পবিত্র ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সম্পর্কে হিন্দু ধর্ম গ্রন্থের উদ্ধৃতি : হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের ধর্মগ্রন্থ পুরাণসমূহের মধ্যে ভগবত পুরাণ ও কল্কি পুরাণ সর্বাধিক উল্লেখযোগ্য। এ পুরাণ দুটিতে অন্তিম অবতার (কল্কি)-এর কতিপয় বৈশিষ্ট্যের কথা উল্লেখিত আছে। যা অন্তিম অবতার (কল্কি) এবং আখেরী রসূল নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার অভিন্নতা প্রমাণ করে।
কল্কি অবতারের জন্মতিথি প্রসঙ্গে পুরাণে বর্ণিত রয়েছে-
দ্বাদশ্যাং শুক্লপক্ষস্য মাধবে মাসি মাধবম।
- কল্কিপুরাণ : ২ আ: ২৫ শ্লোক
অর্থাৎ “অন্তিম অবতার মাধব (বৈশাখ) মাসে শুক্লপক্ষের দ্বাদশী তিথিতে জন্মগ্রহণ করবেন”।
এ প্রসঙ্গে এফ. এ. কুরাঈশী প্রণীত The Religion of Humanity গ্রন্থে কল্কিপুরাণের ১২শ অধ্যায় থেকে উদ্ধৃতাংশটি প্রণিধানযোগ্য-
“Jagat-Guru will be born on Vishnu-Bhagat and Somti. His birth will take place on Monday, the 12th of Baisakh at 2 hours after sunrise. His Father will have died before His birth and later His Mother will also die. Jagat-Guru will be married to the princess of Salmal Dweep. At the time of His marriage His Uncle and three Brothers will be present. In a cave `Parsu Ram’ will educate Him. When He will come to `Sambala from Salmal Dweep’ He will start Preaching at which His relatives will turn against Him. Troubles will force Him to fly to Northern hills. But after sometime He will return to the city of Sambala sword in hand and will conquer the whole of the country. Jagat-Guru will have a hoprse on riding which He will fly over the earth and seven heavens.”
অর্থাৎ “‘বিষ্ণুভগত’ ও ‘সুমতি’র ঔরসে জগতগুরু জন্মগ্রহণ করবেন। ১২ই বৈশাখ সোমবার সূর্যোদয়ের দু’ঘন্টা পর তাঁর আবির্ভাব ঘটবে। জন্মের পূর্বেই তাঁর পিতা মারা যাবেন এবং পরে মাতাও ইহধাম ত্যাগ করবেন। ‘সলমাল দ্বীপ’-এর রাজনন্দিনীর সঙ্গে জগত-গুরুর বিয়ে সম্পন্ন হবে। বিয়ের অনুষ্ঠানে তাঁর চাচা ও তিন ভাই উপস্থিত থাকবেন। ‘পরশুরাম’ এক গুহায় তাঁকে শিক্ষা দিবেন। ‘সলমাল দ্বীপ’ থেকে ‘সামবালা’ এসে যখন তিনি প্রচার কাজ শুরু করবেন তখন আত্মীয়-স্বজনেরা তাঁর বিরোধিতা করবে। নিপীড়ন-নির্যাতন তাঁকে উত্তর পাহাড়ে যেতে বাধ্য করবে। কিন্তু কিছুদিন পর তিনি তরবারি হাতে ‘সামবালা’ শহরে প্রত্যাবর্তন করবেন এবং সমগ্রদেশজয় করবেন। জগতগুরু অশ্বারোহণ করে পৃথিবী ও সপ্তস্বর্গ পরিভ্রমণ করবেন।”
এ প্রসঙ্গে আরো একটি উদ্ধৃতি উল্লেখ করা যায়-
শম্ভল বিষ্ণুযশসা গৃহে প্রাদুর্ভাবামাহম্।
সুমত্যাং বিষ্ণুযশসা গর্ভমাধব বৈষ্ণবম্ ॥
- কল্কিপুরাণ : ২ আ: ১১ শ্লোক
