রবিউল আউওয়ালে ওয়াজ মাহফিলের আবশ্যকতা - আশরাফ আলী থানবি

রবিউল আউওয়ালে ওয়াজ মাহফিলের আবশ্যকতা - আশরাফ আলী থানবি
“ --- এ জন্য আমি কয়েক বছর যাবত এ নিয়ম করে নিয়েছি যে অতিরঞ্জনকারীদের সংশোধনের জন্য রবিউল আউওয়াল মাসের শুরুতে ওয়াজ –মাহফিলের আয়োজন করি এবং তাতে প্রাসঙ্গকিকভাবে ইলমি আলোচনাও করে থাকি।
মোট কথা ওয়াজ মাহফিলের আয়োজন মুলত শরয়ী হুকুম আহকাম আলোচনার জন্য হবে এবং তাতে হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পবিত্র জীবন বৃত্তান্ত এবং তার ফাযায়েল ও আলোচিত হবে। এ পন্থা অবশ্যই শরীয়তসম্মত , বরং মুস্তাহাব সুন্নত”। 
(তথ্য সুত্রঃ
মুল বইঃ ঈদে মিলাদুন্নবী কী শরয়ী হাইসিয়ত, অনুবাদঃ শরিয়তের দৃষ্টিতে ঈদে মিলাদুন্নবী , লিখকঃ আশরাফ আলী থানবী ,পৃঃ ৩১

বিস্তারিত

যে কোন নিয়ামতের ওপর কৃতজ্ঞতা আদায় ও আনন্দ প্রকাশের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে - আশরাফ আলী থানবি

যে কোন নিয়ামতের ওপর কৃতজ্ঞতা আদায় ও আনন্দ প্রকাশের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে - আশরাফ আলী থানবি
“ সন্দেহ নেই যে আল্লাহতায়ালার প্রতিটি নিয়ামত শোকর ও কৃতজ্ঞতার দাবী রাখে। ------- তন্মধ্যেও যদি এমন বিশেষ নিয়ামত হয় যা সমস্ত দীনি ও দুনিয়াবী নিয়ামতের উৎস। এ নিয়ামত হলো হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের শুভ আগমন । কারন জাগতিক সকল নিয়ামতের উৎস ও তিনিই। শুধু মুসলমানদের জন্য নয় বরং সমগ্র বিশজগতের জন্য। যেমন আল্লাহ পাক ইরশাদ করেন”  হে আমার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আমি আপনাকে সমগ্র জগতের জন্য রহমত স্বরূপ প্রেরন করেছি। (সূরা আম্বিয়া ১০৭) 
--------  সুতরাং রাসুলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সমগ্র বিশজগএর জন্য রহমত এবং উনার আগমন সর্বেশ্রেষ্ঠ নিয়ামত হওয়া প্রমান ও যুক্তির নিরিখে সুপ্রমানিত। যখন রাসুলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের অস্তিত্ব সকল নিয়ামতের উৎস। আর যে কোন নিয়ামতের উপর কৃতজ্ঞতা আদায় ও আনন্দ প্রকাশের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যেমন আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেন” قُلْ بِفَضْلِ اللّهِ وَبِرَحْمَتِهِ فَبِذَلِكَ فَلْيَفْرَحُواْ هُوَ خَيْرٌ مِّمَّا يَجْمَعُونَ.
অর্থাৎ (হে মুহম্মদ)! আপনি বলে দিন , তারা যেন শুধু আল্লাহর অনুগ্রহ ও দয়ার উপর আনন্দিত হয়। কারন, তা দুনিয়া ও দুনিয়ার সবকিছুর থেকে উত্তম”। 
এ আয়াতে আদেশসুচক ক্রিয়াপদ বিদ্যমান। তাতে আনন্দ প্রকাশের নইর্দেশ দেওয়া হয়েছে। দুতরাং এ আনন্দ প্রকাশের উপর কে নিশেধাজ্ঞা আরোপ করতে পারে? এমন কোণ মুসলমান আছে , যে রাসুলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের আগমনের উপর আনন্দিত হবেনা কিংবা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করবেনা? 
(তথ্য সুত্রঃ 
মুল বইঃ ঈদে মিলাদুন্নবী কী শরয়ী হাইসিয়ত, লিখকঃ আশরাফ আলী থানবী ,অনুবাদঃ মাওলানা আবু তাহের রাহমানীর অনুবাদকৃত ‘শরিয়তের দৃষ্টিতে ঈদে মিলাদুন্নবী’ , পৃঃ ৩৬,৩৭ 

বিস্তারিত

হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু আনহুম থেকে মীলাদ শরীফের এই পদ্মতির বর্ণনা পাওয়া যাঃ আশরাফ অালী থানবী


আপনারা যে স্ক্যান করা ছবি দেখতে পাচ্ছেন তা দেওবন্দ সিলসিলার অন্যতম আশরাফ আলী থানবী রচিত “ইছলাহুর রসুম” কিতাবের। 
উক্ত কিতাবে আশরাফ আলী থানবী ৩ প্রকার মিলাদ শরীফের কথা বলেছে। ১ম যে প্রকার সেখানে হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিলাদত শরীফের আলোচনা, আর্দশ মুবারক, মুজেজা মুবারক, প্রশংসা মুবারক ইত্যাদি আলোচনা। সেখানে শরীয়তের অাহকাম থেকে আলোচনা ও খারাপ কাজে নিষেধ করার বিষয় থাকবে। হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার জীবনী মুবারক আলোচনা হবে। এধরনের মীলাদ শরীফকে আশরাফ আলী থানবী জায়িয ও মুস্তাহাব বলেছে। 
এখানে যে বিষয়টা লক্ষনীয় সেটা হচ্ছে আশরাফ আলী থানবী বলেছে, “হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু আনহুম থেকে মীলাদ শরীফের এই পদ্মতির বর্ণনা পাওয়া যায়।” (ইছলাহুর রসুম ১০১ পৃষ্ঠা)
উল্লেখ্য যে তাদের দাবী খায়রুল কুরুনে মীলাদের কোন অস্তিত্ব ছিলো না। কোন ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু আনহুম মীলাদ পালন করেন নাই। অথচ আশরাফ অালী থানবী নিজেই স্বীকার করলো, হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু আনহুম থেকে মীলাদ শরীফের এই পদ্মতির বর্ণনা পাওয়া যায়। 
তাহলে বর্তমানে ঢালাও ভাবে যারা বিদয়াত বলে তারা কোন হিসাবে বিদয়াত বলে? 
আর আমরা যে মীলাদ শরীফ অায়োজন করি সেখানেও হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিলাদত শরীফের আলোচনা, আর্দশ মুবারক, মুজেজা মুবারক, প্রশংসা মুবারক ইত্যাদি আলোচনা থাকে। সেখানে শরীয়তের অাহকাম থেকে আলোচনা ও খারাপ কাজে নিষেধ করার বিষয় থাকে। হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার জীবনী মুবারক আলোচনা হয়, সলাত সালাম পাঠ করা হয়। সূতরাং আশরাফ অালী থানবীর বক্তব্য দ্বারা প্রমাণ হলো, আমরা যা করি তা হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু আনহুম থেকে মীলাদ শরীফের সেই পদ্মতি। সুবহানাল্লাহ।
উক্ত কিতাবে আশরাফ অালী থানবী ২য় যে প্রকার মীলাদের কথা বলেছে সেটা হচ্ছে শরীয়তের খিলাপ কাজ হয়, কুরআন সুন্নাহর খেলাপ কাজ হয়, গান বাজনা সেটা পালন করা যাবে না। আমরা সেটা পালন করি না বরং তার প্রতিবাদ করি।
অতএব অামরা যারা কুরআন সুন্নাহ ও হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু আনহুম উনাদে তর্জ তরীকা অনুযায়ী মীলাদ শরীফ অায়োজন করি তার বিরোধীতা বাদ দিতে হবে। নচেত হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু আনহুম উনাদের আমলের বিরোধীতা হয়ে ঈমান নষ্টের কারন হবে। সূতরাং সাবধান।
বিস্তারিত

মুফতে আমীনির ঈদে মিলাদের দলিল

মুফতে আমীনির ঈদে মিলাদের দলিল

কওমি আলেম, মুফতী ফজলুল হক আমিনীৱ অমূল্য এক বাণী হুবহু তুলে ধৱা হল।
"'মীলাদ' একটি আৱবী শব্দ, যাৱ অর্থ হচ্ছে জন্ম, তাহলে মীলাদুন্নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম  এৱ অর্থ হচ্ছে ৱাসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম -এৱ পবিত্র জন্ম ৷ এখন যদি কেউ বলে আমি মীলাদুন্নবী মানিনা ৷ তাহলে তাৱ অর্থ দাড়াবে আমি হুজুৱ পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এৱ জন্ম মানিনা ৷ তাহলে কি সে মুসমান থাকতে পাৱে??
সুতাৱাং মীলাদুন্নাবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম  কে অস্বীকাৱ কৱা যাবে না ৷ অস্বীকাৱ কৱাৱ কোন পথ নেই ৷ হুজুৱ সাঃ -এৱ উসিলায় বেঁচে আছি ৷ হুজুৱ পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এৱ জন্ম যদি না হত কুৱআন অবতীর্ণ হত না ৷হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এৱ জন্মই হচ্ছে সকল বৱকতেৱ উৎস ৷

তথ্য: মাওয়ায়েজে মুজাহিদে মিল্লাত-১ পৃ: ১৬৪।
মুফতী ফজলুল হক আমিনী।
বিস্তারিত

দেওবন্দ মাদ্রসায় ৬০ বছর অধ্যক্ষ ঈদে মিলাদের দলিল

আপনারা কি জানেন দেওবন্দ মাদ্রসায় ৬০ বছর অধ্যক্ষ হিসাবে দায়িত্ব কে পালন করেছে? সকলেই নাম শুনে থাকবেন তার নাম হচ্ছে ক্বারী তৈয়ব। দেওবন্দ মাদ্রাসায় প্রথম শ্রেনীর মুহাদ্দিসদের মধ্যে তিনি অন্যতম। তার বক্তব্য বা আলোচনা গুলো একত্রে উর্দূতে ১০ খন্ডে প্রকাশ হয়। পরবর্তীতে বাংলাদেশে ইসলামী ফাউন্ডেশনও সেগুলো ‘খুতবাতে হাকীমুল ইসলাম’ নামে অনুবাদ করে।
সেই বইয়ের ১৩ পৃষ্ঠায় পবিত্র মীলাদ শরীফ মাহফিল ও জন্মবৃত্তান্ত বা তাওয়াল্লুদ শরীফ পাঠ করার বিষয়ে সুন্দর কিছু কথা বলা হয়েছে। সেখানে লেখা আছে,
“রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর পবিত্র জন্মবৃত্তান্ত আলোচনা করা ইবাদতের মূল এবং আল্লাহর প্রতি গভীর অানুগত্য ও নৈকট্য লাভের উপায়, সমস্ত কামালত ও বরকতের উৎস। তাই মিলাদুন্নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সর্ম্পকে আলোচনা এক বিশেষ নিয়ামত, যা মুসলমানদের দান করা হয়েছে।” (খুতবাতে হাকীমুল ইসলাম ১৩ পৃষ্ঠা। প্রকাশনা: ইসলামী ফাউন্ডেশন)
উপরোক্ত দেওবন্দী আলেমের বক্তব্য আর বর্তমান সময়ের দেওবন্দ নামধারীদের বক্তব্য বিপরীত হয় কেন? বর্তমানে নিজেদের দেওবন্দ সিলসিলার দাবি করে কি করে অনেকে ঢালাও ভাবে পবিত্র মীলাদ মাহফিলের আলোচনাকে হারাম নাজায়িয বলে? 
এদের উদ্দেশ্য কি? মুরুব্বীদের বির্তকিত করে অন্য কারো মনতুষ্টি অর্জন করা। একালের দেওবন্দী ও সেকালের দেওবন্দীদের মধ্যে কারা পার্থক্য সৃষ্টি করছে?

বিস্তারিত

ঈদে মিলাদে হাবীবি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সারা বিশ্বে সবছেয়ে বেশি মানুষ বিশেষ গুরুত্বের সাথ পালন করে থাকে।

ঈদে মিলাদে হাবীবি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সারা বিশ্বে সবছেয়ে বেশি মানুষ বিশেষ গুরুত্বের সাথ পালন করে থাকে।
================================= 
যে সকল দেশে জাতীয় ছুটি- 
আফ্রিকানঃ আলজেরিয়া, বেনিন, বুরকিনা ফাসো, ক্যামেরুন , কমোরাস, আইভরী কোষ্ট, 
জিবুতী , মিশর, ইরিত্রিয়া, ইথোপিয়া, গাম্বিয়া, গুইনিয়া , লিবিয়া, মালি , মৌরাতানিয়া,মরক্কো , নাইজার, নাইজেরিয়া , সেনেগাল , সিয়েরা লিয়ন, সোমালিয়া, সুদান, তানজেনিয়া, তিউনিশিয়া ,টোগো (৫৪ দেশের ২৫ দেশ ) 
মধ্যপ্রাচ্যঃ 
সউদি আরব , বাহরাইন , ইরান, ইরাক, জর্দান, কুয়েত , লেবানন , ওমান, ফিলিস্তিন , সিরিয়া , দুবাই, ইয়েমেন ( ১৪ দেশের মাঝে ১২ দেশ ) 
এশিয়াঃ বাংলাদেশ, আফগানিস্তান ,ব্রুনেই , ভারত , পাকিস্তান, ইন্দোনেশিয়া ,মালয়েশিয়া, শ্রীলংকা , উজবেকিস্তান 
অন্যান্যঃ ফিজি , গুয়ানা
এছাড়াও যেসকল দেশে ছুটি নেই সেসকল দেশেও জাকজমক এবং গুরুত্বের সাথে এ দিবস পালন করা হয়।
বিরোধীতা না করে পালন করুন।
বিস্তারিত

জুমুয়ার দিন হযরত আদম আলাইহিস সালাম উনার কারনে ঈদের দিন হলে , তাহলে ১২ রবিউল আউওয়াল শরীফ অবশ্যই ঈদের দিন

জুমুয়ার দিন হযরত আদম আলাইহিস সালাম উনার কারনে ঈদের দিন হলে , তাহলে ১২ রবিউল আউওয়াল শরীফ অবশ্যই ঈদের দিন
হাদীস শরীফে বর্নিত আছে —
ان من افضل ايامكم يوم الجمعة فيه خلق ادم وفيه قبض
অর্থ : তোমাদের দিনগুলোর মধ্যে উত্তম দিন হচ্ছে, জুমুয়ার দিন | এদিনে আদম আলাইহিস সালাম পয়দা হয়েছেন এবং এদিনেই তিনি বিছাল বা ইন্তেকাল লাভ করেন !”
দলীল-√ সহীহ নাসায়ী শরীফ -জুমুয়ার অধ্যায় !
অতপর এই জুমুয়ার দিন ঈদের দিন ঘোষনা করে ইরশাদ হয় —
ان هذا يوم جعله الله عيدا
অর্থ :এ জুমুয়ার দিন হচ্ছে এমন একটি দিন, যেদিনকে আল্লাহ পাক ঈদের দিন সাব্যস্ত করেছেন !”
দলীল–√ সুনানে ইবনে মাজাহ শরীফ√ মুসনাদে আহমদ শরীফ √ মিশকাত শরীফ – জুমুয়ার অধ্যায়
উক্ত হাদীস শরীফ থেকে প্রমানিত হলো জুমুয়ার দিন আল্লাহ পাক এর নবী এবং রসূল হযরত আদম আলাইহিস সালাম উনার বিছাল শরীফ এর দিন হওয়ার সত্ত্বেও আল্লাহ পাক স্বয়ং নিজেই সে দিনটিকে খুশির দিন হিসাবে নিদৃষ্ট করে দিয়েছেন ! এবং স্বয়ং নবীজী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি নিজে জুমুয়ার দিনকে ঈদের দিন বলে ঘোষনা দিয়েছেন !
তাহলে ১২ রবিউল আউওয়াল শরীফ সোমবার শরীফ যেদিন নবিজি দুনিয়ায় আগমন করেছেন এবং বিদায় গ্রহন করেছেন তা অবশ্যই ঈদের দিন। বরং সকল ঈদের সেরা। যা হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম স্বয়ং পালন করেছেন।
১. হযরত আবু কাতাদাহ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বনর্ণা করেন যে, " হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে জিজ্ঞাসা করলেন ইয়া রসুলাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আপনি সোমবারের দিন কেন রোযা রাখেন, হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করলেন ওই দিন আমার বিলাদত হয় ,এবং ওই দিন-ই আমার উপর ওহী নাযীল হয়"।
১. সহী মুসলিম ,বুক ৬ , রোজা অধ্যায়, ভলি ৭, পৃ ৩২৩, হাদিস নং ২৮০৭২.সুনান আল কুবরা লইল বায়হাকী , ভলিউম ৪, পৃ ২৮৬ ৩. মুসান্নাফ আবদুর রাজ্জাক, ভলিউম ৪ , পৃ ২৯৬, হাদিস ৭৮৬৫৪.সুনান আবু দাউদ, ভলিউম ৭,পৃ ২৫৫, হাদিস ২৪২৮
হাদীস শরীফে বর্নিত আছে–
عن ابن مسود رضي الله عنه قال قال رسول الله صلي عليه و سلم حياتي خير لكم و مماتي خير لكم
অর্থ : আমার হায়াত-বিছাল (ইন্তেকাল) সব অবস্থাই তোমাদের জন্য কল্যাণ বা উত্তম বা খায়ের বরকতের কারন !””সুবহানাল্লাহ্ !দলীল-√ কানযুল উম্মাল শরীফ√ শিফা শরীফ ২য় খন্ড ১৯ পৃষ্ঠা!
বিস্তারিত

