ঈদে মীলাদুন্নবীর আমল

অনেকেই বলে-
পবিত্র ১২ই রবিউল আউয়াল তারিখকে আপনারা বড় ঈদ বা সাইয়্যিদুল আইয়াদ বলছেন, অথচ রোজা-কোরবানী ঈদে নামাজ থাকে, কিন্তু এ ঈদে নামাজ কোথায় ?
এর উত্তর হচ্ছে,
প্রত্যেক ঈদের আমল হচ্ছে- তার শান বা মর্যাদা অনুসারে। রোজার ঈদ কিংবা কোরবানীর ঈদ হচ্ছে বান্দার আমলের সাথে সম্পৃক্ত। তাই এ দু’ঈদেও থাকে বান্দার আমল মানে নামাজ।

অপরদিকে নবীজির আগমন উপলক্ষে খুশি করার বিষয়টি হচ্ছে শুধু বান্দার মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, বরং স্বয়ং আল্লাহ তায়ালা’র সম্পৃক্ত। আর এ বিষয়টি সবারই জানা, মহান আল্লাহ তায়ালা কিন্তু নামাজ-রোজা পড়েন না, তিনি হজ্জ-যাকাত দেন না, কিন্তু তিনি শুধু একটি কাজ করেন, সেটা হলো নবীজির প্রতি দুরুদ পেশ করেন। এ সম্পর্কে কুরআন পাকে আছে-
"নিশ্চয়ই আল্লাহ তালায়লা ও তাঁর ফেরেশতাগণ নবীর প্রতি দরুদ প্রেরণ করেন। হে মুমিনগণ! তোমরাও নবীজির প্রতি দুরুদ এবং সালাম পেশ কর, আদবের সহিত, সম্মানের সহিত।” (সুরা আল আহযাবঃ ৫৬)
অর্থাৎ নবীজির জন্য মহান আল্লাহ তায়ালা’র আমল হচ্ছে মানে দুরুদ-সালাম পেশ করা, নবীজির প্রশংসা করা।
তাই বড় ঈদ বা সাইয়্যিদুল আইয়াদ বা ১২ই রবিউল আউয়াল শরীফের আমলটিও বড় হবে এবং তা স্বয়ং আল্লাহ তায়ালা যে আমল করছেন, মানে নবীজির প্রশংসা করছেন, নবীজির তরে দুরুদ-সালাম পড়ছেন, ঐদিন বান্দারাও ঐ আমল করবেন।
সহজভাষায় বলতে, সাধারণ ঈদের কার্যক্রম হবে সাধারণের মত এবং সবচেয়ে বড় ঈদের কার্যক্রম হবে সবচেয়ে বড় ঈদের মত। তাই ১২ই রবিউল আউয়াল তারিখে আমল করতে স্বয়ং মহান আল্লাহ তায়ালার আমলই অনুসরণ করবে বান্দাগণ। ঐদিন নবীজির প্রতি দুরুদ পড়বেন, সালাম পেশ করবেন এবং প্রশংসা করবেন। সুবহানাল্লাহ।
পূর্ববর্তী পোস্ট
পরবর্তী পোস্ট