অর্থাৎ “‘শম্ভল’ শহরস্থ প্রধান পুরোহিত গৃহে তিনি জন্মগ্রহণ করবেন। তাঁর পিতার নাম হবে ‘বিষ্ণুযশ’ (বিষ্ণুভগত) এবং মাতার নাম হবে ‘সুমতি’ (সৌম্যবতী)।”
উল্লেখিত উদ্ধৃতিসমূহের ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ থেকে নিচের সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়া যায়-
জগতগুরু : নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি জাতি, দেশ, বর্ণ নির্বিশেষে তথা গোটা মানব সমাজের মুক্তিদূত।
বিষ্ণুভগত বা বিষ্ণুযশ : পৌরাণিক পরিভাষায় ‘বিষ্ণু’ অর্থ সৃষ্টিকর্তা এবং ‘ভগত’ বা ‘যশ’ অর্থ দাস। ‘বিষ্ণুভগত’ বা ‘বিষ্ণুযশ’ অর্থ সৃষ্টিকর্তার দাস। বিষ্ণুভগত বা বিষ্ণুযশ শব্দের আরবী প্রতিশব্দ হচ্ছে ‘আব্দুল্লাহ’, যা নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত আব্বাজান আলাইহিস সালাম উনার সম্মানিত নাম মুবারক।
সুমতি : ‘সু’ অর্থ শান্তি ও আত্মতৃপ্তি। আর ‘মতি’ অর্থ আত্মা। তাই ‘সুমতি’ বা সৌম্যবতী অর্থ দাঁড়ায় তৃপ্ত অন্তর। তৃপ্ত অন্তর বা সৌম্যবতীর আরবী প্রতিশব্দ হচ্ছে ‘আমিনা’, যা নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত আম্মাজান আলাইহাস সালাম উনার সম্মানিত নাম মুবারক।
১২ই বৈশাখ সোমবার : বিক্রমী বর্ষপঞ্জি মতে, বৈশাখকে বসন্তের মাস বলা হয়। মাধব (বৈশাখ) বা বসন্তের আরবী পরিভাষা হচ্ছে ‘রবী’। পবিত্র রবীউল আউওয়াল শরীফ মাসের দ্বাদশী তিথিতে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করেন।
সূর্যোদয়ের দু’ঘন্টা পর : ভারতের সূর্যোদয়ের দু’ঘন্টা পর হলে আরব দেশে সে সময়টি হবে দু’ঘন্টা চল্লিশ মিনিট আগে। অর্থাৎ ছুবহি সাদিকের সময় নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করেন। কারণ আরব দেশের ভৌগলিক অবস্থান ৮০ ডিগ্রি দাঘিমা পশ্চিমে আর ভারতের অবস্থান ৪০ ডিগ্রি দাঘিমা পশ্চিমে।
সলমাল দ্বীপ : পুরাণ অনুযায়ী পৃথিবীকে ৬টি দ্বীপ বা অংশে বিভক্ত করা হয়েছে। যথা-
১. জাম্ব দ্বীপ : ভারত, তিব্বত, বার্মা ইত্যাদি।
২. শাক দ্বীপ : ইউরোপ।
৩. কারুঞ্চ দ্বীপ : বেলুচিস্তান ও আফগানিস্তান।
৪. কাশ দ্বীপ : আফ্রিকা।
৫. শাকলি দ্বীপ : রাশিয়া ও চীন।
৬. সলমাল দ্বীপ : আরব ও এশিয়া মাইনর।
পিতৃ-মাতৃ বিয়োগ : কল্কিপুরাণে বলা হয়েছে, জন্মের পূর্বে অন্তিম অবতারের পিতৃবিয়োগ এবং পরে মাতৃবিয়োগ ঘটবে।
নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশের পূর্বেই উনার সম্মানিত আব্বাজান হযরত যবীহুল্লাহ আলাইহিস সালাম পবিত্র বিছালী শান মুবারক প্রকাশ করেন। আর নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার দুনিয়াবী ৬ বছর বয়স মুবারক-এ উনার সম্মানিত আম্মাজান হযরত উম্মু রসূলিনা আলাইহাস সালাম পবিত্র বিছালী শান মুবারক প্রকাশ করেন।
