلْوَسَائِلِ فِىْ شَرْحِ الشَّمَائِلِ مَا مِنْ بَيْتٍ اَوْ مَسْجِدٍ اَوْ مـَحـَلَّةٍ قُرِئَ فِيْهِ مَوْلِدُ النَّبِىّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اِلَّا حَفَّتِ الْمَلٰئِكَةُ ذٰلِكَ الْبَيْتَ اَوِ الْمَسْجِدَ اَوِ الْمَحَلًّةَ صَلَّتِ الْمَلٰئِكَةُ عَلٰى اَهْلِ ذٰلِكَ الْمَكَانِ وَعَمَّهُمُ اللهُ تَعَالٰى بِالرَّحْـمَةِ وَالرّضْوَانِ واَمَّا الْمُطَوَقُّوْنَ بِالنُّوْرِ يَعْنِىْ جِبْرَائِيْلَ وَمِيْكَائِيْلَ وَاِسْرَافِيْلَ وَعَزْرَائِيْلَ عَلَيْهِمُ السَّلَامُ فَاِنَّـهُمْ يُصَلُّوْنَ عَلٰى مَنْ كَانَ سَبَبًا لّـِقَرَائَةِ مَوْلِدِ النَّبِىّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ.
অর্থ : সুলত্বানুল আরিফীন হযরত ইমাম জালালুদ্দীন সুয়ূতী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি উনার ‘ওসায়িল ফী শরহি শামায়িল’ নামক কিতাবে বলেন, “যে কোন ঘরে অথবা মসজিদে অথবা মহল্লায় পবিত্র মীলাদ শরীফ পাঠ করা হয় সে স্থানকে অবশ্যই মহান আল্লাহ পাক উনার ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনারা বেষ্টন করে নেন। আর উনারা সে স্থানের অধিবাসীগণের উপর ছলাত-সালাম পাঠ করতে থাকেন এবং মহান আল্লাহ পাক তিনি উনাদেরকে স্বীয় রহমত ও সন্তুষ্টির আওতাভুক্ত করে নেন। আর নূর দ্বারা সজ্জিত প্রধান চার ফেরেশতা অর্থাৎ হযরত জিবরীল আলাইহিস সালাম, হযরত মীকাইল আলাইহিস সালাম, হযরত ইসরাফিল আলাইহিস সালাম ও হযরত আযরাইল আলাইহিস সালাম উনারা পবিত্র মীলাদ শরীফ পাঠকারীর উপর ছলাত-সালাম পাঠ করেন।” সুবহানাল্লাহ! (আন নি’মাতুল কুবরা আলাল আলাম ফী মাওলিদি সাইয়্যিদি উলদি আদম)
হযরত ইমাম জালালুদ্দীন সুয়ূতী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি আরো বলেন-
مَا مِنْ مُسْلِمٍ قَرَاَ فِىْ بَيْتِهٖ مَوْلِدَ النَّبِىِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اِلَّا رَفَعَ اللهُ سُبْحَانَهٗ وَتَعَالٰى اَلْقَحَطَ وَالْوَبَاءَ وَالْـحَرْقَ وَالْغَرَقَ وَالاَفَاتِ وَالْبُلِيَّاتِ وَالْبَغْضَ وَالْـحَسَدَ وَعَيْنَ السُّوْءِ وَاللُّصُوْصِ عَنْ اَهْلِ ذٰلِكَ الْبَيْتِ فَاِذَا مَاتَ هَوَّنَ اللهُ عَلَيْهِ جَوَابَ مُنْكَرٍ وَنَكِيْرٍ وَيَكُوْنُ فِىْ مَقْعَدِ صِدْقٍ عِنْدَ مَلِيْكٍ مُّقْتَدِرٍ.
অর্থ : “যখন কোন মুসলমান নিজ বাড়িতে পবিত্র মীলাদ শরীফ পাঠ করে তখন সেই বাড়ির অধিবাসীগণ উনাদের উপর থেকে মহান আল্লাহ পাক তিনি অবশ্যই খাদ্যাভাব, মহামারি, অগ্নিকা-, ডুবে মরা, বালা-মুছিবত, হিংসা-বিদ্বেষ, কু-দৃষ্টি, চুরি ইত্যাদি উঠিয়ে নেন। যখন উক্ত ব্যক্তি মারা যান তখন মহান আল্লাহ পাক তিনি উনার জন্য মুনকার-নকীরের সুওয়াল-জাওয়াব সহজ করে দেন। আর উনার অবস্থান হয় মহান আল্লাহ পাক উনার সন্নিধানে পবিত্র সিদকের মাক্বামে।” সুবহানাল্লাহ! (আন নি’মাতুল কুবরা আলাল আলাম ফী মাওলিদি সাইয়্যিদি উইলদি আদম- পৃষ্ঠা ১১)
চিত্র : নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করার বরকতময় স্থান মুবারক

বিস্তারিত

অষ্টম হিজরী শতকে ঈদে মীলাদে হাবীবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন :

অষ্টম হিজরী শতকে ঈদে মীলাদে হাবীবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন :
প্রখ্যাত ইতিহাসবিদ ইবনে বতুতা তিনি লিখেন- “প্রতি জুম‘আ নামায শেষে এবং নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ দিবসে বনু শায়বা গোত্রের প্রধান কর্তৃক পবিত্র কা’বা শরীফ উনার দরজা খোলা হতো।

নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত বংশধর আলাইহিমুস সালাম উনাদের এবং সাধারণ জনগনের মাঝে খাবার বিতরণ করতেন পবিত্র মক্কা শরীফ উনার বিচারক নাজমুদ্দীন মুহম্মদ ইবনে আল ইমাম মুহিউদ্দীন আত তাবারী।” (কিতাবুর রিহলা, ১ম খ-, পৃষ্ঠা ৩০৯ ও ৩৪৭)

বিস্তারিত

সপ্তম হিজরী শতকে ঈদে মীলাদে হাবীবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন :

সপ্তম হিজরী শতকে ঈদে মীলাদে হাবীবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন :
সপ্তম হিজরী শতাব্দীর ইতিহাসবিদ শায়েখ আবুল আব্বাস আল আযাফি এবং উনার ছেলে আবুল কাসিম আল আযাফি (সার্জারির জনক) উনাদের কিতাব-এ লিখেন- “পবিত্র মক্কা শরীফ উনার মধ্যে ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার দিন ধার্মিক ওমরাহ-হজ্জ যাত্রী এবং পর্যটকেরা দেখতেন যে, সকল ধরণের কার্য্যক্রম (দুনিয়াবী) বন্ধ, এমনকি ক্রয়-বিক্রয় হতো না, উনাদের ব্যতীত যারা সম্মানিত বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশের স্থান জড়ো হয়ে দেখতেন। এ দিন পবিত্র কা’বা শরীফ সকলের জন্য উন্মুক্ত করা হতো।” (দুররুল মুনাজ্জাম)
সপ্তম হিজরী শতকে ওমর বিন মুল্লা মুহম্মদ মউসুলি রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি পবিত্র ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম দিবসকে নিয়মিতভাবে এবং আনুষ্ঠানিকভাবে জারী রাখার প্রচলন চালু করেন। উনার অনুসরণে সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার অমর সিপাহসালার সুলতান হযরত সালাউদ্দিন আইয়ুবী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার ভগ্নিপতি ইরবিলের বাদশাহ মালিক আবূ সাঈদ মুজাফফরুদ্দীন রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি রাষ্ট্রীয়ভাবে পবিত্র ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম অনুষ্ঠান পালন প্রচলন করেন। (রাষ্ট্রীয়ভাবে প্রথম করলেও পূর্ব থেকেই পবিত্র ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন হতো।) হযরত ইবনে খালকান আরবালি শাফেয়ী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি উক্ত অনুষ্ঠানের সাক্ষী।
“তারীখু মারাতিয যামান” এর মতে ওই অনুষ্ঠানে কোটি কোটি টাকা খরচ করা হতো। হিজরী ৭ম শতকের শুরুতে সে যুগের বিখ্যাত উলামা ও প্রসিদ্ধ ফোজালাগণের মধ্যে অন্যতম ব্যক্তিত্ব হযরত আবুল খাত্তাব উমর বিন হাসান দাওহিয়া ক্বলবী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি পবিত্র ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিষয়ে একটি কিতাব লিখেন যার নাম দেন ‘আত-তানউইর ফি মাওলিদিস সিরাজ আন নাযির’।  তিনি বাদশাহকে এই কিতাব উপহার প্রদান করেন। তিনি নিজে কিতাবখানা পাঠ করে বাদশাহকে শুনান। বাদশাহ খুশি হয়ে উনাকে এক হাজার স্বর্ণমুদ্রা উপহার দেন। 


বিস্তারিত

ষষ্ঠ হিজরী শতকে ঈদে মীলাদে হাবীবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন

ষষ্ঠ হিজরী শতকে ঈদে মীলাদে হাবীবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন
ষষ্ঠ হিজরী শতাব্দীর বিশ্বখ্যাত আলিমে দ্বীন হযরত ইমাম ফখরুদ্দীন রাযী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন-
مَا مِنْ شَخْصٍ قَرَاَ مَوْلِدَ النَّبِىّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلٰى مِلْحٍ اَوْ بُرّ اَوْ شَىْءٍ اٰخَرَ مِنَ الْمَأْكُوْلَاتِ اِلَّا ظَهَرَتْ فِيْهِ الْبَركَةُ فِىْ كُلّ شَىْءٍ.
অর্থ : “যে ব্যক্তি পবিত্র মীলাদ শরীফ পাঠ করে বা পবিত্র মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উদযাপন করে, লবণ, গম বা অন্য কোন খাদ্যদ্রব্যের উপর ফুঁক দেয়, তাহলে এই খাদ্যদ্রব্যে অবশ্যই বরকত প্রকাশ পাবে। এভাবে যে কোন কিছুর উপরই পাঠ করুক না কেন।” (তাতে বরকত হবেই)। সুবহানাল্লাহ! (আন নি’মাতুল কুবরা আলাল আলাম ফী মাওলিদি সাইয়্যিদি উইলদি আদম- ৯ম পৃষ্ঠা)
হযরত ইমাম ফখরুদ্দীন রাযী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি আরো বলেন,
وَصَلَ اِلَيْهِ مِنْ ذٰلِكَ الْمَأْكُوْلِ فَاِنَّهٗ يَضْطَرِبُ وَلَا يَسْتَقِرُّ حَتّٰى يَغْفِرَ اللهُ لاِٰكِلِهٖ.
অর্থ : “উক্ত মুবারক খাদ্য পবিত্র মীলাদ শরীফ পাঠকারী উনার বা পবিত্র মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উদযাপনকারী উনাদের জন্য মহান আল্লাহ পাক উনার নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করে, এমনকি তাঁকে ক্ষমা না করা পর্যন্ত সে ক্ষান্ত হয়না।” সুবহানাল্লাহ! (আন নি’মাতুল কুবরা আলাল আলাম ফী মাওলিদি সাইয়্যিদি উইলদি আদম- ৯ম পৃষ্ঠা)
হযরত ইমাম ফখরুদ্দীন রাযী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি আরো বলেন-
وَاِنْ قُرِئَ مَوْلِدُ النَّبِىِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلٰى مَاءٍ فَمَنْ شَرِبَ مِنْ ذٰلِكَ الْـمَاءِ دَخَلَ قَلْبَهٗ اَلْفُ نُوْرٍ وَّرَحَـمَةٍ وَخَرَجَ مِنْهُ اَلْفُ غِلّ وَّعِلَّةٍ وَلَايَـمُوْتُ ذٰلِكَ الْقَلْبُ يَوْمَ تَـمُوْتُ الْقُلُوْبُ.
অর্থ : “যদি পবিত্র মীলাদ শরীফ পাঠ করে বা পবিত্র মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উদযাপন করে কোন পানিতে ফুঁক দেয়, অতঃপর উক্ত পানি কেউ পান করে তাহলে উনার অন্তরে এক হাজার নূর ও রহমত প্রবেশ করবে। আর উনার থেকে হাজারটি বাহ্যিক ও অভ্যন্তরীণ রোগ দূর হবে। যে দিন সমস্ত ক্বলব (মানুষ) মৃত্যুবরণ করবে সেদিনও ওই পবিত্র মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পানি পানকারী ব্যক্তির অন্তর মৃত্যুবরণ করবেনা।” সুবহানাল্লাহ! (আন নি’মাতুল কুবরা আলাল আলাম ফী মাওলিদি সাইয়্যিদি উইলদি আদম- ৯ম পৃষ্ঠা)
হযরত ইমাম ফখরুদ্দীন রাযী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি আরো বলেন-
وَمَنْ قَرَأَ مَوْلِدَ النَّبِىّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلٰى دَرَاهِمَ مَسْكُوْكَةٍ فِضَّةٍ كَانَتْ اَوْ ذَهَبًا وَخَلَطَ تِلْكَ الدَّرَاهِم بِغَيْرِهَا وَقَعَتْ فِيْهَا الْبَرْكَةُ وَلَا يَفْتَقِرُ صَاحِبُهَا وَلَا تَفْرُغُ يَدُهٗ بِبَرْكَةِ النَّبِىّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ.
অর্থ : “যে ব্যক্তি পবিত্র মীলাদ শরীফ পাঠ করে বা পবিত্র মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উদযাপন করে রৌপ্যের দিরহামসমূহ অথবা স্বর্ণের দিনারসমূহের উপর ফুঁক দেয় অতঃপর তা অন্য জাতীয় মুদ্রার সাথে মিশায় তাহলে তাতে অবশ্যই বরকত হবে এবং এর পাঠক কখনই ফকীর হবে না। আর উক্ত পাঠকের হাত নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার (পবিত্র মীলাদ শরীফ পাঠের) বরকতে কখনো খালি হবে না।” সুবহানাল্লাহ! (আন নি’মাতুল কুবরা আলাল আলাম ফী মাওলিদি সাইয়্যিদি উইলদি আদম- ৯ম পৃষ্ঠা)
ষষ্ঠ হিজরী শতকে মিশরের সুলতান পবিত্র ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উদযাপন করতেন। এ দিবসে হাজার হাজার স্বর্ণমুদ্রা ব্যয় করতেন। যার সাক্ষী হলেন হযরত ইবনে জাওযী রহমতুল্লাহি আলাইহি। সুলতান আবূ হামু মুসা তালামসানী এবং পূর্বেকার আন্দালুস ও আকসার শাসকেরা পবিত্র ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করতেন। আবদুল্লাহ তন্সী সুম্মা তালামসানী এ উদযাপনের উপর বিস্তারিত একটি কিতাব লিখেছেন যার নাম দিয়েছেন “রাহ আল আরওয়াহ”। (সুবুলুল হুদা ওয়ার রাশাদ ফি সিরাতি খাইরিল ইবাদ লি মুহম্মদ বিন আলী ইউসুফ দামিস্কী; আদ্দূররুল মুনাজ্জাম ফি হুকমী মাওলিদিন নাবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম; আনওয়ারুস সাতিয়া ১৩০৭ হিজরী, পৃষ্ঠা ২৬১; ওয়াফইয়াতুদ দায়ান আনবা আবনাউয যামান, কায়রো; মুহাম্মদুর রসূলিল্লাহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, লেখক : আল্লামা মুহম্মদ রাজা মিস্র্রী, লাহোর, পৃষ্ঠা ৩৩)
হাফিজুল হাদীছ আবুল ফয়েয হযরত আব্দুর রহমান ইবনুল জাওযী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি লিখেন,
لَازَالَ اَهْلُ الْـحَرَمَيْنِ الشَّرِيْفَيْنِ وَالْـمِصْرِ وَالْيَمَنِ وَالشَّامِ وَسَائِرِ بِلَادِ الْعَرَبِ مِنَ الْـمَشْرِقِ وَالْـمَغْرِبِ يَـحْتَفِلُوْنَ بِـمَجْلِسِ مَوْلِدِ النَّبِىّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَيَفْرَحُوْنَ بِقُدُوْمِ هِلَالِ رَبِيْعِ الْاَوَّلِ وَيَغْتَسِلُوْنَ وَيَلْبَسُوْنَ الثّيَابَ الْفَاخِرَةَ وَيَتَزَيّـِنُوْنَ بِاَنْوَاعِ الزّيْنَةِ وَيَتَطَيّـِبُوْنَ وَيَكْتَحِلُوْنَ وَيَأْتُوْنَ بِالسُّرُوْرِ فِىْ هٰذِهِ الْاَيَّامِ وَيَبْذُلُوْنَ عَلَى النَّاسِ بِـمَا كَانَ عِنْدَهُمْ مِنَ الْـمَضْرُوْبِ وَالْاَجْنَاسِ وَيَهْتَمُّوْنَ اِهْتِمَامًا بَلِيْغًا عَلَى السّمَاعِ وَالْقِرَاءَةِ لِـمَوْلِدِ النَّبِىّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَيَنَالُوْنَ بِذَالِكَ اَجْرًا جَزِيْلًا وَفَوْزًا عَظِيْمًا.
অর্থ : “হারামাইন শরীফাইন, মিশর, ইয়ামেন, সিরিয়া এবং পূর্ব থেকে পশ্চিম পর্যন্ত আরবের সকল শহর ও নগরের অধিবাসীদের মধ্যে অব্যাহতভাবে এ নিয়ম চলে আসছে যে, তারা নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র মীলাদ শরীফ উনার অনুষ্ঠান করেছেন।  পবিত্র রবীউল আউওয়াল শরীফ উনার নতুন চাঁদের আগমনে আনন্দিত হন, গোসল করেন, দামী পোশাক পরিধান করেন, নানা প্রকার সাজ-সজ্জা করেন, সুগন্ধি ব্যবহার করেন, সুরমা লাগান, এই দিনগুলোতে আনন্দ উৎসব করেন, ধন-সম্পদ, টাকা-পয়সা মানুষের মধ্যে বিলিয়ে দেন এবং অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে পবিত্র মীলাদ শরীফ পাঠ ও শ্রবণের ব্যবস্থা করে অধিক ছাওয়াব এবং বিরাট সাফল্য অর্জন করেন। উনারা পবিত্র ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করে যে নিরাপত্তা ও স্বস্তি, জীবিকার মানোন্নয়ন, শিশু ও সম্পদ বৃদ্ধি এবং শহরের শান্তি ও উনাদের সাফল্য অর্জন করেছেন তা প্রকাশ করতেন।” (তাফসীরে রূহুল বয়ান লি শেখ ইসমাইল হাক্কী রহমতুল্লাহি আলাইহি- ৯ম খ-, পৃষ্ঠা ৫৬; মীলাদুল উরুস- উর্দু “বয়ান-ই-মিলাদুন নবী”, পৃষ্ঠা ৩৪-৩৫, লাহোর; দুররুল মুনাজ্জাম, পৃষ্ঠা ১০০-১০১; মীলাদুন নবী, পৃষ্ঠা ৫৮)
মুহম্মদ বিন আব্দুল্লাহ বিন জুফার মক্কী রহমতুল্লাহি আলাইহি ( ৪৯৭- ৫৬৫ হিজরী) তিনি উনার “দুররুল মুনাজ্জাম” গ্রন্থে লিখেন,
وقال العلامة ابن ظفر - رحمه الله تعالى -: بل في الدر المنتظم: وقد عمل المحبون للنبي صلى الله عليه وسلم فرحا بمولده الولائم -، فمن ذلك ما عمله بالقاهرة المعزية من الولائم الكبار الشيخ أبو الحسن المعروف بابن قفل قدس الله تعالى سره، شيخ شيخنا أبي عبد الله محمد بن النعمان، وعمل ذلك قبل جمال الدين العجمي الهمذاني وممن عمل ذلك على قدر وسعه يوسف الحجار بمصر وقد رأى النبي صلى الله عليه وسلم وهو يحرض يوسف المذكور على عمل ذلك
হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আশিকগন হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর বিলাদত শরীফের খুশিতে খাওয়া – দাওয়া ও দাওয়াতের আয়োজন করে আসছেন। কায়রো যে সকল ব্যক্তি বড় বড় দাওয়াতের আয়োজন করেছেন, তাদের মধ্যে শায়েখ আবুল হাসান যিনি মশহুর ছিলেন ইবনে কুফুল কুদ্দিসা সিরহুল নামে। তিনি আমাদের শায়েখ আবু আব্দুল্লাহ ইবনে নুমান রহমতুল্লাহি আলাইহি। এই বরকতময় আমল হযরত জামালুদ্দীন আযমী হামদানী রহতুল্লাহি আলাইহিও করেছেন। মিশরে হযরত ইউসূফ হাজ্জার রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনিও ব্যাপক পরিসরে উদযাপন করেছেন। এরপর তিনি হাবীবুল্লাহ হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে স্বপ্নে দেখলেন যে, হাবীবুল্লাহ হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হযরত ইউসুফ হাজ্জার রহমতুল্লাহি আলাইহি





