ভাসানীর নবীপ্রেম

 ভাসানীর নবীপ্রেম

‘কেউ রাসূলের আনুগত্য করলে সে তো আল্লাহরই আনুগত্য করে’- [সূরা নিসা : আয়াত-৮০]। অতএব রাসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর প্রতি সম্মান প্রদর্শন করলে আল্লাহর প্রতিই সম্মান প্রদর্শন করা হয়।

ঈদে মিলাদুন্নবীতে ভাসানী হুজুরতার ভক্ত-অনুসারীদের নিয়ে নিজেই মিলাদ পাঠ করতেন। আমরা যারা তার সঙ্গে ছিলাম, সবাই মিলাদ মাহফিলে শরিক হতাম। নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর প্রতি সম্মান প্রদর্শনের জন্য মিলাদ মাহফিলে হুজুর ভাসানী কিয়াম করতেন। আমরাও তার সঙ্গে কিয়াম করতাম।

কিয়াম অর্থ আদব বা সম্মান রক্ষার্থে দাঁড়ানো। এ আদব রক্ষা করা ইবাদতের অংশ প্রেমিকদের জন্য। হুজুর ভাসানী বলতেন, নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর প্রতি যারা এ আদব রক্ষা করবে না তারা আল্লাহর রহমত থেকে বঞ্চিত থাকবে।
বিস্তারিত

মক্কা শরীফে শত শত বছর পুর্ব থেকেই ঈদে মিলাদুন্নবি পালন হত ।

মক্কা শরীফে শত শত বছর পুর্ব থেকেই ঈদে মিলাদুন্নবি পালন হত ।
১. সাইয়্যিদ মুহম্মদ সুলাইমান নদভী রহমতুল্লাহি আলাইহি “ সিরাতুন নবী “ জীবনী গ্রন্থে , ভলিউম ৩ উল্লেখ করেছেন ৩/৪ শতক হিজরী ইলাদ শরীফ উদযাপন করা হত । 
২. আল আযরাকী (৩য় শতাব্দী ) উল্লেখ করেছেন যে হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর বাড়িতে মিলাদ হত। যারা ইসলামিক স্কলার ছিলেন তাঁরা সে বাড়িতে নামাজ আদায় করতেন এবং নিয়ামতের লক্ষ্যে তাবারুক এর ব্যবস্থা করতেন। ( আখবর মক্কা – ২/১৬০ ) 
৩. মুফাসসির আল নাকাশ  ২৬৬-৩৫১ হিজরি তাঁর ‘ শিফা আল ঘারাম ১/১৯৯ ‘ উল্লেখ করেন যে হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর বাড়িতে প্রতি সোমবার দোয়া হত । 
বিস্তারিত

মুফতে বাজ যে চারখানা হাদীস শরীফ পেশ করে ঈদে মিলাদুন্নবিকে বিদয়াত বলার অপচেষ্টা করেছে তার সঠিক ব্যাখ্যা - ২

মুফতে বাজ যে চারখানা হাদীস শরীফ পেশ করে ঈদে মিলাদুন্নবিকে বিদয়াত বলার অপচেষ্টা করেছে তার সঠিক ব্যাখ্যা - ২

মুফতি বায মিলাদুন্নবী উদযাপন বর্জনীয় বিদআত ও নাজায়েজ প্রমাণ করতে গিয়ে যে চারখানা হাদিস শরীফ উল্লেখ করেছে নিম্নে তার ব্যাখ্যাসহ তার দাবি খণ্ডন করা হল-
১.তার উল্লেখিত প্রথম ও দ্বিতীয় হাদিসদ্বয়ের মর্মার্থ প্রায় একই ধরণের। হাদিস শরীফখানা হল এই-
عن عائشة رضى الله عنها قالت قال رسول الله صلى الله عليه وسلم من احدث فى امرنا هذا ما ليس منه فهو رد০ (متفق عليه)
অর্থাৎ ‘হযরত আয়েশা সিদ্দিকা আলাইহাস সালাম হতে বর্ণিত, তিনি বলেন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেন যে, যে ব্যক্তি আমাদের এই ধর্মে এমন কোন নতুন কিছু প্রচলন করল যা ধর্মের মধ্যে নেই তা প্রত্যাখ্যাত হবে। (বুখারী ও মুসলিম শরীফ)’

উপরোক্ত হাদীসে বর্ণিত ما ليس منه (যা ধর্মের মধ্যে নেই) এর ভাবার্থ হলো যা ধর্মের বিপরীত ও ধর্মের পরিবর্তনকারী। যেমন আল্লামা শেখ আব্দুল হক মোহাদ্দিসে দেহলভী রহমতুল্লাহি আলাইহি ‘আশআতুল লোময়াত’ কিতাবের এ হাদীসের ব্যাখ্যায় লিখেন -
বিস্তারিত

নুরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযুর পাক সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যে দিন বিলাদত (জন্ম) গ্রহণ করেন সেই দিন চাদ কেমন ছিলো ??


