ঈদে মীলাদুন্নবী উপলক্ষে রোজা রাখা নিয়ে কিছু কথা

অনেকে বলে, নবীজি তার বিলাদত দিবস মানে সোমবার উপলক্ষে রোজা রেখেছেন। আপনিও ১২ রবিউল আউয়াল তারিখে নবীজির বিলাদত দিবস উপলক্ষে রোজা রাখেন, আপনি অন্যকিছু করেন কেন?
এর উত্তরে বলতে হয়, ধরুন আজকে একজনের জন্মদিন। সে ব্যক্তিটি কিন্তু উদ্যোগি হয়ে ঐ দিবসটিতে আনন্দ করে না, আনন্দ করে তার পিতা-মাতা, আত্মীয় স্বজন, বন্ধু-বান্ধব এবং পাড়া প্রতিবেশী। কিন্তু সে যেহেতু ঐ দিনে পৃথিবীতে এসেছে তাই ঐ দিন উপলক্ষে মহান আল্লাহ’র দরবারে সে শুকরিয়া আদায় করবে, এটাই স্বাভাবিক।

নবীজির সোমবার উপলক্ষে রোজা দ্বারা এটাও প্রমাণ হয়, তিনি উম্মতদের অনুমতি দিয়েছেন ঐ দিনটি পালন করার জন্য। আবার আবু লাহাবের ঘটনা বর্ণনা করে বলেও দিয়েছেন,ঐ দিন উপলক্ষে খুশি প্রকাশ করার পুরষ্কার কত বড় । সুবহানাল্লাহ।

এখন তাহলে উম্মতগণ ১২ই রবিউল আউয়াল দিনটি পালন করবে ?
কেউ যদি বলে, ‘আসুন ঐ দিন রোজা রেখে পালন করি’, তবে আমি বলবো- সে নিতান্তই বোকা। কেননা নবীজি সোমবার রোজা রেখেছেন, ১২ই রবিউল আউয়াল তারিখে কিন্তু রোজা রাখেননি।
আসলে নবীজির বন্ধু, মানে জন্য স্বয়ং আল্লাহ তায়ালা নবীজির জন্য কিভাবে খুশি প্রকাশ করেছেন সেটা্‌ই দেখার বিষয়। এ সম্পর্কে পবিত্র কুরআন পাকে বলা হচ্ছে-
“নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ তায়ালা এবং সমস্ত ফেরেশতাগণ রাসূলে পাক সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের প্রতি দুরূদ শরীফ পাঠ করেন। হে ঈমানদারগণ! তোমরাও রাসূলে পাক সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের প্রতি দুরূদ শরীফ পাঠ করো এবং সালাম দেয়ার যথার্থ নিয়মে সালাম দাও।” (সূরা আহযাব : আয়াত ৫৬)
অর্থাৎ নবীজির বিলাদত দিবস উপলক্ষে স্বয়ং আল্লাহ তায়ালা ও ফিরিশতাদের অনুরূপ আমাদের উচিত নবীজির প্রতি দরুদ-সালাম অর্থাৎ বেশি বেশি মিলাদ পাঠ করা এবং খুশি প্রকার করা।
মহান আল্লাহ তায়ালা আমাদের সেই তৌফিক দান করুন। আমিন।
পূর্ববর্তী পোস্ট
পরবর্তী পোস্ট