বিস্তারিত

পঞ্চম হিজরী শতকে ঈদে মীলাদে হাবীবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন :

পঞ্চম হিজরী শতকে ঈদে মীলাদে হাবীবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন :
হযরত ইবনে জুবায়ের রহমতুল্লাহি আলাইহি (৫৪০-৬৪০ হিজরী) তিনি উল্লেখ করেছেন- “নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত বাড়ি মুবারক-এ পবিত্র রবীউল আউওয়াল শরীফ মাস উনার প্রতি ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম শরীফ পবিত্র ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করা হতো।” (কিতাবুর রিহাল, পৃষ্ঠা ১১৪-১১৫)
বিস্তারিত

চতুর্থ হিজরী শতকে ঈদে মীলাদে হাবীবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন :

চতুর্থ হিজরী শতকে ঈদে মীলাদে হাবীবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন :
সাইয়্যিদ মুহম্মদ সুলাইমান নদভী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি “সিরাতুন নবী” জীবনী গ্রন্থের ৩য় খ-ে উল্লেখ করেছেন ৩/৪ শতক হিজরী মীলাদ শরীফ উদযাপন করা হতো। এছাড়াও ৩৯৪ হিজরী সালে ফাতেমী খিলাফতের অধীনে মিশরে মাসব্যাপী ব্যাপক জাঁকজমকের সাথে পবিত্র ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালিত হতো।
বিখ্যাত আলেমে দ্বীন ইমাম মিকরিযী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার “তাজুল হুনাফা” কিতাবে এ প্রসঙ্গে লিখেন।,
سنة أربع وتسعين وثلثمائة
তিনশত চুরানব্বই হিজরী
وفي ربيع الأول ألزم الناس بوقود القناديل بالليل في سائر الشوارع والأزقة بمصر
অর্থ: “রবিউল আউয়াল মাসে (হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিলাদত শরীফ উপলক্ষে) সব মানুষকে রাষ্ট্রীয় ভাবে ঘোষনা করে দেয়া হলো, সর্ম্পর্ণ মাস রাস্তায় রাস্তায় বাতি জ্বালিয়ে রাখতে হবে।” (তাজুল হুনাফা ২/৪৮, আজজামেউ ফিল মাওলুদ৩/১২)
বিস্তারিত

তৃতীয় হিজরী শতকে ঈদে মীলাদে হাবীবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন :

তৃতীয় হিজরী শতকে ঈদে মীলাদে হাবীবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন :
তৃতীয় শতাব্দীর মহান ব্যক্তিত্ব সাইয়্যিদুত ত্বয়িফা হযরত জুনাইদ বাগদাদী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন-
مَنْ حَضَرَ مَوْلِدَ النَّبِىّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَعَظَّمَ قَدْرَهٗ فَقَدْ فَازَ بِالْاِيـْمَانِ.
অর্থ : “যে ব্যক্তি পবিত্র মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আয়োজনে উপস্থিত হল এবং উপযুক্ত সম্মান প্রদর্শন করলো। সে তাঁর ঈমানের দ্বারা সাফল্য লাভ করবে অর্থাৎ সে বেহেশতী হবে।” সুবহানাল্লাহ! (আন নি’মাতুল কুবরা আলাল আলাম ফী মাওলিদি সাইয়্যিদি উইলদি আদম- ৮ম পৃষ্ঠা)
হিজরী ৩য় শতকের পবিত্র মক্কা শরীফ উনার মুসলিম ইতিহাসবিদ আল আজরাকী রহমতুল্লাহি আলাইহি (ওফাত ২১৯ হিজরী) তিনি উল্লেখ করেন, “নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি যেখানে পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করেন সেখানে নামায আদায় হতো।” (আল মক্কাহ, ২য় খ-, ১৬০ পৃষ্ঠা)
খলীফা হারুনুর রশীদের (১৪৮-১৯৩ হিজরী) মাতা আল খায়জুরান (ইন্তেকাল ৭৮৬ ঈসায়ী সন) পবিত্র ঈদে মীলাদে হাবীবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করার জন্য ব্যবস্থা করেন। হিজরী ৩য় শতকের পবিত্র মক্কা শরীফের মুসলিম ইতিহাসবিদ আল আজরাকী রহমতুল্লাহি আলাইহি (ওফাত ২১৯ হিজরী) তিনি উল্লেখ করেন,
فَمِنْهَا الْبَيْتُ الَّذِي وُلِدَ فِيهِ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي دَارِ أَبِي يُوسُفَ، وَلَمْ يَزَلْ هَذَا الْبَيْتُ فِي الدَّارِ حَتَّى قَدِمَتِ الْخَيْزُرَانُ أُمُّ الْخَلِيفَتَيْنِ مُوسَى، وَهَارُونَ، فَجَعَلَتْهُ مَسْجِدًا يُصَلَّى فِيهِ،
“হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি যেখানে পবিত্র বিলাদতী শান প্রকাশ করেন সেখানে খলীফা হারুনুর রশীদ ও খলীফা মুসার মাতা খায়জুরান রহমতুল্লাহি আলাইহি তাশরীফ আনেন। সেই জায়গাকে নামায আদায়ের ব্যবস্থা করে দেন।।” (আল মক্কাহ, ৪র্থ খ-, ৫ পৃষ্ঠা)
মুফাসসির আন নাক্কাস রহমতুল্লাহি আলাইহি (২৬৬-৩৫১ হিজরী) তিনি উল্লেখ করেন, “নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশের স্থানে প্রতি ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম শরীফ দুপুরে দোয়া করা হতো।” (আল ফাসি শিফা আল গারাম, ১ম খ-, পৃষ্ঠা ১৯৯)


বিস্তারিত

দ্বিতীয় হিজরী শতকে ঈদে মীলাদে হাবীবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন :

দ্বিতীয় হিজরী শতকে ঈদে মীলাদে হাবীবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন :
হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের পরে সর্বোত্তম ব্যক্তিত্ব হচ্ছেন হযরত তাবেয়ীন রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনারা। হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের পরবর্তী তাবিয়ীন উনাদের যুগে এবং তৎপরবর্তী প্রত্যেক যুগেই অনুসরণীয় ইমাম-মুজতাহিদ ও আউলিয়ায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনারা পবিত্র মীলাদ শরীফ পাঠের ব্যাপারে বিশেষ গুরুত্ব প্রদান করেছেন।
এ প্রসঙ্গে বিশিষ্ট তাবিয়ী হযরত হাসান বছরী রহমতুল্লাহি আলাইহি যিনি শতাধিক হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের সাক্ষাৎ মুবারক পেয়েছিলেন। যিনি দ্বীন ইসলাম উনার সম্মানিত চতুর্থ খলীফা হযরত কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম উনার খলীফা ও ছাত্র ছিলেন। তিনি বলেন-
وَدِدْتُّ لَوْ كَانَ لِىْ مِثْلُ جَبَلِ اُحُدٍ ذَهْبًا فَاَنْفَقْتُهٗ عَلٰى قِرَاءَةِ مَوْلِدِ النَّبِىّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ.
অর্থ : “আমার একান্ত ইচ্ছা হয় যে, আমার যদি উহুদ পাহাড় পরিমাণ স্বর্ণ থাকতো তাহলে মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র মীলাদ শরীফ পাঠ উপলক্ষ্যে আমি তা ব্যয় করতাম।” সুবহানাল্লাহ! (আন নি’মাতুল কুবরা আলাল আলাম ফী মাওলিদি সাইয়্যিদি উইলদি আদম- ৮ম পৃষ্ঠা)
মাযহাবের ইমাম রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনারাও নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র মীলাদ শরীফ পাঠের ব্যাপারে গুরুত্ব প্রদান করেছেন। যেমন বর্ণিত আছে,
قَالَ حَضْرَتِ الْاِمَامُ الشَّافِعِىُّ رَحِـمَهُ اللهُ مَنْ جَـمَعَ لِمَوْلِدِ النَّبِىّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اِخْوَانًا وَهَيَّاَ طَعَامًا وَاَخْلٰى مَكَانًا وَعَمَلَ اِحْسَانًا وَصَارَ سَبَبًا لّـِقِرَائَتِهٖ بَعَثَهُ اللهُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ مَعَ الصّدّيْقِيْنَ وَالشُّهَدَاءِ وَالصَّالِـحِيْنَ وَيَكُوْنُ فِىْ جَنَّاتِ النَّعِيْمِ.
অর্থ : শাফিয়ী মাযহাবের ইমাম হযরত ইমাম শাফিয়ী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, “যে ব্যক্তি মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র মীলাদ শরীফ উপলক্ষ্যে লোকজন একত্রিত করলো এবং খাদ্য তৈরি করলো ও জায়গা নির্দিষ্ট করলো এবং উত্তমভাবে (তথা সুন্নাহভিত্তিক) আমল করলো তাহলে উক্ত ব্যক্তিকে মহান আল্লাহ পাক তিনি হাশরের দিন ছিদ্দীক্ব, শহীদ, ছালিহীনগণ উনাদের সাথে উঠাবেন এবং উনার ঠিকানা হবে জান্নাতুন নায়ীমে।” সুবহানাল্লাহ! (আন নি’মাতুল কুবরা আলাল আলাম ফী মাওলিদি সাইয়্যিদি উইলদি আদম)
মহান আল্লাহ পাক উনার বিশিষ্ট ওলী হযরত ইমাম মারূফ কারখী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি পবিত্র মীলাদ শরীফ পাঠের ফযীলত বর্ণনা প্রসঙ্গে বলেন-
مَنْ هَيَّأَ طَعَامًا لِاَجْلِ قِرَائَةِ مَوْلِدِ النَّبِىّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَجَـمَعَ اِخْوَانًا وَاَوْقَدَ سِرَاجًا وَلَبِسَ جَدِيْدًا وَتَبَخَّرَ وَتَعَطَّرَ تَعْظِيْمًا لّـِمَوْلِدِ النَّبِىّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَشَرَهُ اللهُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ مَعَ الْفِرْقَةِ الاُوْلٰى مِنَ النَّبِيّنَ وَكَانَ فِىْ اَعْلٰى عِلّيّيْنَ.
অর্থ : “যিনি মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র মীলাদ শরীফ উপলক্ষ্যে খাদ্য প্রস্তুত করবেন এবং আল্লাহ পাক উনার হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র মীলাদ শরীফ উনার সম্মানার্থে মুসলমান ভাইদের একত্রিত করবেন, (আলো দানের উদ্দেশ্যে) প্রদীপ বা বাতি জ্বালাবেন, নতুন পোশাক পরিধান করবেন, (সুগন্ধির উদ্দেশ্যে) ধূপ জ্বালাবেন এবং আতর-গোলাপ মাখবেন, ক্বিয়ামতের দিন মহান আল্লাহ পাক তিনি উনার হাশর-নশর করবেন হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের প্রথম দলের সাথে এবং তিনি সুউচ্চ ইল্লীনে অবস্থান করবেন।” সুবহানাল্লাহ! (আন নি’মাতুল কুবরা আলাল আলাম ফী মাওলিদি সাইয়্যিদি উইলদি আদম- ৮ম পৃষ্ঠা)