আসুন, ইতিহাস ও বিজ্ঞান মিলিয়ে নেই........
সেই পবিত্র রাতটি প্রসঙ্গে স্বয়ং হুযুর পাক সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উনার সম্মানিতা আম্মাজান হযরত আমিনা আলাইহাস সালাম বলেন, ‘এটা ছিলো চন্দ্রের আলোয় আলোকিত রাত। চারপাশে কোন প্রকার অন্ধকার ছিলো না। সে সময় হযরত আব্দুল মুত্তালিব আলাইহিস সালাম উনার সন্তানাদিদের নিয়ে হারাম শরীফ-এর দিকে যান বাইতুল্লাহ শরীফ-এর ভাঙা দেয়াল মেরামত করার জন্য। (সূত্র: প্রখ্যাত মুহাদ্দিস ও ঐতিহাসিক আল্লামা হায়তামী রাহমাতুল্লাহি আলায়হি কর্তৃক রচিত 'আননি 'মাতুল কুবরা আলাল আলম)
বিস্তারিত

সহি হাদীসের দলিলে ঈদে মিলাদুন্নবি মজলিশাকারে করা ও আল্লাহ পাকের খুশি হওয়ার দলিল

সহি হাদীসের দলিলে ঈদে মিলাদুন্নবি মজলিশাকারে করা ও আল্লাহ পাকের খুশি হওয়ার দলিল
হযরত আবু সাঈদ খুদরী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু থেকে বর্নিত “ একবার হযরত মুয়াবিয়া রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু একবার মসজিদে অবস্থানরত একদল ছাহাবী উনাদের নিকট এসে জিজ্ঞাসা করলেন “ আপনারা কি উদ্দেশ্যে এখানে বসে আছেন ?” উনারা বললেন ‘আল্লাহ পাকের যিকিরের উদ্দেশ্যে ‘। হযরত মুয়াবিয়া রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বললেন ‘ আল্লাহ পাকের কসম আপনারা কি এই উদ্দেশ্যেই বসে আছেন ?’ উনারা বললেন ‘ খোদার কসম আমরা এই উদ্দেশ্যে বসে আছি’।
বিস্তারিত

প্রখ্যাত মুসলিম ইতিহাসবিদের লিখনিতে ঈদে মিলাদুন্নবি ।

প্রখ্যাত মুসলিম ইতিহাসবিদের লিখনিতে ঈদে মিলাদুন্নবি ।
১. ৭ম শতকের ইতিহাসবিদ শায়েখ আবু আল আব্বাস আল আযাফি এবং আবু আল কাসিম আল আযাফি ( সার্জারির জনক )  তাঁদের কিতাব আল দুরর আল মুনাজ্জাম কিতাবে লিখেন -
" মক্কা শরিফে ঈদে মিলাদুননবির দিন ধার্মিক ওমরাহ হজ্জ্বযাত্রী  এবং পর্যটকেরা দেখতেন যে সকল ধরনের কার্য্যক্রম বন্ধ এমনকি ক্রয় -বিক্রয় হতনা ,তাঁদের ব্যতিত যারা সম্মানিত জন্মদিন স্থান দেখতেন এবং সেখানে জড় হয়ে দেখতেন । এ দিন পবিত্র কাবা শরীফ সকলের জন্য উন্মুক্ত করা হত। " 
বিস্তারিত

মক্কাবাসীদের মিলাদ পালন

 মক্কাবাসীদের মিলাদ পালন

ইমাম শামসুদ্দীন সাখাবীর সূত্রে মোল্লা আলী ক্বা্রী রহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেন, মক্কা বাসীরা অধিকতর মঙ্গল ও বরকতের অধিকারী।এই পবিত্র নগরীর দিকে মুসলিম মিল্লাত অতি আগ্রহের মাধ্যমে অগ্রসর হও্য়ার চেষ্টা করে।এটার কারন এই যে,এখানে হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামা এর মৌলুদ শরীফ(পবিত্র জন্মস্থান)বিদ্যমান।এ পবিত্র জন্মস্থানটি তৎকালীন ‘সুকুল লাইল’নামে খ্যাত ছিল।যা বর্তমানে সাফা ও মারওয়া পাহাড়ের পূর্ব পাশে ‘মাকতবা আল মক্কা আল মুকাররমা’ নামে দালান হিসেবে অবস্থিত।

