ঈদে মিলাদুন্নবির বিরোধীতাকারীদের অতীতের গুরুদের মিলাদ -ক্বিয়াম পালন ( মৌলভী হুসাইন আহমদ ) -৪

ঈদে মিলাদুন্নবির বিরোধীতাকারীদের অতীতের গুরুদের মিলাদ -ক্বিয়াম পালন ( মৌলভী হুসাইন আহমদ ) -৪
মৌলভী হুসাইন আহমদ দেওবন্দীর দৃষ্টিতে মীলাদের কিয়াম মুস্তাহাব : 

মৌলভী হোসাইন আহমদ দেওবন্দী যে  দারুল উলুম দেওবন্দ (ভারত) মাদরাসার শাইখুল হাদীস ছিল । সে  জীবনে রাসুলে আকরাম ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর মীলাদ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে কিনা তা নিশ্চিত কোন তথ্য পাওয়া না গেলেও যারা মীলাদ কিয়াম করে তাদের পক্ষে মজবুত ফতোয়া দিয়েছে। 
তার লিখিত- “মাকতুবাতে শাইখুল ইসলাম” কিতাবে  বলে- 
" হযরত সাইয়্যিদুনা আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন- " রাসুলে আকরাম ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন, “নিশ্চয়ই আল্লাহ তায়ালা এই জমিনে কিছু ভ্রমণকারী ফেরেশতা নিয়োগ করেছেন । তারা আমার উম্মতের প্রেরিত সালামগুলো আমার নিকট পৌছান” । (উক্ত হাদীসটি ইমাম নাসাঈ রহমাতুল্লাহে আলাইহি এবং ইমাম দারমী রহমাতুল্লাহে আলাইহি স্ব-স্ব কিতাবে বর্ণনা করেছেন) । 
বিস্তারিত

ঈদে মিলাদুন্নবির বিরোধীতাকারীদের অতীতের গুরুদের মিলাদ -ক্বিয়াম পালন ( দেওবন্দ মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা ) -৩

ঈদে মিলাদুন্নবির বিরোধীতাকারীদের অতীতের গুরুদের মিলাদ -ক্বিয়াম পালন ( দেওবন্দ মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা ) -৩

দেওবন্দ মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতার দৃষ্টিতে মীলাদের কিয়াম মুস্তাহসান : 

দারুল উলুম দেওবন্দ মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা হাজী সৈয়দ আবেদ হুসাইন ৪০১.৫০ (চারশত এক টাকা আট আনা) চাদা সংগ্রহ করে “দেওবন্দ মসজিদ” ছাত্তা নামক জায়গায় মাদরাসাটির লেখা-পড়ার কার্যক্রম শুরু করে । প্রথমে  মাদরাসার পৃষ্ঠ-পোষক কাম মুহতামিম পদে অবৈতনিক ভাবে খেদমত আঞ্জাম দেয় । কিছুদিন পর  মোলভী রফিউদ্দিনকে মাদরাসার মুহতামিম পদে নিযুক্ত করে হজ্জ্বব্রত পালন উদ্দেশ্যে মক্কা অভিমুখ রওয়ানা হয় । হজ্জ্ব সমাপনের পর দেশে ফিরলে মাদরাসার পরামর্শ কমিটির অনুরোধে আবার মুহতামিমের দায়িত্ব গ্রহণ করে । এরপর শিক্ষক ও পরিচালনা কমিটির মধ্যে কোন্দল দেখা দিলে, মুহতামিম পদ হতে ইস্তফা দিয়ে হযরত মাখদুম রহমাতুল্লাহে আলাইহি-এর দরবার “কালিয়ার” অভিমুখে গমন করে । মাদরাসার পরামর্শ কমিটির সদস্যগণ তার পিছনে ছুটল , আর অনুরোধে করতে লাগল যে, পৃষ্ঠপোষকতা ও মুহতামিমের দায়িত্ব হতে পৃথক না হওয়ার জন্য, প্রয়োজনে পরিচালনার ভার অন্য কাউকে সোপর্দ কর । 
বিস্তারিত

ঈদে মিলাদুন্নবির বিরোধীতাকারী কওমী-দেওবন্দী গুরুদের মিলাদ -ক্বিয়াম পালন ( মৌলভী শামছুল হক ফরিদপুরী ) - ২

ঈদে মিলাদুন্নবির বিরোধীতাকারী কওমী-দেওবন্দী  গুরুদের মিলাদ -ক্বিয়াম পালন ( মৌলভী শামছুল হক ফরিদপুরী ) - ২
মৌলভী আব্দুল হাই লকনভীর দৃষ্টিতে মীলাদের কিয়াম মুস্তাহাব--- পাক-ভারত উপ-মহাদেশের প্রখ্যাত আলেম মৌলভী আব্দুল হাই লকনভী তদীয় “মজমুয়ায়ে ফতোয়া” কিতাবে মীলাদের কিয়াম মুস্তাহাব বলে ফতোয়া দিয়েছেন । নিম্নে তা প্রশ্ন উত্তর আকারে প্রদত্ত হলো- 

প্রশ্নঃ হযরত রাসুলে মকবুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামা-এর জন্ম বৃত্তান্তের আলোচনা কালে কিয়াম করার হুকুম কি ? 
বিস্তারিত

মুফতে আমীনি ও শায়খুল হদস এর গুরু মৌলভী শামছুল হক ফরিদপুরীর ঈদে মিলাদুন্নবি পালন

মুফতে আমীনি ও শায়খুল হদস এর গুরু মৌলভী শামছুল হক ফরিদপুরীর ঈদে মিলাদুন্নবি পালন

মৌলভী শামছুল হক ফরিদপুরী যাকে মুজাহিদে আযম, বাহরুল উলুম হিসেবে কিয়াম বিরোধীরা এক বাক্যে স্বীকার করে । সে একদিকে মৌলভী আশরাফ আলী থানবীর অন্যতম খলিফা, অন্যদিকে একাধারে ১৮ বছর পর্যন্ত জামাতে ইসলামীকে নৈতিকভাবে সমর্থন করে আসছিল । পরবর্তীতে সে জামাতে ইসলামীর প্রতিষ্ঠাতা আবুল আলা মওদুদীর লিখিত ‘খেলাফত ও মুলুকিয়ত’ বইখানা পড়ে অবাক হয়ে যায় । সাথে সাথে  বলে- অত্র বই খ্রীস্টান পাদ্রীদের ইসলাম বিরোধীদের মূল গ্রন্থ সমূহেরই বহিঃপ্রকাশ “। মওদুদীর উক্ত বইয়ে হযরত ওসমান যুন নূরাইন রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু সহ নবীর সাহাবীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা দোষারোপ, অপবাদ ও সমালোচনার সমাহার ।
‘খেলাফত ও মুলুকিয়াত’ বইটির প্রণেতা মওদুদীর ভ্রান্ত আকীদার প্রতিবাদে সে “ভুল সংশোধন” নামক একটি পুস্তক প্রকাশ করে । তাছাড়া সেঅনেক বই পুস্তিকা রচনা করেছে, তন্মধ্যে “তাছাউফ তত্ত্ব” পুস্তকটি সর্বসাধারণের নিকট সমাদৃত । উক্ত পুস্তকটির প্রথম অধ্যায়ে প্রশ্নোত্তর আকারে সর্বমোট ৭টি প্রশ্নের মধ্যে ৬ষ্ঠ তম প্রশ্নটি “মৌলুদ শরীফ ও কিয়াম” সম্পর্কিত । যেখানে সে দ্ব্যর্থহীন ভাষায় বলেছে- “অধিকহারে যিকরে রাসুলের মাহফিল আয়োজন করা এবং তথায় কিয়াম করা উত্তম আদব; আর এর বিপরীতে বেআদবী বলে ফতোয়া দিয়েছে”
বিস্তারিত

ঈদে মিলাদুন্নবির বিরোধীতাকারীদের অতীতের গুরুদের মিলাদ -ক্বিয়াম পালন ( মৌলভী শামছুল হক ফরিদপুরী ) -১


১. মৌলভী শামছুল হক ফরিদপুরীর দৃষ্টিতে মীলাদ ও কিয়াম মুস্তাহাবঃ

মৌলভী শামছুল হক ফরিদপুরী যাকে মুজাহিদে আযম, বাহরুল উলুম হিসেবে কিয়াম বিরোধীরা এক বাক্যে স্বীকার করে । সে একদিকে মৌলভী আশরাফ আলী থানবীর অন্যতম খলিফা, অন্যদিকে একাধারে ১৮ বছর পর্যন্ত জামাতে ইসলামীকে নৈতিকভাবে সমর্থন করে আসছিল । পরবর্তীতে সে জামাতে ইসলামীর প্রতিষ্ঠাতা আবুল আলা মওদুদীর লিখিত ‘খেলাফত ও মুলুকিয়ত’ বইখানা পড়ে অবাক হয়ে যায় । সাথে সাথে  বলে- অত্র বই খ্রীস্টান পাদ্রীদের ইসলাম বিরোধীদের মূল গ্রন্থ সমূহেরই বহিঃপ্রকাশ “। মওদুদীর উক্ত বইয়ে হযরত ওসমান যুন নূরাইন রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু সহ নবীর সাহাবীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা দোষারোপ, অপবাদ ও সমালোচনার সমাহার ।
‘খেলাফত ও মুলুকিয়াত’ বইটির প্রণেতা মওদুদীর ভ্রান্ত আকীদার প্রতিবাদে সে “ভুল সংশোধন” নামক একটি পুস্তক প্রকাশ করে । তাছাড়া সেঅনেক বই পুস্তিকা রচনা করেছে, তন্মধ্যে “তাছাউফ তত্ত্ব” পুস্তকটি সর্বসাধারণের নিকট সমাদৃত । উক্ত পুস্তকটির প্রথম অধ্যায়ে প্রশ্নোত্তর আকারে সর্বমোট ৭টি প্রশ্নের মধ্যে ৬ষ্ঠ তম প্রশ্নটি “মৌলুদ শরীফ ও কিয়াম” সম্পর্কিত । যেখানে সে দ্ব্যর্থহীন ভাষায় বলেছে- “অধিকহারে যিকরে রাসুলের মাহফিল আয়োজন করা এবং তথায় কিয়াম করা উত্তম আদব; আর এর বিপরীতে বেআদবী বলে ফতোয়া দিয়েছে”
নিম্নে তার ফতোয়া প্রশ্নাকারে প্রদত্ত হলো---

বিস্তারিত

মক্কা-মদীনা শারীফে পবিত্র ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম

মক্কা-মদীনা শারীফে পবিত্র ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
বিরোধী সম্প্রদায়ের লোকেরা দাবী করে মক্কা-মদীনার দেশ সৌদি আরবে ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করা হয় না, তাই আমাদেরও পালন করা উচিত নয়। তাদের এই কথাটি সম্পূর্ণ ভূল। ব্রিটিশদের সহযোগীতায় আল-সৌদ ও ওহাবী-খারেজী সম্প্রদায় দ্বারা মক্কা-মদীনা দখলের আগে সেখানেও যে মীলাদুন্নবী ছল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর প্রচলন ছিল যার প্রমাণ পাওয়া বিভিন্ন আলেমগণের লেখনীতে -

১. প্রখ্যাত মুহাদ্দীস ইবন জাওযী রহমতুল্লাহি আলাইহি মন্তব্য -
“সর্বদা মক্কা ও মদিনাবাসী, মিসর, ইয়ামেন, সিরিয়াবাসী এবং আরবের পূর্ব-পশ্চিমের সকলেই মীলাদুন্নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম অনুষ্ঠান করে থাকেন। রবিউল আউয়াল মাসের নব চন্দ্রের আগমনে আনন্দ উতসব করেন এবং তারা সকলেই এ সমস্ত অনুষ্ঠানাদি দ্বারা মহান পুরষ্কার ও সফলতা লাভ করেন”
বিয়ান আল মীলাদুন্নাবী, পৃঃ ৫৮
বিস্তারিত

রাসুল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নিজে স্বীয় মীলাদ বা জন্ম দিবস পালন করেছেন।