মহান আল্লাহ পাক উনার খালিছ ওলী হযরত সাররী সাক্বতী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন-
مَنْ قَصَدَ مَوْضِعًا يُقْرَاُ فِيْهِ مَوْلِدُ النَّبِىّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَدْ قَصَدَ رَوْضَةً مّنْ رّيَاضِ الْـجَنَّةِ لِاَنَّهٗ مَا قَصَدَ ذٰلِكَ الْمَوْضِعَ اِلَّا لِمُحَبَّةِ النَّبِىّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ.
অর্থ : “যে ব্যক্তি পবিত্র মীলাদ শরীফ পাঠ বা পবিত্র মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উদযাপন করার জন্য স্থান নির্দিষ্ট করল, সে যেন তাঁর জন্য জান্নাতে রওযা বা বাগান নির্দিষ্ট করলো। কেননা সে তা নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মুহব্বত থাকার জন্যেই করেছে।” সুবহানাল্লাহ! (আন নি’মাতুল কুবরা আলাল আলাম ফী মাওলিদি সাইয়্যিদি উইলদি আদম)


বিস্তারিত

প্রথম হিজরী শতকে ঈদে মীলাদে হাবীবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন

প্রথম হিজরী শতকে ঈদে মীলাদে হাবীবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন
নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে পাওয়ার কারণে হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারা ব্যক্তিগতভাবে যেমন ঈদে মীলাদে হাবীবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করেছেন। ঠিক তেমনি উনারা মাহফিলের আয়োজন করেও ঈদে মীলাদে হাবীবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করেছেন।

ক) স্বয়ং হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ঈদে মিলাদুননবী পালন করেছেন ।

১. হযরত আবু কাতাদাহ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বনর্ণা করেন যে, " হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম  উনাকে জিজ্ঞাসা করলেন ইয়া রসুলাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম  আপনি সোমবারের দিন কেন রোযা রাখেন, হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম  ইরশাদ করলেন ওই দিন আমার বিলাদত হয় ,এবং ওই দিন-ই আমার উপর ওহী নাযীল হয়"।
১. সহী মুসলিম ,বুক ৬ , রোজা অধ্যায়, ভলি ৭, পৃ ৩২৩, হাদিস নং ২৮০৭
২.সুনান আল কুবরা লইল বায়হাকী , ভলিউম ৪, পৃ ২৮৬ 
৩. মুসান্নাফ আবদুর রাজ্জাক, ভলিউম ৪ , পৃ ২৯৬, হাদিস ৭৮৬৫
৪.সুনান আবু দাউদ, ভলিউম ৭,পৃ ২৫৫, হাদিস ২৪২৮ 
২. এ ছাড়াও হাদিস হতে প্রমাণিত "স্বয়ং হুযুর ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম  নিজের জন্মের খুশির উদ্দেশ্যে ছাগল যবাহ করেছিলেন"
ইমাম সুয়ুতী আল হাবিলুল ফাতোয়া ১ম খন্ড ১৯৬ পৃঃ,
হুস্নুল মাকাসিদ ফি আমালিল মোলিদ ৬৫ পৃঃ,
ইমাম নাব হানী হুজ্জাতুল্লাহে আলাল আলামীন ২৩৭ পৃঃ)

সোমবার দিন রোযা রাখার হাদীছ শরীফ হতে কয়েকটি বিষয় বের হয়-
১. নবীজি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম শুধু ১২ই রবীউল আউওয়াল শরীফ উদযাপন করেননি।
২. যেহেতু প্রতি সোমবার বিলাদত দিবস পালন করেছেন, সে হিসেবে-
* প্রতি সপ্তাহে ১ দিন,
* প্রতি মাসে কমপক্ষে ৪ দিন,
* প্রতি বছরে কমপক্ষে ৫০ দিন,

৩. আরো সূক্ষ্মভাবে চিন্তা করলে দেখা যায়, নবীজি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যেহেতু প্রতি সোমবার রোযা রেখেছেন, সেহেতু তিনি সর্বদা পরবর্তী সোমবারের জন্য অপেক্ষা করেছেন। অর্থাৎ তিনি সারাজীবনই উনার বিলাদত দিবস উদযাপন করেছেন।
খ) হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের ব্যক্তিগতভাবে ঈদে মীলাদে হাবীবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন :
হযরত উবাই ইবনে কা’ব রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার ব্যক্তিগতভাবে দায়িমী ঈদে মীলাদে হাবীবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন বিষয়ে পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত রয়েছে-
عَنْ حَضْرَتْ الطُّفَيْلِ بْنِ أُبَىِّ بْنِ كَعْبٍ رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ عَنْ أَبِيهِ قَالَ كَانَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذَا ذَهَبَ ثُلُثَا اللَّيْلِ قَامَ فَقَالَ‏ يَا اَيُّهَا النَّاسُ اذْكُرُوا اللهَ اذْكُرُوا اللهَ جَاءَتِ الرَّاجِفَةُ تَتْبَعُهَا الرَّادِفَةُ جَاءَ الْمَوْتُ بِـمَا فِيْهِ جَاءَ الْمَوْتُ بِـمَا فِيْهِ‏.‏ قَالَ أُبَىٌّ قُلْتُ يَا رَسُوْلَ اللهِ إِنِّي أُكْثِرُ الصَّلَاةَ عَلَيْكَ فَكَمْ أَجْعَلُ لَكَ مِنْ صَلَاتِي فَقَالَ‏ مَا شِئْتَ‏.‏ قَالَ قُلْتُ الرُّبُعَ‏.‏ قَالَ مَا شِئْتَ فَإِنْ زِدْتَ فَهُوَ خَيْرٌ لَكَ‏.‏ قُلْتُ النِّصْفَ.‏ قَالَ‏ مَا شِئْتَ فَإِنْ زِدْتَ فَهُوَ خَيْرٌ لَكَ‏.‏ قَالَ قُلْتُ فَالثُّلُثَيْنِ.‏ قَالَ مَا شِئْتَ فَإِنْ زِدْتَ فَهُوَ خَيْرٌ لَكَ‏.‏ قُلْتُ أَجْعَلُ لَكَ صَلَاتِي كُلَّهَا.‏ قَالَ إِذًا تُكْفَى هَـمُّكَ وَيُغْفَرُ لَكَ ذَنْبُكَ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ‏.‏
অর্থ : “হযরত তুফাইল ইবনে উবাই ইবনে কা’ব রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি উনার পিতা থেকে বলেন, .......................... ইয়া রসূলাল্লাহ ইয়া হাবীবাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আমি আপনার জন্য ছলাত মুবারক, সালাম মুবারক, ছানা-ছিফত মুবারক বেশি বেশি করতে চাই। কত সময় ধরে আপনার ছানা-ছিফত মুবারক করবো ইয়া রসূলাল্লাহ ইয়া হাবীবাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করলেন, আপনি যতটুকু সম্ভব করুন। তাহলে চার ভাগের এক ভাগ (অর্থাৎ ২৪ ঘণ্টায় ৬ ঘণ্টা) আপনার ছানা-ছিফত মুবারক করবো ইয়া রসূলাল্লাহ ইয়া হাবীবাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! এটা শুনে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করলেন, আপনি যতটুকু সম্ভব করুন, তবে এর চাইতে আরো বৃদ্ধি করতে পারলে আরো উত্তম হবে। তিনি বললেন, তাহলে অর্ধেক সময় (২৪ ঘণ্টায় ১২ ঘণ্টা) আপনার আমি ছানা-ছিফত মুবারক করবো ইয়া রসূলাল্লাহ ইয়া হাবীবাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! তাহলে কি হবে? নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করলেন, আপনার যতটুকু সম্ভব আপনি করুন, তবে এর চাইতে আরো বৃদ্ধি করতে পারলে আরো উত্তম হবে। সুবহানাল্লাহ! তাহলে তিন ভাগের দুই ভাগ (২৪ ঘণ্টায় ১৬ ঘণ্টা) আমি আপনার ছানা-ছিফত মুবারক করবো ইয়া রসূলাল্লাহ ইয়া হাবীবাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! তাহলে কি হবে? শুনে স্বয়ং নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করলেন, আপনি যতটুকু ই”ছা পারেন করুন, তবে এর চাইতে আরো বৃদ্ধি করতে পারলে আরো উত্তম হবে। তিনি বললেন, ইয়া রসূলাল্লাহ ইয়া হাবীবাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! তাহলে আমি আমার জিন্দেগীর সমস্ত সময় (২৪টা ঘণ্টাই) আমি আপনার ছানা-ছিফত মুবারক উনার মধ্যে ব্যয় করবো। সুবহানাল্লাহ! এটা শুনে স্বয়ং নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি খুশি হয়ে গেলেন। সুবহানাল্লাহ! তিনি খুশি হয়ে ইরশাদ মুবারক করলেন, খুব উত্তম! আপনি যদি এটা করতে পারেন তাহলে আপনার জিন্দেগীর যত নেক মকছুদ সবগুলো পুরা করে দেয়া হবে। সুবহানাল্লাহ! এবং আপনার জিন্দেগীর যত গুনাহ-খাতা রয়েছে সব ক্ষমা করে দেয়া হবে।” সুবহানাল্লাহ! (তিরমিযী শরীফ : কিতাবুছ ছিফাতুল ক্বিয়ামাতি ওয়া রিক্বাক্ব ওয়া ওয়ারা; আল বাইয়্যিনাত শরীফ ২২১তম সংখ্যা ৯১ পৃষ্ঠা)
গ) হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের মজলিশ করে ঈদে মীলাদে হাবীবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন :
হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারা পাড়া-পড়শী, আত্মীয়-স্বজন, নিজ ক্বওমকে একত্রিত করে মজলিশ করে ঈদে মীলাদে হাবীবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন বিষয়ে পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত রয়েছে-
عَنْ حَضْرَتْ اَبِى الدَّرْدَاءِ رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ اَنَّهٗ مَرَّ مَعَ النَّبِىّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اِلٰى بَيْتِ عَامِرِ الاَنْصَارِىّ وَكَانَ يُعَلّمُ وَقَائِعَ وِلادَتِهٖ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لاَبْنَائِهٖ وَعَشِيْرَتِهٖ وَيَقُوْلُ هٰذَا الْيَوْمَ هٰذَا الْيَوْمَ فَقَالَ عَلَيْهِ الصَّلٰوةُ وَالسَّلامُ اِنَّ اللهَ فَتَحَ لَكَ اَبْوَابَ الرَّحْـمَةِ وَالْمَلائِكَةُ كُلُّهُمْ يَسْتَغْفِرُوْنَ لَكَ مَنْ فَعَلَ فِعْلَكَ نَـجٰى نَـجٰتَكَ.
অর্থ : “হযরত আবূ দারদা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত আছে যে, একদা তিনি নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে হযরত আমির আনছারী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার গৃহে উপ¯ি’ত হয়ে দেখতে পেলেন যে, তিনি উনার সন্তানাদি এবং আত্মীয়-স্বজন, জ্ঞাতি-গোষ্ঠী, পাড়া-প্রতিবেশী উনাদেরকে নিয়ে আখিরী রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ সম্পর্কিত মুবারক ঘটনাসমূহ শুনা”েছন এবং বলছেন, এই দিবস; এই দিবস (অর্থাৎ এই দিবসে রসূলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি যমীনে তাশরীফ মুবারক এনেছেন এবং ইত্যাদি ইত্যাদি ঘটেছে)। এতদশ্রবণে মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ তায়ালা উনার মুবারক রহমত উনার দরজা মুবারক আপনার জন্য উম্মুক্ত করেছেন এবং সমস্ত হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনারা আপনার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করছেন এবং যে কেউ আপনার মত এরূপ কাজ করবে, তিনিও আপনার মত নাযাত (ফযীলত) লাভ করবেন।” সুবহানাল্লাহ! (আত তানবীর ফী মাওলিদিল বাশীর ওয়ান নাযীর, মাওলূদুল কাবীর, দুররুল মুনাযযাম, সুবুলুল হুদা ফী মাওলিদিল মুস্তফা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ইশবাউল কালামি ফী ইছবাতিল মাওলিদি ওয়াল ক্বিয়ামি, হাক্বীক্বতে মুহম্মদী মীলাদে আহমদী)
এ সম্পর্কে পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আরো ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
عَنْ اِبْنِ عَبَّاسٍ رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُمَا اَنَّهٗ كَانَ يُـحَدّثُ ذَاتَ يَوْمٍ فِىْ بَيْتِه وَقَائِعَ وِلادَتِهٖ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِقَوْمٍ، فَيَسْتَبْشِرُوْنَ وَيُـحَمّدُوْنَ اللهَ وَيُصَلُّوْنَ عَلَيْهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَاِذَا جَاءَ النَّبِىُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ حَلَّتْ لَكُمْ شَفَاعَتِىْ.
সুমহান মীলাদ শরীফ