উক্ত পবিত্র স্থানে লোকেরা দলে দলে অতি আগ্রহের সাথে মনোবাসনা নিয়ে যিয়ারতের উদ্দেশ্যে গমন করতেন।বিশেষ করে ১২ ই রবিউল আউয়াল শরীফে ঈদে মিলাদুন্নাবী’র দিনে অনেক গুরুত্বসহকারে লোকজন মাহফিলের আয়োজন করতেন।ধনী-গরীব,আমীর-প্রজা সকলেই এতে অংশগ্রহন করতেন। তৎকালীন মক্কা নগরীর কাযী এবং প্রখ্যাত আলেম আল বুরহানী আশ-শাফেয়ী যিয়ারতকারী ও ঈদে মিলাদুন্নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামা মাহফিলে অংশগ্রহনকারীদেরকে তাবাররুক বা খানা খাওয়ানোর ব্যাবস্থা করতেন।আর ঈদে মিলাদুন্নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামা উপলক্ষে হেযাযের আমীর তাঁর বাসভবনে হেযাযের নাগরীকদের জন্য ঈদে মিলাদুন্নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামা উপলক্ষে বিশাল খাবারের আয়োজন করতেন এবং এই নিয়ত করতেন যে,এই মিলাদে পাকের দ্বা্রা তাঁর অনেক মুসিবত দূরীভূত হবে।তাঁর পরবর্তীতে তাঁর উত্তরসূরী পূত্র “আল-জমালী” এই মাহফিলের ধারাবাহিকতা বজায় রেখেছিলেন।
বিস্তারিত

মাহনামা তরিক্বত’ লাহোর পত্রিকায় মক্কা শরীফে জশনে ঈদে মিলাদুন্নাবী পালনের বর্ণনা

মাহনামা তরিক্বত’ লাহোর পত্রিকায় মক্কা শরীফে জশনে ঈদে মিলাদুন্নাবী পালনের বর্ণনা
১৯৭১ সালের জানুয়ারী মাসে ‘মাহনামা তরিক্বত’ লাহোর পত্রিকার রিপোর্টের মধ্যে মক্কা শরীফের জশনে ঈদে মিলাদুন্নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামা পালনের বর্ণনা এভাবে দেন যে, “হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামা এর শুভাগমন দিবসে মক্কা শরীফের মধ্যে বড় ধরনের আনন্দ উৎসব পালন করা হয়।ঐ দিবসকে ‘ঈদে ইয়াওমে বেলাদতে রাসূল’ বলা হয়।ঐ দিন চারিদিকে পতাকা উড়তে থাকে।হেরেম শরীফের গভর্ণর এবং হেযাযের কমান্ডারসহ আরো অন্যান্য কর্মকর্তাগণ আভিজাত্য পোশাক পরিধান করে মাহফিলে উপস্থিত হতেন এবং হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামা এর ‘পবিত্র জন্মস্থানে’-এ গিয়ে কিছুক্ষন নাত-গজল পরিবেশন শেষে ফিরে যেতেন।হেরেম শরীফ থেকে ‘মৌলিদুন্নবী’(পবিত্র জন্মস্থান) পর্যন্ত দুই সাড়িতে আলোকসজ্জা করা হত।ঐ মৌলিদ শরীফের স্থান নূরের আলোর ভূমিতে পরিণত হত এবং মৌলিদ শরীফের স্থানে সু-কন্ঠে প্রিয় নবীর মিলাদ পালন করত।এ অবস্থায় রাত দুইটা পর্যন্ত মিলাদখানী,নাত এবং বিভিন্ন খত্‌ম পড়ত।দলে দলে লোকজন এসে নাত পরিবেশন করত।১১ রবিউল আউয়াল শরীফের মাগরীব হতে ১২ ই রবিউল আউয়াল শরীফের আসর পর্যন্ত ২১ টি তোপধ্বনি করা হত।মক্কা শরীফের ঘরে ঘরে মিলাদুন্নাবী উপলক্ষে খুশি আনন্দ এমনকি স্থানে স্থানে মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হত।”
বিস্তারিত

তোমরা যারা বল ঈদে মিলাদুন্নবি এই সেই দিনের ইতিহাস ----------

 তোমরা যারা বল ঈদে মিলাদুন্নবি এই সেই দিনের ইতিহাস ----------
তোমরা যারা বল ঈদে মিলাদুন্নবি এই সেই দিনের ইতিহাস ----------
১. হযরত আল্লামা মোল্লা আলী কারী রহমতুল্লাহি আলাইহি বর্ননা করেন -
“ মদিনাবাসী ঈদে মিলাদুন্নবীতে খুবই আগ্রহ ,উৎসাহ ও আনন্দের সহিত এ দিবস উদযাপন করতেন “। 
মাওরিদ আর রাওয়ী ফি মাওলিদ আন নাবী – পৃ-২৯

২. হযরত ইবনে যাওজী রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেন – 
"হারামাইন শরীফাইন এর (মক্কা ও মদিনা) , মিসর , ইয়েমেন ও সিরিয়ার এবং আরব এর পূর্ব ও পশ্চিম জনপদের অধিবাসীরা, নবী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর জন্ম উদযাপন করতেন। তাঁরা রবিউল আওয়াল এর চাঁদ দেখা আনন্দিত হতেন , গোসল করতেন এবং তাঁরা সুন্দর পোষাক পরিধান করতেন , সুগন্ধী মাখতেন দান করতেন এবং হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর বিভিন্ন বিষয় শুনে জাহির করতেন। ঈদে মিলাদুন্নবি পালন করে করে যে নিরাপত্তা ও স্বস্থি , জীবিকার মানোন্নয়ন , শিশু ও সম্পদ বৃদ্ধি এবং শহরের শান্তি ও তাদের সাফল্য লাভ হয়েছে তা প্রকাশ করতেন।