রাসুল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নিজে স্বীয় মীলাদ বা জন্ম দিবস পালন করেছেন।
 নিম্নে কিছু নমুনা উপস্থিত করলাম -
১. হাদীস শাস্ত্রের প্রখ্যাত ইমাম আবু ঈসা মুহম্মদ তিরমিযী রহমতুল্লাহে আলাইহি তার সংকলিত সুনানে তিরমিযী শরীফে “মীলাদুন্নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম” শিরোনামে একটি অধ্যায় প্রণয়ন করেছেন এবং এতে হুযুর ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর জন্ম তারিখ নিয়ে আলোচনা সম্বলিত হাদীস বর্ণনা করেছেন। হাদীসটি হল---


  • অর্থাৎ- হযরত মোত্তালিব বিন আবদুল্লাহ আপন দাদা হযরত কায়েছ বিন মোখরামা হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন- আমি ও নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ‘আমুল ফীল’ অর্থাৎ- বাদশাহ আবরাহার হস্তি বাহিনীর উপর আল্লাহর গজব নাযিল হওয়ার বছর জন্মগ্রহণ করেছি। হযরত ওসমান বিন আফফান রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বনি ইয়ামার ইবেন লাইস-এর ভাই কুবাছ ইবনে আশইয়ামকে বলেন, আপনি বড় না রাসুল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম? তখন তিনি বলেন, রাসুল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সম্মান ও মর্যাদার দিক থেকে আমার চেয়ে অনেক বড়। আর আমি জন্ম সুত্রে রাসুল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে আগে মাত্র।  (তিরমিযী শরীফ ২য় খন্ড, পৃষ্ঠা নং-২০৩ )  
বিস্তারিত

আল-হাদীসের আলোকে ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-

আল-হাদীসের আলোকে ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-
পবিত্র ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর ধারাবাহিক পোষ্ট সমূহে এ পর্বে হাদীসের আলোকে আলোচনা করা হবে। মিলাদের ব্যবহারিক-অভিধানিক অর্থ জানা প্রয়োজন। অভিধানে মিলাদ শব্দের অর্থ জন্মের সময় কাল এবং ব্যবহারিক অর্থ হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের জন্মের খুশিতে উনার মুযেজা, বৈশিষ্ট্য, জীবনী প্রভৃতি বয়াণ করা। অগণিত হাদীস শরীফের মাধ্যমে জানা যায়, রাসুলে করীম ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ও সাহাবায়ে কেরাম রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু-গণ রাসুল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর মীলাদ বা জন্ম বৃত্তান্তের আলোচনা করেছেন। রাসুল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নিজে স্বীয় মীলাদ বা জন্ম দিবস পালন করেছেন। নিম্নে কিছু নমুনা উপস্থিত করলাম।

১. عَنْ اَبِى قَتَدَةَ الاَنْصاَرِى رَضِى الله عَنهُ اَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ سءل عَنْ صَوْمِ يَوْم الاِ ثْنَيْنِ قَلَ ذَاكَ يَوْمٌ وُلِدْتُ فِيْهِ بُعِثْتُ اَوْاُنْزِلَ عَلَىَّ فِيْهِ-
অর্থাৎ হযরত আবু কাতাদা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু হতে বর্নিত  রাসুলে পাক ছল্লাল্লাহু তায়ালা আলাইহি ওয়া সাল্লামার দরবারে আরজ করা হলো তিনি প্রতি সোমবার রোজা রাখেন কেন? উত্তরে নবীজি  ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন, এই দিনে আমি জন্ম গ্রহন করেছি, এই দিনেই আমি প্রেরিত হয়েছি এবং এই দিনেই আমার উপর পবিত্র কুরআন নাযিল হয়।
·        সহীহ মুসলিম শরীফ ২য় খন্ড, ৮১৯ পৃষ্ঠা,
·        বায়হাকী: আহসানুল কুবরা, ৪র্থ খন্ড ২৮৬ পৃঃ,
বিস্তারিত

সুরা ইউনুসের অনুগ্রহ ও রহমত বলতে কি কোরআন শরীফ বুঝায় নাকি হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে

সুরা ইউনুসের  অনুগ্রহ ও রহমত বলতে কি কোরআন শরীফ বুঝায় নাকি হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে
এক শ্রেণীর লোকেরা ফতওয়া দেয় মিলাদুন্নবী  ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম  পালন করা ‘শিরক’-‘বিদ’আত’-‘বিধর্মীদের নীতি’ ইত্যাদি ইত্যাদি। খুব জানতে ইচ্ছা করে এদের মত ফতওয়াবাজেরা এই ক্ষেত্রে কি ফতওয়া দিবে! ! ! 
মীলাদুন্নবী বা রাসূল হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম  এর দুনিয়ায় আগমনের ঈদ বা আনন্দ উৎসব করার দলীল পবিত্র কুর’আনের এই আয়াতটি
 قُلْ بِفَضْلِ اللَّهِ وَ بِرَحْمَتِهِ فَبِذَالِكَ فَلْيَفْرَحُوْا هُوَا خَىْرٌ مِمَّا ىَجْمَعُوْنَ 
  • অর্থাৎ- "হে রাসুল আপনি বলুন আল্লাহর “অনুগ্রহ” ও “রহমত” প্রাপ্তিতে তাঁদের মুমিনদের খুশি উদযাপন করা উচিত এবং এটা হবে তাদের অর্জিত সকল কর্মফলের চেয়েও শ্রেষ্ট"। [সুরা ঈউনূছ,আয়াত ৫৮] 
বিস্তারিত

মিলাদ-ক্বিয়াম সমস্ত নবি-রাসুল আলাইহিমুস সালাম উনাদের সুন্নত

মিলাদ-ক্বিয়াম সমস্ত নবি-রাসুল আলাইহিমুস সালাম উনাদের সুন্নত
এ পৃথিবীতে যত নেয়ামত রয়েছে বা এসেছে এর মধ্যে সবচেয়ে বড় নেয়ামত হচ্ছে রাসুলে করীম ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয় সাল্লাম। আল্লাহর এ নেয়ামত ও নুগ্রহকে কেন্দ্র করে রাসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর মীলাদ বা জন্ম তথা দুনিয়ায় শুভাগমনের কথা আলোচনা করেছেন স্বয়ং রাব্বুল আলামীন নিজে। এর পাশাপাশি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা ও আনন্দ করার নির্দিশও তিনি নিজে দিয়েছেন।
 যেমনঃ 
  • ১. নিশ্চয়ই তোমাদের নিকট তোমাদের থেকে এমন একজন রাসূল এসেছেন যাঁর নিকট তোমাদের দুঃখ-কষ্ট দুঃসহ। তিনি তোমাদের মঙ্গলকামী এবং মুমিনদের প্রতি স্নেহশীল ও দয়াময়। [সূরা তাওবা ১১৮] 
  • ২. হযরত ইব্রাহীম আলাইহিস সালাম  মহান আল্লাহ তা’আলা এর দরবারে ফারিয়াদ জানান, “ওহে আল্লাহ পাক তাঁদের মধ্যে তাঁদের হতে এমন একজন রাসূল প্রেরণ করুন, যিনি আপনার বাণীসমূহ তাঁদেরকে পাঠ করে শুনাবেন এবং কিতাব ও হিকমত শিক্ষা দিয়ে পবিত্র করবেন। নিশ্চয়ই আপনিও অতিশয় পরাক্রমশালী ও মহাজ্ঞানী” [সূরা বাকারা ১২৯] 
বিস্তারিত

ঈদে মিলাদুন্নবি দলিল একসাথে ----

ঈদে মিলাদুন্নবি দলিল একসাথে ----
ঈদে মিলাদুন্নবী -
১. আল্লাহ পাক কি বলেছেন ?- http://goo.gl/Y4IkyX
২. নবিজি কি পালন করেছেন ? - http://goo.gl/2d0R5L
৩. নবি-রাসুলগন কি পালন করেছেন ? - http://goo.gl/lKLXHb
৪. খোলাফায়ে রাশেদীন কি পালন করেছেন?- http://goo.gl/fOadcp
৫. ছাহাবাগন কি পালন করেছেন ? - http://goo.gl/0RSrln
৬. তাবেয়ী-তাবেতাবেঈন কি পালন করেছেন ? - http://goo.gl/VEUJc9
৭. ইমাম-মুজতাহিদগন কি পালন করেছেন ? - http://goo.gl/ZPBE02
৮. মক্কা-মদীনা শরীফে কি পালন হয়? - http://goo.gl/oRVXm9
৯. দেওবন্দী - কওমীদের গুরুরা কি বলেছে?- http://goo.gl/4VBr6t

তাহলে যারা তোতা পাখির মত মুখস্থ কথা বলে " ইহা বিদয়াত" তারা কি কোরান হাদীস -হাদিস -ইজমা ক্বিয়াসকে অস্বীকারকারী নয় ?
এমন ব্যক্তি মুসলমান থাকবে কি ?
বিস্তারিত

মিলাদ শরীফ শব্দের অর্থ কি ?

মিলাদ (ميلاد), 
মাওলেদ (مولد) এবং 
মাওলুদ (مولود) এ তিনটি শব্দের আভিধানিক অর্থ যথাক্রমে হল জন্মদিন, জন্মকাল ও জন্মস্থান প্রভৃতি।

  • সুপ্রসিদ্ধ আল মুনজিদ নামক আরবি অভিধানের ৯১৮ পৃষ্ঠায় রয়েছে, 
الميلاد –  وقت الولادة অর্থাৎ মিলাদ অর্থ জন্মসময়।
المولد – موضع الولادة  او وقتها মাওলেদ অর্থ জন্মস্থান অথবা জন্মসময়।
 المولود –  الولد الصغير মাওলুদ অর্থ ছোট শিশু।
বিস্তারিত

মক্কা শরীফের ফতোয়াদাতাগনের জবাব ও ফতোয়া ।

মক্কা শরীফের ফতোয়াদাতাগনের জবাব ও ফতোয়া ।

بسم الله الرحمن الرحيم

আল্লামা আব্দুর রহীম তুর্কমানী রহমতুল্লাহি আলাইহি ১২৮৮ হিজরী সনে মক্কা ও মদিনা এবং জেদ্দাহ ও হাদিদার উলামায়ে কেরামের দ্বারা মিলাদ ও কিয়াম সম্পর্কে একটি ফতোয়া লিখিয়ে হিন্দুস্তানে নিয়ে আসেন এবং নিজ গ্রন্থ ” রাওয়াতুন নাঈম ” -এর শেষাংশে ছেপে প্রকাশ করেন ।

প্রশ্নঃ আল্লাহ তায়ালা অসীম রহমত আপনার উপর বর্ষিত হোক । নিম্নে বর্নিত বিষয়ে আপনার অভিমত ও ফতোয়া কি ?

” মিলাদ শরীফ পাঠ করা – বিশেষ করে নবী করিম সাল্লাল্লাহয় আলাইহে ওয়াসাল্লামের পবিত্র জন্ম বৃত্তান্ত পাঠকালে কিয়াম করে সম্মান প্রদর্শন করা , মিলাদের জন্য দিন তারিখ নিদিষ্ট করা , মিলাদ মজলিস কে সাজানো , আতর গোলাপ ও খুশবু ব্যাভার করা। কুরআন শরীফ হতে সুরা ক্বেরাত পাঠ করা এবং মুসলমানদের জন্য খানাপিনা (তাবারুক) তৈরি করা – এই ভাবে অনুষ্ঠান করা জায়েয কিনা এবং অনুষ্ঠানকারীগন এতো সাওয়াবের অধিকারী হবেন কিনা ? বর্ণনা করে আল্লাহর পক্ষ হতে পুরস্কৃত হোন ।
বিস্তারিত

ঈদে মিলাদুননবীতে শয়তান কেদেছিল -----

ঈদে মিলাদুননবীতে শয়তান কেদেছিল -----
ইবন কাসির এর আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া, ২য় খন্ড, ১৬৬ পৃষ্ঠায় উল্লেখ আছেঃ
ইবলিশ শয়তান জীবনে ৪ বার খুব বেশি কেঁদেছে-
 أن إبليس رن أربع رنات حين لعن وحين أهبط وحين ولد رسول الله صلى الله عليه وسلم وحين أنزلت الفاتحة
১. আল্লাহ যখন তাকে অভিশপ্ত হিসেবে ঘোষণা দিলেন,
২. যখন তাকে বেহেস্ত থেকে বিতাড়িত করা হল,
৩. নূর নবীজীর ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম দুনিয়াতে আগমনের সময় এবং
৪. সূরা ফাতিহা নাযিল হবার সময়

অর্থাৎ ইবলিশ ব্যতিত সকলে এ দিবস পালন করেছিল ।
যারা এ দিবসকে বিদয়াত বলে থাকে তারা ইবলিশের কায়িম মাকাম 
বিস্তারিত

ঈদের সংজ্ঞা কি ?