অর্থ : “হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত আছে যে, তিনি একদা উনার নিজগৃহে সমবেত হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদেরকে মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ সম্পর্কিত মুবারক ঘটনাসমূহ শুনা”িছলেন। এতে শ্রবণকারীগণ উনারা আনন্দ ও খুশি প্রকাশ করছিলেন এবং মহান আল্লাহ পাক উনার প্রশংসা তথা তাসবীহ-তাহলীল মুবারক পাঠ করছিলেন এবং মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি (পবিত্র ছলাত শরীফ-পবিত্র সালাম শরীফ) পবিত্র দুরূদ শরীফ পাঠ করছিলেন। এমন সময় নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি তথায় তাশরীফ মুবারক নেন এবং (পবিত্র মীলাদ শরীফ পাঠের অনুষ্ঠান দেখে) বললেন, “আপনাদের জন্য আমার শাফায়াত ওয়াজিব।” সুবহানাল্লাহ! (আত তানবীর ফী মাওলিদিল বাশীর ওয়ান নাযীর, মাওলূদুল কাবীর, দুররুল মুনাযযাম, সুবুলুল হুদা ফী মাওলিদিল মুস্তফা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ইশবাউল কালামি ফী ইছবাতিল মাওলিদি ওয়াল ক্বিয়ামি, হাক্বীক্বতে মুহম্মদী মীলাদে আহমদী)
হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারা শুধু নিজেরাই পালন করেননি বরং পরবর্তী উম্মতকে ঈদে মীলাদে হাবীবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালনে উৎসাহিত করেছেন। যেমন-
হযরত নবী আলাইহিমুস সালাম উনাদের পরে শ্রেষ্ঠ মানুষ, পবিত্র ইসলাম উনার প্রথম খলীফা, খলীফাতু রসূলিল্লাহ, হযরত ছিদ্দীকে আকবর আলাইহিস সালাম তিনি বলেন,
مَنْ اَنْفَقَ دِرْهَمًا عَلٰى قِرَائَةِ مَوْلِدِ النَّبِىّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ رَفِيْقِىْ فِىْ الْـجَنَّةِ.
অর্থ : “যে ব্যক্তি নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ অর্থাৎ সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ উপলক্ষে খুশি প্রকাশ করে এক দিরহাম ব্যয় করবেন, তিনি জান্নাতে আমার বন্ধু হয়ে থাকবেন।” সুবহানাল্লাহ! (আন নি’মাতুল কুবরা আলাল আলাম ফী মাওলিদি সাইয়্যিদি উলদি আদম লি হযরতুল আল্লামা আহমদ শিহাবুদ্দীন হাইতামী শাফিয়ী রহমতুল্লাহি আলাইহি, ৮ম পৃষ্ঠা; নাফহাতুল আম্বারিয়াতু লিইসবাতিল কিয়াম ফি মাওলিদি খাইরিল বারিয়্যাহ লি হযরতুল আল্লামা আব্দুল আউওয়াল জৈনপুরী রহমাতুল্লাহি আলাইহি, ৮ম পৃষ্ঠা)
পবিত্র ইসলাম উনার দ্বিতীয় খলীফা, খলীফাতুল মুসলিমীন, হযরত ফারূকে আযম আলাইহিস সালাম তিনি বলেন,
مَنْ عَظَّمَ مَوْلِدَ النَّبِىّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَدْ اَحْيَا الْاِسْلَامَ.
অর্থ : “যে ব্যক্তি নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ অর্থাৎ সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ উনাকে বিশেষ মর্যাদা দিলেন অর্থাৎ এ উপলক্ষে খুশি প্রকাশ করলেন, তিনি মূলত দ্বীন ইসলাম উনাকেই পুনরুজ্জীবিত করলেন।” সুবহানাল্লাহ! (আন নি’মাতুল কুবরা আলাল আলাম ফী মাওলিদি সাইয়্যিদি উলদি আদম লি হযরতুল আল্লামা আহমদ শিহাবুদ্দীন হাইতামী শাফিয়ী রহমতুল্লাহি আলাইহি, ৮ম পৃষ্ঠা; নাফহাতুল আম্বারিয়াতু লিইসবাতিল কিয়াম ফি মাওলিদি খাইরিল বারিয়্যাহ লি হযরতুল আল্লামা আব্দুল আউওয়াল জৈনপুরী রহমাতুল্লাহি আলাইহি, ৮ম পৃষ্ঠা)
পবিত্র ইসলাম উনার তৃতীয় খলীফা, আমীরুল মুমিনীন, হযরত যুন নুরাইন আলাইহিস সালাম তিনি বলেন,
مَنْ اَنْفَقَ دِرْهَـمًا عَلٰى قِرَائَةِ مَوْلِدِ النَّبِىّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَكَاَنّـَمَا شَهِدَ غَزْوَةَ بَدْرٍ وَّحُنَيْنٍ.
অর্থ : “যে ব্যক্তি নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ অর্থাৎ সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ উপলক্ষে খুশি হয়ে এক দিরহাম খরচ করলেন, তিনি যেনো বদর ও হুনাইন জিহাদে শরীক থাকলেন।” সুবহানাল্লাহ! (আন নি’মাতুল কুবরা আলাল আলাম ফী মাওলিদি সাইয়্যিদি উলদি আদম লি হযরতুল আল্লামা আহমদ শিহাবুদ্দীন হাইতামী শাফিয়ী রহমতুল্লাহি আলাইহি, ৮ম পৃষ্ঠা; নাফহাতুল আম্বারিয়াতু লিইসবাতিল কিয়াম ফি মাওলিদি খাইরিল বারিয়্যাহ লি হযরতুল আল্লামা আব্দুল আউওয়াল জৈনপুরী রহমাতুল্লাহি আলাইহি, ৮ম পৃষ্ঠা)
পবিত্র ইসলাম উনার চতুর্থ খলীফা, আসাদুল্লাহিল গালিব, হযরত কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহু আলাইহিস সালাম তিনি বলেন,
مَنْ عَظَّمَ مَوْلِدَ النَّبِىّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَكَانَ سَبَبًا لّقِرَائَتِه لايَـخْرُجُ مِنَ الدُّنْيَا اِلَّا بِالْاِيْـمَانِ وَيَدْخُلُ الْـجَنَّةَ بِغَيْرِ حِسَابٍ.
অর্থ : “যে ব্যক্তি নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ অর্থাৎ সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ উনাকে বিশেষ মর্যাদা প্রদান করলেন অর্থাৎ সে উপলক্ষে খুশি প্রকাশ করলেন, তিনি অবশ্যই ঈমান নিয়ে দুনিয়া থেকে বিদায় নিবেন এবং বিনা হিসাবে জান্নাতে প্রবেশ করবেন।” সুবহানাল্লাহ! (আন নি’মাতুল কুবরা আলাল আলাম ফী মাওলিদি সাইয়্যিদি উলদি আদম লি হযরতুল আল্লামা আহমদ শিহাবুদ্দীন হাইতামী শাফিয়ী রহমতুল্লাহি আলাইহি, ৮ম পৃষ্ঠা; নাফহাতুল আম্বারিয়াতু লিইসবাতিল কিয়াম ফি মাওলিদি খাইরিল বারিয়্যাহ লি হযরতুল আল্লামা আব্দুল আউওয়াল জৈনপুরী রহমাতুল্লাহি আলাইহি, ৮ম পৃষ্ঠা)
বিস্তারিত

বায়তুল মুকাররমের খবিস ওবাইদুল হক্ব ঈদে মিলাদুন্নবির বিরোধিতা করার কারনে পচে-গলে মরেছে..

বায়তুল মুকাররমের খবিস ওবাইদুল হক্ব ঈদে মিলাদুন্নবির বিরোধিতা করার কারনে পচে-গলে মরেছে..

বায়তুল মুকারমের খবীস উবায়দুল হক্ব ঈদে মিলাদুন্নবির সময় আসলে বলত " ঈদে মিলাদুন্নবি বিদয়াত " নাউযুবিল্লাহ । অথচ হারাম পহেলা বৈশাখের পক্ষে এই খবিস উবাইদুল হক বলেছিল: "আল্লাহর বহু বড় নিয়ামত হলো নববর্ষ। নববর্ষ পালন করতে গিয়ে দান-খয়রাত করতে হবে শুকরিয়া আদায় করতে হবে দোয়া করতে হবে।"(নাউযুবিল্লাহ্) ( তথ্যসূত্র: দৈনিক মানবজমিন ১০/০৪/২০০৪ ইং শেষ পৃষ্ঠা)

 এ ভুল ফতওয়ার কাফফারা সে মৃত্যুর পর আদায় করে। স্বাভাবিকভাবে একটা মানুষ মারা যাওয়ার পর তার লাশ পচন ধরতে সময় লাগে। আর আল্লাহ-ওয়ালা বা মসজিদের ঈমামদের লাশে এত তাড়াতাড়ি পচন ধরার তো প্রশ্নই আসে না। কিন্তু ওবাইদুল হকের মৃত্যুর পর তার বিপরীত দেখা গেলো। মৃত্যুর সাথে সাথে লাশে পচন ধরলো, পেট ধারণ করলো বিরাট আকৃতি। বরফের বিছানায় রেখেও তা থামানো যাচ্ছিলো না। ছবিতে আপনারা নিজেরাই এ অলৌকিক বিষয়টি দেখতে পাচ্ছেন, লাশ রাখা হয়েছে বরফের বিছানার উপর, দেওয়া হচ্ছে বাতাস। তারপরও মানুষ পচা গন্ধের নাকে আঙ্গুল দিয়ে রেখেছে। আবু লাহাব যেমন পচে গলে মরেছে তেমনি এই খবিস মরেছে। যারা ঈদে মিলাদুন্নবির বিরোধীতা করবে তারাও আবু লাহাবের ন্যায় পচে গলে মরবে ।

https://goo.gl/H3z3yu
বিস্তারিত

ক্রুসেডারদের বিরুদ্ধে বীরযোদ্ধা হযরত সালাউদ্দিন আইয়বী রহমতুল্লাহি আলাইাহি’র বিজয় লাভের রহস্য

ক্রুসেডারদের বিরুদ্ধে বীরযোদ্ধা হযরত সালাউদ্দিন আইয়বী রহমতুল্লাহি আলাইাহি’র বিজয় লাভের রহস্য
আপনি কি জানেন ?
ক্রুসেডারদের বিরুদ্ধে বীরযোদ্ধা হযরত সা্লাউদ্দিন আইয়ুবী রহমতুল্লাহি’র জয়লাভের মূল কারণ ছিলো ঈদে মীলাদুন নবী পালন ?
সাহাবীগণ ঈদে মীলাদুন নবী পালন করতেন (তথ্যসূত্র)
ইমাম মুজতাহিদগণ ঈদে মীলাদুন নবী পালন করতেন (তথ্যসূত্র)
এবং মুসলিম মিল্লাতে ঈদে মীলাদুন নবী পালন হয়ে আসছিলো (তথ্যসূত্র)
কিন্তু এ অনুষ্ঠানগুলো উনারা করতেন প্রত্যেকে আলাদাভাবে, পারিবারিকভাবে কিংবা জামাতবদ্ধ হয়ে। কিন্তু খিলাফত বা সালতানাতের পক্ষ থেকে আয়োজন করা হতো না। অথচ বর্তমানে প্রায় প্রত্যেক মুসলিম দেশেই ঈদে মীলাদুন নবী সরকারিভাবে চালু আছে। এই চালুর বিষয়টি কিভাবে হলো ?? আসুন ইতিহাসটা জেনে নেই
বিস্তারিত

বেপর্দা,বেহায়াপনা আলেম নামধারী জালেমরাই ঈদে মিলাদুননবীর বিরোধীতা করে!

বেপর্দা,বেহায়াপনা আলেম নামধারী জালেমরাই ঈদে মিলাদুননবীর বিরোধীতা করে!
সুরা নুর, সুরা নিসা, সুরা আহযাব,সুরা মুনতাহিনায় মহান আল্লাহ পাক পর্দা ফরজে আইন করেছেন। 
ঈদে মিলাদে হাবিবিকে বিরোধিতাকারী সকল মালানাই সেই পর্দা ফরজ আইন চরমভাবে লঙ্ঘন করে।

১. জামায়াতে ইসলামিঃ  https://goo.gl/nMLXyM
২. ইসলামি ঐক্যজোটঃ  https://goo.gl/5fBGWN, https://goo.gl/cH4Nu7, https://goo.gl/SyXAJA, 
৩. কওমিঃ https://goo.gl/uelNJf , https://goo.gl/OVOk4P
বিস্তারিত

হাপবিত্র ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কি এবং কিভাবে পালন করবেন?

হাপবিত্র ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কি এবং কিভাবে পালন করবেন?
সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ, ঈদে আ’যম, ঈদে আকবর, সকল ঈদের সেরা ঈদ মহাপবিত্র ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উপলক্ষ্যে মহাপবিত্র ১২ই রবীউল আউয়াল শরীফে (আগের দিন মাগরিব থেকে পরের দিন মাগরিব পর্যন্ত)মু’মিন গণের করণীয় আমল সমূহ-
ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কি ?
মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র সুরা দুহা শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন-
وَأَمَّا بِنِعْمَةِ رَبِّكَ فَحَدِّثْ 
অর্থ- মহান আল্লাহ পাক উনার তরফ হতে প্রাপ্ত নেয়ামত মুবারক প্রকাশ করুন, বর্ণনা করুন এবং খুব চর্চা করুন।”
এখন আপনিই বলুন যে, আমাদের জন্য নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার থেকে বড় নিয়ামত মুবারক আর কি হতে পারেন? যা পাওয়ার জন্য আমরা উনার আলোচনা করবো, উনার ছানা-ছিফত করবো এবং চর্চা করবো?
অথচ, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি যে সব থেকে বড় নিয়ামত ও রহমত একথা তো খালিক মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি নিজেই স্পষ্ট করেই বলে দিয়েছেনঃ- 
বিস্তারিত

মহাপবিত্র ১২ই রবীউল আউওয়াল শরীফে উম্মাহর করণীয়

মহাপবিত্র ১২ই রবীউল আউওয়াল শরীফে উম্মাহর করণীয়
সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ খুশির দিন মহাপবিত্র ১২ই রবীউল আউওয়াল শরীফ উনার সারারাত্র মাহফিল শরীফ তথা ফালয়াফরাহু শরীফ পালন করার জন্য মাগরিবের সময় জয়তুন তেল শরীরে মাখিয়ে গোলাপ পানি যুক্ত হাম্মামখানায় গোসল সেরে নিতে হবে। তারপর উত্তমরুপে আতর সহ অন্যান্য সুঘ্রাণযুক্ত সহকারে নিজেকে এবং নিজ পোশাক সুরভিত করে সর্বাগ্রে খুশী প্রকাশ করে মিষ্টান্ন গ্রহণ করতে হবে।

তারপর ময়দানে গিয়ে মাহফিলে উপস্থিত হয়ে সকলে একত্রে মিলাদ শরীফ পাঠ করবেন। তারপর সারাদিন সাইয়্যিদুল আইয়্যাদ শরীফ
বিস্তারিত

পবিত্র ১২ই রবিউল আউয়াল তারিখের আমলগুলো কি ? কি ?

পবিত্র ১২ই রবিউল আউয়াল তারিখের আমলগুলো কি ? কি ?
১) নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মুবারক শানে বাদ মাগরিব (এবছর ইছনাইনিল আযীম শরীফ (সোমবার) দিন সন্ধা থেকে পবিত্র ১২ই রবিউল আউওয়াল শরীফ শুরু) থেকে মাহফিল করবেন, সারারাতব্যাপী উনার প্রশংসা তথা ছানা-ছিফত, দুরুদ শরীফ, মিলাদ শরীফ পাঠ করবেন। উনার জীবনী মুবারক আলোচনা করবেন, তাসবিহ তাহলিল, নামাজ-কালাম-কুরআন শরীফ-তাহাজ্জুদ আদায় করবেন, তওবা ইস্তেগফার করবেন ।
২) যে মুবারক সময় নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি পবিত্র বিলাদত শান মুবারক প্রকাশ করেছেন তথা সুবহে সাদিকের সময় মিলাদ শরীফ, কিয়াম শরীফ, মুনাজাত করবেন।
বিস্তারিত

আপনার পিতা শেখ মুজিব সাহেবের বাস্তবায়নকৃত ঈদে মিলাদে হাবীবি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উপলক্ষে ভাতা বোনাস চালু করুন।

আপনার পিতা শেখ মুজিব সাহেবের বাস্তবায়নকৃত ঈদে মিলাদে হাবীবি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উপলক্ষে ভাতা বোনাস চালু করুন।
**********************প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষন!**********************
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী -----
স্বাধীনতা উত্তর বাংলাদেশে আপনার পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ সাহেব সর্বপ্রথম বিভিন্ন দিকনির্দেশনা ও পৃষ্ঠপোষকতা দিয়ে ঢাকায় ১৯৭৩ ও ১৯৭৪ সালে পবিত্র রবিউল আউওয়াল শরীফ মাসে স্বাধীন বাংলাদেশে সর্ব প্রথম বৃহত্তর আঙ্গিকে পবিত্র ‌ঈদে মিলাদে হাবীবি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মাহফিল উদযাপনের কর্মসূচী গ্রহন করেন।সরকার প্রধান হিসেবে আপনার পিতা বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদ চত্বরে মাহফিলের শুভ উদ্বোধন করেন ।একজন সরকার প্রধান হিসেবে জাতীয়ভাবে পবিত্র ‌ঈদে মিলাদে হাবীবি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মাহফিলের উদ্বোধন উপমহাদেশের ইতিহাসে প্রথম এবং বিরল দৃষ্টান্ত ।
পবিত্র ঈদে মিলাদে হাবীবি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যথাযোগ্য মর্যাদায় পালনের উদ্দেশ্যে আপনার পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান সাহেবই সর্বপ্রথম বাংলাদেশে ঈদে মিলাদে হাবীবি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উপলক্ষে সরকারী ছুটি ঘোষনা করেন।দিবসের পবিত্রতা রক্ষার জন্য তিনি সিনেমা হলে চলচ্চিত্র প্রদর্শন বন্ধ রাখার নির্দেশনা প্রদান করেন ।
বিস্তারিত

১২ রবিউল আউওয়াল কি করবেন ?