হেকায়েতে আউলিয়া বইয়ে আশরাফ আলীর থানবীর মীলাদ শরীফ পাঠ

দেওবন্দ সিলসিলার অন্যতম আশরাফ আলী থানবীর অন্যতম সংকলন কিতাব হচ্ছে “হেকায়াতে আউলিয়া”। এই কিতাবে পবিত্র মীলাদ শরীফ পাঠ বিষয়ে একখানা ঘটনা আছে যাদ্বারা স্পষ্ট বুঝতে পারবেন মূল দেওবন্দ সিলসিলার লোকেরা মীলাদ শরীফ সর্ম্পকে কি ধারনা রাখতো।
উক্ত কিতাবে কি উল্লেখ আছে নিজেরাই দেখে নিন,
এক ব্যক্তি জিজ্ঞাসা করলো, আপনাদের ওখানে কি মীলাদ শরীফ পাঠ করা হয়? তিনি বললেন, প্রতিদিনই পাঠ করা হয়। তিনি কালেমা শরীফ পাঠ করে বললেন, যদি মীলাদ শরীফ না হয়, তাহলে এ কালেমা শরীফ হলো কিভাবে। তিনি বললেন, যদি আউলিয়ায়ে কিরাম উনাদের আলোচনা করলে রহমত বর্ষণ হয়, তাহলে মীলাদ শরীফ পাঠ করলে কি হবে? সুবহানাল্লাহ (হেকায়াতে আউলিয়া ৮৭ পৃষ্ঠা)

বিস্তারিত

ঈদে মিলাদুনবীকে অনুকরন করেই ক্রিসমাস,বৌদ্ধ পুর্নিমা,জন্মাষ্টমী চালু হয়েছে

ঈদে মিলাদুনবীকে অনুকরন করেই ক্রিসমাস,বৌদ্ধ পুর্নিমা,জন্মাষ্টমী চালু হয়েছে
১) ‘ক্রিসমাস’ শব্দের উৎপত্তি হয়েছে ১০৩৮ ঈসায়ী সালের একটি রচনা থেকে। ‘ক্রিসমাট ট্রি’ শব্দটি পাওয়া যায় ১৮৩৫ ঈসায়ী সালের একটি রচনা থেকে। ১৭শ’ সাল থেকে মুসলমান উনাদের দেখাদেখি কিছু খ্রিস্টান নিজেদের নবীর বিষয়টি চালু করতে চাইলেও গোড়া খ্রিস্টানরা এর কট্টর বিরোধী ছিলো। তাই খ্রিস্টানদের মধ্যে এ দিবসটি তখন পালন করা হয়নি। তবে নিষেধাজ্ঞা তুলে খ্রিস্টানরা ক্রিসমাসকে দিবস হিসেবে পালন শুরু করে ঊনবিংশ শতাব্দী থেকে। ১৯শ’ সালের আগে খ্রিস্টানরা ক্রিসমাসকে বড় উৎসব হিসেবে বড় অনুষ্ঠান করে পালন করেছে এমন ইতিহাস কেউ দেখাতে পারবে না। 
২) বৌদ্ধ ধর্মগ্রন্থ ত্রিপিটক মতে, গৌতম বুদ্ধ ৫৬৩ খ্রিষ্টপূর্ব সালে (দুই হাজার ৫৫৮ বছর আগে) নেপালের লুম্বিনি নামক স্থানে জন্মলাভ করে। তার জন্ম, বোধিলাভ ও মহাপ্রয়াণ বৈশাখী পূর্ণিমার দিনে হয়েছিল বলে বৈশাখী পূর্ণিমার অপর নাম দেয়া হয় ‘বৌদ্ধ পূর্ণিমা’।
প্রাপ্ত তথ্য মুতাবিক, বৌদ্ধ পূর্ণিমা প্রায় এক শতাব্দী যাবত বৌদ্ধ ধর্মের একটি ঐতিহ্যবাহী উৎসব। ১৯৫০ সালে শ্রীলঙ্কাতে বিশ্ব বুদ্ধ সহায়ক সংস্থা (the World Fellowship of Buddhists ) প্রথমবারের মতো বৈশাখী পূর্ণিমাকে বৌদ্ধ পূর্ণিমা হিসেবে পালনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। এই সিদ্ধান্ত গ্রহণের ৪৯ বছর পর ১৯৯৯ সালে জাতিসংঘ তথা ইয়াহূদীসংঘ বৈশাখী পূর্ণিমাকে বৌদ্ধ পূর্ণিমা হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করে।
৩) লখক ভুবন মোহন বসাক এবং যদুনাথ বসাকের দুটি বই থেকে জন্মাষ্টমীতে মিছিলের পুরনো ইতিহাস সম্পর্কে ভাসা ভাসা ধারণা পাওয়া যায়। বই দু’টির একটি ১৯১৭ সালে এবং অপরটি ১৯২১ সালে প্রকাশিত হয়। দু’টি বইতে প্রাপ্ত তথ্যানুসারে জন্মাষ্টমী উৎসবে মিছিলের শুরু হয়েছিল ষোড়শ শতকে।
ভুবন মোহনের লেখা বই অনুসারে ইসলাম খাঁর ঢাকা নগরের পত্তনের (১৬১০ সাল) আগে বংশালের কাছে এক সাধু বাস করতো। ১৫৫৫ সালে সে রাধাষ্টমী উপলক্ষ্যে বালক ও ভক্তদের হলুদ পোশাক পরিয়ে একটি মিছিল বের করেছিলো। এর প্রায় ১০-১২ বছর পর সেই সাধু ও বালকদের উৎসাহে রাধাষ্টমীর কীর্তনের পরিবর্তে শ্রীকৃষ্ণের জন্মাষ্টমীতে আরো জাঁকজমকপূর্ণ একটি মিছিল বের করার প্রস্তাব অনুমোদিত হয়েছিল। সে উদ্যোগেই ১৫৬৫ সালে প্রথম জন্মাষ্টমীর মিছিল ও শোভাযাত্রা বের হয়।
এটা বলার অপেক্ষা রাখে না যে, স্বর্ণযুগে মুসলমান উনাদের ঐতিহ্য-সংস্কৃতি দেখে খ্রিস্টান , বৌদ্ধ , হিন্দুরা অনেক আচার-আচরণ, কার্যবিধি গ্রহণ করেছিলো। মুসলমান উনারা উনাদের নবীজি, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার জন্ম দিবস বা পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ দিবস পালন উপলক্ষ্যে আনন্দ-খুশি করে, সবাইকে খাদ্য খাওয়ায়- এ সংস্কৃতি বা কালচারটি খ্রিস্টান,বৌদ্ধ,হিন্দুরা আয়ত্ব করার চেষ্টা করে। এ শিক্ষা থেকেই তারা কথিত ক্রিসমাস, বৌদ্ধ পুর্নিমা, জন্মাষ্টমী পালন শুরু করে। 
তাই নিঃসন্দেহে বলা যায়, পবিত্র ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার অনুকরণ করেই কাফিরেরা ক্রিসমাস,বৌদ্ধ পুর্নিমা,জন্মাষ্টমী চালু করেছে।
বিস্তারিত

সুরা ইউনুস এর ৫৮ নং আয়াত শরীফে ঈদে মিলাদুন্নবি পালন করার ১০ টি তাগিদ —-

সুরা ইউনুস এর ৫৮ নং আয়াত শরীফে ঈদে মিলাদুন্নবি পালন করার ১০ টি তাগিদ —-
قُلْ بِفَضْلِ اللّهِ وَبِرَحْمَتِهِ فَبِذَلِكَ فَلْيَفْرَحُواْ هُوَ خَيْرٌ مِّمَّا يَجْمَعُونَ.
“বল, আল্লাহর দয়া ও মেহেরবাণীতে। সুতরাং এরই প্রতি তাদের সন্তুষ্ট থাকা উচিৎ। এটিই উত্তম সে সমুদয় থেকে যা সঞ্চয় করছ। [সুরা ইউনুস: ৫৮]
ঈদে মিলাদুন্নবি পালনে উপরের বর্নিত আয়াতের হুকুম যেই ভাষায় প্রয়োগ করা হয়েছে ,পবিত্র কোরআনের অন্য কোথাও এমনিভাবে জোর তাগিদের সাথে হুকুম আসেনি ।একটূ ফিকির করলে এই আয়াতে ঈদে মিলাদুন্নবী পালনে কমপক্ষে ১০ টি তাগিদ রয়েছে –
১ ) قُلْ – قُلْ (কুল ) শব্দ ব্যবহারের মাধ্যমে কোন কথা শুরু করা হলে ,ইহাই এক প্রকারের জোর তাগিদ । যার উদ্ধেশ্য এই যে আপাদ-মস্তক নিমগ্ন হয়ে যাও ।
২ ) بِفَضْلِ اللّهِ আল্লাহর ফজলের কারনে । প্রশ্ন তৈরি হয় , আল্লাহর ফজলের কারন কি ? এই ফজল নবিজি । কারন নবিজি দুনিয়ায় না আসলে আমরা কোরআন পেতামনা । এই ফযল ও তাগিদ ।
৩ ) وَبِرَحْمَتِهِ – আল্লাহর রহমতের কারনে । প্রশ্ন হল রহমতের কারন কি ? রহমত কে ? ইহাও ৩য় তাগিদ ।
৪ ) بِفَضْلِ اللّهِ وَبِرَحْمَتِهِ – ফযল ও রহমত একত্রীকরন । ফজলের পরে রহমতের উল্লেখ করাও তাগিদ ।
৫ ) فَبِذَلِكَ – জালিকা ( ذَلِكَ ) এর পরে ফা-কে এজাফত( সম্মান ) করা হয়েছে। ‘ফা’ – আরবী কাওয়ায়েদ অনুযায়ি তাগিদের জন্য ব্যবহৃত হয় বা তাগিদের জন্য আসে ।
৬ ) بِذَلِكَ – ফজল ও রহমত এর উল্লেখ করার পরে ইশারা বায়িদ লওয়াও তাগিদের অন্তর্ভুক্ত ।
৭ ) فَلْيَفْرَحُو – ‘ফালইয়াফরাহু ‘ শব্দের উপর পুর্ন ‘ফা ‘ হরফ এজাফত করা হয়েছে ,যার ফলে তাগিদ করা হয়েছে ।
৮ ) فَلْيَفْرَحُو – ইয়াফরাহু এর উপর ‘লাম’ ও তাগীদের জন্য হয়ে থাকে ।
৯ ) هُوَ خَيْرٌ – এখানে ‘হুয়া ‘ তাগিদের জন্য এসেছে ।
১০ ) مِّمَّا يَجْمَعُونَ – ইহাও তাগীদের কালাম ।
বর্নিত আয়াতে আল্লাহ তায়ালা ১০ তাগিদের সাথে যে হুকুম প্রদান করেছেন ইহা এই যে, فَلْيَفْرَحُو – ‘ফালইয়াফরাহু ‘ – খুশি পালন কর অর্থাৎ ঈদ পালন কর । কেননা فَبِذَلِكَ – ফাবিজালিকা ‘ শব্দ দ্বারা যেই হাবিব হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর কথা বলা হয়েছে ,তিনি আগমন করেছেন ।
উপরোক্ত ১০ তাগীদের পরে বিষয়টি এমন চুড়ান্ত পর্যায়ে এসেছে যে এই খুশি প্রকাশ করা সমস্ত আমল থেকে সর্বশ্রেষ্ঠ হবার ঘোষনা স্বয়ং আল্লাহ পাক দিয়েছেন। সুবহানাল্লাহ ।
এখন এই খুশি প্রকাশ অর্থাৎ ঈদে মিলাদুননবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যদি কেউ পালন না করে ,বিরোধীতা করে তাহলে তার জীবনের কোন আমল কাজে আসবে কি ?
সে কি আল্লার বান্দা ,নবীর উম্মত হিসেবে পরিচয় দিতে পারবে ?
অতএব বিরোধীতা করার জন্য বিরোধীতা করে ঈদে মিলাদুন্নবীকে ” বিদয়াত ” বলার আগে একবার হলেও চিন্তা করে দেখুন আপনি কার বিরোধীতা করছেন ?
বিস্তারিত

বৌদ্ধদের ধর্মগ্রন্থেই ‘পবিত্র ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম’ বিষয়ে বর্ণনা রয়েছে।

বৌদ্ধদের ধর্মগ্রন্থেই ‘পবিত্র ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম’ বিষয়ে বর্ণনা রয়েছে।
নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার যমীনে মুবারক আগমন বা পবিত্র ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বিষয়ে বৌদ্ধদের ধর্মগ্রন্থে আলোচিত হয়েছে।
যেমন বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের প্রামাণ্য ধর্মীয় গ্রন্থ ‘দিঘা নিকায়া’তে বর্ণিত হয়েছে- “মনুষ্যজাতি যখন গৌতমের ধর্ম বিস্মৃত হবে, তখন আরেক বুদ্ধ আসবেন, উনার নাম ‘মৈত্তেয়’ (মৈত্রেয়), যিনি হচ্ছেন শান্তি ও করুণার বুদ্ধ!”
সিংহল হতে প্রাপ্ত কারুসের গসপেলেও উপরোক্ত বক্তব্যের সমর্থন পাওয়া যায়-
Ananda said to the Blessed One, `Who shall teach us when thou art (are) gone?’
And the Blessed One replied, `I am not first Buddha, who come on the earth, nor shall I be the last. In one time another Buddha will arise in the world, a holy One, a supremly enlightened One, endowed with wisdom in conduct ..... . He will proclaim a religion life, wholly perfect and pure such as I now proclaim ..... .’
Ananda said, `How shall we know him?’
The Blessed One said, `He will be known as maitreya,
- The Gospel of buddha by Carus, P 117-118
অর্থ : “আনন্দ বুদ্ধকে জিজ্ঞাসা করলো, ‘আপনার তিরোধানের পর কে আমাদের উপদেশ দিবে?’
বুদ্ধ বললো, ‘আমিই একমাত্র বা শেষ বুদ্ধ নই। যথাসময়ে আরেক বুদ্ধ আসবেন, আমার অপেক্ষাও তিনি পবিত্র এবং অধিকতর আলোকপ্রাপ্ত- তিনি একটি পরিপূর্ণ জীবন ব্যবস্থা প্রচার করবেন।’
আনন্দ জিজ্ঞাসা করলো, ‘আমরা উনাকে কিভাবে চিনবো?’
বুদ্ধ বললো, ‘উনার নাম হবে মৈত্রেয়।”
এই শান্তি ও করুণার বুদ্ধ (মৈত্রেয়) যে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাতে কোন সন্দেহের অবকাশ নেই। কেননা, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্পর্কে পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফে বলা হয়েছে- “রহমাতুল্লিল ‘আলামীন” অর্থাৎ তিনি সারা আলমের জন্য রহমত স্বরূপ প্রেরিত হয়েছেন।
পক্ষান্তরে, ‘বুদ্ধ’ শব্দের অর্থ ‘বুদ্ধির সঙ্গে যুক্ত’। বুদ্ধ যিনি হবেন তিনি মানুষ হবে অন্য কিছু নয়। আর মৈত্রেয়-এর অর্থ হচ্ছে ‘দয়ার সঙ্গে যুক্ত’।
ড. বেদপ্রকাশ উপাধ্যায় একথা প্রমাণ করেছে যে, মৈত্রেয়-এর সমস্ত বিশেষত্বই নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার জীবনী মুবারকে দেখা যায় এবং অন্তিম বুদ্ধ মৈত্রেয়ই নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম।
তাহলে আলোচনা হতে বুঝা যাচ্ছে যে, বৌদ্ধ ধর্ম গ্রন্থেও অন্তিম বুদ্ধ মৈত্রেয় হিসেবে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার যমীনে তাশরীফ মুবারক আনার তথা পবিত্র ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বিষয়ে বর্ণনা রয়েছে।
তাছাড়াও বৌদ্ধ ধর্মগ্রন্থ ত্রিপিটক মতে, গৌতম বুদ্ধ ৫৬৩ খ্রিষ্টপূর্ব সালে (দুই হাজার ৫৫৮ বছর আগে) নেপালের লুম্বিনি নামক স্থানে জন্মলাভ করে। তার জন্ম, বোধিলাভ ও মহাপ্রয়াণ বৈশাখী পূর্ণিমার দিনে হয়েছিল বলে বৈশাখী পূর্ণিমার অপর নাম দেয়া হয় ‘বৌদ্ধ পূর্ণিমা’।
প্রাপ্ত তথ্য মুতাবিক, বৌদ্ধ পূর্ণিমা প্রায় এক শতাব্দী যাবত বৌদ্ধ ধর্মের একটি ঐতিহ্যবাহী উৎসব। ১৯৫০ সালে শ্রীলঙ্কাতে বিশ্ব বুদ্ধ সহায়ক সংস্থা (the World Fellowship of Buddhists ) প্রথমবারের মতো বৈশাখী পূর্ণিমাকে বৌদ্ধ পূর্ণিমা হিসেবে পালনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। এই সিদ্ধান্ত গ্রহণের ৪৯ বছর পর ১৯৯৯ সালে জাতিসংঘ তথা ইয়াহূদীসংঘ বৈশাখী পূর্ণিমাকে বৌদ্ধ পূর্ণিমা হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করে।
সুতরাং দেখা যাচ্ছে যে, গৌতমের জন্মদিন বা বৌদ্ধ পূর্ণিমা পালনের ইতিহাস এখনো ১০০ বছর পার করতে পারেনি। তাহলে পবিত্র ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কি করে বৌদ্ধ পূর্ণিমা হতে উৎপত্তি লাভ করলো! যেখানে ১৯৫০ সালের আগে বৌদ্ধ পূর্ণিমা পালনেরই ইতিহাস নেই। কাজেই কোন মিথ্যাচারিতা দিয়ে সত্যকে ঢেকে রাখা যায় না। সত্য তার স্ব মহিমায় উদ্ভাসিত হবেই।
সুতরাং প্রমাণিত হলো যে, পবিত্র ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কখনোই বৌদ্ধদের বৌদ্ধ পূর্ণিমা অনুসরণে উৎপত্তি লাভ করেনি। বরং বৌদ্ধদের ধর্মগ্রন্থেই ‘পবিত্র ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম’ বিষয়ে বর্ণনা রয়েছে।
বিস্তারিত