বিবাহ : নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সঙ্গে প্রথম নিসবতে আযীম শরীফ সুসম্পন্ন হয় আরবের বিখ্যাত ধনশালীনী উম্মুল মু’মিনীন হযরত কুবরা আলাইহাস সালাম উনার। এ সম্মানিত অনুষ্ঠানে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার চাচা আবূ তালিব এবং নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ৩ চাচাত ভাই সাইয়্যিদুনা হযরত কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম, হযরত আকিল রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু ও হযরত জাফর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনারা উপস্থিত ছিলেন।
পরশুরাম : ‘রাম’ অর্থ সৃষ্টিকর্তা আর ‘পরশু’ অর্থ মহান এবং ঠাকুর। ফেরেশতা হযরত জিরবীল আলাইহিস সালাম মর্যাদার দিক দিয়ে হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনাদের অন্যতম। কুঠারের ভাবার্থ এই যে, হযরত জিরবীল আলাইহিস সালাম যে ওহী মুবারক নিয়ে আসতেন তার দ্বারা সমাজের অন্যায়-অবিচার দূরীভুত হয়।
গুহা : ‘গুহা’ মানে হেরা পর্বতের গুহাকে বুঝানো হয়েছে, যেখানে হযরত জিরবীল আলাইহিস সালাম তিনি প্রথমবারের মতো ওহী মুবারক নিয়ে আসেন।
সামবালা : ‘শম্ভল’ শব্দের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ। শুধু ভাষা ও উচ্চারণগত দিক দিয়ে পার্থক্য। ‘শম্ভল’ শব্দ ‘শম’ ধাতুর সাথে ‘বন’ প্রত্যয় যোগে নিষ্পন্ন হয়েছে। অতএব ‘শম্ভল’ শব্দের অর্থ ‘শান্তির ঘর’, যার আরবী প্রতিশব্দ হচ্ছে ‘দারুল আমান’। আর পবিত্র মক্কা শরীফ হচ্ছে ‘দারুল আমান’।
অতএব দেখা গেল যে, কল্কি অবতার ও আখেরী রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার যমীনে তাশরীফ মুবারক আনার স্থানগত মিল রয়েছে।
উত্তর পাহাড় : কল্কিপুরাণে বর্ণিত আছে যে, কল্কি অবতার পর্বতের দিকে যাবেন এবং তথায় পরশুরাম কর্তৃক জ্ঞানলাভ করে উত্তর দিকে যাবেন এবং পুনরায় প্রত্যাবর্তন করবেন।
নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি পবিত্র হেরা পর্বতের গুহায় হযরত জিরবীল আলাইহিস সালাম উনার মারফত আনুষ্ঠানিকভাবে ওহী মুবারক প্রাপ্ত হয়। এর কিছুদিন পরে পবিত্র মদীনা শরীফ হিজরত মুবারক করেন এবং পরে পবিত্র মক্কা শরীফ প্রত্যাবর্তন করেন।
ভগবত পুরাণে ১২ স্কন্ধে ২য় অধ্যায় ১৮শ শ্লোক অনুযায়ী ‘কল্কি অবতার’কে শেষযুগের সর্বশেষ অবতার রূপে চিহ্নিত করা হয়েছে।
আর পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে ‘খাতামান নাবিয়্যিন’ বা আখেরী নবী ঘোষণা করা হয়েছে। অর্থাৎ উনার পরে আর কোন নবী আসবেন না।
ভগবত পুরাণ ও কল্কি পুরাণের অত্র উদ্ধৃতিসমূহ ও তার ব্যাখ্যা বিশ্লেষণের নিরিখে দেখা যাচ্ছে যে, হিন্দু ধর্ম গ্রন্থেই নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মুবারক আগমন দিবসের তারিখ, বার, সময় স্পষ্টভাবেই উল্লেখ করা হয়েছে। এমনকি নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার যমীনে তাশরীফ মুবারক আনাকে তারা মুবারকবাদ জানিয়েছে।
