এরাই আবার ঈদে মিলাদুননবীকে বিদয়াত বলে !

এরাই আবার ঈদে মিলাদুননবীকে বিদয়াত বলে !
শাইখুল হাদীছ আজিজুল হক ১৯৯৯ সালের ডিসেম্বরে ‘আল কোরআনের দৃষ্টিতে মহিলাদের পর্দা’ শীর্ষক একটি বই লিখেছিল। সেই বইতে লেখা হয়:
“.... রং বেরংয়ের পোশাক, লিপিস্টিক লাগানো, পুরুষের সাথে অবৈধ মেলামেশা, থিয়েটার নাটক করা, সভা সমিতি করা, রাজনৈতিক আসরে নামা, প্রকাশ্যে সভা সমিতিতে বক্তৃতা দেয়া আর বেশ্যাবৃত্তি করা। শুধু পেশাদারী বেশ্যা নয় অপেশাদার বেশ্যাবৃত্তি করা। .....”
বিস্তারিত

সীরাত গ্রন্থে ১২ রবিউল আউওয়াল

বিশ্ববিখ্যাত সীরাতের কিতাব ‘সীরাতে ইবনে হিশাম’ এ উল্লেখ আছে-
ولد رسول الله صلى الله عليه وسلم يوم الاثنين لاثنتى عشرة ليلة خلت من شهر ربيع الاول عام الفيل
অর্থ: রাসূলে পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি আমুল ফীল বা হস্তী বৎসরের ১২ই রবীউল আউয়াল শরীফ, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম বা সোমবার শরীফে বিলাদত (জন্ম) শরীফ লাভ করেন। সুবহানাল্লাহ!!
দলীল:
সীরাতে ইবনে হিশাম, ১ম খন্ড, ১৮৩ পৃষ্ঠা, বৈরুত (লেবানন) ছাপা।
অতএব, যারা বলে “১২ই রবীউল আউয়াল শরীফ নবী পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার জন্মদিন নয়” তারা মিথ্যাবাদী এবং সেই সাথে যারা বলে “১২ই রবীউল আউয়াল শরীফের ব্যাপারে কোন দলীল নাই” তারাও মিথ্যাবাদী ও নবী পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার দুশমন।
বিস্তারিত

যারা বলে ২ ঈদ ব্যতিত আর কোন ঈদ নেই তারা হাদীস শরীফ অস্বীকারকারী

যারা বলে ২ ঈদ ব্যতিত আর কোন ঈদ নেই তারা  হাদীস শরীফ অস্বীকারকারী
অনেকেই ঈদে মিলাদুননবীর বিরোধীতা করতে যেয়ে বলে থাকে মুসলমানের ঈদ ২ টি। আর কোন ঈদ নেই।
অথচ সহি হাদীসে বর্নিত মুসলমানের জন্য জুমুয়ার দিন ও ঈদের দিন-

১ . "জুম’আর দিন হল সাপ্তাহিক ঈদের দিন।"
[ইবনে মাজাহঃ ১০৯৮]
২. "জুম’আর দিনটি ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহার দিনের চেয়েও শ্রেষ্ঠ দিন। এ দিনটি আল্লাহর কাছে অতি মর্যাদা সম্পন্ন।"
[মুসনাদে আহমদঃ৩/৪৩০; ইবন মাজাহঃ১০৮৪]
ان من افضل ايامكم يوم الجمعة فيه خلق ادم وفيه قبض
৩. অর্থ : তোমাদের দিনগুলোর মধ্যে উত্তম দিন হচ্ছে, জুমুয়ার দিন। এদিনে আদম আলাইহিস সালাম পয়দা হয়েছেন এবং এদিনেই তিনি বিছাল বা ইন্তেকাল লাভ করেন!
[সহীহ নাসায়ী শরীফ -জুমুয়ার অধ্যায়]
৪. অতপর এই জুমুয়ার দিন ঈদের দিনকেই ঘোষনা করে ইরশাদ হয়-
ان هذا يوم جعله الله عيدا
অর্থ :এ জুমুয়ার দিন হচ্ছে এমন একটি দিন, যেদিনকে আল্লাহ পাক ঈদের দিন সাব্যস্ত করেছেন!"
[সুনানে ইবনে মাজাহ শরীফ; মুসনাদে আহমদ শরীফ; মিশকাত শরীফ - জুমুয়ার অধ্যায়]