তাফসীরে রুহুল বয়ান – আল্লামা ইসলাইল হিক্কি ( ভলিউম ৯ ,পৃ ৫৬ ) 
বিস্তারিত

নবীজির বিলাদত দিবস (জন্মদিবস) কে বিকৃতকারী মিশরীয় জ্যোতির্বিদ মাহমুদ পাশা আসলে কেমন ছিলো ?

নবীজির বিলাদত দিবস (জন্মদিবস) কে বিকৃতকারী মিশরীয় জ্যোতির্বিদ মাহমুদ পাশা আসলে কেমন ছিলো ?

সহিহ হাদীসের বর্ণিত আছে নবীজির বিলাদত দিবস হচ্ছে ১২ই রবিউল আউয়াল শরীফ (সূত্র:https://goo.gl/MWAefG)। কিন্তু এরপরও কিছু লোক মিশরীয় জ্যোতির্বিদ মাহমুদ পাশা’র রেফারেন্স দিয়ে দাবি করে নবীজির বিলাদত নাকি ৯ই রবিউল আউয়াল। এক্ষেত্রে বেশি ভূমিকা রেখেছে দুটি বই-
১) ব্রিটিশদের থেকে ডিলিট উপাধি প্রাপ্ত সুলাইমান নদভীর লেখা ‘সীরাতুন্নবী’ নামক গ্রন্থ।
২) কট্টর আহলে হাদীস সাফিউর রহমান মুবারকপুরীর লেখা ‘আর-রাহীকুল মাকতুম’, ইংরেজী বইটির নাম The Sealed Nectar।
উভয় বইয়ে মিশরীয় জ্যোতির্বিদ মাহমুদ পাশার রেফারেন্স দিয়ে সহিহ হাদীসকে স্বীকার করা হয়েছে। বলা হয়েছে ১২ তারিখ নয় নবীজির বিলাদত ৯ তারিখ।
এখন কথা হচ্ছে মিশরীয় জ্যোতির্বিদ মাহমুদ পাশা আসলে কেমন ছিলো ? সে কি ঈমানদার ছিলো, নাকি নাস্তিক ছিলো ? আসুন জেনে নেই-
বিস্তারিত

মীলাদ ও মীলাদুন্নবী শব্দ কুরআন শরীফ ও হাদীস শরীফে আছে কিনাঃ

মীলাদ ও মীলাদুন্নবী শব্দ কুরআন শরীফ ও হাদীস শরীফে আছে কিনাঃ
বাতিলপন্থীরা বলে থাকে মীলাদ বা মীলাদুন্নবী শব্দের ব্যবহার নাকি কুরআন শরীফ হাদীস শরীফে কোথাও নাই। এটা নাকি মনগড়া এবং নতুন উদ্ধাবিত শব্দ। তাহলে আসুন দেখা যাক মীলাদ ও মীলাদুন্নবী শব্দ কুরআন শরীফ ও হাদীস শরীফে আছে কিনাঃ
মিলাদ শব্দটির মূল অক্ষর হচ্ছে و + ل + د) ولد) । আমরা দেখব কুরআন শরীফ ও হাদীস শরীফে মূল অক্ষরে এ শব্দটি ব্যবহৃত হয়েছে কিনা।
কোরআন শরীফে মীলাদ শব্দের প্রমানঃ
وَالسَّلَامُ عَلَيَّ يَوْمَ وُلِدتُّ وَيَوْمَ أَمُوتُ وَيَوْمَ أُبْعَثُ حَيًّا
আর শান্তি বর্ষিত হোক আমার উপরে যে দিন আমার জন্ম হয়েছিলো, আর যে দিন আমি ইন্তেকাল করবো । আর যে দিন আমাকে পুররুত্থিত করা হবে জীবিত অবস্থায় । (পবিত্র সূরা মারইয়াম শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ১৫)

অনুরূপ হযরত ঈসা রূহুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার নিজের বক্তব্য উল্লেখ করে পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে- 
বিস্তারিত

মিথ্যা দাবি করে নবীজির পবিত্র হাদীস শরীফগুলো লুকিয়ে ফেলা হচ্ছে

মিথ্যা দাবি করে নবীজির পবিত্র হাদীস শরীফগুলো লুকিয়ে ফেলা হচ্ছে

আজকাল কিছু লোক বলে থাকে- হাদীস গ্রন্থের মধ্যে শুধু বুখারী শরীফ ও মুসলিম শরীফ মানি। বাকি গ্রন্থগুলো মানি না। যারা্ এ ধরনের বলে করে থাকে, তারা আসলে আমাদের প্রিয় নবীজির হাদীসগুলো লুকিয়ে ফেলতে চায়। কারণ -