আপনি রোজা ও কোরবানীর ঈদে নতুন কাপড় পরেন,
ঘরে আলাদা করে মেহমানদারীর ব্যবস্থা করেন,
ঘরবাড়ি সাজান, মানুষকে দাওয়াত দেন।

তাহলে---
বিস্তারিত

কেন মুসলমান নির্যাতিত হচ্ছেন? কি এর প্রতিকার?

কেন মুসলমান নির্যাতিত হচ্ছেন? কি এর প্রতিকার?
আজকে সারা বিশ্বে মুসলমান সারা বিশ্বে কাফির-মুশরিক কতৃক নির্যাতিত।  সম্প্রতি মায়ানমারে জালিম বৌদ্ধ সন্ত্রাসীরা মুসলমানদের কঠিন নির্যাতন করছে।কিন্তু কেন এমন আযাব ? তার কারন আমরা খুজে দেখিনা ।মুলত যত আযাব-গযব তা মানুষের পাপের কারনেই হয় ।  মহান আল্লাহ  পাক ইরশাদ মুবারক করেন-
১. “‘জমিনে -পানিতে বিপর্যয় ছড়িয়ে পড়েছে মানুষের কৃতকর্মের দরুন। এর দ্বারা আল্লাহ তাদের কিছু কিছু কর্মের শাস্তি আস্বাদন করাতে চান, যাতে তারা (সরল পথে) ফিরে আসে’ (রূম ৩০/৪১)। । 
২.  “আমি কত জনপদ ধ্বংস করেছি এমতাবস্থায় যে, তারা ছিল গোনাহগার। এই সব জনপদ এখন ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে এবং কত কূপ পরিত্যক্ত হয়েছে ও কত সুদৃঢ় প্রাসাদ ধ্বংস হয়েছে”। পবিত্র সুরা হজ্ব শরিফ- আয়াত শরিফ  ৪৫ 
৩. “তোমাদেরকে যেসব বিপদাপদ স্পর্শ করে, সেগুলি তোমাদের কৃতকর্মের ফল। তবে অনেক পাপ আল্লাহ ক্ষমা করে থাকেন’ (শূরা ৪২/৩০)।
বিস্তারিত

পবিত্র সাইয়্যিদুল আইয়াদ শরীফ পালনের কারণেই বাংলাদেশ উন্নতির চরম শিখরে!

পবিত্র সাইয়্যিদুল আইয়াদ শরীফ পালনের কারণেই বাংলাদেশ উন্নতির চরম শিখরে!
বাংলাদেশ কেন খাদ্যে স্বয়ংসম্পুর্ন?
বাংলাদেশ কেন রপ্তানিতে দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে?
বাংলাদেশে কেন জিডিপি লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে?
বাংলাদেশে কেন একের পর এক খনিজ সম্পদ পাওয়া যাচ্ছে?
বাংলাদেশ কেন সব সুচকে এগিয়ে যাচ্ছে?
বাংলাদেশ কেন শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে অভাবনীয় উন্নতি করছে?
বাংলাদেশে কেন শাক সবজি উৎপাদনে স্বয়ংসম্পুর্ন হচ্ছে হচ্ছে?
বাংলাদেশ কেন যেখানে যা কিছুই রোপণ করা হয়না কেন তাই উৎপাদিত হচ্ছে?
বাংলাদেশ কেন বিশ্বের সকল দেশের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হচ্ছে? 

কেন লক্ষ লক্ষ কোটি টাকা চুরি, দুর্নিতি, পাচার করার পরেও দেশ উন্নতির চরম শিখরে অবস্থান করছে?
বিস্তারিত

সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ পালন করা বান্দা-বান্দী ও উম্মতের জন্য ফরয হওয়ার প্রমাণ

সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ পালন করা বান্দা-বান্দী ও উম্মতের জন্য ফরয হওয়ার প্রমাণ

উছুলে ফিক্বাহর সমস্ত কিতাবেই উল্লেখ আছে যে-

الامر للوجوب


অর্থাৎ আদেশসূচক বাক্য দ্বারা সাধারণত ফরয-ওয়াজিব সাব্যস্ত হয়ে থাকে। (উছূলুল বাযদুবী, উছূলুশ শাশী, আল মানার, নূরুল আনওয়ার) যেমন- পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে- اقيموا الصلوة অর্থাৎ “তোমরা নামায আদায় কর।” পবিত্র কুরআন শরীফ উনার এ নির্দেশসূচক বাক্য দ্বারাই নামায ফরয সাব্যস্ত হয়েছে। অনুরূপ পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে- واعفوا اللحى  অর্থাৎ “তোমরা (পুরুষরা) দাড়ি লম্বা কর।” পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার এ নির্দেশসূচক বাক্য দ্বারাই কমপক্ষে এক মুষ্টি পরিমাণ দাড়ি রাখা ফরয-ওয়াজিব সাব্যস্ত হয়েছে। ঠিক একইভাবে পবিত্র ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করা অর্থাৎ ১২ই রবীউল আউওয়াল শরীফ সোমবার শরীফ-এ নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র বিলাদত শরীফ উপলক্ষে ঈদ করা তথা খুশি প্রকাশ করা বান্দা-বান্দী ও উম্মতের জন্য ফরয-ওয়াজিবের অন্তর্ভুক্ত। কেননা এ ব্যাপারেও পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে বহু স্থানে আদেশ-নির্দেশ রয়েছে। যেমন খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি উনার পবিত্র কালাম পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন-
বিস্তারিত

পবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ উনার বিরুদ্ধে যারা ফতওয়া দেয়ার চেষ্টা করে তারা শুধু পথভ্রষ্টই নয়, বরং বদচরিত্রও

পবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ উনার বিরুদ্ধে যারা ফতওয়া দেয়ার চেষ্টা করে তারা শুধু পথভ্রষ্টই নয়, বরং বদচরিত্রও

অনেক বাতিল ফিরক্বার দল বিশেষ করে কওমী-ওহাবীরা পবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ বা পবিত্র ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালনের বিপক্ষে বলতে গিয়ে পবিত্র কুরআন শরীফ-পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার দলিল না দিয়ে বরং পথভ্রষ্ট কওমীদের ‘জামিয়া রহমানিয়া আরাবিয়া’ নামক প্রতিষ্ঠানের ফতওয়া বিভাগের একটি দলিল পেশ করে। অথচ উক্ত প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা ছিলো বাংলার যমীনে এক কুখ্যাত ধর্মব্যবসায়ী তথা উলামায়ে সূ এবং বদচরিত্র। সে ব্যক্তিটি হচ্ছে মালানা আজিজুল হক শায়খুল হদছ। তার কথা ও আমলে মিল নেই, এই কথিত শায়খুল হাদীছ (হদছ) আজিজুল হক ১৯৯৯ সালে পর্দার পক্ষে তার এক বইতে সে নিজেই লিখেছে, “রং বেরংয়ের পোশাক, লিপস্টিক লাগানো, পুরুষের সাথে অবৈধ মেলামেশা, থিয়েটার নাটক করা, সভা-সমিতি করা, রাজনৈতিক আসরে নামা, প্রকাশ্যে সভা-সমিতিতে বক্তৃতা দেয়া আর বেশ্যাবৃত্তি করা সমান কথা। শুধু পেশাদারী বেশ্যা নয় অপেশাদার বেশ্যাবৃত্তি করা।” (আল কোরআনের দৃষ্টিতে মহিলাদের পর্দা, ১৩৪ পৃষ্ঠা)
বিস্তারিত

পৃথিবীর ইতিহাসে নজীরবিহীন অনন্তকালব্যাপী জারীকৃত পবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ উনার বিশেষ শান মুবারক ৬৩ দিনব্যাপী বিশেষ মাহফিল

পৃথিবীর ইতিহাসে নজীরবিহীন অনন্তকালব্যাপী জারীকৃত পবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ উনার বিশেষ শান মুবারক ৬৩ দিনব্যাপী বিশেষ মাহফিল
খ্বলীফাতুল্লাহ, খ্বলীফাতু রসূলিল্লাহ, ইমামুল আইম্মাহ, মুহইউস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আ’যম, আওলাদে রসূল ঢাকা রাজারবাগ শরীফ উনার সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুল উমাম আলাইহিস সালাম উনার কর্তৃক পৃথিবীর ইতিহাসে নজীরবিহীন অনন্তকালব্যাপী জারীকৃত পবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ উনার বিশেষ শান মুবারক ৬৩ দিনব্যাপী আয়োজিত বিশেষ মাহফিলের ১ম ৩০ দিন প্রতিযোগীতা মাহফিল শেষে ২য় ৩০ দিন বিষয়ভিত্তিক ওয়াজ মাহফিল এবং সবশেষে ৩ দিন পবিত্র সামা শরীফ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। রাজারবাগ শরীফ পবিত্র সুন্নতী জামে মসজিদে এসব মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

উল্লেখ্য শাহরুল আ’যম, সাইয়্যিদুল আসইয়াদ পবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ মাসে রাজারবাগ শরীফ সুন্নতি জামে মসজিদে আরো অনেক বিশেষ মাহফিল মুবারক অনুষ্ঠিত হয় এবং প্রতিদিনই বিশেষ তবারুক বিতরণ করা হয়।
বিস্তারিত

অনন্তকালব্যাপী জারিকৃত আযিমুশশান সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ মাহ্ফিল উনার কেন্দ্রস্থল পবিত্র রাজারবাগ শরীফ কতবেশী মকবুল তার কিঞ্চিত প্রমাণ

অনন্তকালব্যাপী জারিকৃত আযিমুশশান সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ মাহ্ফিল উনার কেন্দ্রস্থল পবিত্র রাজারবাগ শরীফ কতবেশী মকবুল তার কিঞ্চিত প্রমাণ

যিনি খলিক যিনি মালিক যিনি রব মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন,

يَا اَيُّهَا النَّاسُ قَدْ جَاءتْكُم مَّوْعِظَةٌ مِّن رَّبّكُمْ وَشِفَاء لّمَا فِى الصُّدُورِ وَهُدًى وَرَحْمَةٌ لّلْمُؤْمِنِينَ قُلْ بِفَضْلِ الله وَبِرَحْمَتِهِ فَبِذَلِكَ فَلْيَفْرَحُواْ هُوَ خَيْرٌ مّمَّا يَجْمَعُوْنَ

অর্থ: “হে মানুষেরা! তোমাদের রব তায়ালা উনার তরফ থেকে তোমাদের নিকট এসেছেন মহাসম্মানিত নছীহতকারী, অন্তরের আরোগ্য দানকারী, হিদায়েত দানকারী এবং মু’মিনদের জন্য রহমত দানকারী। (অতএব হে আমার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) আপনি (উম্মতদেরকে) বলে দিন, মহান আল্লাহ পাক উনার ফদ্বল ও রহমত স্বরূপ আপনাকে যে তারা পেয়েছে, সেজন্য তাদের উচিত খুশি প্রকাশ করা। এই খুশি প্রকাশের আমলটি হবে তাদের সমস্ত নেক আমল অপেক্ষা সর্বোত্তম বা সর্বশ্রেষ্ঠ। (পবিত্র সূরা ইউনুস শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ৫৭-৫৮)

বিস্তারিত

ঈদে মিলাদে শয়তানই বেশি কষ্ট পেয়েছে

ঈদে মিলাদে শয়তানই বেশি কষ্ট পেয়েছে
হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিলাদত শরীফে সব চাইতে বেশি কষ্ট পেয়েছিলো কে জানেন ? সব চাইতে বেশি কষ্ট পেয়েছিলো ইবলিশ শয়তান । সে এতোটাই কষ্ট পেয়েছিল যে, কষ্টে সে রীতিমত কান্না করেছে।
এপ্রসঙ্গে কিতাবে বর্নিত আছে-
ﺃﻥ ﺇﺑﻠﻴﺲ ﺭﻥ ﺃﺭﺑﻊ ﺭﻧﺎﺕ ﺣﻴﻦ ﻟﻌﻦ ﻭﺣﻴﻦ
ﺃﻫﺒﻂ ﻭﺣﻴﻦ ﻭﻟﺪ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ

ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻭﺣﻴﻦ ﺃﻧﺰﻟﺖ ﺍﻟﻔﺎﺗﺤﺔ
বিস্তারিত

সহীহ হাদীস শরীফ দ্বারা প্রমানিত ১২ ই রবিউল আউয়াল সোমবার হচ্ছে ঈদে মীলাদুন্নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম

সহীহ হাদীস শরীফ দ্বারা প্রমানিত ১২ ই রবিউল আউয়াল সোমবার হচ্ছে ঈদে মীলাদুন্নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
ধর্মব্যবসায়ী, মুনাফিক,ভন্ড,শ্রেনীর কিছু লোক  মানুষকে ধোঁকা দেওয়ার জন্য বলে থাকে নবীজী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিলাদত শরীফ উনার তারিখ নিয়ে মতভেদ আছে। তাই মতভেদ যুক্ত বিষয়ে আমল করা যাবে না অর্থাৎ ঈদে মীলাদুন্নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করা যাবে না । নাউযুবিল্লাহ !!

