সনদ ছাড়াও হাদিস হয়

সনদ ছাড়াও হাদিস হয়

কোন একটি হাদীসের অর্থ যখন সকলের নিকট গ্রহণীয় হয়ে যায়, তখন সে হাদিসের সনদের বিশুদ্ধতার প্রয়োজন হয় না। যেমনভাবে ইয়াযিদ বিন খুসাইফা রহমতুল্লাহি আলাইহি এর হাদীস। এ হাদীসের অর্থ এতই গ্রহণযোগ্য যে এর সনদের অনুসরণের প্রয়োজন হয় না।
কয়েকটি দালিলিক উদাহরণ দিচ্ছিঃ
ইমাম খাতীব বাগদাদী কাযাসংক্রান্ত মুয়ায রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু এর হাদীস সম্পর্কে বলেন,‘আহলে ইলম এ হাদিসের অর্থ কবুল করেছেন এবং এর দ্বারা দলীল প্রদান করেছেন। যদিও এর সনদ বিশুদ্ধ নয়।
রেফারেন্সঃ
১/আল ফাকীহু ওয়াল মুতাফাক্কিহু
২/আত তালখীসুল হাবীর- ৪/৮৩
৩/আল মুগনী-৯/৫৩

ইমাম সুয়ূতী  রহমতুল্লাহি আলাইহি  বলেন, কোন হাদিসের সনদ বিশুদ্ধ না হলে যদি মানুষ এর অর্থকে কবুল দ্বারা তালাক্কী করে, তবে সে হাদীসকে সহীহ বলে হুকুম দেয়া হয়।
রেফারেন্সঃ তাদরীবুর রাওয়ী ফী শারহি তাকরীবিন নাওয়ায়ী- ৬০

ইমাম ইবনু আব্দিল বার রহমতুল্লাহি আলাইহি আল ইসতিযকারনামক কিতাবে বলেন, ইমাম বুখারী রহমতুল্লাহি আলাইহি বাহরএর হাদিসকে (সমুদ্রের পানি পবিত্র) সহীহ বলেছেন, অথচ হাদীস বিশারদগণ এর সনদকে বিশুদ্ধ বলেন নি।
রেফারেন্সঃ
আল ইসতিযকার
ইমাম ইবনু আব্দিল বার।
৫/১৫৭

ঠিক একই ভাবে হযরত জাবির রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু থেকে বর্ণিত, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, দীনার হচ্ছে ২৪ কীরাত- এ হাদীসটির অর্থের উপর সকলের ইজমা হওয়ার কারনে এর সনদের পর্যালোচনা করার কোন প্রয়োজন নেই। এটা গ্রহনযোগ্য।
রেফারেন্সঃ
আত তামহীদ
হাফিয ইবনু আব্দিল বার।
এ নিয়ে অনেক অনেক রেফারেন্স দেয়া যাবে।

বিস্তারিত