ঈদের সংজ্ঞা কি ?
এখন আমরা ঈদের সংজ্ঞা নিয়ে আলোচনা করব
 ১. ঈদের সংজ্ঞা বর্ণনা করতে গিয়ে আরবী অভিধানের অন্যতম কিতাব ‘আল মুজামুল ওয়াসীত’ এর ৬৩৫ পৃষ্ঠায় আছে-

  • “ঈদ বলা হয় কোন দুশ্চিন্তা বা কোন রোগ অথবা কোন আকাংখ্যা বা এ ধরণের অন্যান্য বিষয় যা বারবার ফিরে আসে এবং এমন প্রত্যেক দিনকে ঈদের দিন বলা হয় যে দিন কোন সম্মানীত বা প্রিয়তম ব্যক্তির স্মরণে মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়”।
বিস্তারিত

ঈদ কি শুধু দুটিই?


পবিত্র ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিরোধী সম্প্রদায়ের নেতারা বলে থাকে ইদুল ফিতর ও ইদুল আযহা ছাড়া আর কোনো ঈদ নেই। তারা নিজেদের এই মনগড়া মন্তব্য প্রমাণের জন্য এই হাদীসটি উল্লেখ করে- "সাহাবী আনাস বিন মালিক রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু  থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসূলে কারীম ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যখন মদীনায় আসলেন তখন দেখলেন বছরের দুটি দিনে মদীনাবাসীরা আনন্দ-ফুর্তি করছে। তিনি জিজ্ঞেস করলেন এ দিন দুটো কি? তারা বলল যে আমরা ইসলামপূর্ব মুর্খতার যুগে এ দুদিন আনন্দ-ফুর্তি করতাম। রাসূলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেনঃ 'আল্লাহ তাআলা এ দুদিনের পরিবর্তে এর চেয়ে উত্তম দুটো দিন তোমাদের দিয়েছেন। তা হল ঈদুল আজহা ও ঈদুল ফিতর'" ( আবু দাউদ)

 সুপ্রিয় পাঠকবৃন্দ, ভালমত লক্ষ করুন এখানে ইদুল ফিতর ও ইদুল আযহা কে দুটি ঈদের দিন হিসেবে বলা হয়েছে কিন্তু কোথাও কি বলা হয়েছে এই দুটি দিন ছাড়া আর কোনো ঈদ নেই? উত্তর হল না। যার কারণেই পবিত্র কুরআন ও আরও অসংখ্য হাদীসে আরও অনেক দিনকে ঈদ এর দিন হিসেবে উল্লেখ হয়েছে। পবিত্র কুরআনেঃ- সূরা মায়িদাহ এর ১১৪ নং আয়াতটির যারা আরবী পড়তে পারেন তারা আরবী পাঠের দিকে নজর দিন ভালমত।
বিস্তারিত

হযরত খুলাফায়ে রাশেদীন আলাইহিমুস সালাম উনাদের ঈদে মিলাদুননবি পালন



মক্কা শরীফের অন্যতম প্রখ্যাত মুহাদ্দিস আল্লামা শিহাব উদ্দিন আহমদ ইবনে হাজার আল হায়তামী আশশাফী রহমতুল্লাহে আলাইহি (জন্ম- ৮৯৯ হিজরী, ওফাত- ৯৭৪ হিজরী) তাঁর সুবিখ্যাত “আন নেয়মাতুল কুবরা আলাল আলাম” কিতাবের মধ্যে নিম্নোক্ত হাদীস গুলো তিনি বর্ণনা করেন-
১। সর্বশ্রেষ্ট সাহবী ও ইসলামের প্রথম খলিফা হযরত আবু বকর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বলেন-
مَنْ اَنْفَقَ دِرْهَمًا عَلَى قِرا ةَ مَوْ لِدِ النَّبىُ مَلَى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَنَرَفِيْقِى فىِ الجَنّةِ
অর্থাৎ- “যে ব্যক্তি মীলাদুন্নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উপলক্ষ্যে এক দিরহাম খরচ করবে সে জান্নাতে আমার সঙ্গী হবে”।
  • আন নেয়মাতুল কুবরা আলাল আলাম, পৃষ্ঠা নং-৭
বিস্তারিত

হযরত শাহ ওয়ালী উল্লাহ মোহাদ্দিসে দেহলভী রহমতুল্লাহে আলাইহি ঈদে মিলাদুননবী পালন

হযরত শাহ ওয়ালী উল্লাহ মোহাদ্দিসে দেহলভী রহমতুল্লাহে আলাইহি ঈদে মিলাদুননবী পালন
হযরত শাহ ওয়ালী উল্লাহ মোহাদ্দিসে দেহলভী রহমতুল্লাহে আলাইহি তার রচিত “আদ দুররুস সামীন ফী মুবাশশারাতিন নবীয়্যিল আমীন” কিতাবের ৯ম পৃষ্ঠায় লিখেছেনঃ 

“আমার শ্রদ্ধেয় আব্বাজান আমাকে অবহিত করে বলেন, আমি প্রতি বছরই নবীকুল সর্দার ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর মীলাদ উপলক্ষ্যে বিরাট খাবার আয়োজন করে আসছিলাম। অতঃপর এক বছর খাবারের আয়োজন করা আমার পক্ষে সম্ভব হয়নি। সুতরাং অল্প ভাজ্যকৃত চনা ব্যতীত আর কিছুই আমি জোগাড় করতে পারিনি। কাজেই সেগুলো উপস্থিত লোকদের মাঝে বন্টন করে দিলাম। অতঃপর আমি স্বপ্নে হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর সাক্ষাত লাভ করে ধন্য হলাম। দেখলাম, হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সামনে ঐ চনাগুলো মওজুদ আছে। তখন হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ছিলেন অত্যন্ত আনন্দিত ও হাস্যোজ্জল”।


  • তথ্যসূত্রঃ ইসলামী শরীয়তের দৃষ্টিতে ঈদে মীলাদুন্নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উদযাপন, পৃষ্ঠা নং-৮১, 
  • ফতুয়ায়ে রশীদিয়া, পৃষ্ঠা নং- ১৩৭, 
  • হাকিকতে মীলাদ, পৃষ্ঠা নং-২৮

 “ফয়ূযুল হারামাইন” কিতাবে শাহ ওয়ালী উল্লাহ মোহাদ্দিসে দেহলভী রহমাতুল্লাহে আলাইহি আরো বলেনঃ 
“আমি এর পূর্বে মক্কা মু’আযযামায় বেলাদত শরীফের বরকতময় ঘরে উপস্থিত ছিলাম। আর সেখানে লোকজন সমবেত হয়ে হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার উপর একত্রে দরুদ শরীফ পাঠা করছিলেন। হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শুভাগমনের সময় সংঘটিত অলৌকিক ঘটনাবলী ও তার নবুয়ত প্রকাশের পূর্বে সংঘটিত ঘটনাবলী আলোচনা করছিলেন। তারপর আমি সেখানে এক মিশ্র নূরের ঝলক প্রত্যক্ষ করলাম। আমি বলতে পারিনি যে, এ নূরগুলো চর্মচক্ষে দেখেছিলাম এবং এটাও বলতে পারি না যে, এগুলো কেবল মাত্র অন্তর চক্ষুতে দেখেছিলাম। এ দুটোর মধ্যে প্রকৃত ব্যাপার কি ছিল, তা আল্লাহ পাকই ভাল জানেন। অতঃপর আমি গভীরভাবে চিন্তা করলাম এবং উপলব্ধি করতে পারলাম যে, এই নূর বা জ্যোতি ঐ সব ফিরিশতার, যারা এ ধরণের মজলিস ও উল্লেখযোগ্য (ধর্মীয়) স্থানসমূহে (জ্যোতি বিকিরণের জন্য) নিয়োজিত থাকেন। আমার অভিমত হল সেখানে ফিরিশতাদের নূর ও রহমতের নূরের সংমিশ্রণ ঘটেছে”।

  • ফয়ূযুল হারামাইন (আরবী-উর্দু), পৃষ্ঠা নং- ৮০-৮১


বিস্তারিত

ঈদে মিলাদুননবি পালনে মুনাফিকদের অন্তরে অসহনীয় জ্বালা সৃষ্টি হয়

ঈদে মিলাদুননবি পালনে মুনাফিকদের অন্তরে অসহনীয় জ্বালা সৃষ্টি হয়
আল্লামা কুস্তোলানী রহমাতুল্লাহে আলাইহি স্বীয় মাওয়াহিব গ্রন্থে বলেন-
“প্রতিটি যুগে মুসলমানগণ নবী করীম ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর বেলাদত শরীফের মাসে মাহফিলের আয়োজন করে আসছেন। উন্নত মানের খাবারের আয়োজন করেন, এর রাতগুলোতে বিভিন্ন ধরণের সাদক্বাহ- খায়রাত করেন, আনন্দ প্রকাশ করতে থাকেন, পুন্যময় কাজ বেশি পরিমাণে করেন এবং নবী করীম ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর বেলাদত শরীফের আলোচনার প্রতি গুরুত্ব দিয়ে আসেন। ফলে আল্লাহর অসংখ্য বরকত ও ব্যাপক অনুগ্রহ প্রকাশ পায়। এর বিশেষত্বের এটাও পরীক্ষিত যে, নিঃসন্দেহে গোটা বছরই তারা নিরাপদে থাকে এবং তাদের উদ্দেশ্য দ্রুত সফল হয়ে থাকে”। (ইমাম কুস্তোলানী রহমতুল্লাহে আলাইহি দো’আ করে বলেন) অতএব, “ঐ ব্যক্তিকে আল্লাহ দয়া করুন, যে মীলাদুন্নবী মোবারক মাসের রাতগুলোকে ঈদ হিসেবে উদযাপন করে- এ লক্ষ্যে যেন মুনাফিকদের অন্তরে অসহনীয় জ্বালা সৃষ্টি হয়”।
  • শরহে জুলকানী, ১ম খন্ড, পৃষ্ঠা নং- ২৬১-২৬৩


বিস্তারিত

হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার জন্মদিনে ইবলিশই একমাত্র কেদেছিল ----

হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার জন্মদিনে ইবলিশই একমাত্র কেদেছিল ----
ইবন কাসির এর আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া, ২য় খন্ড, ১৬৬ পৃষ্ঠায় উল্লেখ আছেঃ
ইবলিশ শয়তান জীবনে ৪ বার খুব বেশি কেঁদেছে-
 أن إبليس رن أربع رنات حين لعن وحين أهبط وحين ولد رسول الله صلى الله عليه وسلم وحين أنزلت الفاتحة
১. আল্লাহ যখন তাকে অভিশপ্ত হিসেবে ঘোষণা দিলেন,
২. যখন তাকে বেহেস্ত থেকে বিতাড়িত করা হল,
৩. নূর নবীজীর ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম দুনিয়াতে আগমনের সময় এবং
৪. সূরা ফাতিহা নাযিল হবার সময়

তাহলে যারা এদিনকে বিদয়াত বলে ,বিরোধীতা করে তারা কি ইবলিশের কায়িম মাকাম নয় ? 
বিস্তারিত

আবু লাহাবের ঈদে মিলাদুননবি নিয়ে ইমাম মুজতাহিদগনের কি অভিমত ?

আল্লামা ইমাম শিহাব উদ্দিন আহমদ কুস্তোলানী রহমাতুল্লাহে আলাইহি “মাওয়াহিবে লাদুন্নিয়া” নামক কিতাবে হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর দুগ্ধপান শীর্ষক অধ্যায়ে আলোচনা করতে গিয়ে বলেন- 
“আবু লাহাবের আযাদকৃত দাসী সুয়াইবাহ তাকে (হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে দুধ পান করিয়েছেন। যাকে আবু লাহাব তখনই আযাদ করেছিলো তখন তিনি তাকে হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর বেলাদত শরীফের শুভ সংবাদ শুনিয়েছিলেন। উল্লেখ্য যে, একদা আবু লাহাবকে তার মৃত্যুর পর স্বপ্নে দেখা গিয়েছিলো। (হযরত আব্বাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু এক বছর পর স্বপ্ন দেখেছিলেন) তখন তাকে বলা হলো “তোমার কি অবস্থা?” সে বলল, দোজখেই আছি। তবে প্রতি সোমবার রাতে আমার শাস্তি কিছুটা শিথিল করা হয়; আর আমি আমার এ আঙ্গুল দুটির মধ্যখানে চুষে পানি পানের সুযোগ পাই। আর তখন সে তার আঙ্গুলের মাথা দিয়ে ইশারা করলো। আর বলল, আমার শাস্তির শিথিলতা এ জন্য যে, সুয়াইবা যখন আমাকে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর বেলাদতের সুসংবাদ দিয়েছিলো, তখন তাকে আমি আযাদ করে দিয়েছিলাম এবং সে হুযুরকে দুগ্ধপান করিয়েছে”।

বিস্তারিত

ঈদে মিলাদুননবী নিয়ে ইমাম মুজতাহিদগনের কি অভিমত ?