তাহলে যারা বলে ২ ঈদ ব্যতিত আর কোন ঈদ নেই তারা কি হাদীস শরীফ অস্বীকারকারী নয় ?
তারা কি নবিবিদ্বেষি নয় ?
বিস্তারিত

ইবনে তাইমিয়া ও ইবনে আব্দুল ওহাব নজদীর ঈদে মিলাদ পালন

ইবনে তাইমিয়া ও ইবনে আব্দুল ওহাব নজদীর ঈদে মিলাদ পালন
বর্তমানে যারা পবিত্র ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু অালাইহি ওয়া সাল্লাম এর বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে তাদের অধিকাংশেরই পছন্দনীয় ইমাম হচ্ছে ইবনে তাইমিয়া ও ইবনে আব্দুল ওহাব নজদী।
এরা ইমামে আযম আবু হানীফা রহমতুল্লাহি আলাইহি থেকে শুরু করে সকল ইমাম মুজতাহিদ ও আওলিয়ায়ে কিরামের বিরোধীতা করলেও ইবনে তাইমিয়া ও ইবনে আব্দুল ওহাব নজদীর কোন বিরোধীতা করে না। কিন্তু মজার বিষয় হচ্ছে, ইবনে তাইমিয়া ও ইবনে আব্দুল ওহাব নজদীর এই অনুসারীগণের কাছে তাদের মুরুব্বীর দেয়া কোন ফতোয়া যদি নিজেদের মন মত না হয় তবে সেটা সযত্নে গোপন করতেও তারা দিধা করে না । কিন্তু সত্য কি গোপন রাখা যায়?
বিস্তারিত

জুমুয়ার দিন ঈদের দিন হলে সোমবার নয় কেন ?

জুমুয়ার দিন ঈদের দিন হলে সোমবার নয় কেন ?
"জুম’আর দিন হল সাপ্তাহিক ঈদের দিন।"
[ইবনে মাজাহঃ ১০৯৮]
"জুম’আর দিনটি ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহার দিনের চেয়েও শ্রেষ্ঠ দিন। এ দিনটি আল্লাহর কাছে অতি মর্যাদা সম্পন্ন।"
[মুসনাদে আহমদঃ৩/৪৩০; ইবন মাজাহঃ১০৮৪]
ان من افضل ايامكم يوم الجمعة فيه خلق ادم وفيه قبض
অর্থ : তোমাদের দিনগুলোর মধ্যে উত্তম দিন হচ্ছে, জুমুয়ার দিন। এদিনে আদম আলাইহিস সালাম পয়দা হয়েছেন এবং এদিনেই তিনি বিছাল বা ইন্তেকাল লাভ করেন!
[সহীহ নাসায়ী শরীফ -জুমুয়ার অধ্যায়]
অতপর এই জুমুয়ার দিন ঈদের দিনকেই ঘোষনা করে ইরশাদ হয়-
ان هذا يوم جعله الله عيدا
অর্থ :এ জুমুয়ার দিন হচ্ছে এমন একটি দিন, যেদিনকে আল্লাহ পাক ঈদের দিন সাব্যস্ত করেছেন!"
[সুনানে ইবনে মাজাহ শরীফ; মুসনাদে আহমদ শরীফ; মিশকাত শরীফ - জুমুয়ার অধ্যায়]
বিস্তারিত

বেহেশতী জেওরে মিলাদের দলিল

বেহেশতী জেওরে মিলাদের দলিল
আজকে আপনাদের মীলাদ শরীফের এমন এক দলীল দেখাবো যে অনেকে হয়তো অবাকই হয়ে যাবেন। বিশেষ করে দেওবন্দী কওমী গ্রুপের লোক যারা তারা এই দলীল দেখার পরও মীলাদ শরীফের বিরোধীতা কিভাবে করে সেটাও দেখার মত একটা বিষয় হবে।
তো আসুন দেখা যাক দেওবন্দীদের অন্যতম মুরুব্বী আশরাফ আলী থানবীর বেহেশতী জেওর এর ৬ষ্ঠ খন্ডের “সীরাতে পাক” অধ্যায় থেকে বিষয়টা তুলে ধরা যাক:

“রসূলের জীবনী আলোচনার মজলিসকে কেহ সীরাতে পাকের মজলিস বলে। কেহ মওলুদ শরীফ বয়ানের মাহফিল বলে, কেহ মাহফিলে মীলাদ বলে। আসল উদ্দেশ্য একই ভাষা ভিন্ন। ইহা অত্যান্ত জরুরী।
বিস্তারিত