আসলে এই বাতিল ফির্কাগুলা মুনাফিক হএয়ার কারনে সত্য বিষয় গোপন করে। দেখুন সহীহ হাদীস শরীফে হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিলাদত শরীফের তারিখ,বার, মাস সবই বর্ণনা করা আছে ।
হাফিজে হাদীস হযরত আবু বকর ইবনে আবী শায়বা রহমাতুল্লাহি আলাইহি যেটা বিশুদ্ধ সনদে হাদীস শরীফে বর্ননা করেন-
বিস্তারিত

হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে পাওয়ার কারনে খুশি প্রকাশ করা আল্লাহ পাকের আদেশ

হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে পাওয়ার কারনে খুশি প্রকাশ করা আল্লাহ পাকের আদেশ

হাবীবুল্লাহ, হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হচ্ছেন আল্লাহ পাক উনার রহমত। আর উনাকে পাওয়ার কারনে ঈদ বা খুশি প্রকাশ করা আল্লাহ পাকের আদেশ।
মহান আল্লাহ পাক ইরশাদ মুবারক করেন, হে আমার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ! আমি আপনাকে সমগ্র জগতের জন্য রহমত স্বরূপ প্রেরন করেছি। (সূরা আম্বিয়া ১০৭)
সমগ্র জগতে রহমত হচ্ছেন নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। উনাকে রহমত হিসাবে প্রেরন করা হয়েছে। আর মহান আল্লাহ পাক আরো ইরশাদ মুবারক করেন,
ثُمَّتَوَلَّيْتُممِّنبَعْدِذَٰلِكَۖفَلَوْلَافَضْلُاللَّـهِعَلَيْكُمْوَرَحْمَتُهُلَكُنتُممِّنَالْخَاسِرِينَ﴿٦٤﴾তারপরেও তোমরা তা থেকে ফিরে গেছ। কাজেই আল্লাহর অনুগ্রহ ও রহমত যদি তোমাদের উপর না থাকত, তবে অবশ্যই তোমরা ধবংস হয়ে যেতে। (সূরা বাক্বারা শরীফ ৬৪ ) 
বিস্তারিত

৫৬)হাজার বছরের ওলী আল্লাহ মুজাদ্দিদে আলফেসানী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি পবিত্র মীলাদ শরীফের পক্ষে লিখেছেন।

৫৬)হাজার বছরের ওলী আল্লাহ মুজাদ্দিদে আলফেসানী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি পবিত্র মীলাদ শরীফের পক্ষে লিখেছেন।

আজ হিজরী সনের ২৮ ছফর। আজ থেকে ৪০৪ বছর আগে ১০৩৪ হিজরী সনে পৃথিবী বিখ্যাত ওলী আল্লাহ হযরত আহমদ ফারুক সিরহিন্দ মুজাদ্দিদে আলফে সানী রহমতুল্লাহি আলাইহি বিছাল শরীফ লাভ করেন। উনি এমন পর্যায়ের ওলী আল্লাহ ছিলেন যে উনার সম্পর্কে পবিত্র হাদীস শরীফে বর্ণিত আছে , যা ইমাম জালালুদ্দীন সুয়ুতি রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার জামিউল জাওয়াম ও জামিউল আহাদীস কিতাবে উল্লেখ করেন,
يُبْعَثُ رَجُلٌ عَلـٰى اَحَدَ عَشَرَ مِائَةِ سَنَةٍ وَهُوَ نُوْرٌ عَظِيْمٌ اِسْـمُه اِسْـمِىْ بَيْنَ السُّلْطَانَيْنِ الْـجَابِرَيْنِ يَدْخُلُ الْـجَنَّةَ بِشَفَاعَتِهٖ رِجَالٌ اُلُوْفًا.
বিস্তারিত

যাদের অন্তরে হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি মুহব্বত আছে তাদের পক্ষেই শুধুমাত্র পবিত্র সাইয়্যিদুল আইয়াদ শরীফ পালন করা সম্ভব

যাদের অন্তরে হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি মুহব্বত আছে তাদের পক্ষেই শুধুমাত্র পবিত্র সাইয়্যিদুল আইয়াদ শরীফ পালন করা সম্ভব

যাদের অন্তরে হাবীবুল্লাহ হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি মুহব্বত আছে তাদের পক্ষেই শুধুমাত্র পবিত্র সাইয়্যিদুল আইয়াদ শরীফ বা নবীজীর আগমন উপলক্ষে খুশি প্রকাশ করা সম্ভব। আল্লাহ পাক বলেন, 
النَّبِيُّأَوْلَىٰبِالْمُؤْمِنِينَمِنْأَنفُسِهِمْ
অর্থ: হযরত নবী করীম ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মুমিনদের নিকট তাদের নিজেদের জীবন অপেক্ষা অধিক নিকটবর্তী (সূরা আহযাব ৬)
আল্লাহ পাক কুরআন শরীফে ইরশাদ করেন,
“মদীনাবাসী ও পাশ্ববর্তী পল্লীবাসীদের উচিত নয় রসূলুল্লাহর সঙ্গ ত্যাগ করে পেছনে থেকে যাওয়া এবং রসূলের প্রাণ থেকে নিজেদের প্রাণকে অধিক প্রিয় মনে করা।” (সূরা তওবা ১২০)
হাদীস শরীফে এরশাদ হয়েছে-
বিস্তারিত

ঈদ হলে কি রোযা রাখা যাবেনা? নামাজ-খুতবা পড়তে হবে?

ঈদ হলে কি রোযা রাখা যাবেনা? নামাজ-খুতবা পড়তে হবে?
অনেক জাহেল বলে থাকে ঈদে মিলাদুননবী ঈদ হলে ঈদের দিন কি রোযা রাখা যায়?  এ দিন ঈদ হলে ঈদুল ফিতর ঈদুল আযহার মত নামাজ খুতবা নাই কেন?
বাতিল ফিরকার দল এবং গোমরাহ মুসলমান এ ধরনের অবান্তর প্রশ্ন করে দ্বীন ইসলাম সম্পর্কে তার অজ্ঞতাকেই জাহির করে।নিন্মের দুটি উদাহরন দিলে বিষয়টি পরিষ্কার হবে।

ক) জুমুয়ার দিন ঈদের দিন - 
১. "জুম’আর দিন হল সাপ্তাহিক ঈদের দিন।" [ইবনে মাজাহঃ ১০৯৮]
২. "জুম’আর দিনটি ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহার দিনের চেয়েও শ্রেষ্ঠ দিন। এ দিনটি আল্লাহর কাছে অতি মর্যাদা সম্পন্ন।"
[মুসনাদে আহমদঃ৩/৪৩০; ইবন মাজাহঃ১০৮৪]
৩. এ জুমুয়ার দিন হচ্ছে এমন একটি দিন, যেদিনকে আল্লাহ পাক ঈদের দিন সাব্যস্ত করেছেন!"
[সুনানে ইবনে মাজাহ শরীফ; মুসনাদে আহমদ শরীফ; মিশকাত শরীফ - জুমুয়ার অধ্যায়]

*জুমুআর ঈদের দিনে রোযা রাখা হারাম নয় বরং অশেষ ফযীলতের কারণ।
*আবার রোজার সময়ে জুমুয়া বার ও রোজা রাখতে হয়।
আর এ ঈদের আমলের মধ্যে কুরবানী কিংবা ছদক্বাতুল ফিতর কোনটিই নেই। বরং জুমুআর দিনে যুহরের নামাযের পরিবর্তে কেবলমাত্র পুরুষ, বালিগ, সুস্থ, মুক্বীম ব্যক্তির জন্য মসজিদে গিয়ে খুতবাসহ নামায আদায় করতে হয়। আর মহিলাদের জন্য জুমুআর দিনে আলাদা কোন ছলাতও নেই, আবার খুতবাও নেই।

খ) আরাফার দিন ঈদের দিন- 
সহীহ হাদীস শরীফের মধ্যে উল্লেখ হয়েছে,
হযরত নবী করীম ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ মুবারক করেন, আরাফার দিন, নহর বা কুরবানীর দিন এবং আইয়্যামে তাশরীক (অর্থ্যাৎ ১১, ১২ ও ১৩ ই জিলহজ্জ) আমাদের মুসলমানদের জন্য ঈদের দিন।
দলীল:
নাসাঈ শরীফ কিতাবুল হজ্জ : হাদীস নম্বার ৩০০৪,
আবু দাউদ – কিতাবুছ সিয়াম : হাদীস ২৪১৯,
তিরমিযী শরীফ- কিতাবুছ ছিয়াম: হাদীস ৭৭৩)

এ দিনে রোজা পালন করা প্রসঙ্গে হাদিসে এসেছে—
সাহাবি আবু কাতাদাহ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু থেকে বর্ণিত রাসূলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন : ‘আরাফার দিনের রোজা আল্লাহ রাব্বুল আলামিন বিগত ও আগত বছরের গুনাহের কাফ্ফারা হিসেবে গ্রহণ করে থাকেন।’ (মুসলিম ১১৬৩ )

আরাফা’র দিনে শুধুমাত্র যারা হজ্জে যেয়ে থাকেন তাদের জন্য ৯ই যিলহজ্জ আরাফা’র ময়দানে অবস্থান করাটা ফরযের অন্তর্ভুক্ত। আর শুধুমাত্র হাজীগণের জন্য আরাফা’র ময়দানে যুহর ও আছর নামায পড়তে হয়। ঈদের দিন হওয়া সত্ত্বেও আরাফা’র ময়দানে আলাদা কোন ছলাত নেই। আর খুতবা শুধুমাত্র হাজীগণের জন্যই। হাজীগণ ব্যতীত দুনিয়ার কোন মুসলমানের জন্য হোক সে পুরুষ অথবা মহিলা আরাফা’র দিন ঈদের দিন হওয়া সত্ত্বেও আলাদা কোন ছলাতও নেই, খুতবাও নেই। আর অন্যান্যদের জন্য আরাফা’র দিন রোযা রাখা খাছ সুন্নত এবং অশেষ ফযীলতের কারণ।

স্মরণীয় যে, সব ঈদের হুকুম এক রকম নয়। যেমন ঈদুল ফিতরের বিশেষ আমল হলো ঈদের নামাযের পূর্বে ছদকাতুল ফিতর আদায় করা। আর ঈদুল আযহার বিশেষ আমল হলো ঈদের নামাযের পরে পশু কুরবানী করা। যার প্রত্যেকটি ওয়াজিব। এ দু’ঈদে কিন্তু রোযা রাখা হারাম।
যারা না বুঝে ঈদে মিলাদুননবীকে অস্বীকার করে তারা চরম স্তরের জাহিল।

বিস্তারিত

আরাফার দিন ঈদের দিন

আরাফার দিন ঈদের দিন
সহীহ হাদীস শরীফের মধ্যে উল্লেখ হয়েছে,
হযরত নবী করীম ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ মুবারক করেন, আরাফার দিন, নহর বা কুরবানীর দিন এবং আইয়্যামে তাশরীক (অর্থ্যাৎ ১১, ১২ ও ১৩ ই জিলহজ্জ) আমাদের মুসলমানদের জন্য ঈদের দিন।
দলীল:
নাসাঈ শরীফ কিতাবুল হজ্জ : হাদীস নম্বার ৩০০৪,
আবু দাউদ – কিতাবুছ সিয়াম : হাদীস ২৪১৯,
তিরমিযী শরীফ- কিতাবুছ ছিয়াম: হাদীস ৭৭৩)
বিস্তারিত

ঈদে মীলাদুন নবীতে ছলাত, খুতবা নেই কেন? অবান্তর প্রশ্নের জবাব-

ঈদে মীলাদুন নবীতে ছলাত, খুতবা নেই কেন? অবান্তর প্রশ্নের জবাব-
ঈদে মীলাদুন নবী’ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যদি ঈদ হতো এবং সকল ঈদের সেরা ঈদ হতো, তবে এখানে ছলাত থাকতো, খুতবা থাকতো। এর জবাব- 

ধর্মব্যবসায়ী, আশাদ্দুদ দরজার জাহিল উলামায়ে সূ’রা বিভিন্ন পত্র-পত্রিকা এবং টিভি চ্যানেলে বলেছে, ‘ঈদে মীলাদুন নবী’ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যদি ঈদ হতো এবং সকল ঈদের সেরা ঈদ হতো, তবে এখানে ছলাত থাকতো, খুতবা থাকতো। ছলাত ডবল হতো, খুতবা ডবল হতো। কিন্তু এখানে ছলাত, খুতবা নেই।’ নাঊযুবিল্লাহ!

এর জাওয়াব হলো:- পবিত্র ঈদে মীলাদুন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যেহেতু সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ অর্থাৎ সকল ঈদের সেরা ঈদ সেহেতু এ ঈদে এমন ছলাত রয়েছে যেই ছলাত শুধু ডবলই নয় বরং দায়িমী ছলাত। এ ছলাত শুরু হয়েছে সৃষ্টির শুরু থেকে এবং এটা জারী থাকবে অনন্তকাল ধরে। কারণ এ ছলাত স্বয়ং আল্লাহ পাক পড়েন। সুবহানাল্লাহ!
বিস্তারিত

দুই ঈদ নয়, আরো ঈদ আছে

দুই ঈদ নয়, আরো ঈদ আছে

হাদীস শরীফে উল্লেখ আছে, 
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ وُهَيْبٍ الْغَزِّيُّ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ أَحْمَدَ بْنِ أَبِي السَّرِيِّ الْعَسْقَلانِيُّ، حَدَّثَنَا بَقِيَّةُ بْنُ الْوَلِيدِ، حَدَّثَنَا عُمَرُ بْنُ رَاشِدٍ الْيَمَامِيُّ، حَدَّثَنَا أَبُو كَثِيرٍ يَزِيدُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَآلِهِ وَسَلَّمَ: " زَيِّنُوا أَعْيَادَكُمْ بِالتَّكْبِيرِ
অর্থ: তোমরা তোমাদের ঈদগুলোকে তাকবীর ধ্বণী দ্বারা সৌন্দর্য্যন্ডিত কর (দলীল: মুজামুল আওছাত তাবরানী ৪৫০৯)
বিস্তারিত

হযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি নিজেই নিজের ছানা-ছিফত ও প্রশংসা মুবারক করেন

 হযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি নিজেই নিজের ছানা-ছিফত ও প্রশংসা মুবারক করেন
 হযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি নিজেই নিজের ছানা-ছিফত ও প্রশংসা মুবারক করে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করেছেন-এ বিষয়ে সুস্পষ্ট দলীল।
দেশের সকল মাদ্রাসাসমূহে পঠিত হাদীছ শরীফ-এর বিখ্যাত ও নির্ভরযোগ্য কিতাব “মিশকাতুল মাছাবীহ”-এর ৫১৩ পৃষ্ঠায় “ফাদ্বায়িলু সাইয়্যিদিল মুরসালীন” নামক অধ্যায়ে উল্লেখ আছে,
عن العرباض بن سارية عن رسول الله صلى الله عليه وسلم- انه قال انى عند الله مكتوب خاتم النبيين وان ادم لمنجدل فى طينة وساخبركم باول امرى دعوة ابراهيم وبشارة عيسى ورؤيا امى التى رأت حين وضعتنى وقد خرج لها نور اضاء لها منه قصور الشام-
অর্থঃ- “হযরত ইরবাজ ইবনে সারিয়া রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু হতে বর্ণিত, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন- হযরত আদম আলাইহিস সালাম উনার খামীর যখন (দেহ মুবারক তৈরির জন্য) প্রস্তুত হচ্ছিল তখনও আমি মহান আল্লাহ পাক উনার নিকট “খতামুন নাবিয়্যীন” অর্থাৎ “শেষ নবী” হিসেবে লিখিত ছিলাম।
এখন আমি তোমাদেরকে আমার পূর্বের কিছু কথা জানাব। তা হলো, আমি হযরত ইব্রাহীম আলাইহিস সালাম উনার দোয়া, আমি হযরত ঈসা আলাইহিস সালাম উনার সুসংবাদ ও আমি আমার মাতার সুস্বপ মুবারক। আমার বিলাদত বা জন্মের সময় আমার মাতা দেখতে পান যে, একখানা “নূর মুবারক” বের হয়ে শাম দেশের রাজপ্রাসাদ বা দালান-কোঠাসমূহ আলোকিত করে ফেলেছে।”
দলীলসমূহ:
* ছহীহ ইবনে হিব্বান: হাদীছ শরীফ নং ৬৪০৪,
* মুসতাদরিকে হাকীম: হাদীছ শরীফ নং ৩৬২৩,
* সিয়ারু আলামীন আননুবুলা পৃষ্ঠা ৪৬,
* মুসনাদে তয়লাসী: হাদীছ শরীফ নং ১২৩৬,
* মুসনাদে বাযযার ৪১৯৯,
* দালায়িলুন নুবুওওয়াত-১ম খন্ডের ৮৩ পৃষ্ঠা ,
* শুয়াবুল ঈমান-২য় খন্ড, ১৩৪ পৃষ্ঠা,
* শরহুস সুন্নাহ
* মুসনাদে আহমাদ

বিস্তারিত

প্রসিদ্ধ আওলিয়ায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিমগণের দৃষ্টিতে পবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ উনার গুরুত্ব ও ফযীলত

প্রসিদ্ধ আওলিয়ায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিমগণের দৃষ্টিতে পবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ উনার গুরুত্ব ও ফযীলত

১. হযরত ইমাম হাসান বসরী রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেন –
“আমার একান্ত ইচ্ছা হয় যে, আমার যদি ওহুদ পাহাড় পরিমান স্বর্ণ থাকত তাহলে তা ঈদে মীলাদুন্নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উপলক্ষ্যে ব্যয় করতাম। (সুবহানাল্লাহ্) (আন্ নেয়ামাতুল কুবরা)

২. হযরত ইমাম শাফেয়ী রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেন –
“যে ব্যক্তি মীলাদ শরীফ পাঠ বা মীলাদুন্নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উদযাপন উপলক্ষ্যে লোকজন একত্রিত করলো এবং খাদ্য তৈরি করলো ও জায়গা নির্দিষ্ট করলো এবং মীলাদ পাঠের জন্য উত্তম ভাবে (তথা সুন্নাহ ভিত্তিক) আমল করলো তাহলে উক্ত ব্যক্তিকে আল্লাহ পাক হাশরের দিন সিদ্দীক শহীদ, সালেহীনগণের সাথে উঠাবেন এবং তাঁর ঠিকানা হবে জান্নাতে নাঈমে ।” (সুবহানাল্লাহ্) (আন্ নেয়ামাতুল কুবরা)
বিস্তারিত

পবিত্র সাইয়্যিদুল আইয়াদ পালন করা খাস সুন্নত এর অন্তর্ভুক্ত

পবিত্র সাইয়্যিদুল আইয়াদ পালন করা খাস সুন্নত এর অন্তর্ভুক্ত

মীলাদ শরীফ পাঠ করা অথবা ঈদে মীলাদুননবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করা এটা খাস সুন্নত এর অন্তর্ভুক্ত।
হাদীস শরীফে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-

عن العرباض بن سارية رضي الله عنه قال قال رسول صلي الله عليه و سلم عليكم بسنتي و سنة الخلفاء الراشدين المهدين تمسكوا بها و عضوا عليها بالنواجذ

অর্থ : হযরত ইরবায ইবনে সারিয়া রদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্নিত, হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ মুবারক করেন, তোমাদের জন্য আমার সুন্নত এবং আমার খুলাফায়ে রাশেদীন রদ্বিয়াল্লাহু আনহুন উনাদের সুন্নত অবশ্যই পালনীয়। তোমরা তা মাড়ির দাঁত দিয়ে শক্তভাবে আঁকড়ে ধরো।”
বিস্তারিত

সর্বশ্রেষ্ঠ তাজদীদ কে জারী করলেন?কি উনার পরিচয় ?