ঈদে মিলাদুননবী নিয়ে ইমাম মুজতাহিদগনের কি অভিমত ?

১. প্রসিদ্ধ তাবেঈ হযরত হাসান বসরী (রাহমাতুল্লাহি আলাইহি ) বলেন
قال حسن البصري رضي الله تعالی عنه وددت لو کان لی مثل جبل احد ذھبا فانفقته علی قراءة مولد النبي صلی الله علیه وسلم
অর্থাৎ- যদি আমার উহুদ পাহাড় পরিমাণ স্বর্ণ থাকত তাহলে আমি তা রাসূলে পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর ঈদ-ই-মিলাদুন্নাবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মাহফিলে খরচ করতাম।
[আন নেয়মাতুল কুবরা আলাল আলাম, পৃষ্ঠা নং-১১]
২. হযরত জুনাইদ বাগদাদী (রাহমাতুল্লাহি আলাইহি ) বলেন
যে ব্যক্তি ঈদ-ই-মিলাদুন্নাবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এ উপস্থিত হয়ে তাঁকে সম্মান প্রদর্শন করেছে, সে ঈমানের সফলতা লাভ করেছে।
[আন নেয়মাতুল কুবরা আলাল আলাম, পৃষ্ঠা নং-১১]
বিস্তারিত

অন্যান্য নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনারও মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উদযাপন করেন

 মহান আল্লাহ পাক উনার সাথে আলমে আরওয়াহতে  কৃত ওয়াদার বাস্তবতা প্রতিপালনের লক্ষ্যে সমস্ত  নবী-রসূল আলাইহিমুস্ সালাম উনারা যমিনে আগমন  করে সারা জীবন স্বীয় উম্মতগণের সাথে মীলাদুন্  নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তথা হুযূর পাক  ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ছানা ছিফত  বা প্রশংসা করেছেন। আর ঐ ওয়াদার বাস্তবতায়ই  হযরত আদম আলাইহিস্ সালাম তিনি দু’শ থেকে তিনশত  বছর কান্নাকাটি করার পর হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু  আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মীলাদুন্ নবী  ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম করার কারণে  উনার দুয়া কবুল করা হয়েছে।  
এ সম্পর্কে হাদীছ শরীফে এসেছে- 

 ﻋﻦ ﻋﻤﺮ ﺑﻦ ﺍﻟﺨﻄﺎﺏ ﺭﺿﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﺗﻌﺎﻟﻰ ﻋﻨﻪ ﻗﺎﻝ ﻗﺎﻝ  ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻟﻤﺎ ﺍﻓﺘﺮﻯ ﺍﺩﻡ  ﺍﻟﺨﻄﺌﻪ ﻗﺎﻝ ﻳﺎﺭﺏ ﺍﻏﻔﺮﻟﻰ ﺑﺤﻖ ﻣﺤﻤﺪ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ  ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ. ﻗﺎﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺗﻌﺎﻟﻰ ﻳﺎﺍﺩﻡ ﻋﻠﻴﻪ ﺍﻟﺴﻼﻡ ﻛﻴﻒ  ﻋﺮﻓﺖ ﻣﺤﻤﺪﺍ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻗﺎﻝ ﻻﻧﻚ ﻟﻤﺎ  ﺧﻠﻘﺘﻨﻰ ﺑﻴﺪﻙ ﻭﻧﻔﺨﺖ ﻓﻰ ﻣﻦ ﺭﻭﺣﻚ ﻓﺮﻓﻌﺖ ﺭﺃﺳﻰ  ﻓﺮﺃﻳﺖ ﻋﻠﻰ ﻗﻮﺍﻡ ﺍﻟﻌﺮﺵ ﻣﻜﺘﻮﺑﺎ ﻻﺍﻟﻪ ﺍﻻ ﺍﻟﻠﻪ ﻣﺤﻤﺪ  ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﻓﻌﻠﻤﺖ ﺍﻧﻚ ﻟﻢ ﺗﻀﻒ ﺍﻟﻰ ﺍﺳﻤﻚ ﺍﻻ ﺍﺣﺐ  ﺍﻟﺨﻠﻖ ﺍﻟﻴﻚ. ﻗﺎﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺗﻌﺎﻟﻰ ﺻﺪﻗﺖ ﻳﺎﺍﺩﻡ ﻋﻠﻴﻪ  ﺍﻟﺴﻼﻡ ﻟﻮﻻ ﻣﺤﻤﺪ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ  ﻣﺎﺧﻠﻘﺘﻚ.  
বিস্তারিত

মহান আল্লাহ পাক স্বয়ং নিজেই সর্বপ্রথম মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উদযাপন করেন


সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন্  নাবিয়্যীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া  সাল্লাম উনার মুহব্বত, ছানা-ছিফত, প্রশংসা তথা  মীলাদুন্ নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামদ  সর্বপ্রথম পালন করেছেন মহান আল্লাহ রব্বুল আলামীন  তিনি। 
এ সম্পর্কে হাদীছে কুদসী শরীফ-এ উল্লেখ  করা হয়েছে-  ﻛﻨﺖ ﻛﻨﺰﺍ ﻣﺨﻔﻴﺎ ﻓﺎﺣﺒﺒﺖ ﺍﻥ ﺍﻋﺮﻑ ﻓﺨﻠﻘﺖ ﺍﻟﺨﻠﻖ  ﻻﻋﺮﻑ .  

  • অর্থ: আমি গুপ্ত ছিলাম। আমার মুহব্বত হলো যে, আমি  জাহির হই। তখন আমি আমার (রুবুবিয়্যত) জাহির করার  জন্যই সৃষ্টি করলাম মাখলূকাত (আমার হাবীব হুযূর পাক  ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে) 
  • (আল  মাকাসিদুল হাসানা/ ৮৩৮, 
  • কাশফূল খিফা/২০১৩,  
  • আসনাল মুত্বালিব/১১১০, 
  • তমীযুত তীব/১০৪৫, 
  • আসরারুল  মারফুআ/৩৩৫, 
  • তানযিয়াতুশ শরীয়াহ ১/১৪৮, 
  • আদ্দুরারুল  মুন্তাছিরা/৩৩০, 
  • আত্ তায্কিরা ফি আহাদীসিল  মুশতাহিরা/১৩৬, 
  • সিররুল আসরার, কানযুল উম্মাল)  
বিস্তারিত

নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের বিলাদত শরীফ, বিছাল শরীফ, পুনরুত্থান প্রত্যেকটিই ঈদ বা খুশি প্রকাশের কারণ।



যেমন, হযরত ঈসা আলাইহিস সালাম উনার ব্যাপারে

কুরআন শরীফ-এ ইরশাদ হয়েছে-

ﻭﺳﻠﻢ ﻋﻠﻴﻪ ﻳﻮﻡ ﻭﻟﺪ ﻭﻳﻮﻡ ﻳﻤﻮﺕ ﻭﻳﻮﻡ ﻳﺒﻌﺚ ﺣﻴﺎ .

  • অর্র্থ: ‘উনার প্রতি সালাম (শান্তি), যে দিন তিনিবিলাদত শরীফ লাভ করেছেন এবং যেদিন তিনি বিছাল শরীফ লাভ করবেন এবং যেদিন তিনিপুনরুত্থিত হবেন।’ (সূরা মারইয়াম-১৫)
অনুরূপ হযরত ইয়াহইয়া আলাইহিস সালাম সম্পর্কে

উনার নিজের বক্তব্য কুরআন শরীফ-এ ইরশাদ হয়েছে-


ﻭﺍﻟﺴﻠﻢ ﻋﻠﻰ ﻳﻮﻡ ﻭﻟﺪﺕ ﻭﻣﻮ ﺍﻣﻮﺕ ﻭﻳﻮﻡ ﺍﺑﻌﺚ ﺣﻴﺎ
  • অর্র্থ: ‘আমার প্রতি সালাম যেদিন আমি বিলাদত শরীফ লাভ করি, যে দিন আমি বিছাল শরীফ লাভ করি এবং যেদিন পুনরুত্থিত হবো।’ (সূরা মারইয়াম -৩৩)
আর হাদীছ শরীফ-এ বর্ণিত রয়েছে- আল্লাহ পাক- উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন-

ﺣﻴﺎﺗﻰ ﺧﻴﺮ ﻟﻜﻢ ﻭﻣﻤﺎﺗﻰ ﺧﻴﺮ ﻟﻜﻢ .
  • অর্র্থ: ‘আমার হায়াত-মউত সব অবস্থাই তোমাদের জন্য কল্যাণ বা খায়ের-বরকতের কারণ।’ (কানযুল উম্মাল)
এছাড়া, হাদীছ শরীফ-এ আরো বর্ণিত রয়েছে- আল্লাহ পাক- উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন-

ﺍﻥ ﻣﻦ ﺍﻓﻀﻞ ﺍﻳﺎﻣﻜﻢ ﻳﻮﻡ ﺍﻟﺠﻤﻌﺔ ﻓﻴﻪ ﺧﻠﻖ ﺍﺩﻡ

ﻭﻓﻴﻪ ﻗﺒﺾ .
  • অর্র্থ: ‘তোমাদের দিনগুলোর মধ্যে উত্তম দিন হচ্ছে জুমুআর দিন। এ দিনে হযরত আদম আলাইহিস সালাম পয়দা হয়েছেন এবং এ দিনেই তিনি বিছাল শরীফ লাভ করেছেন।’ (নাসায়ী শরীফ)
অতঃপর আল্লাহ পাক- উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন-

ﺍﻥ ﻫﺬﺍ ﻳﻮﻡ ﺟﻌﻠﻪ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻴﺪﺍ .
  • অর্র্থ: ‘এ জুমুআর দিন হচ্ছে এমন একটি দিন, যে দিনকে আল্লাহ পাক ঈদের দিন সাব্যস্ত করেছেন।’ (ইবনে মাজাহ, মুসনাদে আহমদ)
উপরোক্ত আলোচনা দ্বারা এটাই প্রমাণিত হলো যে, হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের বিলাদত শরীফ (জন্ম) দিবস এবং বিছাল শরীফ (ইন্তিকাল) দিবস উভয়টিই বান্দা-বান্দি ও উম্মতের জন্য রহমত, বরকত , সাকীনা এবং ঈদ বা খুশি প্রকাশের কারণ। অর্থাৎ বিলাদত শরীফ ও বিছাল শরীফ দিবস পালন বা উদযাপন করা কুরআন শরীফ ও হাদীছ শরীফ সম্মত।
এ বিষয়টি আরো সুস্পষ্ট ও অকাট্য ভাবে প্রমাণিত হয এ হাদীছ শরীফ দ্বারা, হাদীছ শরীফ-এ উল্লেখ আছে, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি হযরত আনাস বিন মালিক রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনাকে লক্ষ্য করে বলেন, “হে আনাস (রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু) আপনি যদি রোযা রাখতে চান তবে ‘ইয়াওমুল ইছনাইন’ বা সোমবার শরীফ-এ রোযা রাখবেন। কেননা সোমবার শরীফ-এ আমার বিলাদত শরীফ হয়েছে, আমার প্রতি পবিত্র কুরআন শরীফ নাযিল হয়েছে, আমার মি’রাজ শরীফ হয়েছে এবং আমার বিছাল শরীফ সোমবার শরীফ-এই হবে।”
উক্ত হাদীছ শরীফ দ্বারা স্বয়ং নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি নিজেই উম্মতেরকে বিলাদত ও বিছাল শরীফ দিবস উদযাপন করার জন্য উৎসাহিত করেছেন। অনুসরণীয় ইমাম-মুজতাহিদ, মুহাক্কিক্ব-মুদাক্কিক্ব অর্থাৎ আউলিয়ায়ে কিরাম উনারা এ হাদীছ শরীফ- এর উপর ভিত্তি করেই বিলাদত ও বিছাল শরীফ দিবস পালন বা উদযাপন করেন এবং পালন বা উদযাপন করাকে জায়িয বা কুরআন শরীফ ও হাদীছ শরীফ সম্মত বলে ফতওয়া দেন। মূল কথা হলো- হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম, হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম, হযরত আউলিয়ায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনাদের বিলাদত ও বিছাল শরীফ দিবস পালন বা উদযাপন করা শুধু জায়িযই নয় বরং সুন্নতেরও অন্তর্ভূক্ত। এটাকে যারা নাজায়িয ও বিদয়াত বলে ফতওয়া দেয় তারা চরম জাহিল ও কাট্টা গুমরাহ।


বিস্তারিত

শরীয়তে ঈদ কয়টি ? শরীয়তে ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আদ্বহা এ দু’টি ঈদ ছাড়াও আরো ঈদের অস্তিত্ব রয়েছে।



মহান আল্লাহ পাক তিনি বলেন-

ﻗﺎﻝ ﻋﺴﻰ ﺑﻦ ﻣﺮﻳﻢ ﺍﻟﻠﻬﻢ ﺭﺑﻨﺎ ﺍﻧﺰﻝ ﻋﻠﻴﻨﺎ ﻣﺎﺋﺪﺓ ﻣﻦ

ﺍﻟﺴﻤﺎﺀ ﺗﻜﻮﻥ ﻟﻨﺎ ﻋﻴﺪﺍ ﻻﻭﻟﻨﺎ ﻭﺍﺧﺮﻧﺎ .