হিন্দুদের পুরাণেই ‘পবিত্র ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম’ বিষয়ে বর্ণনা রয়েছে।

হিন্দুদের পুরাণেই ‘পবিত্র ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম’ বিষয়ে বর্ণনা রয়েছে।
পবিত্র ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সম্পর্কে হিন্দু ধর্ম গ্রন্থের উদ্ধৃতি : হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের ধর্মগ্রন্থ পুরাণসমূহের মধ্যে ভগবত পুরাণ ও কল্কি পুরাণ সর্বাধিক উল্লেখযোগ্য। এ পুরাণ দুটিতে অন্তিম অবতার (কল্কি)-এর কতিপয় বৈশিষ্ট্যের কথা উল্লেখিত আছে। যা অন্তিম অবতার (কল্কি) এবং আখেরী রসূল নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার অভিন্নতা প্রমাণ করে।
কল্কি অবতারের জন্মতিথি প্রসঙ্গে পুরাণে বর্ণিত রয়েছে-
দ্বাদশ্যাং শুক্লপক্ষস্য মাধবে মাসি মাধবম।
- কল্কিপুরাণ : ২ আ: ২৫ শ্লোক
অর্থাৎ “অন্তিম অবতার মাধব (বৈশাখ) মাসে শুক্লপক্ষের দ্বাদশী তিথিতে জন্মগ্রহণ করবেন”।
এ প্রসঙ্গে এফ. এ. কুরাঈশী প্রণীত The Religion of Humanity গ্রন্থে কল্কিপুরাণের ১২শ অধ্যায় থেকে উদ্ধৃতাংশটি প্রণিধানযোগ্য-
“Jagat-Guru will be born on Vishnu-Bhagat and Somti. His birth will take place on Monday, the 12th of Baisakh at 2 hours after sunrise. His Father will have died before His birth and later His Mother will also die. Jagat-Guru will be married to the princess of Salmal Dweep. At the time of His marriage His Uncle and three Brothers will be present. In a cave `Parsu Ram’ will educate Him. When He will come to `Sambala from Salmal Dweep’ He will start Preaching at which His relatives will turn against Him. Troubles will force Him to fly to Northern hills. But after sometime He will return to the city of Sambala sword in hand and will conquer the whole of the country. Jagat-Guru will have a hoprse on riding which He will fly over the earth and seven heavens.”
অর্থাৎ “‘বিষ্ণুভগত’ ও ‘সুমতি’র ঔরসে জগতগুরু জন্মগ্রহণ করবেন। ১২ই বৈশাখ সোমবার সূর্যোদয়ের দু’ঘন্টা পর তাঁর আবির্ভাব ঘটবে। জন্মের পূর্বেই তাঁর পিতা মারা যাবেন এবং পরে মাতাও ইহধাম ত্যাগ করবেন। ‘সলমাল দ্বীপ’-এর রাজনন্দিনীর সঙ্গে জগত-গুরুর বিয়ে সম্পন্ন হবে। বিয়ের অনুষ্ঠানে তাঁর চাচা ও তিন ভাই উপস্থিত থাকবেন। ‘পরশুরাম’ এক গুহায় তাঁকে শিক্ষা দিবেন। ‘সলমাল দ্বীপ’ থেকে ‘সামবালা’ এসে যখন তিনি প্রচার কাজ শুরু করবেন তখন আত্মীয়-স্বজনেরা তাঁর বিরোধিতা করবে। নিপীড়ন-নির্যাতন তাঁকে উত্তর পাহাড়ে যেতে বাধ্য করবে। কিন্তু কিছুদিন পর তিনি তরবারি হাতে ‘সামবালা’ শহরে প্রত্যাবর্তন করবেন এবং সমগ্রদেশজয় করবেন। জগতগুরু অশ্বারোহণ করে পৃথিবী ও সপ্তস্বর্গ পরিভ্রমণ করবেন।”
এ প্রসঙ্গে আরো একটি উদ্ধৃতি উল্লেখ করা যায়-
শম্ভল বিষ্ণুযশসা গৃহে প্রাদুর্ভাবামাহম্।
সুমত্যাং বিষ্ণুযশসা গর্ভমাধব বৈষ্ণবম্ ॥
- কল্কিপুরাণ : ২ আ: ১১ শ্লোক
অর্থাৎ “‘শম্ভল’ শহরস্থ প্রধান পুরোহিত গৃহে তিনি জন্মগ্রহণ করবেন। তাঁর পিতার নাম হবে ‘বিষ্ণুযশ’ (বিষ্ণুভগত) এবং মাতার নাম হবে ‘সুমতি’ (সৌম্যবতী)।”
উল্লেখিত উদ্ধৃতিসমূহের ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ থেকে নিচের সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়া যায়-
জগতগুরু : নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি জাতি, দেশ, বর্ণ নির্বিশেষে তথা গোটা মানব সমাজের মুক্তিদূত।
বিষ্ণুভগত বা বিষ্ণুযশ : পৌরাণিক পরিভাষায় ‘বিষ্ণু’ অর্থ সৃষ্টিকর্তা এবং ‘ভগত’ বা ‘যশ’ অর্থ দাস। ‘বিষ্ণুভগত’ বা ‘বিষ্ণুযশ’ অর্থ সৃষ্টিকর্তার দাস। বিষ্ণুভগত বা বিষ্ণুযশ শব্দের আরবী প্রতিশব্দ হচ্ছে ‘আব্দুল্লাহ’, যা নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত আব্বাজান আলাইহিস সালাম উনার সম্মানিত নাম মুবারক। 
সুমতি : ‘সু’ অর্থ শান্তি ও আত্মতৃপ্তি। আর ‘মতি’ অর্থ আত্মা। তাই ‘সুমতি’ বা সৌম্যবতী অর্থ দাঁড়ায় তৃপ্ত অন্তর। তৃপ্ত অন্তর বা সৌম্যবতীর আরবী প্রতিশব্দ হচ্ছে ‘আমিনা’, যা নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত আম্মাজান আলাইহাস সালাম উনার সম্মানিত নাম মুবারক।
১২ই বৈশাখ সোমবার : বিক্রমী বর্ষপঞ্জি মতে, বৈশাখকে বসন্তের মাস বলা হয়। মাধব (বৈশাখ) বা বসন্তের আরবী পরিভাষা হচ্ছে ‘রবী’। পবিত্র রবীউল আউওয়াল শরীফ মাসের দ্বাদশী তিথিতে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করেন।
সূর্যোদয়ের দু’ঘন্টা পর : ভারতের সূর্যোদয়ের দু’ঘন্টা পর হলে আরব দেশে সে সময়টি হবে দু’ঘন্টা চল্লিশ মিনিট আগে। অর্থাৎ ছুবহি সাদিকের সময় নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করেন। কারণ আরব দেশের ভৌগলিক অবস্থান ৮০ ডিগ্রি দাঘিমা পশ্চিমে আর ভারতের অবস্থান ৪০ ডিগ্রি দাঘিমা পশ্চিমে।
সলমাল দ্বীপ : পুরাণ অনুযায়ী পৃথিবীকে ৬টি দ্বীপ বা অংশে বিভক্ত করা হয়েছে। যথা-
১. জাম্ব দ্বীপ : ভারত, তিব্বত, বার্মা ইত্যাদি।
২. শাক দ্বীপ : ইউরোপ।
৩. কারুঞ্চ দ্বীপ : বেলুচিস্তান ও আফগানিস্তান।
৪. কাশ দ্বীপ : আফ্রিকা।
৫. শাকলি দ্বীপ : রাশিয়া ও চীন।
৬. সলমাল দ্বীপ : আরব ও এশিয়া মাইনর।
পিতৃ-মাতৃ বিয়োগ : কল্কিপুরাণে বলা হয়েছে, জন্মের পূর্বে অন্তিম অবতারের পিতৃবিয়োগ এবং পরে মাতৃবিয়োগ ঘটবে।
নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশের পূর্বেই উনার সম্মানিত আব্বাজান হযরত যবীহুল্লাহ আলাইহিস সালাম পবিত্র বিছালী শান মুবারক প্রকাশ করেন। আর নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার দুনিয়াবী ৬ বছর বয়স মুবারক-এ উনার সম্মানিত আম্মাজান হযরত উম্মু রসূলিনা আলাইহাস সালাম পবিত্র বিছালী শান মুবারক প্রকাশ করেন। 
বিবাহ : নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সঙ্গে প্রথম নিসবতে আযীম শরীফ সুসম্পন্ন হয় আরবের বিখ্যাত ধনশালীনী উম্মুল মু’মিনীন হযরত কুবরা আলাইহাস সালাম উনার। এ সম্মানিত অনুষ্ঠানে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার চাচা আবূ তালিব এবং নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ৩ চাচাত ভাই সাইয়্যিদুনা হযরত কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম, হযরত আকিল রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু ও হযরত জাফর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনারা উপস্থিত ছিলেন।
পরশুরাম : ‘রাম’ অর্থ সৃষ্টিকর্তা আর ‘পরশু’ অর্থ মহান এবং ঠাকুর। ফেরেশতা হযরত জিরবীল আলাইহিস সালাম মর্যাদার দিক দিয়ে হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনাদের অন্যতম। কুঠারের ভাবার্থ এই যে, হযরত জিরবীল আলাইহিস সালাম যে ওহী মুবারক নিয়ে আসতেন তার দ্বারা সমাজের অন্যায়-অবিচার দূরীভুত হয়।
গুহা : ‘গুহা’ মানে হেরা পর্বতের গুহাকে বুঝানো হয়েছে, যেখানে হযরত জিরবীল আলাইহিস সালাম তিনি প্রথমবারের মতো ওহী মুবারক নিয়ে আসেন। 
সামবালা : ‘শম্ভল’ শব্দের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ। শুধু ভাষা ও উচ্চারণগত দিক দিয়ে পার্থক্য। ‘শম্ভল’ শব্দ ‘শম’ ধাতুর সাথে ‘বন’ প্রত্যয় যোগে নিষ্পন্ন হয়েছে। অতএব ‘শম্ভল’ শব্দের অর্থ ‘শান্তির ঘর’, যার আরবী প্রতিশব্দ হচ্ছে ‘দারুল আমান’। আর পবিত্র মক্কা শরীফ হচ্ছে ‘দারুল আমান’।
অতএব দেখা গেল যে, কল্কি অবতার ও আখেরী রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার যমীনে তাশরীফ মুবারক আনার স্থানগত মিল রয়েছে। 
উত্তর পাহাড় : কল্কিপুরাণে বর্ণিত আছে যে, কল্কি অবতার পর্বতের দিকে যাবেন এবং তথায় পরশুরাম কর্তৃক জ্ঞানলাভ করে উত্তর দিকে যাবেন এবং পুনরায় প্রত্যাবর্তন করবেন।
নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি পবিত্র হেরা পর্বতের গুহায় হযরত জিরবীল আলাইহিস সালাম উনার মারফত আনুষ্ঠানিকভাবে ওহী মুবারক প্রাপ্ত হয়। এর কিছুদিন পরে পবিত্র মদীনা শরীফ হিজরত মুবারক করেন এবং পরে পবিত্র মক্কা শরীফ প্রত্যাবর্তন করেন।
ভগবত পুরাণে ১২ স্কন্ধে ২য় অধ্যায় ১৮শ শ্লোক অনুযায়ী ‘কল্কি অবতার’কে শেষযুগের সর্বশেষ অবতার রূপে চিহ্নিত করা হয়েছে।
আর পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে ‘খাতামান নাবিয়্যিন’ বা আখেরী নবী ঘোষণা করা হয়েছে। অর্থাৎ উনার পরে আর কোন নবী আসবেন না।
ভগবত পুরাণ ও কল্কি পুরাণের অত্র উদ্ধৃতিসমূহ ও তার ব্যাখ্যা বিশ্লেষণের নিরিখে দেখা যাচ্ছে যে, হিন্দু ধর্ম গ্রন্থেই নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মুবারক আগমন দিবসের তারিখ, বার, সময় স্পষ্টভাবেই উল্লেখ করা হয়েছে। এমনকি নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার যমীনে তাশরীফ মুবারক আনাকে তারা মুবারকবাদ জানিয়েছে।
এ বিষয়ে হিন্দুদের ভবিষ্য পুরাণে বর্ণিত আছে-
এতস্মিন্নন্তিরে ম্লেচ্ছ আচার্যেন সমন্বিত।
মহামদ ইতিখ্যাতঃ শিষ্যাশাখা সমন্বিত ॥ ৫ ॥
নৃপশ্চৈব মহাদেবং মরুস্থল নিবাসিনম্।
চন্দনাদিভিরভ্যর্চ্য তুষ্টাব মনসা হরম্ ॥ ৬ ॥
নমস্তে গিরিজানাথ মরুস্থল নিবাসিনে।
ত্রিপুরাসুরনাশায় বহুমায়া প্রবর্তিনে ॥ ৭ ॥
ম্লেচ্ছৈর্গপ্তায় শ্রদ্ধায় সচ্চিদানন্দরুপিণে।
ত্বং মাং হি কিংকরং বিদ্ধি শরণার্থমুপাগতম্ ॥ ৮ ॥
- ভবিষ্য পুরাণ : ৩ : ৩ : ৩ : ৫-৮ 
ভাবানুবাদ : “যথাসময়ে ‘মহামদ’ নামে জনৈক মহাপুরুষ আবির্ভূত হবেন যাঁর নিবাস ‘মরুস্থলে’ (আরব দেশে)। সঙ্গে স্বীয় সহচরবৃন্দও থাকবেন।
হে মরুর অধিপতি! হে জগতগুরু! আপনার প্রতি আমাদের স্তুতিবাদ। আপনি জগতের সমুদয় কলুষাদি ধ্বংসের উপায় অবগত আছেন। আপনাকে প্রণতি জানাই।
হে মহাত্মা! আমরা আপনার দাসানুদাস। আমাদেরকে আপনার পদমূলে আশ্রয় প্রদান করুন।” 
“আপনার প্রতি আমাদের স্তুতিবাদ” দ্বারা নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার যমীনে তাশরীফ মুবারককে মুবারকবাদ জানানো হয়েছে। অর্থাৎ উনার যমীনে আগমন মুবারক উপলক্ষ্যে খুশি প্রকাশ করা হচ্ছে। সুতরাং হিন্দু ধর্ম মতেই পবিত্র ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করার কথা উল্লেখ রয়েছে।
এমনকি পবিত্র সূরা ফাত্হ, ৯ নং পবিত্র আয়াত শরীফে বর্ণিত لِتُؤْمِنُوا بِاللهِ وَرَسُوْلِه এই আয়াতাংশ “তোমরা (বান্দারা) মহান আল্লাহ পাক উনার উপর এবং উনার রসূল (নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) উনার উপর ঈমান আনো” উনার উপরে আমল করার বিষয়ে বর্ণিত রয়েছে এভাবে-
“হে মহাত্মা! আমরা আপনার দাসানুদাস। আমাদেরকে আপনার পদমূলে আশ্রয় প্রদান করুন।”
যে সমস্ত মুসলমান নামধারী বলে থাকে যে, পবিত্র ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হিন্দুদের জন্মাষ্টমী থেকে এসেছে। নাঊযুবিল্লাহ! তারা যেন চোখ খুলে দেখে নেয় যে, হিন্দুদের পুরাণেই পবিত্র ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বা নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে পাওয়ার কারণে খুশি প্রকাশ করার বিষয়ে বর্ণিত রয়েছে। নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মুবারক আগমনকে হিন্দুরাই মুবারকবাদ জানিয়েছে। এমনকি নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার দাস বা গোলাম হিসেবে তারা নিজেদেরকে স্বীকৃতি দিয়েছে। উনার মুবারক ক্বদম তলে নিজেদের জন্য আশ্রয় প্রার্থনা করেছে।
অতএব প্রমাণিত হলো যে, পবিত্র ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কখনোই হিন্দুদের জন্মাষ্টমী অনুসরণে উৎপত্তি লাভ করেনি। বরং হিন্দুদের পুরাণেই ‘পবিত্র ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম’ বিষয়ে বর্ণনা রয়েছে।
বিস্তারিত