একটু ভেবে দেখুন- বুখারী শরীফ ও মুসলিম শরীফ হচ্ছে দুটি হাদীস সংকলন গ্রন্থ। মানে ইমাম বুখারী এবং ইমাম মুসলিম রহমতুল্লাহি নামক দুইজন উম্মত নবীজির কিছু হাদীস সংকলন করেছেন। কিন্তু এরমানে এই নয়, এই দুই উম্মত যে হাদীসগুলো সংকলন করেছেন শুধু সেগুলোই মানতে হবে এবং বাকিগুলো মানা যাবে না। কুরআন পাকে বলা আছে নবীজিকে মানতে হবে, কিন্তু বলা নাই শুধু বুখারী ও মুসলিম শরীফের হাদীসগুলো মানতে হবে। হাদীস শরীফে একথা বলা নাই- শুধু বুখারী ও মুসলিম রহমতুল্লাহি যে হাদীসগুলো সংকলন করেছেন, শুধু তাই মানতে হবে। এটা ঠিক কোন হাদীসখানা সহিহ সেটা যাচাই করা উচিত। কিন্তু শুধু বুখারী-মুসলিম মানবেন, বাকিগুলো মানবেন না, এটা মূর্খতা এবং যারা এ তত্ত্ব আপনাকে শিখিয়েছে,তাদের উদ্দেশ্যও ভালো নয়, তাদের উদ্দেশ্য নবীজির মহামূল্যবান হাদীসগুলো লুকিয়ে ফেলা। 
বিস্তারিত

ঈদে মিলাদুন্নবি বিদয়াত হলে নিন্মের বিদয়াত বর্জন করুন

ঈদে মিলাদুন্নবি বিদয়াত হলে নিন্মের বিদয়াত বর্জন করুন
আজকাল কিছু জাহেল ,অজ্ঞ ,মুর্খ লোক সকল বিদয়াতকেই (নতুন উদ্ভাবিত পদ্ধতি) গোমরাহী বলে থাকে এবং দলীল হিসাবে তারা নিম্নোক্ত হাদীস শরীফখানা পেশ করে থাকে - “প্রত্যেক বিদয়াতই গোমরাহী, আর প্রত্যেক গোমরাহ লোকই জাহান্নামে যাবে।”
কিন্তু তারা এ হাদীস বলেনা - “যে কেউ দ্বীন ইসলামে উত্তম কোন পদ্ধতি উদ্ভাবন করবে (যা শরীয়ত সম্মত), তার জন্য সে সাওয়াব পাবে এবং তারপরে যারা এ পদ্ধতির অনুসরণ করবে, তার সাওয়াবও সে পাবে |” (মুসলিম শরীফ)
যদি নতুন উদ্ভাবিত সব কিছুই বিদয়াত হত তাহলে এ হাদীসের কি ব্যাখ্যা ?

হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর পর নতুন উদ্ভব হয় এবং তা দ্বীনের সাহায্য করে থাকে অথবা সাহায্যকারী না হলেও দ্বীনের কোন ক্ষতি করে না, সেটাই বিদয়াত লিদদ্বীন বা লোগবী বিদয়াত অর্থাৎ বিদয়াতে হাসানা বলে। আর যে নতুন বিষয় উদ্ভব হওয়ার কারণে দ্বীনের কিছুমাত্রও ক্ষতি হয়, তবে সেটাই হবে বিদয়াতে ফিদদ্বীন বা শরয়ী বিদয়াত অর্থাৎ বিদয়াতে সাইয়্যিয়াহ্ । তাই বিদয়াত বলতেই পরিত্যাজ্য নয় ।
কেউ কেউ আবার বলে থাকে, খাইরুল কুরুনের পর আবিস্কৃত প্রত্যেক নতুন জিনিসই বিদয়াতে সাইয়্যিয়াহ্ । অথচ এটা মোটেও শুদ্ধ নয় । কেননা যদি তাই হতো, তবে আমাদের সামাজে প্রচলিত এমন অনেক নতুন বিষয় রয়েছে, যা অবশ্যই পরিত্যাগ করা জরুরী হয়ে পড়তো। 
বিস্তারিত

মুফতে কানা বাযের মিলাদ কিয়ামবিরোধী দলিলবিহীন বক্তব্যের দলিলভিত্তিক জবাব - ১

মুফতে কানা বাযের মিলাদ কিয়ামবিরোধী দলিলবিহীন বক্তব্যের দলিলভিত্তিক জবাব  - ১

সৌদিআরব থেকে প্রকাশিত মুফতে আব্দুল আজিজ বিন আব্দুল্লা বিন বায কর্তৃক লিখিত وجوب لزوم السنة والحزر من البدعة
নামক ক্ষুদ্র পুস্তিকার অনুবাদক রকীবুদ্দিন হুসাইন। বাংলা ভাষায় বইটির নামকরণ করা হয়েছে -