  • অর্থঃ- হযরত ঈসা রূহুল্লাহ আলাইহিস সালাম তিনিভবলেন, হে আল্লাহ পাক আপনি আমাদের জন্য আসমান

 থেকে খাদ্যসহ খাঞ্চা নাজিল করুন। যাতে সে দিনটি আমাদের জন্য এবং আমাদের পরবর্তীদের জন্য ঈদের দিন হিসেবে নির্ধারিত হয়। (সূরা মায়িদা-১১৪)


অর্থাৎ এ আয়াত শরীফ-এ ইহুদীদের খাদ্যের খাঞ্চা নাজিলের দিনকে তাদের জন্য ও পরবর্তী তথা ক্বিয়ামত পর্যন্ত সকল মানুষের জন্য ঈদের দিন হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।
বিস্তারিত

পবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ উনার বরকতময় শান নিয়ে লিখিত কয়েকটি বিখ্যাত কিতাবের নাম

পবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ উনার বরকতময় শান নিয়ে লিখিত কয়েকটি বিখ্যাত কিতাবের নাম
সাইয়্যিদে ঈদে আকবর ওয়া ঈদে আ’যম পবিত্র ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তথা পবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ উনার বরকতময় শান নিয়ে লিখিত কয়েকটি বিখ্যাত কিতাবের নাম…..
ইদানীং সাইয়্যিদে ঈদে আকবর ওয়া ঈদে আ’যম পবিত্র ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তথা পবিত্র সাইয়্যিদুল আইয়াদ শরীফ উনার নাম শুনলে কিছু লোক বিদয়াত বিদয়াত বলে চিৎকার করে, কিতাবে নেই, পূর্বের কোনো আউলিয়াগণ করেননি ইত্যাদি ইত্যাদি নানা মিথ্যা কথা বলে থাকে।
অথচ শতশত, হাজার বছর ধরে হযরত ছাহাবায়ে কিরাম. যুগশ্রেষ্ঠ ইমাম-মুজাতাহিদ, উলামায়ে কিরামগণ উনারা পবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ মাহফিলের আয়োজন করেছেন, এতে শরীক হয়েছেন এবং এসব বরকতময় আমলের পক্ষে কিতাবও রচনা করেছেন।
এখানে ঐ সকল মহান উলামায়ে কিরামগণ উনাদের কয়েকটি বিখ্যাত কিতাবের নাম উল্লেখ করা হলো।
বিস্তারিত

সাড়ে তিন হাত বডিতে ইসলাম নেই; এরাই সেজেছে মূফতী। ফতওয়া দিচ্ছে কাফির মত: সাইয়্যিদুল আইয়াদ শরীফ পালন করা বিদয়াত(নাউযুবিল্লাহ)

সাড়ে তিন হাত বডিতে ইসলাম নেই; এরাই সেজেছে মূফতী। ফতওয়া দিচ্ছে কাফির মত: সাইয়্যিদুল আইয়াদ শরীফ পালন করা বিদয়াত(নাউযুবিল্লাহ)

আমার পরিচিতদের মধ্যে অনেককে দেখা যায় খ্রিস্টানদের অনুসরন করে নিজের জন্মদিন পালন করে তথা কেক কেটে জন্মদিন পালন করে। এতে কারও আপত্তি থাকেনা। সবাই তখন খ্রিস্টানী সংস্ক্রতিতে একমত। তখন কেউ বিদয়াত বলছে না বা বিরতও থাকছে না। কাফিরদের মত নেচে গেয়ে ঠিকই জন্মদিন পালন করে।
কিন্তু মজার বিষয় হলো তাদেরকে যখন ঈদে মিলাদুন্নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিষয়ে বলা হয় তখন তারা দেদারসে ফতওয়া দেয় যে এটা পালন করা বিদয়াত। কুরআন শরীফ-হাদীছ শরীফ উনাদের কোথাও নেই বলে ফাকা বুলি আওড়ায়ে থাকে।

আমি তাদেরকে একদিন জিঙ্গেস করেছিলাম যে তোমরা যে খ্রিস্টানদের অনুকরনে কেক কেটে জন্মদিন পালন করলা-এটা কুরআন শরীফ-হাদীছ শরীফ উনাদের কোথায় আছে জানো কি? আরও বলি তোমরা যেভাবে জন্মদিন পালন করছো তাতে তোমাদের হাশর-নাশর তো খ্রিস্টানদের সাথে হবে তা কি জানো? তখন উত্তরে বলে এতো কিছু দেখার সময় নেই। ভাল লাগছে তাই বন্ধুরা মিলে কেক কেটে জন্মদিন পালন করছি; আর মজা করছি। একটু মজা ও আড্ডা না দিলে কি হয়?
বিস্তারিত

পবিত্র জুমুয়ার দিন ঈদের দিন হলে সাইয়্যিদুল আইয়াদ শরিফ কেন ঈদ হিসেবে পালন করা যাবেনা?

পবিত্র জুমুয়ার দিন ঈদের দিন হলে সাইয়্যিদুল আইয়াদ শরিফ কেন ঈদ হিসেবে পালন করা যাবেনা?
হাদীছ শরীফ-এর ছহীহ ও প্রসিদ্ধ কিতাব ইবনে মাজাহ ও মিশকাত শরীফ-এ হযরত আদম আলাইহিস সালাম উনাকে সৃষ্টি, উনার যমীনে আগমন এবং বিছাল শরীফ-এর দিন জুমুআর দিনকে ঈদের দিন বলে উল্লেখ করা হয়েছে এবং এই জুমুআর দিনকে ঈদুল ফিতর এবং ঈদুল আযহা অপেক্ষা মহান দিন বলে ঘোষণা করা হয়েছে। সুবহানাল্লাহ!
যেমন এ প্রসঙ্গে হাদীছ শরীফ-এ বর্ণিত রয়েছে-
عن عبيد بن السباق مرسلا وعن ابن عباس رضى الله تعالى عنه متصلا قالا قال رسول الله صلى الله عليه وسلم فى جمعة من الجمع يا معشر المسلمين ان هذا يوم جعله الله عيدا فاغسلوا ومن كان عنده طيب فلا يضره ان يمس منه وعليكم بالسواك.

অর্থ: হযরত উবায়িদ বিন সাব্বাক্ব রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু মুরসালসূত্রে বর্ণনা করেন, নূরে মুজাস্সাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এক জুমুআর দিনে বলেন, হে মুসলমান সম্প্রদায়! এটি এমন একটি দিন যে দিনটিকে আল্লাহ পাক ঈদস্বরূপ নির্ধারণ করেছেন। (ইবনে মাজাহ, মুয়াত্তা মালিক, মিশকাত)
বিস্তারিত

যারা সাইয়্যিদুল আইয়াদ শরীফ উনার বিরোধিতা করে তাদের চরিত্র কেমন?

যারা সাইয়্যিদুল আইয়াদ শরীফ উনার বিরোধিতা করে তাদের চরিত্র কেমন?
আখিরী রসূল, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মুবারক শান উনার বিরোধিতাকারীদের জঘন্য চরিত্র সম্পর্কে স্বয়ং আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন: “সে (ওলীদ বিন মুগীরা) মিথ্যে শপথকারী, অপমানিত, নিন্দাকারী, পরের দোষ বর্ণনাকারী, চোগলখোর, সৎকাজে নিষেধকারী, সীমা লঙ্ঘনকারী, পাপিষ্ঠ, বদ-চরিত্র এবং অধিকন্তু সে অবৈধ সন্তান।” (পবিত্র সূরা ক্বলম শরীফ : আয়াত শরীফ ১০-১৩)
মূলত নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মুবারক জাত পাক উনার সাথে সম্পৃক্ত হচ্ছে পবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ উনার বিষয়টি। আর তাই এই মুবারক বিষয় উনার বিরোধিতাকারীও হচ্ছে স্বয়ং নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনারই বিরোধিতাকারী। (নাউযুবিল্লাহ মিন যালিক)
বিস্তারিত

মহান আল্লাহ পাক স্বয়ং নিজেই সর্বপ্রথম ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উপলক্ষে ঈদ উদযাপন করেন


সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মুহব্বত, ছানা-ছিফত, প্রশংসা তথা মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উপলক্ষে ঈদ সর্বপ্রথম পালন করেছেন মহান আল্লাহ রব্বুল আলামীন তিনি স্বয়ং নিজে। 
এ সম্পর্কে হাদীছে কুদসী শরীফ-এ উল্লেখ করা হয়েছে,
كنت كنزا مخفيا فاحببت ان اعرف فخلقت الخلق لاعرف.
  • অর্থ: “আমি গুপ্ত ছিলাম। আমার মুহব্বত হলো যে, আমি জাহির হই। তখন আমি আমার (রুবুবিয়্যত) জাহির করার জন্যই সৃষ্টি করলাম মাখলূকাত (আমার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে)।” 
বিস্তারিত

ঈদে মীলাদুন্নবী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তথা সাইয়্যিদুল আইয়াদ পালন করার হুকুম।

হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি। যিনি সমগ্র কায়িনাতের মূল বা উৎস। উনার মুবারক শানে মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ করেন, ورفعنا لك ذكرك.
অর্থ: “আমি আপনার সুমহান মর্যাদাকে বুলন্দ করেছি।” (সূরা ইনশিরাহ)
এ আয়াত শরীফ-এ মহান আল্লাহ পাক তিনি উনার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মর্যাদা বুলন্দির কোনো সীমা নির্ধারণ করেননি। কাজেই কোন মাখলূকাতের জন্যই সাইয়্যিদুল আম্বিয়া ওয়াল মুরসালীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মর্যাদা মর্তবার সীমা নির্ধারণ করা তো জায়িয হবেই না। বরং মর্যাদা-মর্তবার সীমা নির্ধারণের চিন্তা করাটাও কুফরীর অন্তর্ভুক্ত।
মূলত মহান আল্লাহ পাক উনার পরেই হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার স্থান। এক কথায় তিনি শুধু আল্লাহ পাক নন, এছাড়া সমস্ত মর্যাদা ও মর্তবার অধিকারী হচ্ছেন- নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি। সুবহানাল্লাহ!
বিস্তারিত

প্রসিদ্ধ আওলিয়ায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিমগণের দৃষ্টিতে ঈদে মীলাদুন্নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর গুরুত্ব ও ফযীলত