যে আমলে ঈমান -আক্বিদা বিশুদ্ধ, চাহিদা পুরন,পরকালে নাজাত, সাফায়েত ও শান্তি নসীব হয়।

যে আমলে ঈমান -আক্বিদা বিশুদ্ধ, চাহিদা পুরন,পরকালে নাজাত, সাফায়েত ও শান্তি নসীব হয়।
===========
ঈদে মিলাদে হাবিবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালনেই উপরোক্ত সব কিছুই হাছিল সম্ভব।
নিম্নে কয়েকটি প্রমান :
১. হযরত আল্লামা জালাল উদ্দীন সূয়ুতী রহমতুল্লাহি আলাইহি আলাইহি তিনি উনার বিখ্যাত কিতাব " সুবলুল হুদা ফি মাওলেদে মুস্তাফা আলাইহি ওয়া সাল্লাম "" এ দুই খানা সহি হাদিস শরীফ বর্ণনা করেছেন |
পবিত্র হাদিস শরীফে এরশাদ হয়েছে "
ﻋَﻦْ ﺍَﺑِﻰ ﺍﻟﺪَّﺭْﺩَﺍﺀِ ﺭَﺿِﻰَ ﺍﻟﻠﻪُ ﺗَﻌَﺎﻟٰﻰ ﻋَﻨْﻪُ ﺍَﻧَّﻪﻣَﺮَّ ﻣَﻊَ ﺍﻟﻨَّﺒِﻰِّ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠﻪُ
ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ ﺍِﻟٰﻰﺑَﻴْﺖِ ﻋَﺎﻣِﺮِ ﺍﻻَﻧْﺼَﺎﺭِﻯِّ ﻭَﻛَﺎﻥَ ﻳُﻌَﻠِّﻢُ ﻭَﻗَﺎﺋِﻊَﻭِﻻﺩَﺗﻪِ ﺻَﻠَّﻰ
ﺍﻟﻠﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ ﻻَﺑْﻨَﺎﺋِﻪﻭَﻋَﺸﻪِﺗَﺮْﻴِ ﻭَﻳَﻘُﻮْﻝُ ﻫٰﺬَﺍ ﺍﻟْﻴَﻮْﻡَ ﻫٰﺬَﺍ ﺍﻟْﻴَﻮْﻡَﻓَﻘَﺎﻝَ
ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﺍﻟﺼَّﻠٰﻮﺓُ ﻭَﺍﻟﺴَّﻼﻡُ ﺍِﻥَّ ﺍﻟﻠﻪَ ﻓَﺘَﺢَﻟَﻚَ ﺍَﺑْﻮَﺍﺏَ ﺍﻟﺮَّﺣْﻤَﺔِ ﻭَﺍﻟْﻤَﻼﺋِﻜَﺔُ
ﻛُﻠُّﻬُﻢْﻳَﺴْﺘَﻐْﻔِﺮُﻭْﻥَ ﻟَﻚَ ﻣَﻦْ ﻓَﻌَﻞَ
ﻓِﻌْﻠَﻚَ ﻧَﺠٰﻰﻧَﺠٰﺘَﻚ
অর্থাৎ হজরত আবু দ্বারদা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু  হতে বর্ণিত , হাবিবুল্লাহ হুজুর পাক সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম একদিন হজরত আমির আনসারী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু  এর গৃহে গেলেন এবং হুজুর  পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম  দেখতে পেলেন আমির আনসারী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু  উনার পরিবার পরিজন ও আত্বীয় স্বজনদের নিয়ে একত্রিত হয়ে খুশি মনে রাসুল পুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের বিলাদত শরীফ পাঠ করছেন | অর্থাৎ নবীজি এইদিনে পৃথিবীতে আসছেন , পৃথিবীতে প্রত্যেকটা মাখলুক আনন্দিত হয়ে ইত্যাদি | এই ঘটনা শ্রবণ করে হুজুর পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম অত্যন্ত আনন্দিত হয়ে হজরত আমির আনসারীকে বললেন , আল্লাহ পাক আপনার জন্য উনার রহমতের দরজা প্রশস্থ করেছেন এবং সমস্থ ফেরেস্থাগন আপনার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করছেন | যে আপনার জন্য এইরূপ কাজ করবে সেও আপনার মত নাজাত ( ফজিলত ) লাভ করবে | ( সুবহানআল্লাহ )
২. পবিত্র হাদিস শরীফে আরো এরশাদ হয়েছে "
ﻋَﻦْ ﺍِﺑْﻦِ ﻋَﺒَّﺎﺱٍ ﺭَﺿِﻰَ ﺍﻟﻠﻪُ ﺗَﻌَﺎﻟٰﻰ ﻋَﻨْﻬُﻤَﺎ ﺍَﻧَّﻪٗﻛَﺎﻥَ ﻳُﺤَﺪِّﺙُ ﺫَﺍﺕَ ﻳَﻮْﻡٍ
ﻓِﻰْ ﺑَﻴْﺘِﻪٖ ﻭَﻗَﺎﺋِﻊَﻭِﻻﺩَﺗٖﻪِ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ ﻟِﻘَﻮْﻡٍ ، ﻓَﻴَﺴْﺘَﺒْﺸِﺮُﻭْﻥَ
ﻭَﻳُﺤَﻤِّﺪُﻭْﻥَ ﺍﻟﻠﻪَ ﻭَﻳُﺼَﻠُّﻮْﻥَﻋَﻠَﻴْﻪِ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ ﻓَﺎِﺫَﺍ ﺟَﺎﺀَﺍﻟﻨَّﺒِﻰُّ
ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ ﻗَﺎﻝَ ﺣَﻠَّﺖْﻟَﻜُﻢْ ﺷَﻔَﺎﻋَﺘِﻰْ
অর্থাৎ হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তাইয়ালা আনহু  নিজেই বর্ণনা করেন , একদা তিনি উনার গৃহে সাহাবায়ে কেরামদের নিয়ে একত্রিত হয়ে হুজুর পুর নূর সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের বিলাদত শরীফ পাঠ করছিলেন |( এই দিনে হুজুর পৃথিবীতে আসছেন , স্বয়ং আল্লাহ উনার হাবিবের উপর দুরুদ সালাম দিয়েছেন ) শ্রবন্কারীরাও তা শুনে আনন্দ পাচ্ছিলেন | ঠিক ওই সময় নবীজি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সেখানে উপস্থিত হয়ে বললেন , তোমাদের জন্য আমার শাফায়াত ওয়াজিব হয়ে গেছে "|
এই হাদিসটি বিভিন্ন হাদিস গ্রন্থে এসেছে যেমন : 
মাওলুদুল কবীর , হকিকতে মোহাম্মদী ( মিলাদ অধ্যায় ), দুররুল মুনাজ্জাম , ইশবাউল কালাম |ইবনে দাহইয়ার আত-তানভির ৬০৪ হিজরি 
৩. “হযরত উবাই ইবনে কা’ব রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বলেন"------- আমি আমার সম্পূর্ণ সময় তথা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ২৪ ঘণ্টাই আপনার উপর ছলাত পাঠ করবো, আপনার ছানা-ছিফত মুবারক করবো ? তখন আখিরী রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করলেন, যখন আপনি এরূপ করবেন, তখন আপনার সমস্ত নেক মাক্বছূদগুলো পূর্ণ করে দেয়া হবে এবং আপনার সমস্ত গুনাহখতাগুলো ক্ষমা করে দেয়া হবে। সুবহানাল্লাহ!
(তিরমিযী শরীফ, মুস্তাদরকে হাকিম ২/৪২১, শুয়াবুল ঈমান ৩/১৩৮, মিশকাত শরীফ, জামিউল আহাদীছ ৩২/৩৭৩, জামিউল উছূল ১১/৮৪৬৭, রিয়াদুছ ছালিহীন ১/৩৪৭ ইত্যাদি)
বিস্তারিত

কুরআন শরীফ হাদীছ শরীফে উল্লেখ না থাকলে কি তা বাদ দিতে হবে?

কুরআন শরীফ হাদীছ শরীফে উল্লেখ না থাকলে কি তা বাদ দিতে হবে?
নিম্নে কিছু বিষয় উল্লেখ করা হবে, যারা সব কিছুকেই বিদয়াত বলে অভ্যস্ত তারা একটু জবাব দেনতো-
১) পবিত্র কুরআন শরীফ ৩০ পারা নির্ধারন, রুকু নির্ণয় করা, যের, যবর, পেশ দেয়া, কাগজে কিতাব আকারে বাঁধাই করা এসব কুরআন হাদীস থেকে প্রমাণ করেন।
২) হাদীছ শরীফকে পুস্তক আকারে একত্রিত করা। কিতাবকে সুনান, মুসনাদ, মু’জাম, জামে ইত্যাদি স্তর বিন্যাস করা। ছিয়া ছিত্তাহ নির্ধারন করা। বুখারী শরীফ মুসলিম শরীফকে একমাত্র সহীহ কিতাব বলা। সহীহ, দ্বয়ীফ, হাসান, মুরসাল, মায়াল্লাক, শায, মুনকাতে, মাওজু নামকরন করা। হাদীছ শরীফের জন্য উছুল নির্ধারন করা এসব কুরআন শরীফ হাদীছ শরীফ থেকে প্রমাণ করেন।
৩) দলীল চাইলে বুখারী মুসলিম থেকে চাওয়া এটা কুরআন হাদীছ থেকে প্রমাণ করুন।
৪) নামায, রোজা, হজ্জ, যাকাত এই ইবাদত সমূহে কোনটা ফরয, কোনটা ওয়াজিব, কোনটা মুস্তাহাব, কোনটা নফল তা কুরআন হাদীছ থেকে প্রমাণ করুন।
যদি দলীল দিয়ে প্রমাণ করতে না পারেন তাহলে উপরোক্ত বিষয় গুলো বিদয়াত। যদি বিদয়াত হয় তবে কি আপনি তা বর্জন করবেন?
বিস্তারিত

এক নজরে দেওবন্দি, কওমিদের গুরুদের ঈদে মিলাদুননবী পালনের পক্ষে রায়

এক নজরে দেওবন্দি, কওমিদের গুরুদের ঈদে মিলাদুননবী পালনের পক্ষে রায়
১. দেওবন্দীদের দাদা ওস্তাদ মক্কী রহমতুল্লাহি আলাইহির দৃষ্টিতে ঈদে মিলাদে হাবীবি পালনঃ https://goo.gl/KMbkWt
২. দেওবন্দী আলেমদের ঈদে মিলাদে হাবীবির পক্ষে রায় https://goo.gl/o3LTgX
৩. সকল দেওবন্দী প্রধান মুরুব্বীদের ঈদে মীলাদুন্নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামপালনের পক্ষে ফতোয়া https://goo.gl/Mc32JE
৪.  মিলাদ-কিয়াম সম্পর্কে দেওবন্দী আলেমদের অভিমত কি ?https://goo.gl/A2Ct7T
৫. মুফতে আমীনি ও শায়খুল হাদিস এর গুরু মৌলভী শামছুল হক ফরিদপুরীর ঈদে মিলাদুন্নবি পালন https://goo.gl/ddjPLD
৬. বেহেশতী জেওর এর আশরাফ আলী থানভির ঈদে মিলাদের দলিল https://goo.gl/e5XUti
৭. পবিত্র মীলাদ শরীফ কিয়াম শরীফের বিরোধীতা না করার ব্যাপারে দেওবন্দীদের ইজমা https://goo.gl/XjnbhE

দেওবন্দী ইমাম মাওলানা খলীল আহমদ সাহারানপুরী রচিত ” আল মুহান্নাদ আ’লাল মুফান্নাদ” কিতাবে পবিত্র মক্কা শরীফ এবং মদীনা শরীফ এর আলেমদের মীলাদ শরীফ সম্পর্কে প্রশ্নের জবাব দেওবন্দী খলীল আহমদ সাহারানপুরী লিখে-
” রসূলে করীম ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের মুবারক বেলাদতের আলোচনা বা মীলাদ শরীফ পাঠ এমন কি তাঁর পাদুকা সংশ্লিষ্ট ধূলি অথবা তাঁর বাহন গাধাটির প্রশ্রাব-পায়খানা মুবারক আলোচনাকে আমরা কেন কোন সাধারণ মুসলমান বেদআতে মুহররমা বা হারাম বলতে পারে না। না আমরা কখনো বলিনি বলিও না।
ঐ অবস্থা যার বিন্দুমাত্র সম্পর্ক হযরত রসূলে করীম ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সাথে রয়েছে তার আলোচনা আমাদের মতে অধিকতর পছন্দনীয় ও উন্নতমানের মুস্তাহাব।”
দলীল-
√ আল মহান্নাদ আলাল মুফান্নাদ ২১ তম প্রশ্নের জবাব।
লেখক- মাওলানা খলীল আহমদ সাহারানপুরী দেওবন্দী।
বঙ্গানুবাদঃ অধ্যক্ষ মাওলানা মোঃ আবদুল হাকিম 
প্রকাশকঃ আল হাবীব ফাউন্ডেশন , 
প্রকাশকালঃ অগাষ্ট ২০১২ , রমাদ্বান ১৪৩৩
বিস্তারিত

পবিত্র ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম খ্রিস্টানদের থেকে নয়, বরং খ্রিস্টানরাই মুসলমান উনাদের দেখে ক্রিসমাস চালু করেছে।