  • ‘সুন্নাতে রাসুল আকড়ে ধরা এবং বিদআত থেকে সতর্ক থাকা অপরিহার্য’ 
বইটি দেশ-বিদেশে বিশেষ করে হজ্ব মৌসুমে হাজী সাহেবানদের নিকট বিনামূল্যে বিতরণ করা হয়ে থাকে।
লেখক বইটির বিভিন্ন স্থানে মিলাদুন্নবী মাহফিলের বিরূপ সমালোচনা করেছে এবং ইহাকে নাজায়েজ ও জঘন্যতম বিদআত বলে আখ্যায়িত করেছে। এতে ধর্মপ্রাণ নবীপ্রেমিক মুসলমান পাঠকদের অন্তরে কঠোরভাবে আঘাত হেনেছে। 

উক্ত বইয়ের -
  • ২য় পৃষ্ঠায় বলা হয়েছে- রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বা অন্য কারো জন্ম উৎসব পালন করা জায়েজ নয়। বরং তা বারণ করা অবশ্যই কর্তব্য। কেননা এটি ধর্মে নবপ্রবর্তিত একটি বিদআত।
  • ৯ম পৃষ্ঠায় লিখা রয়েছে- ধর্মের সাথে মিলাদ মাহফিল বা যাবতীয় জন্মবার্ষিকী পালনের কোন সম্পর্ক নেই। বরং যে বিদআতসমুহ থেকে আল্লাহ ও তাঁর রাসূল নিষেধ ও সতর্ক করেছেন এটি সেগুলোরই অন্তর্ভুক্ত।
বিস্তারিত

@mozzammal hossain shaown এর মনগড়া যুক্তির ,তার মতামতেই খণ্ডন ---

@mozzammal hossain shaown এর মনগড়া যুক্তির ,তার মতামতেই খণ্ডন ---
@mozzammal hossain shaown এর মনগড়া যুক্তির ,তার মতামতেই খণ্ডন ---
১ নং বক্তব্য - " বলা বাহুল্য যে, আমার হাতে পাওয়া একটা কোরআনেও আমি "খুশিটা কে উদযাপন করা উচিৎ" এইটা দেখি নাই"।
উত্তর- আল্লাহ পাকের যেকোন আদেশ মানে করাটা ফরজ তা বিশ্বাস করেন নিশ্চয় । আল্লাহ পাক বলেছেন আনন্দ অর্থাৎ খুশি পালন করা উচিত। আল্লাহ পাক বলেছেন করা উচিত ।এখন আপনি কি বলবেন তা করা উচিত না ? তো খুশি মানে কি ? – ঈদ ? প্রশ্ন হল কার ঈদ , কিসের ঈদ ? ঈদ কিভাবে পালন করে ? উদযাপন করে নাকি এমনি এমনি ? যার উত্তর নিন্মে পাবেন ।
বিস্তারিত

কোর্ট টাই বিদয়াত

নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের বাণীঃ

১. “যে ব্যক্তি কোন সম্প্রদায়ের সাথে সামঞ্জস্য রাখল সে তাদের অন্তর্ভুক্ত”।
আবু দাউদঃ ৩৫১৪
২. “যে কোন কওমের সাথে সামঞ্জস্য রাখল, সে তাদের অন্তর্ভুক্ত”।
আবু দাউদঃ ৩৫১৪, আহমদঃ ৫১০৬,
ইকতিদাউস সিরাতুল মুস্তাকিমঃ ১/২৪০,
ফাতহুল বারিঃ ১১/৪৪৩
বিস্তারিত

আপনি কি জান্নাতি নাকি জাহান্নামি হতে চান ?


বিস্তারিত

জাকির এর পিস টিভি বিদয়াত বনাম ঈদে মিলাদুন্নবী

“প্রত্যেক বিদয়াতই গোমরাহী, আর প্রত্যেক গোমরাহ লোকই জাহান্নামে যাবে।”
তাহলে বিদয়াতি ,জাহান্নামী জোকার নালায়েক ও তার অনুসারীদের ঈদে মিলাদুন্নবিকে বিদয়াত বলা কি গ্রহনযোগ্য হতে পারে , যেখানে তারা নিজেরাই বিদয়াতি ?
"আল্লাহর কাছে কতইনা নিকৃষ্ট তারা যারা লোকদেরকে এমন কথা বলে যা নিজেই আমল
করেনা।"





বিস্তারিত

ক্রুসেডারদের বিরুদ্ধে বীরযোদ্ধা হযরত সা্লাউদ্দিন আইয়ুবী রহমতুল্লাহি’র জয়লাভের মূল কারণ ছিলো ঈদে মীলাদুন নবী পালন ?