১. হযরত ইমাম হাসান বসরী রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেন –
  • “আমার একান্ত ইচ্ছা হয় যে, আমার যদি ওহুদ পাহাড় পরিমান স্বর্ণ থাকত তাহলে তা ঈদে মীলাদুন্নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উপলক্ষ্যে ব্যয় করতাম। (সুবহানাল্লাহ্) (আন্ নেয়ামাতুল কুবরা)
২. হযরত ইমাম শাফেয়ী রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেন –
  • “যে ব্যক্তি মীলাদ শরীফ পাঠ বা মীলাদুন্নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উদযাপন উপলক্ষ্যে লোকজন একত্রিত করলো এবং খাদ্য তৈরি করলো ও জায়গা নির্দিষ্ট করলো এবং মীলাদ পাঠের জন্য উত্তম ভাবে (তথা সুন্নাহ ভিত্তিক) আমল করলো তাহলে উক্ত ব্যক্তিকে আল্লাহ পাক হাশরের দিন সিদ্দীক শহীদ, সালেহীনগণের সাথে উঠাবেন এবং তাঁর ঠিকানা হবে জান্নাতে নাঈমে ।” (সুবহানাল্লাহ্) (আন্ নেয়ামাতুল কুবরা)
বিস্তারিত

ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করা বান্দা-বান্দী ও উম্মতের জন্য ফরয হওয়ার প্রমাণ

উছুলে ফিক্বাহর সমস্ত কিতাবেই উল্লেখ আছে যে-الامر للوجوبঅর্থাৎ আদেশসূচক বাক্য দ্বারা সাধারণত ফরয-ওয়াজিব সাব্যস্ত হয়ে থাকে। (উছূলুল বাযদুবী, উছূলুশ শাশী, আল মানার, নূরুল আনওয়ার) যেমন- পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে- اقيموا الصلوة অর্থাৎ “তোমরা নামায আদায় কর।” পবিত্র কুরআন শরীফ উনার এ নির্দেশসূচক বাক্য দ্বারাই নামায ফরয সাব্যস্ত হয়েছে। অনুরূপ পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে- واعفوا اللحى অর্থাৎ “তোমরা (পুরুষরা) দাড়ি লম্বা কর।”

বিস্তারিত

ইমাম মুজতাহিদ ,আউলিয়া কিরাম উনাদের ঈদে মিলাদুন্নবি পালন ।

হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের পরবর্তী তাবিয়ী রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনাদের যুগে এবং তৎপরবর্তী প্রত্যেক যুগেই অনুসরণীয় ইমাম-মুজহাহিদ ও আউলিয়ায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনারা প্রত্যেকেই অত্যন্ত জওক-শওক ও খুশি প্রকাশ করে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মাহফিল করেছেন এবং এ ব্যাপারে বিশেষ গুরুত্ব প্রদান করেছেন। যেমন এ প্রসঙ্গে বর্ণিত রয়েছে যে, বিশিষ্ট তাবিয়ী হযরত হাসান বছরী রহমতুল্লাহি আলাইহি যিনি শতাধিক ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের সাক্ষাৎ পেয়েছিলেন, যিনি ইসলামের চতুর্থ খলীফা হযরত আলী কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহু রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার খলীফা ও ছাত্র ছিলেন। তিনি বলেন-
وددت لو كان لى مثل جبل أحد ذهبا فانفقته على قرائة مولد النبى صلى الله عليه وسلم.

  • অর্থ: “আমার একান্ত ইচ্ছা হয় যে, আমার যদি উহুদ পাহাড় পরিমাণ স্বর্ণ থাকতো তাহলে আমি তা মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিলাদত শরীফ অর্থাৎ ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উদযাপন উপলক্ষে ব্যয় করতাম।”সুবহানাল্লাহ! (আন নি’য়ামাতুল কুবরা আলাল আলাম)
বিস্তারিত

সাইয়্যিদুল আইয়াদ শরীফ পালন

عِيْدُ مِيْلَادِ النَّبِىّ ِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ (ঈদু মীলাদিন নাবিইয়্যি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) উনার আভিধানিক অর্থ মুবারক হচ্ছে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত বিলাদত শরীফ উনার দিবস উপলক্ষে খুশি প্রকাশ করা। 
আর পারিভাষিক অর্থে- عِيْدُ مِيْلَادِ النَّبِىّ ِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ (‘ঈদু মীলাদিন নাবিইয়্যি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম’) হচ্ছেন, ‘সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত বিলাদত শরীফ উনার দিবস উপলক্ষে খুশি প্রকাশ করা, ঈদ পালন করা, উনার সম্মানিত ছানা-ছিফত মুবারক করা, উনার সম্মানিত শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী-সম্মান মুবারক আলোচনা করা, উনার প্রতি সম্মানিত ছলাত শরীফ ও সালাম মুবারক পেশ করা এবং তাসবীহ-তাহলীল মুবারক পাঠ করা, উনার পূত-পবিত্র সম্মানিত জীবনী মুবারক উনার সামগ্রিক বিষয়ে আলোচনা করা।’ সুবহানাল্লাহ!

বিস্তারিত

পবিত্র কোরান শরীফ হতে হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার দুনিয়ায় আগমনের ঈদ বা আনন্দ উৎসব করার দলীল


পবিত্র কুর’আনের এই আয়াতটি-
 قُلْ بِفَضْلِ اللَّهِ وَ بِرَحْمَتِهِ فَبِذَالِكَ فَلْيَفْرَحُوْا هُوَا خَىْرٌ مِمَّا ىَجْمَعُوْنَ 

আর্থাৎ- "হে রাসুল আপনি বলুন আল্লাহর “অনুগ্রহ” ও “রহমত” প্রাপ্তিতে তাঁদের মুমিনদের খুশি উদযাপন করা উচিত এবং এটা হবে তাদের অর্জিত সকল কর্মফলের চেয়েও শ্রেষ্ট"। [সুরা ঈউনূছ,আয়াত ৫৮]

এখানে অনুগ্রহ ও রহমত বলতে আল্লাহ পাক কি বুঝাতে চেয়েছেন ? 

বিস্তারিত

যারা ঈদে মিলাদুননবি তথা সাইয়্যিদুল আ'ইয়াদ এর বিরোধীতা করে তারা কাফির ওলীদ বিন মুগিরার চরিত্র দোষে দোষী ।

আখেরী নবী, নবীদের নবী, রসূলদের রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, উনার মুবারক অধিষ্ঠান ও পবিত্রতা বর্ণনার মাধ্যমে আল্লাহ পাক বিদ্বেষ পোষণকারীদের মন্দ স্বভাব ও জঘন্য দোষ এভাবে বর্ণনা করেছেন: “আপনার প্র

তিপালকের অনুগ্রহে আপনি উন্মাদ নন। আর আপনার জন্য অবশ্যই রয়েছে নিরবচ্ছিন্ন পুরস্কার এবং আপনি অবশ্যই মহানতম চরিত্রের অধিকারী।” (সূরা ক্বলম : আয়াত শরীফ ২-৪)।
বিস্তারিত

রাসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ও সাহাবায়ে কেরাম উনারা মিলাদুন্নবী পালন করেছেন

এ মর্মে অনেক বর্ণনা পাওয়া যায়- 
০১. হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম  পৃথিবীতে শুভাগমন করেছেন সোমবার। তিনি প্রতি সোমবার রোজা রাখতেন। জনৈক সাহাবী সোমবার রোজা রাখা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলে প্রিয় নবী হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এ ব্যাপারে বৈধতা ও ফজিলতের প্রতি ইঙ্গিত করে বললেন-
“فِيهِ وُلِدْتُ وَفِيهِ أُنْزِلَ عَلَيّ” 

  • এই দিনে আমি শুভাগমন করেছি এবং সেদিনই আমার প্রতি প্রথম ওহী অবতীর্ণ করা হয়েছে।

০২. একবার সাহাবায়ে কেরাম হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম দরবারে এমন ভীড় করে বসেছিলেন, যেমন চাঁদের চারপাশে আলোর বৃত্ত সৃষ্টি হয়। সাহাবায়ে কেরাম আরজ করলেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনার শুভ জন্ম সম্বন্ধে আমাদেরকে কিছু এরশাদ করুন। জবাবে প্রিয় নবী হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামবললেন-
انا دعوة ابى ابراهيم وبشرى عيسى بن مريم ورأت امى انه خرج منها نورا اضاءت له قصور الشام

বিস্তারিত

উলামায়ে আহনাফের অভিমত

১. হাদিছ ভাষ্যকার ইমাম মুল্লা আলী ক্বারী রহমতুল্লাহি আলাইহি  ‘ঈদে মিলাদুন্নবী’ উদযাপনের পক্ষে একটি গ্রন্থ রচনা করেছেন। নিম্নে এর ক্রিয়দাংশ উল্লেখ করা হল। 
তিনি বলেন
 ان الزاهد القدوة المعمر ابا اسحاق ابراهيم بن عبد الرحيم بن جماعة لما كان بالمدينة النبوية علي ساكنها أفضل الصلوة واكمل التحية كان يعمل طعاما في المولد النبي صلي الله عليه وسلم ويطعم الناس …………………………….. وسميته بالمورد الروي في مولد النبي
  • অর্থ- ‘‘অনুসরণীয় সূফি আবু ইসহাক ইবরাহীম বিন আব্দর রহীম বিন জামায়াহ্ রহমতুল্লাহি আলাইহি যখন মদিনা শরীফে ছিলেন, তখন তিনি মিলাদুন্নবী উদযাপন উপলক্ষে খাবার তৈরী করে মানুষদের খাওয়াতেন আর বলতেন- ‘আমার পক্ষে যদি সম্ভব হতে, তাহলে পুরো মাস জুড়ে মিলাদুন্নবী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উদযাপন করতাম।’ আমি মুল্লা আলী ক্বারী বলছি- আমি যেহেতু (ইবনে জামায়াহর মত সম্পদ ব্যয় করে) যিয়াপত করতে অক্ষম, সেহেতু (ঈদে মিলাদুন্নবী উদযাপনে) এ ক’টি পৃষ্ঠা লিখলাম, যাতে এগুলো এমন অপ্রকাশ্য যিয়াফত হয়ে যায়, যা শুধু মাস বা বছর নয়; বরং যুগ যুগ ধরে চলমান থাকবে। আর এর (পৃষ্ঠাগুলোর) নাম রাখলাম ‘আল-মাওরিদুর রবী ফি মাওলিদিন্ নবী।’’ 
  • (মুল্লা আলী ক্বারী রহমতুল্লাহি আলাইহি , আল মাওরিদুর রবী ফি মাওলিদিন নবী) 
বিস্তারিত

আভিধানিক অর্থ এ ঈদ কি ?



ঈদ(عید)আরবী শব্দ।এটার আভিধানিক অর্থ ما یعاود مرۃ بعد اخر

 “একের পর এক যা বার বার আসে।”

শাব্দিক দৃষ্টিতে মিলাদের অর্থ হল জন্ম সাল(ইসমে জরফে জামান)।
আর বর্তমান মিলাদের অর্থ হুজুর পাক সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শুভাগমনের দিনকে স্মরণ করে ঐ তারিখ বা ঐ মাসে বা যে কোন সময়ে অনুষ্ঠান পালনের মাধ্যমে আনন্দ উদ্‌যাপন করা।এ মিলাদ,মৌলুদ বা মিলাদুন্নাবী অনুষ্ঠান যেহেতু যুগ যুগ ধরে পালিত হয়ে আসছে তাই একে “ঈদে মিলাদুন্নাবী”নামে নামকরণ করা হয়েছে।

বিস্তারিত

দেওবন্দী - কওমীদের গুরুদের ঈদে মিলাদুন্নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন

১. মৌলভী আশ্রাফ আলী থানভীর মিলাদ পালন
দেওবন্দীদের অন্যতম বুযূর্গ মৌলভী আশ্রাফ আলী থানভী বর্ণনা করে," হুজুর পাক সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নূর মুবারকের উসিলায় সমস্ত জগত সৃষ্টি হয়েছে।" 


আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেন,

وذکرہم بایام اللہ-ان فی ذالک لایت لکل صبار ‌‎‎شکور-

“আল্লাহ তায়ালা হযরত মূসা আলাইহিস সালাম কে নির্দেশ দেন যে,আপনি তাদেরকে(বনী ইসরাঈল) আল্লাহর নিদর্শনাবলীর কথা স্মরন করিয়ে দিন।নিশ্চয় এতে প্রত্যেক অধিক সবরকারী,শুকুর গুজারদের জন্য অনেক নিদর্শন রয়েছে।”
বিস্তারিত