পবিত্র ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম খ্রিস্টানদের থেকে নয়, বরং খ্রিস্টানরাই মুসলমান উনাদের দেখে ক্রিসমাস চালু করেছে।
হিন্দু ও বৌদ্ধদের ধর্মগ্রন্থের মতো খ্রিষ্টানদের ধর্মগ্রন্থেও পবিত্র ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সম্পর্কে বর্ণিত রয়েছে। এমনকি নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার যমীনে তাশরীফ মুবারক নেয়ার ভবিষ্যদ্বাণী শ্রবণে খ্রিষ্টানরা তৎক্ষণাতই উনাকে পাওয়ার জন্য ব্যাকুল প্রার্থনা করেছে।
যেমন বার্নাবাসের গসপেলে বর্ণিত আছে-
Then said the priest : `How shall the Messiah be called, and what sign shall reveal His comming?’
Jesus answered : `The name of Messiah is admirable, for God himself gave him the name when he had created his soul, and placed it in celestial splendour. God said : “wait Mohammed; for thy sake I will to create paradise, the world and a great multitude of creatures, whereof I make thee a present, insomuch that whoso shall bless thee shall be blessed, and whoso shall curse thee shall be accursed. When I shall send thee into the world I shall send thee as my messenger of salvation, and thy world shall be ture, insomuch that heaven and earth shall fail, but thy faith shall never fail.” Mohammed is his blessed name.
Then the crowd lifted up their voices, saying : `O, God send us thy messenger. O Mohammed, come quickly for the salvation of the world.’
- The Gospel of Baranabas : P 123-124 
অর্থ : “তারপর পুরোহিত বললো : ‘শান্তির দূত কি নামে অভিহিত হবেন এবং উনার আগমনের কি চিহ্ন প্রতিভাত হবে?’
যিশু উত্তরে বললেন : ‘শান্তির দূতের নাম প্রশংসিত হবে। কারণ, মহান আল্লাহ যখন উনার আত্মা সৃষ্টি করেন ও স্বর্গীয় দীপ্তিতে সংস্থাপন করেন তখন স্বয়ং মহান আল্লাহ উনার নাম রাখেন। মহান আল্লাহ বলেন : “অপেক্ষা করুন, মুহম্মদ! আপনার সৌজন্যে আমি স্বর্গ-মর্ত এবং অসংখ্য জীব সৃষ্টি করবো, আমি আপনাকে এমনি গৌরবম-িত করেছি, যে ব্যক্তি আপনাকে আশীর্বাদ করবেন তিনি আশীর্বাদপুষ্ট হবেন এবং যে ব্যক্তি আপনাকে অভিশাপ দিবে, সে অভিশপ্ত হবে। যখন আমি আপনাকে মর্তে প্রেরণ করবো তখন মুক্তির দূত হিসেবেই পাঠাবো। স্বর্গ-মর্ত অসত্য হলেও আপনি সত্যপথে দৃঢ় থাকবেন এবং কখনোও আপনার বিশ্বাস টলবে না।” মুহম্মদ সে-ই প্রশংসিত নাম।’
তখন জনতা উচ্চস্বরে বললো : ‘হে আল্লাহ! আপনার দূত আমাদের জন্য পাঠান। হে মুহম্মদ! মর্তের মুক্তির জন্য শীঘ্র আসুন!’”
উপরের উদ্ধৃতি থেকে দেখা যাচ্ছে যে, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার যমীনে তাশরীফ মুবারক আনার খবরে খ্রিষ্টানরা খুশি প্রকাশ করেছে এবং খুশি হয়ে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে শীঘ্রই পাওয়ার আরজু পেশ করেছে।
তাহলে এ কথা কি করে বলা যায় যে, পবিত্র ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম খ্রিষ্টানদের ক্রিসমাস থেকে এসেছে। নাঊযুবিল্লাহ! যেখানে, পবিত্র ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বিষয়ে গসপেলেই বর্ণিত রয়েছে। নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মুবারক আগমনকে খ্রিষ্টানরাও মুবারকবাদ জানিয়েছে। এমনকি নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে শীঘ্রই পাওয়ার আরজু পেশ করেছে।
আবার ‘ক্রিসমাস’ শব্দের উৎপত্তি হয়েছে ১০৩৮ ঈসায়ী সালের একটি রচনা থেকে। ‘ক্রিসমাট ট্রি’ শব্দটি পাওয়া যায় ১৮৩৫ ঈসায়ী সালের একটি রচনা থেকে। ১৭শ’ সাল থেকে মুসলমান উনাদের দেখাদেখি কিছু খ্রিস্টান নিজেদের নবীর বিষয়টি চালু করতে চাইলেও গোড়া খ্রিস্টানরা এর কট্টর বিরোধী ছিলো। তাই খ্রিস্টানদের মধ্যে এ দিবসটি তখন পালন করা হয়নি। তবে নিষেধাজ্ঞা তুলে খ্রিস্টানরা ক্রিসমাসকে দিবস হিসেবে পালন শুরু করে ঊনবিংশ শতাব্দী থেকে। ১৯শ’ সালের আগে খ্রিস্টানরা ক্রিসমাসকে বড় উৎসব হিসেবে বড় অনুষ্ঠান করে পালন করেছে এমন ইতিহাস কেউ দেখাতে পারবে না। 
যদিও খ্রিষ্টানরা যিশুর জন্মদিবসকে ‘ক্রিসমাস ডে’ হিসেবে পালন করে, তবে ক্রিসমাসের দিবস নিয়ে খ্রিস্টানরাই সন্দিহান। কেউ পালন করে ২৫শে ডিসেম্বর, কেউ ৬ই জানুয়ারি, কেউবা ৭ই জানুয়ারি, কেউবা ১৯শে জানুয়ারি ক্রিসমাস পালন করে থাকে। তবে জাতীয় স্বার্থে তারা বিষয়টি এখন একদিনেই (২৫শে ডিসেম্বর) প্রচার করে থাকে।
এটা বলার অপেক্ষা রাখে না যে, স্বর্ণযুগে মুসলমান উনাদের ঐতিহ্য-সংস্কৃতি দেখে খ্রিস্টানরা অনেক আচার-আচরণ, কার্যবিধি গ্রহণ করেছিলো। মুসলমান উনারা উনাদের নবীজি, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার জন্ম দিবস বা পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ দিবস পালন উপলক্ষ্যে আনন্দ-খুশি করে, সবাইকে খাদ্য খাওয়ায়- এ সংস্কৃতি বা কালচারটি খ্রিস্টানরাও আয়ত্ব করার চেষ্টা করে। এ শিক্ষা থেকেই তারা কথিত ক্রিসমাস পালন শুরু করে। 
তাই নিঃসন্দেহে বলা যায়, পবিত্র ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম খ্রিস্টানদের থেকে নয়, বরং খ্রিস্টানরাই মুসলমান উনাদের দেখে ক্রিসমাস চালু করেছে।
বিস্তারিত

নামায রোযা পালনের খবর নাই, পবিত্র ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নিয়ে টানাটানি।

 নামায রোযা পালনের খবর নাই, পবিত্র ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নিয়ে টানাটানি।
খণ্ডন : সারাজীবন নামায-রোযা পালন করেও হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম তথা নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি বিদ্বেষ পোষণকারীদের ব্যাপারে পবিত্র হাদীছ শরীফে ইরশাদ মুবারক হয়েছে, 
عَنْ حَضْرَتْ اِبْنِ عَبَّاسٍ رَضِىَ اللهُ تَعَالـٰى عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَوْ اَنَّ رَجُلًا صَفَّ بَيْنَ الرُّكْنِ وَالْـمَقَامِ فَصَلّٰى وَصَامَ ثُـمَّ لَقِىَ اللهَ وَهُوَ مُبْغِضٌ لّاَهْلِ بَيْتِ مُـحَمَّدٍ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ دَخَلَ النَّارَ.
অর্থ: “হযরত ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ মুবারক করেন, কোন ব্যক্তি যদি রুকনে ইয়ামেন এবং মাক্বামে ইবরাহীমের মধ্যবর্তী স্থানে সারিবদ্ধ হয়ে থাকে। অতঃপর নামায পড়ে এবং রোযা রাখে। কিন্তু এই অবস্থায় তার মৃত্যু হয় যে, সে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের প্রতি বিদ্বেষ পোষণ করে, তাহলে সে অবশ্যই জাহান্নামে প্রবেশ করবে।” না‘ঊযুবিল্লাহ! (যাখাইরুল ‘উক্ববা লিমুহিব্বে ত্ববারী ১/১৮, খ¦ছায়িছুল কুবরা ২/৪৬৫)
অন্য পবিত্র হাদীছ শরীফে এসেছে,
عَنْ حَضْرَتْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللهِ الْاَنْصَارِىِّ رَضِىَ اللهُ تَعَالـٰى عَنْهُ قَالَ خَطَبَنَا رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَسَمِعْتُهٗ وَهُوَ يَقُوْلُ يَا اَيُّهَا النَّاسُ مَنْ اَبْغَضَنَا اَهْلَ الْبَيْتِ حَشَّرَهُ اللهُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ يَهُوْدِيًّا فَقُلْتُ يَا رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَاِنْ صَامَ وَصَلّٰى قَالَ وَاِنْ صَامَ وَصَلّٰى وَزَعِمَ اَنَّهٗ مُسْلِمٌ.
অর্থ: “হযরত জাবির ইবনে আব্দুল্লাহ আনছারী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, একদিন সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাদের উদ্দেশ্যে খুতবা মুবারক দিলেন এবং বলতে থাকলেন যে, হে লোক সকল! যারা আমার আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের প্রতি বিদ্বেষ পোষণ করবে, উনাদের বিরোধিতা করবে, তাদের হাশর-নশর হবে ইহুদীদের সাথে। আমি আরজ করলাম, ইয়া রসূলাল্লাহ, ইয়া হাবীবাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! যদি তারা রোযা রাখে এবং নামায পড়ে? উত্তরে তিনি ইরশাদ মুবারক করলেন, হ্যাঁ! যদিও তারা রোযা রাখে, নামায পড়ে এবং দাবি করে যে, তারা মুসলমান। (তা সত্ত্বেও আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের বিরোধিতা করার কারণে, উনাদের শত্রু হওয়ার কারণে যিনি খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি তাদের সমস্ত ইবাদত বিনষ্ট করে দিয়ে তাদেরকে ক্বিয়ামতের দিন ইহুদীদের দলভুক্ত করে উঠাবেন।)” নাঊযুবিল্লাহ! (আল মু’জামুল আওসাত্ব লিতত্ববারণী ৪/২১২, জামিউল আহাদীছ লিস সুয়ূত্বী ১০/৪৭৫, জামউল জাওয়ামি’ লিস সুয়ূত্বী, মাজমাউয যাওয়াইদ লিল হাইছামী ৯/৭১২, তারীখে জুরজান ৩৬৯ পৃষ্ঠা)
আর হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের সম্পর্কে পবিত্র হাদীছ শরীফে ইরশাদ মুবারক হয়েছে,
عَنْ حَضْرَتْ اَنَسٍ رَضِىَ الله تَعَالـٰى عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَـحْنُ اَهْلُ بَيْتٍ لَّا يُقَاسُ بِنَا اَحَدٌ.
অর্থ: “হযরত আনাস রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ মুবারক করেন, আমরা আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম। আমাদের সাথে অন্য কারো তুলনা করা যাবে না।” সুবহানাল্লাহ! সুবহানাল্লাহ! সুবহানাল্লাহ! (দায়লামী ৪/২৮৩, জামি‘উল আহাদীছ ২২/২১৯, কানজুল উম্মাল ১২/১০৪, জাম‘উল জাওয়ামি’ ১/২৪৯৫০, যাখায়েরুল ‘উক্ববাহ ১/১৭, সুবুলুল হুদা ওয়ার রশাদ ১১/৭ ইত্যাদি)
অত্র পবিত্র হাদীছ শরীফে نَـحْنُ اَهْلُ بَيْتٍ দ্বারা নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নিজেকে হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের অন্তর্ভুক্ত করে নিয়েছেন। তাই হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম বলতে উনাকে সহ উনার আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে বুঝাবে।
সুতরাং যারা নামায-রোযাকে পবিত্র ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার চেয়ে বেশি প্রাধান্য দেয় তারা মূলত নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি বিদ্বেষ পোষণ করার কারণেই এরূপ করে থাকে।
বিস্তারিত

“মীলাদুন নবী” শব্দ শরীয়তে রয়েছে। তাই এই শব্দ অবশ্যই পরিপূর্ণরূপে গ্রহণযোগ্য।

 “মীলাদুন নবী” শব্দ শরীয়তে রয়েছে। তাই এই শব্দ অবশ্যই পরিপূর্ণরূপে গ্রহণযোগ্য।
مِيْلَادٌ ‘মীলাদ’ সম্পর্কে তিনটি শব্দ রয়েছে- مِيْلَادٌ ‘মীলাদ’, مَوْلِدٌ ‘মাওলিদ’ ও مَوْلُوْدٌ ‘মাওলূদ’, যাد -ل-و মূলাক্ষর থেকে এসেছে। শব্দগুলো বানান ও উচ্চারণগত কিছু পার্থক্য থাকলেও মূল অক্ষর একই এবং একই অর্থ অর্থাৎ ‘বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ’ (জন্মবৃত্তান্ত, জন্মগ্রহণ সংক্রান্ত) বিষয় প্রকাশ করে। আবার এক দিক থেকে আলাদা অর্থ প্রকাশ করে। যেমন - مِيْلَادٌ ‘মীলাদ’ শব্দের অর্র্থ জন্মের সময়, مَوْلِدٌ ‘মাওলিদ’ শব্দের অর্র্থ জন্মের স্থান, مَوْلُوْدٌ ‘মাওলূদ’ শব্দের অর্র্থ সদ্যপ্রসূত সন্তান। আর النبى ‘নবী’ শব্দ দ্বারা বুঝায় নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে।
অর্র্থাৎ আভিধানিক বা শাব্দিক অর্থে مِيْلَادُ النَّبِـىّ ‘মীলাদুন নবী’ বলতে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ বুঝানো হয়ে থাকে।
مِيْلَادٌ ‘মীলাদ’: مِيْلَادٌ শব্দখানি وَاحِدْ كُبْـرٰي এর صِيْغَةٌ বা শব্দরূপ। বাহাছ اِسْمُ اٰلَةٍ ‘ইসমে আলা’ বা যন্ত্রবাচক বিশেষ্য থেকে এসেছে। যা وِلَادَةٌ মূল শব্দ থেকে উৎপত্তি। এ হিসাবে مِيْلَادٌ শব্দখানি মূলে ছিলো مِوْلَادٌ।
এ শব্দখানির শুরুতে مِيْمْ مَكْسُوْرْ (যের যুক্ত মীম) এবং পরে সাকিনওয়ালা و ওয়াও হরফ থাকায় উচ্চারণে কঠিন বিধায় اِسْمُ اٰلَةٍ ‘ইসমে আলা’-এর ছীগাহ হিসাবে মীম হরফের নিচের যের’কে বহাল রেখে তার (যেরের) সমতা রক্ষার্থে সাকিনওয়ালা ওয়াও’কে বিলুপ্ত করে তদস্থলে يَاءٌ (ইয়া) হরফ’কে আনয়ন করে مِيْلَادٌ করা হয়েছে। যার আভিধানিক দৃষ্টিকোণ থেকে সঠিক অর্থ হবে জন্মবৃত্তান্ত, জন্মের সময়, জন্ম, জন্মের তারিখ, বিলাদত শরীফ উনার সময় তারিখ ইত্যাদি।
অর্থাৎ مِيْلَادٌ ‘মীলাদ’ শব্দটি اِسْمُ اٰلَةٍ ‘ইসমে আলা’র অর্থ প্রকাশ করে না, বরং এ শব্দটি مَصْدَرٌ ‘মাছদার’ বা ক্রিয়ামূলের অর্থ প্রকাশ করে এবং اِسْمٌ ظَرْفٌ ‘ইসমে জরফ’-এর অর্থও প্রদান করে থাকে। একই বা অনুরূপ ওজনে শব্দ আসলেই যে ইসমে আলার অর্থ দিবে তা নয়। একই ওজনে শব্দ আসার পরও ইসমে আলার (যন্ত্রবাচক বিশেষ্যের) অর্থ প্রদান না করে বরং اِسْمٌ ظَرْفٌ ‘ইসমে জরফ’-এর অর্থ প্রদান করে থাকে এরূপ অনেক শব্দ সকল বিশ্বখ্যাত আরবী লুগাত বা অভিধানে রয়েছে। যেমন - مِيْرَاثٌ ‘মীরাছ’, مِيْعَادٌ ‘মীয়াদ’, مِيْقَانٌ ‘মীক্বান’, مِيْفَاءٌ ‘মীফা’, مِيْنَاءٌ ‘মীনা’, مِيْقَاتٌ ‘মীকাত’, مِـحْرٰبٌ ‘মিহরাব’ ইত্যাদি।
পবিত্র কুরআন শরীফে বর্ণিত মীলাদ অর্থে ব্যবহৃত শব্দ মুবারক এক নজরে ছক আকারে দেখানো হলো-
ক্রম পবিত্র আয়াত শরীফ শব্দ মুবারক
১ وَسَلَامٌ عَلَيْهِ يَوْمَ وُلِدَ وَيَوْمَ يَـمُوْتُ وَيَوْمَ يُبْعَثُ حَيًّا وُلِدَ
২ وَالسَّلَامُ عَلَىَّ يَوْمَ وُلِدْتُّ وَيَوْمَ اَمُوْتُ وَيَوْمَ اُبْعَثُ حَيًّا وُلِدتُّ
৩ لَـمْ يَلِدْ وَلَـمْ يُوْلَدْ يَلِدْ ও يُوْلَدْ
৪ وَوَالِدٍ وَمَا وَلَدَ وَالِدٍ ও وَلَدَ
পবিত্র হাদীছ শরীফে ব্যবহৃত মীলাদ শব্দ মুবারক :
পবিত্র হাদীছ শরীফে বর্ণিত রয়েছে-
عَنِ حَضْرَتْ الـمُطَّلِبِ بْنِ عَبْدِ اللهِ بْنِ قَيْسِ بْنِ مَـخْرَمَةَ رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ عَنْ اَبِيْهِ عَنْ جَدّه قَالَ وُلِدْتُّ اَنَا وَرَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَامَ الْفِيلِ وَسَاَلَ حَضْرَتْ عُثْمَانُ بْنُ عَفَّانَ عَلَيْهِ السَّلَامَ قُبَاثَ بْنَ اَشْيَمَ اَخَا بَنِيْ يَعْمَرَ بْنِ لَيْثٍ اَاَنْتَ اَكْبَرُ اَمْ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ؟ فَقَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اَكْبَرُ مِنّي وَاَنَا اَقْدَمُ مِنْهُ فِي الْمِيْلَادِ وُلِدَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَامَ الْفِيلِ.
অর্থ : “হযরত মুত্তালিব ইবনে আব্দিল্লাহ ইবনে কাইস ইবনে মাখরামা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি উনার পিতা হতে এবং উনার পিতা উনার দাদা হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম “হাতীর বছরে” পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করেন, আমিও সেই হাতীর বছরেই পবিত্র বিলাদত শরীফ গ্রহণ করেছি। সাইয়্যিদুনা হযরত যুন নূরাইন আলাইহিস সালাম তিনি হযরত কুবাস বিন আশিয়াম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনাকে প্রশ্ন করেন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বড় না আপনি বড়? তিনি উত্তরে বলেন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমার থেকে বড়, আর আমি উনার পূর্বে বিলাদত শরীফ গ্রহণ করেছি।” (তিরমিযী শরীফ, হযরত আবূ ঈসা মুহাম্মদ ইবনু ঈসা রহমতুল্লাহি আলাইহি (২৭৯ হিঃ), আস সুনান, প্রকাশনা- বৈরুত, দারু ইহ্য়ায়িত তুরাসিল আরাবী, হাদীছ শরীফ নং ৩৬১৯)
বিখ্যাত মুহাদ্দিছ হযরত আবূ ঈসা মুহম্মদ ইবনু ঈসা তিরমিযী রহমতুল্লাহি আলাইহি (হিজরী ২৭৯) উনার বিখ্যাত কিতাব তিরমিযী শরীফের ২য় খ-ের ২০৩ পৃষ্ঠায় একটি শিরোনাম রচনা করে নাম দিয়েছেন-
بَابُ مَا جَاءَ فِىْ مِيْلَادِ النَّبِىّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ
অর্থাৎ যা রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র বিলাদত শরীফ সম্পর্কে এসেছে। এখানে তিনি ‘মীলাদুন নবী’ শব্দটি নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র বিলাদত শরীফ সংক্রান্ত বিষয় বুঝাতে ব্যবহার করেছেন।
২. ইমাম হযরত বায়হাক্বী রহমতুল্লাহি আলাইহি (ওফাত ৪৫৮ হিজরী) উনার বিখ্যাত সীরাত সংক্রান্ত পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার কিতাব “দালায়িলুন নুবুওওয়াত” নামক কিতাবের ১ম খ-ের ৪৯ পৃষ্ঠায়
اَبْوَابُ مِيْلَادِ رَسُوْلِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ
শীর্ষক একটি অধ্যায় এনেছেন, যেখানে স্পষ্ট ‘মীলাদে রসূল’ শব্দটি উল্লেখ করেছেন।
মীলাদুন নবী : মীলাদুন নবী শব্দ মুবারক সাধারণভাবে হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের বিলাদত শরীফ বা বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ সংক্রান্ত যাবতীয় বিষয়ের আলোচনা বুঝাতে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। তবে মীলাদুন নবী শব্দ মুবারক দ্বারা খাছভাবে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ সংক্রান্ত যাবতীয় বিষয়ের আলোচনা বুঝাতে ব্যবহৃত হয়ে থাকে।
আর নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে নিসবত থাকার কারণে যথাযথ আদব রক্ষার্থে মীলাদুন নবী শব্দ মুবারকের সাথে ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যুক্ত করে ‘মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম’ বলা হয়।
ঈদে মীলাদুন নবী : নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে পাওয়ার কারণে উনার বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ দিবস উপলক্ষ্যে ঈদ বা খুশি প্রকাশ করাকে ঈদে মীলাদুন নবী বলা হয়ে থাকে। আর নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে নিসবত থাকার কারণে যথাযথ আদব রক্ষার্থে ঈদে মীলাদুন নবী শব্দ মুবারকের সাথে ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যুক্ত করে ‘ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম’ বলা হয়।
বিস্তারিত