এ বিষয়ে হিন্দুদের ভবিষ্য পুরাণে বর্ণিত আছে-
এতস্মিন্নন্তিরে ম্লেচ্ছ আচার্যেন সমন্বিত।
মহামদ ইতিখ্যাতঃ শিষ্যাশাখা সমন্বিত ॥ ৫ ॥
নৃপশ্চৈব মহাদেবং মরুস্থল নিবাসিনম্।
চন্দনাদিভিরভ্যর্চ্য তুষ্টাব মনসা হরম্ ॥ ৬ ॥
নমস্তে গিরিজানাথ মরুস্থল নিবাসিনে।
ত্রিপুরাসুরনাশায় বহুমায়া প্রবর্তিনে ॥ ৭ ॥
ম্লেচ্ছৈর্গপ্তায় শ্রদ্ধায় সচ্চিদানন্দরুপিণে।
ত্বং মাং হি কিংকরং বিদ্ধি শরণার্থমুপাগতম্ ॥ ৮ ॥
- ভবিষ্য পুরাণ : ৩ : ৩ : ৩ : ৫-৮
ভাবানুবাদ : “যথাসময়ে ‘মহামদ’ নামে জনৈক মহাপুরুষ আবির্ভূত হবেন যাঁর নিবাস ‘মরুস্থলে’ (আরব দেশে)। সঙ্গে স্বীয় সহচরবৃন্দও থাকবেন।
হে মরুর অধিপতি! হে জগতগুরু! আপনার প্রতি আমাদের স্তুতিবাদ। আপনি জগতের সমুদয় কলুষাদি ধ্বংসের উপায় অবগত আছেন। আপনাকে প্রণতি জানাই।
হে মহাত্মা! আমরা আপনার দাসানুদাস। আমাদেরকে আপনার পদমূলে আশ্রয় প্রদান করুন।”
“আপনার প্রতি আমাদের স্তুতিবাদ” দ্বারা নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার যমীনে তাশরীফ মুবারককে মুবারকবাদ জানানো হয়েছে। অর্থাৎ উনার যমীনে আগমন মুবারক উপলক্ষ্যে খুশি প্রকাশ করা হচ্ছে। সুতরাং হিন্দু ধর্ম মতেই পবিত্র ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করার কথা উল্লেখ রয়েছে।
এমনকি পবিত্র সূরা ফাত্হ, ৯ নং পবিত্র আয়াত শরীফে বর্ণিত لِتُؤْمِنُوا بِاللهِ وَرَسُوْلِه এই আয়াতাংশ “তোমরা (বান্দারা) মহান আল্লাহ পাক উনার উপর এবং উনার রসূল (নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) উনার উপর ঈমান আনো” উনার উপরে আমল করার বিষয়ে বর্ণিত রয়েছে এভাবে-
“হে মহাত্মা! আমরা আপনার দাসানুদাস। আমাদেরকে আপনার পদমূলে আশ্রয় প্রদান করুন।”
যে সমস্ত মুসলমান নামধারী বলে থাকে যে, পবিত্র ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হিন্দুদের জন্মাষ্টমী থেকে এসেছে। নাঊযুবিল্লাহ! তারা যেন চোখ খুলে দেখে নেয় যে, হিন্দুদের পুরাণেই পবিত্র ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বা নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে পাওয়ার কারণে খুশি প্রকাশ করার বিষয়ে বর্ণিত রয়েছে। নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মুবারক আগমনকে হিন্দুরাই মুবারকবাদ জানিয়েছে। এমনকি নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার দাস বা গোলাম হিসেবে তারা নিজেদেরকে স্বীকৃতি দিয়েছে। উনার মুবারক ক্বদম তলে নিজেদের জন্য আশ্রয় প্রার্থনা করেছে।
অতএব প্রমাণিত হলো যে, পবিত্র ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কখনোই হিন্দুদের জন্মাষ্টমী অনুসরণে উৎপত্তি লাভ করেনি। বরং হিন্দুদের পুরাণেই ‘পবিত্র ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম’ বিষয়ে বর্ণনা রয়েছে।