সর্বশ্রেষ্ঠ তাজদীদ কে জারী করলেন?কি উনার পরিচয় ?
কুল-কায়িনাতের সর্বশ্রেষ্ট ইবাদত মহাপবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ হচ্ছেন ‘নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত বিলাদত শরীফ উনার দিবস উপলক্ষে খুশি প্রকাশ করা এবং তাসবীহ-তাহলীল মুবারক পাঠ করা, উনার পূত-পবিত্র সম্মানিত জীবনী মুবারক উনার সামগ্রিক বিষয়ে আলোচনা করা।’ সুবহানাল্লাহ! আর সাইয়্যিদে ঈদে আ’যম, সাইয়্যিদে ঈদে আকবর মহাপবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ যেহেতু সমস্ত উম্মত, সমস্ত জিন-ইনসান, সমস্ত মাখলূকাত, সমস্ত কায়িনাতবাসীর জন্য ‘সর্বশ্রেষ্ঠ ঈদ’ তাই যামানার লক্ষ্যস্থল ওলীআল্লাহ, যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, ইমামুল আ’ইম্মাহ, মুহ্‌ইস সুন্নাহ্‌, ক্বাইয়্যুমুয্‌ যামান, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আ’যম, গাউছুল আ’যম, সাইয়্যিদুল আউলিয়া, হাবীবুল্লাহ্‌, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফের মামদুহ্‌ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি এই মহাসম্মানিত সাইয়্যিদে ঈদে আ’যম, সাইয়্যিদে ঈদে আকবর পবিত্র ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নামকরণ মুবারক করেছেন, ‘সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ’ হিসেবে। সুবহানাল্লাহ!
পরিচয় মুবারক
পঞ্চদশ শতকের যিনি মুজাদ্দিদ এবং যিনি মুজাদ্দিদে আ’যম ওনার মোবারক পরিচয়, আগমনের প্রেক্ষাপট, কারণ ও তাজদীদের ব্যাপ্তির সংক্ষিপ্ত বিবরণ
বিস্তারিত

পবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ উনার পরিচয়

পবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ উনার পরিচয়

সমস্ত ছলাত ও সালাম নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ , হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি। যিনি সমগ্র কায়িনাতের মূল বা উৎস। উনার মুবারক শানে মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন,

ورفعنا لك ذكرك.

অর্থ: “আমি আপনার সুমহান মর্যাদাকে বুলন্দ করেছি।” (পবিত্র সূরা ইনশিরাহ)

এ পবিত্র আয়াত শরীফ-এ মহান আল্লাহ পাক তিনি উনার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মর্যাদা বুলন্দির কোনো সীমা নির্ধারণ করেননি। কাজেই কোন মাখলূকাতের জন্যই সাইয়্যিদুল আম্বিয়া ওয়াল মুরসালীন নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মর্যাদা মর্তবার সীমা নির্ধারণ করা তো জায়িয হবেই না। বরং মর্যাদা-মর্তবার সীমা নির্ধারণের চিন্তা করাটাও কুফরীর অন্তর্ভুক্ত।
বিস্তারিত

সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মুবারক তাজদীদ

সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মুবারক তাজদীদ
সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মুজাদ্দিদ, মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার মুবারক তাজদীদ
আন নাযীরু, আন নাজমুছ ছাক্বিবু, আন নূরুম মুজাসসামু, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিলাদত শরীফ উনার দিনই হচ্ছে সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ, সাইয়্যিদু ঈদে আ’যম, সাইয়্যিদু ঈদে আকবর এবং তা পালন করা জিন-ইনসান তো অবশ্যই বরং কুল-কায়িনাতের জন্য ফরয আর
এই মুবারক তাজদীদই হচ্ছে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মুবারক তাজদীদ

محمد رسول الله
অর্থ: “নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ সাইয়্যিদুল মুরসালীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল।” (পবিত্র সূরা ফাতহ : পবিত্র আয়াত শরীফ ২৯)
মহান আল্লাহ পাক তিনি অন্যত্র ইরশাদ মুবারক ফরমান,
বিস্তারিত

সর্বশ্রেষ্ঠ বেমাছাল তাজদীদ সাইয়্যিদুল আইয়াদ শরীফ পালন সর্বত্তম ইবাদত।


জামানার লক্ষ্যস্থল ওলীআল্লাহ, জামানার ইমাম ও মুজতাহিদ,মুজাদ্দিদে আ’যম,গাউসুল আযম,ইমামুল আইম্মাহ,মুহিউস সুন্নাহ,হাকিমুল হাদিস,সাইয়্যিদুল খুলাফা,সাইয়্যিদুনা আস সাফফাহ আলাইহিছ ছলাতু ওয়াস সালাম উনার সর্বকালের,সর্বযুগের, সর্বশ্রেষ্ঠ, অভূতপূর্ব, বেমেছাল,সুমহান তাজদীদ মুবারক ‘হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারা ২৪ ঘণ্টা তথা দায়িমীভাবে সারা জীবন সম্মানিত সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করেছেন,আর এই সাইয়্যিদুল আইয়াদ শরীফ পালন করাই হচ্ছে সর্বশ্রেষ্ঠ আমল সুবহানাল্লাহ!!! 
বিস্তারিত

ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উপলক্ষে খরচ করার ফযীলত

ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উপলক্ষে খরচ করার ফযীলত
সাধারণভাবে খরচ করার ফযীলত
সাধারণভাবে দান করার ফযীলত সম্পকে মহান আল্লাহ পাক তিনি কুরআন শরীফে ইরশাদ মুবারক করেন :-
مَنْ جَاءَ بِالْحَسَنَةِ فَلَهُ عَشْرُ أمْثَالِهَا –
(অর্থ : যে ব্যক্তি একটি নেকী করবে তাকে এর বিনিময়ে কমপক্ষে দশটি ছওয়াব দেয়া হবে। (সুরা আনয়াম-১৬০) অর্থাৎ আমভাবে এক টাকা দান করলে দশ টাকার ফযীলত পাওয়া যায় ।

মহান আল্লাহ পাক উনার রাস্তায় খরচ করার ফযীলত
মহান আল্লাহ পাক উনার রাস্তায় উনার জন্য খরচ করার ফযীলত সম্পর্কে তিনি কুরআন শরীফে ইরশাদ মুবারক করেন :-
مثل الذين ينفقون أموالهم فى سبيل الله كمثل حبة أنبتت سبع سنابل فى كل سنبلة مئة حبة –
والله يضاعف لمن يشاء والله واسع عليم –
বিস্তারিত

বৈশাখী পূজা নয়, ঈদে মিলাদে হাবীবি উপলক্ষে ভাতা বোনাস চাই

বৈশাখী পূজা নয়, ঈদে মিলাদে হাবীবি উপলক্ষে ভাতা বোনাস চাই
৯৮ ভাগ মুসলমান অধ্যুষিত দেশে হিন্দুয়ানী পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে নয়, বরং ‘১২ই রবীউল আউওয়াল শরীফ উপলক্ষে বোনাস’ দিতে হবে।
সম্প্রতি (১৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৫ ) খবরে এসেছে পহেলা বৈশাখে ‘বাংলা নববর্ষ ভাতা’ নামে একটি উৎসব ভাতা চালু করতে যাচ্ছে সরকার। সরকারি চাকরিজীবীদেরকে তাদের মূল বেতনের ২০ শতাংশ হিসেবে এই বোনাস দেয়া হবে। (সূত্র: দৈনিক সকালের খবর, ১০.০৯.২০১৫)
বিস্তারিত

বৈশাখী পূজা নয়, ঈদে মিলাদে হাবীবি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামই একমাত্র সার্বজননীন উৎসব।

বৈশাখী পূজা নয়, ঈদে মিলাদে হাবীবি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামই একমাত্র সার্বজননীন উৎসব।
সবাই বলে পহেলা বৈশাখ একটা সার্বজনীন উৎসব। ধর্ম যার যার আর উৎসব সবার। তাদের যুক্তি কতটূকু ঠিক। এমন উৎসব কি আমরা পালন করতে পারি যা আমাদের ধর্মের বিরুদ্ধে যায়? এমন উৎসব আমরা পালন করতে পারি না যা আমাদের ইসলাম ধর্মের বিরুদ্ধে যায়।

আধুনিক নববর্ষ উদযাপনের খবর প্রথম পাওয়া যায় ১৯১৭ সালে। প্রথম বিশ্বযুদ্ধে ব্রিটিশদের বিজয় কামনা করে সে বছর পহেলা বৈশাখে হোম কীর্তন ও পূজার ব্যবস্থা করা হয়। এরপর ১৯৩৮ সালেও অনুরূপ কর্মকান্ডের উল্লেখ পাওযা যায়।
বিস্তারিত

অনন্তকালব্যাপী পবিত্র সাইয়্যিদুল আইয়াদ পালন প্রসঙ্গে

অনন্তকালব্যাপী পবিত্র সাইয়্যিদুল আইয়াদ পালন প্রসঙ্গে
সর্বকালের, সর্বযুগের, সর্বশ্রেষ্ঠ, অভূতপূর্ব, বেমেছাল, সুমহান তাজদীদ মুবারক ‘হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারা ২৪ ঘণ্টা তথা দায়িমীভাবে সারা জীবন সম্মানিত সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করেছেন এবং পৃথিবীর ইতিহাসে এই প্রথম আনুষ্ঠানিকভাবে সারা বছর তথা আজীবনব্যাপী সম্মানিত সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ উনার সম্মানিত মাহফিল মুবারক উনার ইন্তিযাম।

عِيْدُ مِيْلَادِ النَّبِىّ ِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ (ঈদু মীলাদিন নাবিইয়্যি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) উনার আভিধানিক অর্থ মুবারক হচ্ছে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত বিলাদত শরীফ উনার দিবস উপলক্ষে খুশি প্রকাশ করা। আর পারিভাষিক অর্থে- عِيْدُ مِيْلَادِ النَّبِىّ ِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ (‘ঈদু মীলাদিন নাবিইয়্যি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম’) হচ্ছেন, ‘সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত বিলাদত শরীফ উনার দিবস উপলক্ষে খুশি প্রকাশ করা, ঈদ পালন করা, উনার সম্মানিত ছানা-ছিফত মুবারক করা, উনার সম্মানিত শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী-সম্মান মুবারক আলোচনা করা, উনার প্রতি সম্মানিত ছলাত শরীফ ও সালাম মুবারক পেশ করা এবং তাসবীহ-তাহলীল মুবারক পাঠ করা, উনার পূত-পবিত্র সম্মানিত জীবনী মুবারক উনার সামগ্রিক বিষয়ে আলোচনা করা।’ সুবহানাল্লাহ!
বিস্তারিত

সমগ্র পৃথিবীতে পবিত্র ঈদে মীলাদুন্নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম জাতীয় ভাবে পালন হতো তার প্রমাণ

সমগ্র পৃথিবীতে পবিত্র ঈদে মীলাদুন্নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম জাতীয় ভাবে পালন হতো তার প্রমাণ

 সমগ্র বিশ্বে এক নামে স্বীকৃত একজন মুহাদ্দিস হচ্ছেন হযরত মোল্লা আলী ক্বারী রহমাতুল্লাহি আলাইহি। আজ থেকে পাঁচশত বছর পূর্বে উনার জন্ম। তিনি ইলমে হাদীসের জ্ঞান অর্জন করতে মক্কা শরীফ শরীফ মদীনা শরীফ সব স্থানে ভ্রমন করেন। সকল মাদ্রাসায় পঠিত এবং সকল উছুলে হাদীস শরীফের কিতাবে উনার নাম স্ব মহিমায় উজ্জ্বল দীপ্তি ছড়াচ্ছে। তাঁর রচিত মেশকাত শরীফ এর ব্যাখ্যা গ্রন্থ “মেরক্বাত শরীফ” সারা পৃথিবীতে একটি আলোড়ন সৃষ্টি কারী কিতাব। তিনি সারাটা জীবন অসংখ্য কিতাব রচনা করে মুসলিম জাহানের জন্য এক বিশাল নিয়ামত রেখে গিয়েছেন। 
বিস্তারিত

সাহাবায়ে কিরাম রাদ্বিয়াল্লাহু তায়লা আনহুমগণ ২৪ ঘন্টাই ঈদে মীলাদুন্নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করতেন।

সাহাবায়ে কিরাম রাদ্বিয়াল্লাহু তায়লা আনহুমগণ ২৪ ঘন্টাই ঈদে মীলাদুন্নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করতেন।


নিচের হাদীছ শরীফ দ্বারা তা প্রমানিত -
عَنْ حَضْرَتْ أُبَىّ ِ بْنِ كَعْبٍ رَضِىَ اللهُ تَعَالى عَنْهُ قَالَ: قُلْتُ: يَا رَسُوْلَ اللهِ
صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اِنّـِىْ أُكْثِرُ الصَّلَاةَ عَلَيْكَ فَكَمْ أَجْعَلُ لَكَ مِنْ صَلَاتِىْ؟ فَقَالَ: «مَا شِئْتَ» قُلْتُ: الرُّبُعَ؟ قَالَ: «مَا شِئْتَ فَاِنْ زِدْتَ فَهُوَ خَيْرٌ لَّكَ» . قُلْتُ: النّـِصْفَ؟ قَالَ: «مَا شِئْتَ فَإِنْ زِدْتَ فَهُوَ خَيْرٌ لَّكَ » قُلْتُ: فَالثُّلُثَيْنِ؟ قَالَ: «مَا شِئْتَ فَإِنْ زِدْتَ فَهُوَ خَيْرٌ لَّكَ » قُلْتُ: اَجْعَلُ لَكَ صَلَاتِىْ كُلَّهَا؟ قَالَ: « قَالَ « إِذًا تُكْفٰى هَمُّكَ وَيُغْفَرُ لَكَ ذَنْبُكَ.
বিস্তারিত