আহমদ শফীর বিভ্রান্তি


দারুল উলুম মঈনুল ইসলাম, হাটহাজারী মাদ্রসার মহাপরিচালক ও বাংলাদেশ হেফাজত ইসলাম এর আমীর শাহ আহমদ শফী একটা বই লিখেছেন “হক্ব ও বাতিলের চিরন্তন দ্বন্দ”। হাটহাজারী থেকেই বইটি প্রকাশিত। 
উক্ত বইয়ের ৬৩ পৃষ্ঠায় পবিত্র মীলাদ ও কিয়ামের বিরোধীতা করতে গিয়ে উক্ত বয়োবৃদ্ধ শফী সাহেব লিখেন,
“পৃথিবীর সমস্ত মুহাদ্দিসীন, মুফাসিরীন এবং হক্বপন্থী উলামায়ে কিরাম ও দেওবন্দী আলেমগন প্রচলিত মীলাদ ও কিয়ামকে বিদয়াত ও না জায়েয বলেন।” (হক্ব ও বাতিলের চিরন্তন দ্বন্দ ৬৫ পৃষ্ঠা)
আমার জানার যে বিষয় সেটা হলো,
১) পৃথিবীর সমস্ত মুহাদ্দিসদের সে নামের তালিকায় কারা আছেন?
২) পৃথিবীর সমস্ত মুফাসসিরদের সে নামের তালিকায় কারা আছেন?
৩) পৃথিবীর সমস্ত হক্বপন্থী উলামায়ে কিরামদের নামের তালিকায় কারা আছেন?
৪) দেওবন্দী আলেমগন কারা কারা নাজায়িয বলেছেন?
কিতাব ও পৃষ্ঠা নম্বর সহ উক্ত মুহাদ্দিস, মুফাসসির, হক্ক আলেম, দেওবন্দী আলেমদের বক্তব্য প্রদান করুন।
যদি আপনি উক্ত দাবির পক্ষে দলীল দিতে না পারেন তাহলে ঢালাও মিথ্যাচারের কারন কি? আপনি বা আপনারা মানেন না সেটা আপনাদের বিষয় কিন্তু সাধারন মানুষকে বিভ্রান্ত করতে এমন ঢালাও বক্তব্য কি আপনার মত নব্বইউর্ধো বয়োঃবৃদ্ধ ব্যক্তির জন্য শোভনীয়? 
এমন মিথ্যা অভিযোগ করার আগে আল্লাহ পাকের ভয়ে কি অন্তর একবারও কাঁপলো না? এই বয়সেতো মৃত্যুর ভয়ে ভীত থাকার কথা। ভুল ত্রুটি থেকে তওবা করার কথা।
বিঃদ্রঃ আমরা গবেষনা করে দেখেছি, পৃথিবীর অনেক বিখ্যাত মুহাদ্দিস, মুফাসসির, ফকীহ ও দেওবন্দী আলেমরা পবিত্র মীলাদ কিয়ামের পক্ষে বলেছেন (http://bit.ly/2hAgAnn, http://bit.ly/2gOrcz3, http://bit.ly/2gsePwA, http://bit.ly/2gzrwnB, http://bit.ly/2zQUA4l, http://bit.ly/2z1WOdC, http://bit.ly/2izt3e7)
দেওবন্দী আলেমদের দলীল (http://bit.ly/2hir4IM, http://bit.ly/2B4JCGc)
বিস্তারিত

বিখ্যাত মুহাদ্দিছ হযরত শায়েখ ওয়ালীউল্লাহ মুহাদ্দিছ দেহলবী রহমতুল্লাহি আলাইহি পবিত্র মীলাদ শরীফ সর্ম্পকে বলেন,



“এর পূর্বে আমি পবিত্র মক্কা মুয়াজ্জামাতে হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সুমহান বিলাদত শরীফের দিনে এমন একটি মীলাদ মাহফিলে অংশগ্রহন করলাম, যেখানে মানুষ উনার দরবারে দরূদ শরীফ ও সালামের হাদীয়া পেশ করছিলো এবং ঐ সকল ঘটনাসমূহ বর্ণনা করছিলো যা সুমহান বিলাদত শরীফের সময় প্রকাশ হয়েছিলো এবং সম্মানিত নবী হিসাবে আত্মপ্রকাশের আগে প্রকাশ পেয়েছিলো। হঠাৎ আমি দেখলাম, সেই মজলিসে নূর বর্ষিত হয়ে চলছে। আমি এ কথা বলছি না যে, কেবল রূহানী দৃষ্টিতে প্রত্যক্ষ করেছি। আল্লাহ পাক ভালো জানেন, এই দুই অবস্থার কোনটি কার্যকর ছিলো। মোটকথা, আমি সে নুর সর্ম্পকে চিন্তা ভাবনা ও ত্বত্ত তালাশ করলাম। আমার মধ্যে এই হাকীকত প্রকাশ পেলো যে, এই নূরগুলো সে সকল ফিরিশতা আলাইহিমুস সালাম যারা এই মাহফিলে উপস্থিত মানুষের সাথে মিলিত হবার নির্দেশ লাভ করেছিলো এবং নিয়োজিত হয়েছিলো। আর আমি এটাও প্রত্যক্ষ করেছি, ফিরিশতাদের নূর গুলো সাথে সাথে রহমতের নুরগুলো বর্ষিত হয়ে চলেছে।” (ফুয়ুজুল হারামইন ৩৩-৩৪ পৃষ্ঠা)

উপরোক্ত ঘটনা থেকে যা প্রমাণ হলো,
১) পবিত্র মক্কা শরীফে ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ পালন হতো।
২) পবিত্র বিলাদত শরীফের দিনে অনুস্ঠান হতো।
৩) মানুষজন সে দিনে সলাত সালাম ও ঘটনা সমূহ আলোচনা করতো।
৪) সে মাহফিল সমূহে ফিরিশতা আলাইহিমুস সালাম তাশরীফ আনতেন।
৫) মাহফিলে রহমতের নূর নাযিল হতো।
৬) সর্বজনমান্য বিখ্যাত মুহাদ্দিছ হযরত শায়েখ ওয়ালীউল্লাহ মুহাদ্দিছ দেহলবী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি নিজেও মাহফিলে অংশগ্রহন করে পালন করতেন।

সূতরাং যারা বিরোধীতা করে তাদের এখনি সাবধান হওয়া উচিত। বিরোধীতা করলে রহমত থেকে বঞ্চিত হতে হবে নিশ্চিত।
বিস্তারিত

শায়খুল হাদীস আজিযুল হক ঈদে মিলাদের দলীল

বাংলাদেশের দেওবন্দ সিলসিলার অন্যতম ,তাদের শায়খুল হাদীস আজিযুল হক বুখারী শরীফের অনুবাদ ও টীকা করেছিলো। উক্ত অনুবাদ গ্রন্থের ৫ম খন্ডটা বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। (৫ম খন্ড পড়তে চাইলে:https://goo.gl/q2xAok)
৫ম খন্ডের ৩৭, ৩৮, ৩৯ পৃষ্ঠার স্ক্যান কপি আপনাদের সম্মুখে উপস্থাপন করা হলো, সেখান থেকে যা প্রমাণ হচ্ছে,
১) হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আগমনের দিন সমগ্র ধরনীতে আনন্দের হিল্লোল প্রবাহিত হয়।
২) হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার খাতিরে আরশ-কুরসী, লৌহ কলম, আসমান-জমিন, মানুষ- ফিরিশতা সৃষ্টি হয়েছে।
৩) উনার আগমনের অভিন্দন জানিয়ে বলা হয়েছে “ ইয়া নবী সালামু আলাইকা - ইয়া রসূল সালামু আলাইকা - ইয়া হাবীব সালামু আলাইকা - ছালাওয়াতুল্লাহি আলাইকা।
৪) উনার অাগমন অর্ভ্যথনার জন্য সমগ্র সৃষ্টিকুল অধির আগ্রহের প্রহর গুনছিলো।
৫) নুরানী আত্মা ও নুরানী দেহ আগমন করেন এই দুনিয়ায়।
তাহলে এখন প্রশ্ন হচ্ছে, সৃষ্টির মহান উপলক্ষ হাবীবুল্লাহ হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আগমনের দিবসটার মর্যাদা ও গুরুত্ব কত?



বিস্তারিত

ঈদে মিলাদুননবী বিরোধীতাকারীদের নবী বিদ্বেষ শক্ত আকার ধারণ করে অন্তর জ্বলে পুড়ে যায়।

ঈদে মিলাদুননবী বিরোধীতাকারীদের নবী বিদ্বেষ শক্ত আকার ধারণ করে অন্তর জ্বলে পুড়ে যায়।
বুখারী শরীফের ব্যাখাকার বিশ্ববিখ্যাত মোহাদ্দিস আল্লামা কুস্তোলানী রহমাতুল্লাহি আলাইহি (মৃত্যুঃ ৯২৩ হিজরী) বলেন- “যে ব্যক্তি নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর শুভাগমনের মোবারক মাসের রাতসমূহকে ঈদ হিসেবে গ্রহণ করে, আল্লাহ তার উপরে রহমত বর্ষণ করেন। আর উক্ত রাত্রকে ঈদ হিসেবে উদযাপন করবে এ জন্য যে, যাদের অন্তরে (নবী বিদ্বেষী) রোগ রয়েছে। তাদের ঐ রোগ যেন আরো শক্ত আকার ধারণ করে এবং যন্ত্রণায় অন্তর জ্বলে পুড়ে যায়”। [শরহে জুরকানী আলাল মাওয়াহেব, ১ম খন্ড, পৃষ্ঠা নং- ২৬২)

ভারতীয় উপমহাদেশের সর্বপ্রথম মোহাদ্দিস হযরত শায়খ আবদুল হক মোহাদ্দেসে দেহলভী রহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেন- “যে ব্যক্তি মীলাদুন্নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর রাত্রকে ঈদ হিসেবে পালন করে, তার উপর আল্লাহ তায়ালা রহমত নাযিল করেন। আর যার মনে হিংসা এবং [নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর দুশমনির] রোগ রয়েছে, তার ঐ (নবী বিদ্বেষী) রোগ আরও শক্ত আকার ধারণ করে”। [মা সাবাতা বিসসুন্নাহ (উর্দু) পৃষ্ঠা নং-৮৬]
বিস্তারিত

কুরআন শরীফে সুরা ইউনুস এর ৫৮ নং আয়াতে রহমত বলতে হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকেই বুঝানো হয়েছে

কুরআন শরীফে সুরা ইউনুস এর ৫৮ নং আয়াতে রহমত বলতে  হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকেই বুঝানো হয়েছে

قُلْ بِفَضْلِ اللَّهِ وَبِرَحْمَتِهِ فَبِذَلِكَ فَلْيَفْرَحُوا هُوَ خَيْرٌ مِمَّا يَجْمَعُونَ
হে আমার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনি বলে দিন, মহান আল্লাহ পাক উনার অনুগ্রহ ও রহমত পাওয়ার কারনে খুশি প্রকাশ করো। এই খুশি প্রকাশ করা হচ্ছে সব কিছুর চাইতে উত্তম।(সূরা ইউনূছ: আয়াত শরীফ ৫৮)
অনেকে তাদের অজ্ঞতার কারণে বলতে চান এখানে রহমত বলতে হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বুঝানো হয়নি! নাউযুবিল্লাহ
এখন প্রমান করা হবে যে রহমত বলতে হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকেই বুঝানো হয়েছে।
১. ” নিশ্চয় আমি আপনাকে সারা আলমের জন্য রহমত স্বরুপ পাঠিয়েছি ” পবিত্র সুরা আম্বিয়া ১০৭। এই আয়াত শরীফে রহমত বলতে হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বুঝানো হয়েছে। 
২. ইমাম ইবনে জাওযি রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেনঃ
أن فضل الله: العلم، ورحمته: محمد صلى الله عليه وسلم، رواه الضحاك عن ابن عباس.
অর্থঃ ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু থেকে বর্নিত “ অনুগ্রহ বলতে কুরআন শরীফ, রহমত বলতে হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকেই বুঝানো হয়েছে। [যা’আদ আল মাসীর ফি ইলম আট তাফসীর ৪:৪০]
৩.ইমাম আবু হাইয়ান আল আন্দালুসি রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেন “
الفضل العلم والرحمة محمد صلى الله عليه وسلم
অর্থঃ অনুগ্রহ মানে জ্ঞান , রহমত বলতে হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকেই বুঝানো হয়েছে।( তাফসীর আল বাহর আল মুহীতঃ ৫/ ১৭১)
৪. ইমাম জালালুদ্দীন সুয়ুতী রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেনঃ
وأخرج أبو الشيخ عن ابن عباس رضي الله عنهما في الآية قال: فضل الله العلم، ورحمته محمد صلى الله عليه وسلم، قال الله تعالى { وما أرسلناك إلا رحمة للعالمين } [الأنبياء: ১০৭].
আবু শেখ রহমতুল্লাহি আলাইহি ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু থেকে বর্নিত “ অনুগ্রহ বলতে কুরআন শরীফ, রহমত বলতে হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকেই বুঝানো হয়েছে।আল্লাহ পাক বলেন” নিশ্চয় আমি আপনাকে সারা আলমের জন্য রহমত স্বরুপ পাঠিয়েছি ” পবিত্র সুরা আম্বিয়া ১০৭। [দূর আল মানসুর ৪:৩৩০]
৫.আল্লামা আলুসী রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেনঃ
وأخرج الخطيب وابن عساكر عنه تفسير الفضل بالنبـي عليه الصلاة والسلام
অনুগ্রহ বলতেও হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে বুঝানো হয়। (রুহুল মায়ানী ১১:১৪১)

অর্থাৎ রহমত বলতে যে  হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকেই বুঝানো হয়েছে তা নিঃসন্দেহে প্রমাণিত।
আর আল্লাহ পাক সে রহমত পাওয়ার কারণে খুশি প্রকাশ করতে বলেছেন।
আর খুশি মানে ঈদ।
কার ঈদ ?
হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে পাওয়ার কারণে ঈদ।
অর্থাৎ ঈদে মিলাদে হাবিবুল্লাহ  হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম।
বিস্তারিত

কানা দাজ্জাল গ্রান্ড মুফতির কছে ঈদে মিলাদুন্নবি হারাম, ইহুদি পা চাটা আরাম !!!