মক্কা-শরীফ এবং মদীনা শরীফে ঈদে মিলাদুননবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন।



  • মক্কাবাসীদের মিলাদ পালন -

ইমাম শামসুদ্দীন সাখাবী রহমতুল্লাহি আলাইহি সূত্রে মোল্লা আলী ক্বা্রী রহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেন, মক্কা বাসীরা অধিকতর মঙ্গল ও বরকতের অধিকারী।এই পবিত্র নগরীর দিকে মুসলিম মিল্লাত অতি আগ্রহের মাধ্যমে অগ্রসর হও্য়ার চেষ্টা করে।এটার কারন এই যে,এখানে হুজুর পাক সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মৌলুদ শরীফ(পবিত্র জন্মস্থান) বিদ্যমান।এ পবিত্র জন্মস্থানটি তৎকালীন ‘সুকুল লাইল’নামে খ্যাত ছিল।যা বর্তমানে সাফা ও মারওয়া পাহাড়ের পূর্ব পাশে ‘মাকতবা আল মক্কা আল মুকাররমা’ নামে দালান হিসেবে অবস্থিত।
বিস্তারিত

ঈদে মিলাদুন্নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এবং আবু লাহাব ।

সহীহ বুখারী শরিফে রয়েছে-
فلما مات ابو لهب أريه بعض أهله شر حاله قال له : ماذا لقيت قال ابو لهب لم الق بعدكم غير أني سقيت في هذه بعتاقي ثوبية

  • অর্থাৎ ‘আবু লাহাবের মৃত্যুর পর হযরত আব্বাস রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু স্বপ্ন দেখানো হল যে, সে খারাপ অবস্থায় আছে। স্বপ্নদ্রষ্টা তাকে বললেন , তোমার কী অবস্থা? আবু লাহাব বলল, আমি অত্যন্ত আযাবের মধ্যে আছি; তবে হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিলাদতে খুশি হয়ে হযরত সুয়াইবা আলাইহাস সালাম উনাকে মুক্তি দেয়ার কারণে (সেদিন তথা সোমবার) আমাকে সুমিষ্ট পানি পান করানো হয়।’
বিস্তারিত

আশুরার দিন এত ফযিলত হলে ঈদে মিলাদুননবির নয় কেন ?

বিশ্বখ্যাত ইমাম জালাল উদ্দিন সুয়ূতী রহমতুল্লাহি আলাইহি  বলেন-
وقد سئل شيخ الإسلام حافظ العصر ابو الفضل ابن حجر عن عمل المولد فأجاب بما نصه : قال وقد ظهر لي تخريجها على أصل ثابت وهو ثبت في الصحيحين من – ان النبي صلى الله عليه وسلم قدم المدينة فوجد اليهود يصومون يوم عاشوراء فسالهم فقالوا: هو يوم أغرق الله فيه فرعون ونجى موسى فنحن نصومه شكرا لله تعالى فيستفاد منه فعل الشكر لله تعالى على ما من به في يوم معين من اسداء نعمة أو دفع نقمة ويعاد ذلك في نظير ذلك اليوم من كل سنة والشكر لله تعالى يحصل العبادات كالسجود والصيام و الصدقة والتلاوة وأي نعمة أعظم من النعمة بيروز هذا النبي صلى الله عليه وسلم الذي هو بني الرحمة في ذلك اليوم له
অর্থাৎ ‘শাইখুল ইসলাম, হাফিযুল আছর, আবুল ফদল ইবনু হাজর আসকালানী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনাকে  ঈদে মিলাদুন্নবি উদযাপনের ভিত্তি সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলে, তিনি বলেন, ঈদে মিলাদুন্নবি উদযাপনের মূল ভিত্তি আমার নিকট সুস্পষ্ট হয়েছে, যা সহীহ বুখারী ও সহীহ মুসলিম শরিফে রয়েছে। সেই ভিত্তিটা হল- 

বিস্তারিত

পবিত্র কুরআন শরীফে ঈদে মিলাদুন্নবীর প্রমান ( তাফসীর সহ )


আল্লাহ তায়ালার নিয়ামতের শোকরিয়া জ্ঞাপনের একটি উল্লেখযোগ্য মাধ্যম হল নিয়ামতের ওপর খুশি উদযাপন করা। তাই আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কুরআনে ইরশাদ করেছেন-
قل بفضل الله وبرحمته فبذلك فليفرحوا هو خير مما يجمعون
অর্থ- ‘(হে রাসুল) আপনি বলুন, (সবকিছু) আল্লাহর দয়া ও মেহেরবাণীতে। সুতরাং এরই প্রতি তারা (মুসলমান) যেন খুশি উদযাপন করে। তারা যা সঞ্চয় করছে তা থেকে এটিই শ্রেষ্ঠতর।’

এ আয়াতে মহান রাব্বুল আলামীন খুশি উদযাপনের দুটি উপকরণ সাব্যস্ত করেছেন। একটি হল (فضل) আর অপরটি হল (رحمة)। 
বিস্তারিত

ঈদে মিলাদুন্নবী শব্দের পরিচিতি

রাসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামার শুভাগমনের দিন কেবল মুসলমান নয় সৃষ্টিজগতের সকলের জন্য আনন্দের ও রহমতের। আল্লাহ তা‘আলা কুরআন মাজীদে ইরশাদ করেন- আমি আপনাকে জগতসমূহের রহমত করে প্রেরণ করেছি। তাই সৃষ্টির সূচনা কাল থেকে মিলাদুন্নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসল্লামা উদযাপিত হয়ে আসছে। যেহেতু ঈদে মিলাদুন্নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হলো মুসলিম জাতির আনন্দের দিন, সেহেতু সারা বিশ্বের মুসলিমগণ অত্যন্ত ভক্তি ও মর্যাদার সাথে রবিউল আউয়াল মাসে ঈদে মিলাদুন্নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উদযাপন করে থাকেন। কিন্তু এক দল লোক এটিকে অবৈধ ও বিদয়াতে সাইয়্যিআহ (মন্দ বিদআত) বলে প্রচার করছে। অথচ এটি একটি শরিয়ত সম্মত পুণ্যময় আমল, যা কুরআন, সুন্নাহ দ্বারা প্রমাণিত। 

বিস্তারিত

মিলাদুন্নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কুরআন - হাদীস এবং সাহাবায়ে কিরাম বা তাবেয়ীদের কেউ করেন নি আমরা কেন করব?

১. কুরআন শরীফে মীলাদের অস্তিত্ব: 

 ১ম আয়াত:  আল্লাহ তায়ালা কুরআন মাজীদে ইরশাদ ফরমান- 
ياايها الناس قد جاءتكم موعظة من ربكم وشفاء لما فى الصدور وهدى ورحمة للمؤمنين قد بفضل الله وبرحمته فبذلك فليرحوا هوخير مما يجمعون
 " হে মানবকুল; তোমাদের কাছে উপদেশ বাণী এসেছে, তোমাদের রবের পক্ষ থেকে এবং অন্তরের ব্যধির নিরাময়, হেদায়েত ও রহমত মুসলমানদের জন্য। হে রাসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম  আপনি বলুন: আল্লাহর অনুগ্রহ ও তার দয়ায় সুতরাং, এতে তাদের আনন্দিত হওয়া উচিৎ। এটিই উত্তম সে সমুদ্বয় থেকে যা তারা সঞ্চয় করেছে। 

  • সূরা ইউনুছ ৫৭ ,৫৮ 


অত্র আয়াতে কারিমায় فضل الله ورحمة الله এর জন্য আনন্দ প্রকাশ করতে বলা হয়েছে এবং এটি সমস্ত আমলের চেয়ে ভাল বলা হয়েছে এখন বিচার্য এই যে, فضل ورحمة দ্বারা উদ্দেশ্য কি? 
বিস্তারিত

এদিনকে ঈদ বলা যাবে না। যেহেতু ইসলামে দু’টি ঈদ ঈদুল ফিতর এবং ঈদুল আযহা ছাড়া আর কোন ঈদের অস্তিত্ব নেই।

ইসলামী শরীয়ত দু’য়ের বেশি ঈদ নেই এমন কথা সম্পূর্ণ নিবুদ্ধিতারই প্রমাণ।
 কেননা ঈদ-এর সংজ্ঞা হলো-  كل اجتماع للسرور খুশী উদ্যাপনের নিমিত্তে আয়োজিত সম্মেলনকে ঈদ বলা হয়। 
( মিরকাতুল মাফাতীহ )  
অতএব, যখনই কোনো খুশীর অনুষ্ঠান আয়োজিত হয় তাকে ঈদ বলতে ইসলামে নিষেধ করা হয়নি। তার চেয়ে বড় কথা হলো হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম অসংখ্য হাদীস প্রমাণ করে যে ঈদের সংখ্যা শুধুমাত্র দু’টি নয়। যেমন হাদীসে এসেছে- 

عن ابى هريرة رض الله عنه قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم زينوا اعيادكم بالتكبير  
বিস্তারিত

বিশেষত ক্বিয়াম করা নিয়ে বাতিলদের অপপ্রচারের জবাব

ঈদে মীলাদুন্নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিরুদ্ধে সবচেয়ে জোরালো 
১. আপত্তি হলো ক্বিয়াম নিয়ে যেহেতু নবী পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন-
لاتقوموا لما تقوموا الاعاجم يعظم بعضها بعضا
"তোমরা পারস্যের লোকদের মত ক্বিয়াম করনা। তারা একজন অপনজনকে যেমন তা’জীম করে তেমন নয়।"

  •  (আবু দাউদ- ৫২৩২) 
তাদের অপপ্রচারের জবাব - 
বিস্তারিত

ঈদে মীলাদুন্নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর সময় শয়তান ও তার সহযোগীরা ছাড়া সবাই দিনটিকে উদযাপন করেন,

ঈদে মীলাদুন্নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর সময় শয়তান ও তার সহযোগীরা ছাড়া সবাই দিনটিকে উদযাপন করেন,

কেননা শয়তান চার বার উচ্চস্বরে কেঁদেছিল -

  • প্রথমবার যখন আল্লাহতা’লা তাকে অভিশপ্ত আখ্যা দেন; 
  • দ্বিতীয়বার যখন তাকে বেহেশ্ত থেকে বের করে দেয়া হয়; 
  • তৃতীয়বার যখন হুযুর পাক  ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর বেলাদত তথা ধরাধামে শুভাগমন হয়;

এবং

  • চতুর্থবার যখন সূরা ফাতেহা নাযেল তথা অবতীর্ণ হয় 
[ইবনে কাসীর কৃত আল- বেদায়া ওয়ান্ নেহায়া, ২য় খণ্ড, ১৬৬ পৃষ্ঠা] |

এ পৃথিবীতে যত নেয়ামত রয়েছে বা এসেছে এর চেয়ে সবচেয়ে বড় নেয়ামত হচ্ছে হাবিবুল্লাহ হুজুর পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম | আল্লাহর এই নেয়ামত ও অনুগ্রহকে কেন্দ্র করে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা ও আনন্দ উদযাপন করার
নির্দেশ স্বয়ং রাব্বুল আলামিন দিয়েছেন যার প্রমান উপরোক্ত পবিত্র কোরআনের আয়াত | অতএব নবীজির শুভাগমনের চেয়ে শ্রেষ্ঠ নেয়ামত আর কি হতে পারে ?
 