এক নজরে সৃষ্টির শুরু থেকে ঈদে মিলাদে হাবীবি পালনের ইতিহাস

এক নজরে সৃষ্টির শুরু থেকে ঈদে মিলাদে হাবীবি পালনের ইতিহাস
১.  সৃষ্টির শুরুই হয়েছে ঈদে মিলাদে হাবীবি পালনের জন্য। https://goo.gl/YXxtkf
২. মহান আল্লাহ পাক স্বয়ং নিজেই সর্বপ্রথম মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উদযাপন করেন https://goo.gl/QhKGhP
০৩. সমস্ত নবী রাসুল আলাইহিমুস সালাম উনাদের ঈদে মিলাদে হাবীবি পালন https://goo.gl/oguRBS
৪. হযরত আদম আলাইহিস সালাম উনার ঈদে মিলাদে হাবীবি পালন।https://goo.gl/nTem2r
৫. হযরত ইবরাহীম খলিলুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার ঈদে মিলাদে হাবীবি পালন  https://goo.gl/YK3hPm
৬. হযরত ইবরাহীম খলিলুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার ঈদে মিলাদে হাবীবি পালন https://goo.gl/POavDX
বিস্তারিত

পবিত্র কোরান শরীফ হতে হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার দুনিয়ায় আগমনের ঈদ বা আনন্দ উৎসব করার দলীল

পবিত্র কোরান শরীফ হতে হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার দুনিয়ায় আগমনের ঈদ বা আনন্দ উৎসব করার দলীল
পবিত্র কুর’আনের এই আয়াতটি قُلْ بِفَضْلِ اللَّهِ وَ بِرَحْمَتِهِ فَبِذَالِكَ فَلْيَفْرَحُوْا هُوَا خَىْرٌ مِمَّا ىَجْمَعُوْنَ আর্থাৎ- "হে রাসুল আপনি বলুন আল্লাহর “অনুগ্রহ” ও “রহমত” প্রাপ্তিতে তাঁদের মুমিনদের খুশি উদযাপন করা উচিত এবং এটা হবে তাদের অর্জিত সকল কর্মফলের চেয়েও শ্রেষ্ট"। [সুরা ঈউনূছ,আয়াত ৫৮]
এই আয়াতের ব্যাখ্যা ৯ম শতাব্দী মুজাদ্দিদ ইমাম জালালুদ্দিন সুয়ুতি রহমতুল্লাহি আলাইহি তাঁর বিখ্যাত তাফসীর গ্রন্থ ‘আদ্দুররুল মনসূর’ এ উল্লেখ করেন, "হযরত আব্দুল্লাহ ইবন আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু এই আয়াতের তাফসীরে বলেন, এখানে আল্লাহ এর “অনুগ্রহ” দ্বারা ইলমে দ্বীন এবং “রহমত” দ্বারা নবী এর কথা বুঝানো হয়েছে। যেমন আল্লাহ তা’আলা এরশাদ করেন, হে হাবীব আমি আপনাকে সমগ্র বিশ্ব জগতের প্রতি রহমত হিসেবে প্রেরণ করেছি"। [আদ্দুররুল মনসূর পৃঃ ৩৩০] এই আয়াতের ব্যাখ্যায় আল্লামা আলুসি রহমতুল্লাহি আলাইহি তাঁর স্বীয় তাফসীরগ্রন্থে উল্লেখ করেন, "হযরত আব্দুল্লাহ ইবন আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বলেন, নিশ্চয়ই ‘অনুগ্রহ’ হল ইলমে দ্বীন এবং ‘রহমত’ হল নবী কারীম ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম"। [তাফসীর রুহুল মা’আনী ১১তম খন্ড, পৃঃ ১৮৩]।
বিস্তারিত

হযরত ঈসা রুহুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার ঈদে মিলাদে হাবীবি পালন

হযরত ঈসা রুহুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার ঈদে মিলাদে হাবীবি পালন
যখন ঈসা আলাইহিস সালাম বনী ইসরাইলকে বললেন, আমি আল্লাহ এর রাসূল হিসেবে তোমাদের কাছে প্রেরিত হয়েছি। তার সঙ্গে আমার সাথে যে তাওরাত এসেছে তার প্রতি আমার সমর্থন রয়েছে এবং আমার পর যে রাসূল আসবেন তার নাম হবে আহমদ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম । ঐ রাসূলের সুসংবা নিয়ে তোমাদের নিকট প্রেরিত হয়েছি। আর যখন সে রাসূল তাদের নিকট দলীলসমূহ সহকারে আসলেন, তখন তারা বলতে লাগল এটা প্রকাশ্য যাদু। [সূরা ছফ ৬]

হযরত ঈসা আলাইহিস সালাম  এর ভাষণ দন্ডায়মান অবস্থায় হত। আর এটাই ভাষণের সাধারণ রীতিও বটে। ইমাম ইবন কাসীর রহমতুল্লাহি আলআইহি  তাঁর বিখ্যাত ইতিহাস গ্রন্থ 'আল-বিদায়্যা ওয়ান নিহায়্যা' তে উল্লেখ করেন "ঈসা আলাইহিস সালাম দন্ডায়মান অবস্থায় (কিয়াম) অবস্থায় তাঁর উম্মাতহাওয়ারীদেরকে নবীজীর আগমনের সুসংবাদ দিয়ে বক্তৃতা করেছিলেন"। [আল-বিদায়্যা ওয়ান নিহায়্যা, ২য় খন্ড, পৃ ২৬১]
 সুতরাং মিলাদ ও কিয়াম হযরত ঈসা আলাইহিস সালাম এর সুন্নাত এবং তা নবী যুগের ৫৭০ বছর পূর্ব হতেই।

বিস্তারিত

হযরত ইবরাহীম খলিলুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার ঈদে মিলাদে হাবীবি পালন

হযরত ইবরাহীম খলিলুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার ঈদে মিলাদে হাবীবি পালন
হযরত ইব্রাহীম আলাইহিস সালাম  মহান আল্লাহ তা’আলা এর দরবারে ফারিয়াদ জানান, “ওহে আল্লাহ পাক তাঁদের মধ্যে তাঁদের হতে এমন একজন রাসূল প্রেরণ করুন, যিনি আপনার বাণীসমূহ তাঁদেরকে পাঠ করে শুনাবেন এবং কিতাব ও হিকমত শিক্ষা দিয়ে পবিত্র করবেন। নিশ্চয়ই আপনিও অতিশয় পরাক্রমশালী ও মহাজ্ঞানী” [সূরা বাকারা ১২৯]
বিস্তারিত

হযরত আদম আলাইহিস সালাম উনার ঈদে মিলাদে হাবীবি পালন।

হযরত আদম আলাইহিস সালাম উনার ঈদে মিলাদে হাবীবি পালন।
হযরত ওমর ইবনুল খাত্তাব রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু থেকে বর্নিত,

عن عمر بن الخطاب رضي الله عنه قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم لما أذنب آدم صلى الله عليه وسلم الذنب الذي أذنه رفع رأسه إلى العرش فقال أسألك حق محمد ألا غفرت لي فأوحى الله إليه وما محمد ومن محمد فقال تبارك اسمك لما لما خلقتني رفعت رأسي إلى عرشك فإذا هو مكتوب لا إله إلا الله محمد رسول الله فعلمت أنه ليس أحد أعظم عندك قدرا ممن جعلت اسمه مع اسمك فأوحى الله عز وجل إليه يا آدم إنه آخر النبيين من ذريتك وإن أمته آخر الأمم من ذريتك ولولاه يا آدم ما خلقتك


অনুবাদ-
বিস্তারিত

শাহ আবদুল আজিজ মুহাদ্দিস দেহলভী রহমতুল্লাহি আলাইহির ঈদে মিলাদ পালন

শাহ আবদুল আজিজ মুহাদ্দিস দেহলভী রহমতুল্লাহি আলাইহির ঈদে মিলাদ পালন
নির্ভরযোগ্য আলেম মাওলানা হাফিজ মুহাম্মদ আব্দুল হক এলাহাবাদী মুহাজিরে মক্কী রহমতুল্লাহি আলাইহি তাঁর স্বরচিত বিখ্যাত কিতাব “আদ-দুরুল মুনাজ্জাম ফি হুকুমে আমলে মাওলাদিন নাবীয়্যিল আযম” গ্রন্থে শায়েখ আব্দুল আযীয দেহলবী রহমতুল্লাহি আলাইহি
(১১৫৭-১২৩৯ হিজরি) এর সঠিক মন্তব্যই তুলে ধরেছেন এভাবে 

“শায়েখ আব্দুল আযীয দেহলবী রহমতুল্লাহি আলাইহি মুহররাম মাসের অনুষ্ঠান মরসিয়াখানি (শোক গাথা পাঠ) সম্পর্কে জনৈক ব্যক্তির জিজ্ঞাসার উত্তরে বললেন, সারা বছরের মধ্যে এ ফকীরের (আমার) বাড়িতে দুটি মজলিস অনুষ্ঠিত হয়। একটি হচ্ছে মিলাদ শরীফের আলোচনা অনুষ্ঠান, আর অপরটি হচ্ছে শাহাদাতে হুসাইন রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু এর আলোচনা। প্রথম মজলিসে আশুরার দিন চারশত বা পাঁচশন এবং প্রায় এক হাজার লোকের সমাগম হয়। সে মজলিসে দুরূদ শরীফ পাঠ করা হয়। আমিও সে মজলিসে উপস্থিত হয়ে বসি। আর হযরত হাসনাইন রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু সম্পর্কে হাদীসে যেসব ফযিলত বর্ণিত হয়েছে মজলিসে তাও বর্ণনা করা হয়। আর হযরত হুসাইন রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু এবং তাঁর সাথীদের শাহাদাত লাভের ফযীলত সম্পর্কেও কিছু কিছু হাদীস বর্ণনা করা হয়।
বিস্তারিত

তাবেয়ী এবং ইমাম-মুজতাহিগন উনাদের ঈদে মিলাদ পালন

তাবেয়ী এবং ইমাম-মুজতাহিগন উনাদের ঈদে মিলাদ পালন
হযরত তাবিয়ী,ইমাম-মুজতাহিদ ও আওলিয়ায়ে কিরাম রহমাতুল্লাহি আলাইহিম পবিত্র সাইয়্যিদুল আইয়াদ,ঈদে আযম, ঈদে মীলাদুন্নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালনের ধারা অব্যাহত বা জারী রেখেছেন, রাখছেন ,রাখবেন।
বদ আক্বিদা , বদ মাযহাবের , বাতিল ফিরকার লোকেরা অপপ্রচার করে থাকে যে ইমাম-মুজতাহিদ ও আওলিয়ায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিমগন পবিত্র সাইয়্যিদুল আইয়াদ শরিফ পালন করেন নাই ।
নাউযুবিল্লাহ ।
অথচ সুষ্পষ্টভাবে প্রমানিত যে সকল যুগে পবিত্র সাইয়্যিদুলা আইয়াদ শরিফ পালন হয়ে আসছে। নিম্নে দলীল সমূহ পেশ করা হলো--
যেমন এ প্রসঙ্গে বিশিষ্ট তাবিয়ী, ইমামুশ শরীয়ত ওয়াত তরীক্বত,যিনি শতাধিক সাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু আনহুম উনাদের সাক্ষাত মুবারক লাভ করেছিলেন, সেই বিখ্যাত ইমাম হযরত হাসান বছরী রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেন-
قال الحسن البصرى رحمة الله عليه وَدِدْتُّ لَوْ كَانَ لِىْ مِثْلُ جَبَلِ اُحُدٍ ذَهْبًا فَاَنْفَقْتُهٗ عَلٰى قِرَاءَةِ مَوْلِدِ النَّبِىِّ صَلّٰى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ.
বিস্তারিত

আন নিয়ামাতুল কুবরা আলাল আলাম বইতে খোলাফায়ে রাশেদীনের ঈদে মিলাদ পালন

" আন নি'মাতুল কুবরা আলাল আলাম ফি মাওলিদে সাইয়্যেদে উলদি আদম" সারা বিশ্বে সুপরিচিত একটি গ্রন্থ। যে গ্রন্থটি আজ থেকে প্রায় ৪৫০ বছর পুর্বে রচনা করেছেন জগৎবিখ্যাত মুহাদ্দিস আল্লামা আহমদ ইবনে হাজার হাইসামী মক্কী রহমতুল্লাহি আলাইহি। যিনি মিশরে জন্মগ্রহণ করেছেন। তিনি মিশরের সুবিখ্যাত আল আজহারে পড়াশুনা করেন। পরবর্তিতে তিনি পবিত্র মক্কা শরীফে চলে যেন এবং সেখানেই অবস্থান করে দুনিয়া থেকে বিদায় নেন।
https://goo.gl/1JuCzE
বিস্তারিত

মোল্লা আলী ক্বারী রহমাতুল্লাহি আলাইহি “আল মাওরিদুর রাভী ফি মাওলিদিন নাব্যিয়" বইয়ে ঈদে মিলাদে হাবীবি পালনের দলীল

মোল্লা আলী ক্বারী রহমাতুল্লাহি আলাইহি “আল মাওরিদুর রাভী ফি মাওলিদিন নাব্যিয়" বইয়ে  ঈদে মিলাদে হাবীবি পালনের দলীল
আজ এমন একজন ব্যক্তির বর্ণনা উল্লেখ করছি জিনি সমগ্র বিশ্বে এক নামে স্বীকৃত একজন মুহাদ্দিস হযরত মোল্লা আলী ক্বারী রহমাতুল্লাহি আলাইহি। 
আজ থেকে পাঁচশত বছর পূর্বে উনার জন্ম। তিনি ইলমে হাদীসের জ্ঞান অর্জন করতে মক্কা শরীফ শরীফ মদীনা শরীফ সব স্থানে ভ্রমন করেন। সকল মাদ্রাসায় পঠিত এবং সকল উছুলে হাদীস শরীফের কিতাবে উনার নাম স্ব মহিমায় উজ্জ্বল দীপ্তি ছড়াচ্ছে। তাঁর রচিত মেশকাত শরীফ এর ব্যাখ্যা গ্রন্থ “মেরক্বাত শরীফ” সারা পৃথিবীতে একটি আলোড়ন সৃষ্টি কারী কিতাব। তিনি সারাজীবন অসংখ্য কিতাব রচনা করে মুসলিম জাহানের জন্য এক বিশাল নিয়ামত রেখে গিয়েছেন।
উনার অসংখ্য কিতাবের মধ্যে একটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং ঐতিহাসিক গ্রন্থের নাম হচ্ছে “আল মাওরিদুর রাভী ফি মাওলিদিন নাব্যিয়”। এ কিতাবে তিনি হাবীবুল্লাহ হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর আগমন তথা মীলাদুন্নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সম্পর্কে কুরআন শরীফ, হাদীস শরীফ থেকে দলীল পেশ করেছেন। এবং সেই সাথে একটা বিষয় উল্লেখ করেছেন সেটা হচ্ছে, “সারা পৃথিবীর সকল দেশে যে যাঁকজমকেরসাথে ঈদে মীলাদুন্নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন হতো তার ঐতিহাসিক প্রনান উল্লেখ ।” আমরা উক্ত কিতাব থেকে সে ঐতিহাসিক বর্ননা গুলো উল্লেখ করার চেষ্টা করবো ইনশাআল্লাহ !
বিস্তারিত