কানা দাজ্জাল গ্রান্ড মুফতির কছে ঈদে মিলাদুন্নবি হারাম, ইহুদি পা চাটা আরাম !!!
সউদি আরবের ইহুদিদের চর কানা দাজ্জাল বাজ ঈদে মিলাদুননবীকে  হারাম ফতোয়া দেয়! নাউযুবিল্লাহ
http://archive.is/oegOz , http://archive.is/uueSJ, http://archive.is/a6Sxx
অথচ মুসলমানের চিরশত্রু ইহুদিদের পক্ষে কথা বলে এই কানা দাজ্জাল ।সে বলেছে " ইসরাইলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা নিষিদ্ধ "। http://archive.is/r6bMZ
ইহুদিদের যেখানে হিজাজ থেকে বের করে দেওয়া হয়েছিল , অথচ সউদি সরকার তাদের আবার হিজাজে কাজের অনুমতি দিয়েছে কিন্তু সে তার বিরুদ্ধে কিছু বলেনা।
http://goo.gl/tgd9zX
ফিলিস্থিনে ইহুদি কতৃক মুসলমান শহীসদ করার বিপক্ষে সেপ্রতিবাদ করেনা ,উলটা প্রতিবাদ এর বিপক্ষে বলে।
http://goo.gl/2wpX6D

বিস্তারিত

সউদি তথাকথিত গ্রান্ড মুফতির কাছে ঈদে মীলাদুন্নবী বিদয়াত, কিন্তু সউদি সরকারের সকল হারাম কর্ম জায়েয !

সউদি তথাকথিত গ্রান্ড মুফতির কাছে ঈদে মীলাদুন্নবী বিদয়াত, কিন্তু সউদি সরকারের সকল হারাম কর্ম জায়েয !


সউদি তথাকথিত গ্রান্ড মুফতি আল আজিজ ইবনে বাজ শয়তানীর চরম উদাহরন সৃষ্টি করে একের পর এক ইসলামের হালাল বিষয়কে হারাম ফতোয়া সেয়।
১. সে ঈদে মিলাদুননবিকে বিদয়াত বলে http://goo.gl/eKhySY কিন্তু এই মফুত বাজ যখন সারা বিশ্বে কাফিরেরা মুসলিম নির্যাতন করছে তাদের বিপক্ষে কিছু বলেনা। উলটা এই সেকাফিরদের বিরুদ্ধে জিহাদকে হারাম ফতোয়া দেয়।
http://goo.gl/mxohRo
২. সউদি সরকার মুসলিম দেশ ইয়েমেনে হামলা করে হাজার হাজার মুসলমান শহীদ করছে এবং ইসলামিক নিদর্শন ধ্বংস করছে অথচ ইসরাইলের বিরুদ্ধে টু শব্দ করেনা । কিন্তু সে তার বিরুদ্ধে কিছু বলেনা।
http://goo.gl/C5HoC4
৩. ইহুদিদের যেখানে হিজাজ থেকে বের করে দেওয়া হয়েছিল , অথচ সউদি সরকার তাদের আবার হিজাজে কাজের অনুমতি দিয়েছে কিন্তু সে তার বিরুদ্ধে কিছু বলেনা।
http://goo.gl/tgd9zX
৪. ফিলিস্থিনে ইহুদি কতৃক মুসলমান শহীসদ করার বিপক্ষে সেপ্রতিবাদ করেনা ,উলটা প্রতিবাদ এর বিপক্ষে বলে।
http://goo.gl/2wpX6D
এই ভন্ড শয়তানের শিং মুফতি ঈদে মীলাদুন্নবী এর বিরোধীতা করলেও সে হারামখোর বাদশার সউদি প্রিন্স ও প্রিন্সদের বল্গাহীন জীবন- কর্মের বিরুদ্ধে টু শব্দ পর্যন্ত করেনা -
১. ইসলামে মদ নিষিদ্ধ থাকা সত্ত্বেও সৌদির প্রিন্স মদ পান করে।
http://goo.gl/8V7CWN
https://goo.gl/R0az5Q
২. সৌদির প্রিন্স ও শেখ বংশধরেরা মদ সিগারেট একাধিক নারী নিয়ে উন্মাদনা।
https://goo.gl/aqNdD0
৩. সৌদির শেখের ৩০ টি বিবাহ।
https://goo.gl/GL8TmB
৪. প্রিন্স পরিবারের সামনে এক নারী অপহরন করে ধর্ষন করে মেরে ফেলেছে
http://goo.gl/XCDaO
৫. লন্ডনে সমকামী প্রিন্স হত্যা করেছে তার ভৃত্যকে
http://goo.gl/LMi2Gu
৬. সৌদি প্রিন্সের বিরুদ্ধে যৌন অপরাধের অভিযোগ
http://goo.gl/J007ie
৭. পতিতা কিম কার্দেশিয়ানের পিছনে ১ মিলিয়ন ডলার ব্যয়
http://goo.gl/7d4Fwg
৮. আর এক পতিতার পিছনে ৫ লক্ষ ডলার ব্যয়
http://goo.gl/lnPaBX
৯. সউদি প্রিঞ্চেস আমিরার পশ্চিমা স্টাইল
http://goo.gl/tHfkIC।
১০.সউদি প্রিঞ্চেস এর মদপান
https://goo.gl/Om3hqm
১১.প্রিন্সেস দীনা আবদুল আজিজ
https://goo.gl/boi।
১২.সউদি আরবের মহিলাদের পর্দার কথা বললেও সউদি রাজ পরিবার বেপর্দা
https://goo.gl/yoS6x2
১৩. সৌদি যুবরাজ যৌন নির্যাতনের দায়ে অভিযুক্ত
http://goo.gl/x48xio
ছবি তোলা ,ভিডিও,টিভি হারাম সহি হাদীস দ্বারা প্রমানিত কিন্তু সে তাঁর বিরুদ্ধে কিছু বলেনা ।উলটা সারাদিন এসকল হারাম কাজ করে। এ বছর হজ্জ্বে সউদি সরকারের কারনে হাজার হাজার হাজী শহীদ হয়েছেন কিন্তু এই শয়তানের শিং এর কোন প্রতিবাদ শোনা যায়নি।
সউদি ওহাবী ইহুদি সরকার শত শত হারাম কাজ করছে কিন্তু সে তাদের বলেনা এসকল হারাম ।
সউদি ওহাবী সরকারের সকল অপকর্ম তাঁর কাছে জায়েয কিন্তু হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাহি ওয়া সাল্লাম এর বিষয় আসলেই সব বিদয়াত হয়ে যায় ?নাউযুবিল্লাহ
এই গ্রান্ড মুফতি প্রকৃতপক্ষে ইহুদি ,মালউন।
সারা বিশ্বের মুসলমানদের এই সকল হারামি ,কাফিরদের এজেন্ট সম্পর্কে সচেতন হতে হবে।
এই শয়তানের শিং এর ইসলাম বিরোধী কথা ও কর্ম কান্ডের তীব্র প্রতিবাদ করতে হবে।
বিস্তারিত

মাযহাব মতে ঈদে মিলাদে হাবিবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম

১. হানাফী মাযহাবের বিখ্যাত ইমাম হযরত ইমাম তাহাবী রহমতুল্লাহি আলাইহি (২২৯- ৩২১ হিজরী) তিনি বলেছেন, 
ونقل الطحاوي عليه الرحمة في حواشي المختار عن بعض الشافعية أن أفضل الليالي ليلة مولده عليه الصلاة والسلام ثم ليلة القدر ثم ليلة الإسراء والمعراج ثم ليلة عرفة ثم ليلة الجمعة ثم ليلة النصف من شعبان ثم ليلة العيد
অর্থ: রাত সমূহের মধ্যে উত্তম রাত হচ্ছে পবিত্র মীলাদুন্নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের রাত, অতপর লাইলাতুল কদরের রাত, অতপর মিরাজ শরীফের রাত, অতপর আরাফার রাত, অতপর জুমুয়ার রাত, অতপর ১৫ শাবানের রাত, অতপর ঈদের রাত।”
(দলীল: স্ক্যান ক্যাপশন - তাফসীরে রুহুল মায়ানী ১৯/ ১৯৪, সূরা ক্বদরের তাফসীরে)



লক্ষ্যনীয় যে ইমাম তাহাবী রহমতুল্লাহি ১২০০ বছর আগের একজন জগৎবিখ্যাত ইমাম। সেই ইমাম তাহাবী রহতুল্লাহি আলাইহি তিনিও পবিত্র মীলাদুন্নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের ফযিলত সকল রাতের চাইতে বেশি সেটা বলে গেছেন। 
২. হানাফী মাযহাবের বিখ্যাত ফতোয়ার কিতাব ‘রদ্দুল মুহতার আলা দুররুল মুখতার’ কিতাবে বর্ণিত আছে,
أَنَّ أَفْضَلَ اللَّيَالِي لَيْلَةُ مَوْلِدِهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ثُمَّ لَيْلَةُ الْقَدْرِ ، ثُمَّ لَيْلَةُ الْإِسْرَاءِ وَالْمِعْرَاجِ ، ثُمَّ لَيْلَةُ عَرَفَةَ ، ثُمَّ لَيْلَةُ الْجُمُعَةِ ، ثُمَّ لَيْلَةُ النِّصْفِ مِنْ شَعْبَانَ ، ثُمَّ لَيْلَةُ الْعِيدِ
অর্থ: রাত সমূহের মধ্যে উত্তম রাত হচ্ছে পবিত্র মীলাদুন্নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের রাত, অতপর লাইলাতুল কদরের রাত, অতপর মিরাজ শরীফের রাত, অতপর আরাফার রাত, অতপর জুমুয়ার রাত, অতপর ১৫ শাবানের রাত, অতপর ঈদের রাত।”
[দলীল: রদ্দুল মুহতার আলা দুররুল মুখতার ৮/২৮৫ (শামেলা) , পুরাতন ছাপা ৫০৫ পৃষ্ঠা]


৩. 
قَالَ حَضْرَتِ الْاِمَامُ الشَّافِعِىُّ رَحِـمَهُ اللهُ مَنْ جَـمَعَ لِمَوْلِدِ النَّبِىّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اِخْوَانًا وَهَيَّاَ طَعَامًا وَاَخْلٰى مَكَانًا وَعَمَلَ اِحْسَانًا وَصَارَ سَبَبًا لّـِقِرَائَتِهٖ بَعَثَهُ اللهُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ مَعَ الصّدّيْقِيْنَ وَالشُّهَدَاءِ وَالصَّالِـحِيْنَ وَيَكُوْنُ فِىْ جَنَّاتِ النَّعِيْمِ.
অর্থ : শাফিয়ী মাযহাবের ইমাম হযরত ইমাম শাফিয়ী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, “যে ব্যক্তি মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র মীলাদ শরীফ উপলক্ষ্যে লোকজন একত্রিত করলো এবং খাদ্য তৈরি করলো ও জায়গা নির্দিষ্ট করলো এবং উত্তমভাবে (তথা সুন্নাহভিত্তিক) আমল করলো তাহলে উক্ত ব্যক্তিকে মহান আল্লাহ পাক তিনি হাশরের দিন ছিদ্দীক্ব, শহীদ, ছালিহীনগণ উনাদের সাথে উঠাবেন এবং উনার ঠিকানা হবে জান্নাতুন নায়ীমে।” সুবহানাল্লাহ! (আন নি’মাতুল কুবরা আলাল আলাম ফী মাওলিদি সাইয়্যিদি উইলদি আদম)
১. হযরত ইমাম তাহাবী একজন মুজতাহিদ শ্রেনীর আলেম।
২. এটা একটা মাযহাবের মুস্তাহিদের বক্তব্য।
৩. এটা ফিকাহের কিতাবেও আছে।
৪. সকল রাতের মধ্যে শ্রেষ্ঠ রাত হচ্ছে পবিত্র মীলাদুন্নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের রাত।
৫. অন্য সকল রাতের মর্যদা এই রাতে পরে।
৬. যারা বলে দুই ঈদা ছাড়া ঈদ নাই তাদের জ্ঞাতার্থে -ঈদের রাতের চাইতেও এ রাতের মর্যাদা বেশি।
৭. যারা পালন করবে তারা জান্নাতী 
সূতরাং আমাদের উচিত এ রাতের যথাযথ সম্মান দেয়া, এবং অত্যান্ত মর্যাদার সাথে পালন করা।
http://eidmilaad.blogspot.com/









বিস্তারিত

শাফেয়ী মাযহাবে ঈদে মিলাদে হাবিবুল্লাহ হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম

শাফেয়ী মাযহাবে ঈদে মিলাদে হাবিবুল্লাহ হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
মাযহাবের ইমাম রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনারাও নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র মীলাদ শরীফ পাঠের ব্যাপারে গুরুত্ব প্রদান করেছেন। যেমন বর্ণিত আছে,
قَالَ حَضْرَتِ الْاِمَامُ الشَّافِعِىُّ رَحِـمَهُ اللهُ مَنْ جَـمَعَ لِمَوْلِدِ النَّبِىّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اِخْوَانًا وَهَيَّاَ طَعَامًا وَاَخْلٰى مَكَانًا وَعَمَلَ اِحْسَانًا وَصَارَ سَبَبًا لّـِقِرَائَتِهٖ بَعَثَهُ اللهُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ مَعَ الصّدّيْقِيْنَ وَالشُّهَدَاءِ وَالصَّالِـحِيْنَ وَيَكُوْنُ فِىْ جَنَّاتِ النَّعِيْمِ.
অর্থ : শাফিয়ী মাযহাবের ইমাম হযরত ইমাম শাফিয়ী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, “যে ব্যক্তি মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র মীলাদ শরীফ উপলক্ষ্যে লোকজন একত্রিত করলো এবং খাদ্য তৈরি করলো ও জায়গা নির্দিষ্ট করলো এবং উত্তমভাবে (তথা সুন্নাহভিত্তিক) আমল করলো তাহলে উক্ত ব্যক্তিকে মহান আল্লাহ পাক তিনি হাশরের দিন ছিদ্দীক্ব, শহীদ, ছালিহীনগণ উনাদের সাথে উঠাবেন এবং উনার ঠিকানা হবে জান্নাতুন নায়ীমে।” সুবহানাল্লাহ! (আন নি’মাতুল কুবরা আলাল আলাম ফী মাওলিদি সাইয়্যিদি উইলদি আদম)
বিস্তারিত

হানাফী মাযহাবের বিখ্যাত ইমাম হযরত ইমাম তাহাবী রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেন পবিত্র মীলাদুন্নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের রাতের মর্যাদা সকল রাতের চাইতে বেশি।



হানাফী মাযহাবের বিখ্যাত ইমাম হযরত ইমাম তাহাবী রহমতুল্লাহি আলাইহি (২২৯- ৩২১ হিজরী) তিনি বলেছেন, 
ونقل الطحاوي عليه الرحمة في حواشي المختار عن بعض الشافعية أن أفضل الليالي ليلة مولده عليه الصلاة والسلام ثم ليلة القدر ثم ليلة الإسراء والمعراج ثم ليلة عرفة ثم ليلة الجمعة ثم ليلة النصف من شعبان ثم ليلة العيد
অর্থ: রাত সমূহের মধ্যে উত্তম রাত হচ্ছে পবিত্র মীলাদুন্নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের রাত, অতপর লাইলাতুল কদরের রাত, অতপর মিরাজ শরীফের রাত, অতপর আরাফার রাত, অতপর জুমুয়ার রাত, অতপর ১৫ শাবানের রাত, অতপর ঈদের রাত।”
(দলীল: স্ক্যান ক্যাপশন - তাফসীরে রুহুল মায়ানী ১৯/ ১৯৪, সূরা ক্বদরের তাফসীরে)
লক্ষ্যনীয় যে ইমাম তাহাবী রহমতুল্লাহি ১২০০ বছর আগের একজন জগৎবিখ্যাত ইমাম। সেই ইমাম তাহাবী রহতুল্লাহি আলাইহি তিনিও পবিত্র মীলাদুন্নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের ফযিলত সকল রাতের চাইতে বেশি সেটা বলে গেছেন। উক্ত কওল হানাফী মাযহাবের অন্যতম কিতাব “রদ্দুল মুহতার” কিতাবেও আছে। এতে যা বোঝা গেলো,
প্রথমত, হযরত ইমাম তাহাবী একজন মুজতাহিদ শ্রেনীর আলেম।
দ্বিতীয়ত, এটা একটা মাযহাবের মুস্তাহিদের বক্তব্য।
তৃতীয়ত, এটা ফিকাহের কিতাবেও আছে।
সূতরাং পবিত্র ঈদে মীলাদে হাবীবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের রাতের গুরুত্ব কতবেশি সেটা এখান থেকেই স্পষ্ট হলো। 
বিস্তারিত