বিস্তারিত

ফিরিশতা আলাইহিমুস সালাম উনাদের মিলাদ্দুননবি পালন

ফিরিশতা আলাইহিমুস সালাম উনাদের মিলাদ্দুননবি পালন
ফেরেস্তাগনের কিয়াম : দিবা -রাত্রি ২৪ ঘন্টা :

আল্লাহর ৭০ হাজার ফেরেস্তা সর্বদা হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর রওজা মোবারক দাড়িয়ে দাঁড়িয়ে নুরের পাখা রওজা মোবারকে সামিয়ানার মত বিস্তার করে দুরূদ ও সালাম পেশ করে থাকেন | অথচ আমরা ফেরেস্তাদের অনুকরনে ৫/১০ মিনিট দাড়িয়ে দুরূদ ও সালাম পেশ করলে বেদাত হয়ে যায় বলে এক শ্রেনীর আলেম ও মুসলমান নামধারী দুশমনে রাসুলরা ফতোয়া দিয় বসে ! ফেরেস্তারাও কি তাহলে বেদাতে লিপ্ত ?
বিস্তারিত

দেওবন্দিদের কাছে মিলাদ শরীফের প্রমান


বর্তমানের দেওবন্দীরা যে সত্যিকারের মুর্খ , পাগল আর বাতিলপন্থী ওহাবী তা তাদের আকীদাগত কার্যকলাপ আর
পাইকারী ফতুয়াবাজি থেকে সহজেই অনুধাবন করা যায় | তাদের যদি নুন্যতম কোরআন হাদিসের জ্ঞান আর তাদের
পূর্বসুরী দেওবন্দীদের কিতাব সম্পর্কে সামান্য ধারণা থাকতো তাহলে এরা মিলাদ কিয়ামের বিপক্ষে পাইকারীভাবে শিরক , বেদাত ও কুফরের ফতুয়াবাজি করতো না আর তাদের পূর্বসুরী মুরব্বীদেরকেও কাফের বানিয়ে বাতিলের খাতায় ফেলতো না | মিলাদ কিয়ামের পক্ষে দেওবন্দী আলেমদের কিতাব হতে কিছু দলিল প্রমান অতি সংক্ষেপে আপনাদের খেদমতে পেশ করছি আর বর্তমান দেওবন্দীদের মুখোশ উন্মোচন করছি |

বিস্তারিত

খোলাফায়ে রাশেদিন আলাইহিমুস সালাম উনাদের ঈদে মিলাদুননবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন

সাহাবায়ে কেরাম হলেন সত্যের মাপকাঠি , ঈমানের মানদন্ড |

উম্মতে মুহম্মদি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম  মধ্যে সবচেয়ে বেশি মর্যাদার অধিকারী হলেন সাহাবায়ে কেরামগণ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমগন।  উনারা আল্লাহকে রাজি করিয়েছেন এবং আল্লাহ পাকও উনাদের প্রতি খুশি হয়েছেন । তাইতো উনাদের পদবী রাদি আল্লাহু তাআলা আনহু |

বিস্তারিত

সমগ্র পৃথিবীতে পবিত্র ঈদে মীলাদুন্নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম জাতীয় ভাবে পালন হতো তার প্রমাণ

সমগ্র পৃথিবীতে পবিত্র ঈদে মীলাদুন্নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম জাতীয় ভাবে পালন হতো তার প্রমাণ


সমগ্র বিশ্বে এক নামে স্বীকৃত একজন মুহাদ্দিস হচ্ছেন হযরত মোল্লা আলী ক্বারী রহমাতুল্লাহি আলাইহি। আজ থেকে পাঁচশত বছর পূর্বে উনার জন্ম। তিনি ইলমে হাদীসের জ্ঞান অর্জন করতে মক্কা শরীফ শরীফ মদীনা শরীফ সব স্থানে ভ্রমন করেন। সকল মাদ্রাসায় পঠিত এবং সকল উছুলে হাদীস শরীফের কিতাবে উনার নাম স্ব মহিমায় উজ্জ্বল দীপ্তি ছড়াচ্ছে। তাঁর রচিত মেশকাত শরীফ এর ব্যাখ্যা গ্রন্থ “মেরক্বাত শরীফ” সারা পৃথিবীতে একটি আলোড়ন সৃষ্টি কারী কিতাব। তিনি সারাটা জীবন অসংখ্য কিতাব রচনা করে মুসলিম জাহানের জন্য এক বিশাল নিয়ামত রেখে গিয়েছেন। 
উনার অসংখ্য কিতাবের মধ্যে একটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং ঐতিহাসিক গ্রন্থের নাম হচ্ছে “আল মাওরিদুর রাভী ফি মাওলিদিন নাব্যিয়”। এ কিতাবে তিনি সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন হাবীবুল্লাহ হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আগমন তথা মীলাদুন্নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সম্পর্কে কুরআন শরীফ, হাদীস শরীফ থেকে দলীল পেশ করেছেন। এবং সেই সাথে একটা বিষয় উল্লেখ করেছেন সেটা হচ্ছে, “সারা পৃথিবীর সকল দেশে যে যাঁকজমকের সাথে ঈদে মীলাদুন্নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন হতো তার ঐতিহাসিক প্রনান উল্লেখ করেছেন।” আমরা উক্ত কিতাব থেকে সে ঐতিহাসিক বর্ননা গুলো উল্লেখ করার চেষ্টা করবো ইনশাআল্লাহ !
বিস্তারিত

হযরত নবী-রসুল আলাইহিমুস সালাম উনাদের ঈদে মিলাদুন্নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন ।


১. হযরত আদম আলাইহিস সালাম উনার থেকে শুরু করে প্রত্যেক নবী-রসুল আলাইহিমুস সালাম নিজ নিজ যুগে আমাদের প্রিয়নবী ও আল্লাহ পাক প্রিয় হাবিব হুযুর পাক  ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আবির্ভাবের সুসংবাদ দিয়ে গেছেন | হযরত আদম আলাইহিস সালাম উনার প্রিয় পুত্র ও প্রতিনিধি হযরত শীস আলাইহিস সালাম উনাকে নুরে মুহাম্মদী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার তাজিম করার জন্য নিম্ন অসিয়ত করে গেছেন |

বিস্তারিত

সাহাবা যুগে মিলাদুন্নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মাহফিলের প্রমান


হুজুর পাক সল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম উনার উপস্থিতিতে সাহাবায়ে কেরাম মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠান করেছেন |
নিম্নে কয়েকটি প্রমান :

১. হযরত আল্লামা জালাল উদ্দীন সূয়ুতী রহমতুল্লাহি আলাইহি যার সনদ সহ প্রায় ২ লক্ষ হাদিস শরীফ মুখস্থ ছিল সেই
তাজুল মুফাস্সিরীন মোহাদ্দেস মুসান্নিফ সুয়ুতি রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি উনার বিখ্যাত কিতাব " সুবলুল

হুদা ফি মাওলেদে মুস্তাফা আলাইহি ওয়া সাল্লাম "" এ দুই খানা সহি হাদিস শরীফ বর্ণনা করেছেন |
বিস্তারিত

হাদিস শরিফে ঈদে মিলাদুননবি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালনের দলীল


মিলাদুন্নবী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের পক্ষে শত শত সহি হাদিস শরীফ থেকে কিছু হাদিস শরীফ আপনাদের খেদমতে উপস্থাপন করছি | রাহমাতুল্লিল আলামিন হুজুর পুর নূর ছল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি নিজেই নিজের মিলাদ পালন করেছেন |
১. এই প্রসঙ্গে পবিত্র হাদিস শরীফে এরশাদ হয়েছে ,
 " ﻋَﻦْ ﺍَﺑِﻰ ﻗَﺘَﺪَﺓَ ﺍﻻَﻧْﺼﺎَﺭِﻯ ﺭَﺿِﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋَﻨﻪُ ﺍَﻥَّ ﺭَﺳُﻮﻝَ
ﺍﻟﻠﻪِ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ ﺱﺀﻝ ﻋَﻦْ ﺻَﻮْﻡِ ﻳَﻮْﻡ ﺍﻻِﺛْﻨَﻴْﻦِ ﻗَﻞَ ﺫَﺍﻙَ ﻳَﻮْﻡٌ ﻭُﻟِﺪْﺕُ ﻓِﻴْﻪِ ﺑُﻌِﺜْﺖُ ﺍَﻭْﺍُﻧْﺰِﻝَ ﻋَﻠَﻰَّ ﻓِﻴْﻪِ -
অর্থাৎ হজরত আবু কাতাদা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু হতে বর্ণিত , একজন সাহাবী হুজুর পাক সল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লামের খেদমতে আরজ করলেন ইয়া রাসুলাল্লাহ , ইয়া হাবিবাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম   আমার মাতা পিতা আপনার নূরের পাক কদমে কুরবান হোক | আপনি প্রতি সোমবার রোজা পালন করেন কেন ?
জবাবে সরকারে দুজাহান নূরে মুজাস্সাম হাবিবুল্লাহ হুজুর পাক সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন , এই দিনে আমার জন্ম হয়েছে , এই দিনে আমি প্রেরিত হয়েছি এবং পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ এই দিনেই আমার উপর নাজিল হয়েছে |

বিস্তারিত

ঈদে মিলাদুন্নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বুঝতে বিবেক লাগে ...

আনন্দানুষ্ঠানকে মহাগ্রন্থ আল-কুরআনের ভাষায় বলা হয়েছে ঈদ (عيد)। অভিধানে ঈদ বলতে বুঝায় :  ‘কোন মর্যাদাবান ব্যক্তি অথবা গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সমবেত হওয়ার দিন বা স্মৃতিচারণের দিবসই ঈদ। কেউ কেউ বলেছেন, ঈদকে এজন্যই ঈদ বলা হয় যে, প্রতিবছর নব আনন্দ নিয়ে তা ফিরে আসে।’ (আল-মুন্জিদ, পৃ. ৫৩৯)

আর মিলাদ ميلاد শব্দের অর্থ وقت الولادة জন্ম সময়। (আল-মুনজিদ, পৃ. ৯১৮)। পারিভাষিক অর্থে মিলাদ বলতে জন্ম সময়, জন্ম বৃত্তান্ত তথা কারো জন্ম তারিখে তার জীবন চরিত আলোচনা ও তার জীবন থেকে শিক্ষা গ্রহণের অঙ্গীকার করা। মিলাদ শব্দটি যদিও আরবি, কিন্তু আমাদের দেশে এর প্রচলন ফারসি ভাষা থেকে হয়েছে। অনেকে ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট না জেনে এ শব্দটি আরবি ভাষার আঙ্গিকে তুলে ধরে ভুল বুঝাবুঝির সৃষ্টি করেন। ফারসিতে মিলাদ অর্থ زمان تولد জন্ম সময়। (ফারহাঙ্গে জবানে ফারসি, পৃ. ১০৬৭)

বিস্তারিত

ঈদে মিলাদুন্নবী পালন করাতে কি সমস্যা?



 ইসলাম এর শুরু হতে শত শত বছর ধরে অনুষ্ঠিত ঈদ-ই-মিলাদুন্নবি হঠাৎ করে বিদায়াত হল কিভাবে ? ইদানিং দেখা যায় ওহাবী, ইহুদী-নাছারা, বাতিল ফিরকাদের প্রদানকৃত টাকা খেয়ে কিছু কিছু ওলামায়ে’ ছু তারা ফতোয়া জারি করে ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী বিদায়াত । তাইলে শত শত বছর ধরে যে পালিত হচ্ছে তা কি ছিল ?
বিস্তারিত

স্বয়ং হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ঈদে মিলাদুননবী পালন করেছেন ।

১. হযরত আবু কাতাদাহ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বনর্ণা করেন যে, " হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম  উনাকে জিজ্ঞাসা করলেন ইয়া রসুলাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম  আপনি সোমবারের দিন কেন রোযা রাখেন, হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম  ইরশাদ করলেন ওই দিন আমার বিলাদত হয় ,এবং ওই দিন-ই আমার উপর ওহী নাযীল হয়"।

বিস্তারিত

একই দিনে হুযুর সাল্লাল্লাহু আলায়হে ওয়া সাল্লাম ওফাত হয়েছিল কিন্ত সে কারনে দুঃখ কেন মানানো হয় না ।

একই দিনে হুযুর সাল্লাল্লাহু আলায়হে ওয়া সাল্লাম ওফাত হয়েছিল কিন্ত সে কারনে দুঃখ কেন মানানো হয় না ।
 উম্মতদের জন্য হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আগমন ও প্রস্থান দুই-ই এক।
হযরত আব্দুল্লা বিন মাসউদ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বনর্ণা করেছেন হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম  বলেছেন "আমার প্রকাশ্য জিন্দেগী এবং আমার বিছাল দুই-ই তোমাদের জন্য উত্তম ।

  • শেফা শ রীফ ২য় খন্ড ১৯ পৃঃ

অপর স্থানে এর হিকমত প্রসজ্ঞে বণীর্ত হয়েছে যখন আল্লাহ তায়ালা কোন উম্মতের উপর নিজের খাস করম করতে চান তখন সেই উম্মতের মধ্য থেকে নবীকে বিছাল করিয়ে নেন,এবং তিনি ওই উম্মাতের জন্য শাফায়াতের মাধ্যম হয়ে যান।

  • মুসলিম শরীফ 


বিস্তারিত