হানাফী মাযহাবের বিখ্যাত ফতোয়ার কিতাব ‘রদ্দুল মুহতার আলা দুররুল মুখতার’ কিতাবে ঈদে মিলাদ

হানাফী মাযহাবের বিখ্যাত ফতোয়ার কিতাব ‘রদ্দুল মুহতার আলা দুররুল মুখতার’ কিতাবে বর্ণিত আছে,
أَنَّ أَفْضَلَ اللَّيَالِي لَيْلَةُ مَوْلِدِهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ثُمَّ لَيْلَةُ الْقَدْرِ ، ثُمَّ لَيْلَةُ الْإِسْرَاءِ وَالْمِعْرَاجِ ، ثُمَّ لَيْلَةُ عَرَفَةَ ، ثُمَّ لَيْلَةُ الْجُمُعَةِ ، ثُمَّ لَيْلَةُ النِّصْفِ مِنْ شَعْبَانَ ، ثُمَّ لَيْلَةُ الْعِيدِ
অর্থ: রাত সমূহের মধ্যে উত্তম রাত হচ্ছে পবিত্র মীলাদুন্নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের রাত, অতপর লাইলাতুল কদরের রাত, অতপর মিরাজ শরীফের রাত, অতপর আরাফার রাত, অতপর জুমুয়ার রাত, অতপর ১৫ শাবানের রাত, অতপর ঈদের রাত।”
[দলীল: রদ্দুল মুহতার আলা দুররুল মুখতার ৮/২৮৫ (শামেলা) , পুরাতন ছাপা ৫০৫ পৃষ্ঠা]
উপরোক্ত ফতোয়া থেকে যা বোঝা গেলো,
১) সকল রাতের মধ্যে শ্রেষ্ঠ রাত হচ্ছে পবিত্র মীলাদুন্নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের রাত।
২) অন্য সকল রাতের মর্যদা এই রাতে পরে।
৩) যারা বলে দুই ঈদা ছাড়া ঈদ নাই তাদের জ্ঞাতার্থে -ঈদের রাতের চাইতেও এ রাতের মর্যাদা বেশি।
সূতরাং আমাদের উচিত এ রাতের যথাযথ সম্মান দেয়া, এবং অত্যান্ত মর্যাদার সাথে পালন করা।

বিস্তারিত

কিয়ামতের ময়দানে পবিত্র ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালনকারীদের কোন হিসেবই নেয়া হবে না

কিয়ামতের ময়দানে পবিত্র ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালনকারীদের কোন হিসেবই নেয়া হবে না

মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
وَمَا خَلَقْتُ الْـجِنَّ وَالْاِنْسَ اِلَّا لِيَعْبُدُوْنِ.
অর্থ : “আমি জিন ও ইনসানকে একমাত্র আমার ইবাদত করার জন্য সৃষ্টি করেছি।” (সূরা যারিয়াহ : ৫৬)
এই পবিত্র আয়াত শরীফ হতে সুস্পষ্ট যে মানুষ ও জিনকে সৃষ্টি করা হয়েছে মহান আল্লাহ পাক উনার ইবাদত করার জন্য। আর মহান আল্লাহ পাকই ইবাদতের নিয়ম-নীতি, তরতীব বা পদ্ধতি বাতলে দিয়েছেন। সেই মহান আল্লাহ পাকই সুস্পষ্টভাবে বর্ণনা করে দিয়েছেন কোন ইবাদত সর্বোত্তম। 
বিস্তারিত

হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার জন্মদিনে শয়তান উচ্চস্বরে কেদেছিলো

হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিলাদত শরীফে সব চাইতে বেশি কষ্ট পেয়েছিলো কে জানেন? সব চাইতে বেশি কষ্ট পেয়েছিলো ইবলিশ শয়তান । সে এতোটাই কষ্ট পেয়েছিল যে, কষ্টে সে রীতিমত কান্না করছে।
حكى السهيلي عن تفسير بقي بن مخلد الحافظ : أن إبليس رن أربع رنات; حين لعن ، وحين أهبط ، وحين ولد رسول الله صلى الله عليه وسلم ، وحين أنزلت الفاتحة
“শয়তান চার বার উচ্চস্বরে কেঁদেছিল ,প্রথম বার যখন আল্লাহ তায়ালা তাকে অভিশপ্ত আখ্যা দেন; দ্বিতীয়বার যখন তাকে বেহেস্ত থেকে বের করে দেয়া হয়। তৃতীয়বার, যখন হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বেলাদত শরীফ হয়। এবং চতুর্থবার যখন সূরা ফাতেহা নাযেল হয়।”
(দলীল: আল-বেদায়া ওয়ান নেহায়া-২য় খণ্ড ২৬৬, ২৬৭,পৃষ্ঠা
লেখক: আবুল ফিদা হাফিজ ইবনে কাছির আদ দামেষ্কী রহমতুল্লাহি আলাইহি।
প্রকাশনা: মাকতাবাতুল মা’রেফা, বয়রুত লেবানন।)

বিস্তারিত

বেহেশতী জেওর এর আশরাফ আলী থানভির ঈদে মিলাদের দলিল

দেওবন্দীদের অন্যতম মুরুব্বী আশরাফ আলী থানবীর বেহেশতী জেওর এর ৬ষ্ঠ খন্ডের “সীরাতে পাক” অধ্যায় থেকে বিষয়টা তুলে ধরা যাক:
“রসূলের জীবনী আলোচনার মজলিসকে কেহ সীরাতে পাকের মজলিস বলে। কেহ মওলুদ শরীফ বয়ানের মাহফিল বলে, কেহ মাহফিলে মীলাদ বলে। আসল উদ্দেশ্য একই ভাষা ভিন্ন। ইহা অত্যান্ত জরুরী।
মুসলমানদের ঘরে ঘরে এবং দোকানে দোকানে শুধু বৎসরে এক আধবার নয়, শুধু রবীউল আউয়ালের চাঁদে নয়, মাসে মাসে , সপ্তাহে সপ্তাহে এই পবিত্র মাহফিলে মীলাদের অনুষ্ঠান হওয়া বাঞ্ছনিয়।
কিন্তু বড়ই দুঃখের বিষয় সমাজে অজ্ঞতা এবং মূর্খতা ক্রমশঃ বাড়িয়া চলিয়াছে। মাহফিলে মীলাদ সমন্ধে বড় বাড়াবাড়ি এবং ঝগড়া বির্তক হইতেছে। ঝগড়া ফ্যাসাদের বির্তকের বাড়াবাড়ি ত্যাগ পূর্বক এই পবিত্র মাহফিলের অনুষ্ঠার সর্বত্র হওয়া দরকার। .............................................. সীরাতে পাকের মজলিস বা মাহফিলে মীলাদ নাম দিয়া অনুষ্ঠান করিলে তাহা বিদয়াত হইবে- কখনো নহে।”
[দলীলঃ বেহেশতী জেওর। লেখক- আশরাফ আলী থানবী। অনুবাদক- আশরাফ আলী থানবীর খলীফা শামসুল হক ফরীদপুরী। ভলিউম -২, খন্ড-৬, পৃষ্ঠা ২২২, অধ্যায়- সীরাতে পাক। প্রকাশনা- এমদাদীয়া লাইব্রেরী ( দেওবন্দী কওমীদের) ]

উক্ত বিষয়ের সাথে সুন্নীরাও একমত। অথচ বর্তমান দেওবন্দী কওমীরা তাদের মুরুব্বীর আর্দশ থেকে কতটা বিচ্যুত হয়ে পরেছে। মাহফিলে মীলাদকে থানবী ও ফরিদপুরী অত্যান্ত জরুরী বলে উল্লেখ করেছে, অথচ কওমী দেওবন্দীরা এটা বিদয়াত শিরিক বলে। মীলাদ মাহফিল প্রতি সপ্তাহে সপ্তাহে করা আবশ্যক বলে মুরুব্বীরা ঘোষনা দিয়ে গেছে অথচ বর্তমান কওমীরা মীলদের নামই শুনতে পারে না। শুধু তাই নয় থানবী ও ফরিদপুরী এটাও বলে গেছে , অজ্ঞতা এবং মূর্খতা বশত কিছু লোক মীলাদ শরীফ নিয়ে ঝগড়া বির্তক সৃষ্টি করছে, অর্থাৎ বর্তমান তাদেরই দলের নব্য লোকেরা । থানবী ও ফরিদপুরী এই ঝগড়া বির্তক ত্যাগ করে পবিত্র মীলাদ মাহফিলের অনুষ্ঠার সর্বত্র জারি করা দরকার বলেও রায় দিয়ে গেছে।
এখন বলুন এমন স্পষ্ট দলীল থাকার পরও কি করে মীলাদ শরীফের বিরোধীতা করে নিজেদের দেওবন্দী কওমী বলে পরিচয় দেয়?
বিস্তারিত

হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিলাদত শরীফ তারিখ ১২ রবিউল আউয়াল। এটাই সহীহ মত।

--------------------------------------------------------------------------
সহীহ হাদীস শরীফে হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিলাদত শরীফের তারিখ,বার, মাস সবই বর্ণনা করা আছে। হাফিজে হাদীস হযরত আবু বকর ইবনে আবী শায়বা রহমাতুল্লাহি আলাইহি যেটা বিশুদ্ধ সনদে হাদীস শরীফে বর্ননা করেন-
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، قَالَ: حَدَّثَنَا عَفَّانُ، عَنْ سَلِيمِ بْنِ حَيَّانَ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ مِينَا، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ الْأَنْصَارِيِّ وَ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّهُمَا قَالَا: " وُلِدَ رَسُولُ اللَّهِ يَوْمَ الْفِيلِ، يَوْمَ الِاثْنَيْنِ، الثَّانِي عَشَرَ مِنْ شَهْرِ رَبِيعٍ الْأَوَّلِ
অর্থ : হযরত আফফান রহমাতুল্লাহি আলাইহি হতে বর্নিত,তিনি সলিম ইবনে হাইয়্যান রহমতুল্লাহি আলাইহি থেকে, তিনি হযরত সাঈদ ইবনে মীনা রহমাতুল্লাহি আলাইহি থেকে বর্ননা করেছেন যে, হযরত জাবির ও হযরত ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু আনহুমা বলেন, হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিলাদত শরীফ হস্তি বাহীনি বর্ষের ১২ই রবীউল আউয়াল সোমবার শরীফ হয়েছিল।” (দলীল-কিতাব: আস সিরাতুন নাববিয়া ১ম খন্ড ১৯৯ পৃষ্ঠা।
লেখক: ইমাম আবিল ফিদা ইসমাঈল ইবনে কাছীর।)
হাদীছ শরীফ খানা উল্লেখ করে বলা হয়েছে,
وهذا هو المشهور عند الجمهو
অর্থ: জমহুর উলামায়ে কিরাম উনাদের নিকট এটা মতটাই প্রসিদ্ধ।
সূতরাং হাদীছ শরীফ ও উলামায়ে কিরাম উনাদের মতামত থেকে প্রমাণ হলো হযরত নবী করীম ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিলাদত শরীফ তারিখ হচ্ছে ১২ রবিউল আউয়াল সোমবার। আর এটাই গ্রহনযোগ্য মত। 
এর বিরোধী যত মত রয়েছে তা হাদীছ শরীফ বিরোধী। ৯ তারিখ প্রমাণ করতে কেউ কেউ মিশরের মাহমুদ পাশা জ্যোতিষির মত উল্লেখ করে। কোন জ্যোতিষি গনকের মত হাদীছ শরীফের মোকাবেলায় কতটা ঠুনকো আপনারা বুঝেন আশা করি।

বিস্তারিত

হাবীবুল্লাহ হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আগমনের রাতে সংঘটিত ঘটনা।

----------------------------------------------------------------------------
হাদীছ শরীফ-এ এসেছে,
عن حضرت عروة رضى الله تعالى عنه ان نفرا من قريش منهم ورقة بن نوفل، وزيد بن عمرو بن نفيل، وعبيد الله بن جحش، وعثمان بن الحويرث كانوا عند صنم لهم يجتمعون اليه، فدخلوا عليه ليلة فراوه مكبوبا عى وجهه، فانكروا ذلك، فاخذوه فردوه الى حاله، فلم يلبث ان انقلب انقلابا عنيفا، فردواه الى حاله، فانقلب الثالثة، فقال عثمان بن الحويرث: ان هذا لامر قد حدث وذلك فى الليلة التى ولد فيها رسول الله صلى الله عليه وسلم فجعل عثمان يقول شعرا.
أيا صنم العيد الذى صف حوله + صناديد وفد من بعيد ومن قرب
تنكس مقلوبا فما ذاك قل لنا + أأذاك شىء أم تنكس للعب
فإن كان من ذنب أسأنا فإننا + نبوء باقرار نلوى عن الذنب
وأن كنت مغلوبا تنكست صاغرا + فما أنت فى الأوثان بالسيد الرب
অর্থ: হযরত উরওয়াহ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু থেকে বর্ণিত, নিশ্চয়ই কুরাইশদের কয়েকজন সরদার ওরাকাহ ইবনে নওফিল রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু, যায়িদ ইবনে আমর ইবনে নুফায়িল, উবায়দুল্লাহ ইবনে জাহাশ, উছমান ইবনে আল হাওয়াইরিছ এক রাত্রিতে এক প্রতিমার কাছে সমবেত হন। উনারা দেখলেন যে, একটি প্রতিমা উপুড় হয়ে পড়ে আছে। উনারা একে খারাপ মনে করে সোজা করে দিলেন। কিছুক্ষণ পর সেটি আবার সজোরে মাটিতে উপুড় হয়ে পড়ে গেলো। আবার সোজা করে দিলেন। কিন্তু তৃতীয় বার আবার মাটিতে লুটিয়ে পড়লো। উছমান ইবনে হুয়াইরিছ বললেন, অবশ্যই আজকে কিছু একটা ঘটেছে। আর সেই রাত্রিটি ছিলো নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিলাদত শরীফ-এর রাত্রি মুবারক। অতঃপর উছমান একটি কবিতা আবৃত করলো।
* হে মূর্তি! তোর কাছে দূর-দূরান্ত থেকে আগত আরব সরদারগণ রয়েছেন
* আর তুই উল্টে পড়ে আছিস। ব্যাপার কি বল, তুই কি খেলা করছিস?
* আমাদের দ্বারা কোনো গুনাহ হয়ে থাকলে আমরা তা স্বীকার করি এবং গুনাহ থেকে বেঁচে থাকি।
* আর যদি তুই লাঞ্ছিত ও পরাভূত হয়ে মাথা নত করে থাকিস, তবে তুই প্রতিমাদের সরদার ও প্রভু না।
قال فاخذوا الصنم فردوه إلى حاله، فلما استوى هتف بهم هاتف من الصنم بصوت جهير وهو يقول.
تردى لمولود أنارت بنوره + جميع فجاج الأرض بالشرق والغرب
وخرت له الأوثان طرا وأرعدت + قلوب ملوك الأرض طرا من الرعب
ونار جميع الفرس باخت وأظلمت + وقد بات شاه الفرس فى أعظم الكرب
وصدت عن الكهان بالغيب جنها + فلا مخبر منهم بحق ولا كذب
فيالقصى ارجعوا عن ضلالكم + وهتبوا إلى الاسلام والمنزل الرحب
অতঃপর উনারা প্রতিমাটি পুনরায় খাড়া করে দিলেন। এরপর সেই মূর্তির ভিতর থেকে আওয়াজ আসলো- 
* হে কুরাইশ সরদারগণ! শুনে রাখুন এ প্রতিমা ধ্বংস হয়ে গেছে সে সন্তানের কারণে যাঁর নূর মুবারক-এ সারা বিশ্ব আলোকিত হয়ে গেছে। যমীনের পূর্ব-পশ্চিমের সমস্ত কুফরী তছনছ হয়েছে। 
* উনার আগমনে সকল প্রতিমাই ধূলিসাৎ হয়ে গেছে। সমস্ত রাজা-প্রজাদের অন্তর উনার তাশরিফে এবং রোবে ভয়ে কেঁপে উঠেছে। 
* পারস্যের অগ্নিকুন্ড নিভে গেছে। ফলে পারস্যের সম্রাট খুবই মর্মাহত ব্যথিত হয়েছে। 
* অতিন্দ্রীয়বাদীদের কাছ থেকে তাদের জিনেরা উধাও হয়ে গেছে। এখন তাদের কেউ সত্য-মিথ্যার খবর পৌঁছাবে না।
* হে বনী কুছাই! পথভ্রষ্টতা পরিত্যাগ করো এবং প্রকৃত সত্য ইসলামের সুশীতল ছায়াতলে সকলেই আশ্রয় নাও।
(ছবি ক্যপশন: খছায়িছুল কুবরা ১ম খন্ড ১২৯, ১৩০ পৃষ্ঠা
লেখক: হাফিজে হাদীছ , মুজাদ্দিদে যামান হযরত জালালুদ্দীন সুয়ুতি রহমতুল্লাহি আলাইহি)

বিস্তারিত