ক্রুসেডারদের বিরুদ্ধে বীরযোদ্ধা হযরত সা্লাউদ্দিন আইয়ুবী রহমতুল্লাহি’র জয়লাভের মূল কারণ ছিলো ঈদে মীলাদুন নবী পালন ?
সাহাবীগণ ঈদে মীলাদুন নবী পালন করতেন (https://goo.gl/i8UX7a)
ইমাম মুজতাহিদগণ ঈদে মীলাদুন নবী পালন করতেন (https://goo.gl/iTtzaa)
এবং মুসলিম মিল্লাতে ঈদে মীলাদুন নবী পালন হয়ে আসছিলো (https://goo.gl/N6aQLJ)
কিন্তু এ অনুষ্ঠানগুলো উনারা করতেন প্রত্যেকে আলাদাভাবে, পারিবারিকভাবে কিংবা জামাতবদ্ধ হয়ে। কিন্তু খিলাফত বা সালতানাতের পক্ষ থেকে আয়োজন করা হতো না। অথচ বর্তমানে প্রায় প্রত্যেক মুসলিম দেশেই ঈদে মীলাদুন নবী সরকারিভাবে চালু আছে।
এই চালুর বিষয়টি কিভাবে হলো ?? আসুন ইতিহাসটা জেনে নেই-
বিস্তারিত

সুরা ইউনুস এর ৫৮ নং আয়াত শরীফে ঈদে মিলাদুন্নবি পালন করার ১০ টি তাগিদ ----

সুরা ইউনুস এর ৫৮ নং আয়াত শরীফে ঈদে মিলাদুন্নবি পালন করার ১০ টি তাগিদ ----

قُلْ بِفَضْلِ اللّهِ وَبِرَحْمَتِهِ فَبِذَلِكَ فَلْيَفْرَحُواْ هُوَ خَيْرٌ مِّمَّا يَجْمَعُونَ.
"বল, আল্লাহর দয়া ও মেহেরবাণীতে। সুতরাং এরই প্রতি তাদের সন্তুষ্ট থাকা উচিৎ। এটিই উত্তম সে সমুদয় থেকে যা সঞ্চয় করছ। [সুরা ইউনুস: ৫৮]
ঈদে মিলাদুন্নবি পালনে উপরের বর্নিত আয়াতের হুকুম যেই ভাষায় প্রয়োগ করা হয়েছে ,পবিত্র কোরআনের অন্য কোথাও এমনিভাবে জোর তাগিদের সাথে হুকুম আসেনি ।একটূ ফিকির করলে এই আয়াতে ঈদে মিলাদুন্নবী পালনে কমপক্ষে ১০ টি তাগিদ রয়েছে -
১ ) قُلْ - قُلْ (কুল ) শব্দ ব্যবহারের মাধ্যমে কোন কথা শুরু করা হলে ,ইহাই এক প্রকারের জোর তাগিদ । যার উদ্ধেশ্য এই যে আপাদ-মস্তক নিমগ্ন হয়ে যাও ।
বিস্তারিত

মীলাদ শরীফ কি? মীলাদ শরীফ ও ঈদে মীলাদুন্নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের মধ্যে কি সম্পর্ক?

 মীলাদ শরীফ কি? মীলাদ শরীফ ও ঈদে মীলাদুন্নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের মধ্যে কি সম্পর্ক?
 মীলাদ শরীফ কি? মীলাদ শরীফ ও ঈদে মীলাদুন্নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের মধ্যে কি সম্পর্ক?

জবাবঃ স্মরণীয় যে, মীলাদ শরীফ ও ক্বিয়াম শরীফ-এর মূল উদ্দেশ্য হলো সংক্ষেপে  হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ছানা-ছিফত ও বিলাদত শরীফ সম্পর্কে আলোচনা করা এবং হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম প্রতি ছলাত-সালাম পাঠ করা।

এক কথায় মীলাদ শরীফ ও ক্বিয়াম শরীফ বলতে কুরআন শরীফ তিলাওয়াত ও  হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম  ছানা-ছিফত, তা’রীফ, প্রশংসা, উনার মু’জিযা বর্ণনা, বিলাদত শরীফ-এর আলোচনা, না’ত, শে’র, কাছীদা শরীফ পাঠ ও উনার প্রতি ছলাত ও সালাম প্রেরণ করা ইত্যাদি পাঠ করা হয়।যেমন-

১) মীলাদ শরীফ-এর প্রথমেই কুরআন শরীফ তিলাওয়াত করা হয়।

২) অতঃপর হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম  উপর ছলাত পাঠ করা হয়। কারণ ছলাত পাঠ করা আল্লাহ পাক এবং উনার রসূল হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-উনাদেরই নির্দেশ।

৩) অতঃপর  হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম  উপর দাঁড়িয়েসালাম পেশকরা হয়।

মূলত মীলাদুন্নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সম্মানার্থে ঈদ বা খুশি প্রকাশ করার জন্যই মীলাদ শরীফ পাঠ করা হয়।
বিস্তারিত

সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ, ঈদে মীলাদুন্নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলতে কি বুঝায়?

সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ, ঈদে মীলাদুন্নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলতে কি বুঝায়?
জবাবঃ মূলত ‘ঈদ’ অর্থ হচ্ছে খুশি বা আনন্দ প্রকাশ করা। আর ‘মীলাদ’ ও ‘নবী’ দুটি শব্দ একত্রে মিলে ‘মীলাদুন নবী’ বলা হয়। ‘মীলাদ’-এর তিনটি শব্দ রয়েছে- ميلادমীলাদ, مولدমাওলিদ ও مولودমাওলূদ। ميلاد‘মীলাদ’ অর্থ জন্মের সময়, مولد ‘মাওলিদ’ অর্থ জন্মের স্থান, مولود ‘মাওলূদ’ অর্থ সদ্যপ্রসূত সন্তান। আর النبى ‘নবী’ শব্দ দ্বারা নূরে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম।

অর্থাৎ আভিধানিক বা শাব্দিক অর্থে ميلاد النبى ‘মীলাদুন নবী’ বলতে হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম- বিলাদত শরীফকে বুঝানো হয়ে থাকে। আর পারিভাষিক বা ব্যবহারিক অর্থে ميلاد النبى ‘মীলাদুন নবী’ বলতে  হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম- উনার বিলাদত শরীফ উপলক্ষে উনার ছানা-ছিফত বর্ণনা করা, উনার প্রতি ছলাত-সালাম পাঠ করা, উনার পুতঃপবিত্র জীবনী মুবারকের সামগ্রীক বিষয় সম্পর্কে আলোচনা করাকে বুঝানো হয়।

আর সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ,  ঈদে মীলাদুন্নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলতে প্রাণপ্রিয় নবীজি, হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বিলাদত শরীফ উনার জন্য খুশি প্রকাশ করা, শুকরিয়া আদায় করাকে বোঝায়। এখন এ খুশি প্রকাশ করা বিভিন্ন রকম হতে পারে। যে কোন নেক আমলের মাধ্যমেই এ খুশি প্রকাশ করা যেতে পারে। তবে সবচেয়ে উত্তম হল- হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পবিত্র শান মুবারকে ছলাত শরীফ, সালাম শরীফ পেশ করা, মীলাদ শরীফ পাঠ করা।
বিস্তারিত

যেভাবে এক বছরে মুসলমানদের জন্য ঈদের সংখ্যা সর্বমোট ১৭৭ বা ১৭৮ দিন

যেভাবে এক বছরে মুসলমানদের জন্য ঈদের সংখ্যা সর্বমোট ১৭৭ বা ১৭৮ দিন

ভূমিকাঃ
মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ করেন, (হে আমার হাবীব!) আপনি বলুন, মহান আল্লাহ পাক উনার ফযল ও রহমত অর্থাৎ আমাকে পাওয়ার কারণে তোমাদের উচিত ঈদ বা খুশি প্রকাশ করা। অর্থাৎ সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ, সাইয়্যিদে ঈদে আ’যম, সাইয়্যিদে ঈদে আকবর অর্থাৎ কুল-কায়িনাতের সর্বশ্রেষ্ঠ ঈদ পবিত্র ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করা।
ইসলামী শরীয়তে ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহা ছাড়াও আরো অনেক ঈদ রয়েছে।
যারা বলে, ‘দুই ঈদ ব্যতীত আর কোনো ঈদ নেই’- তারা কুরআন শরীফ ও হাদীছ শরীফ অস্বীকারকারী। 

আর যারা কুরআন শরীফ ও হাদীছ শরীফ অস্বীকারকারী তারা শরীয়তের দৃষ্টিতে কাফিরের অন্তর্ভুক্ত।
বিস্তারিত

সম্পূর্ণ বিজাতীয় সংস্করণে বাজি ফুটিয়ে, কালিমার অবমাননার মাধ্যমে (নাউজুবিল্লাহ মিন জালিক) সৌদি আরব ন্যাশনাল ডে পালন করল।

সম্পূর্ণ বিজাতীয় সংস্করণে বাজি ফুটিয়ে, কালিমার অবমাননার মাধ্যমে (নাউজুবিল্লাহ মিন জালিক) সৌদি আরব ন্যাশনাল ডে পালন করল।

সৌদি আরবের জন্মদিন বা ন্যাশলান ডে হচ্ছে ২৩শে সেপ্টেম্বর। ১৯৩২ সালের ২৩শে সেপ্টেম্বর সৌদি রাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হয়। এদিন উপলক্ষে সউদী আরব সরকার ব্যাপক অানন্দ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। রাষ্ট্রীয়ভাবে এ দিনটি অতি অতি গুরুত্বের সাথে আনন্দ উদ্দিপনার সাথে পালন হয়। জনগণও এ দিন রাস্তায় নেমে আসে। সবাই এক সাথে আনন্দ উদ্দিপনা করে।
এ সম্পর্কে ভিডিওগুলো দেখতে পারেন:
বিস্তারিত

কুষ্টিয়া ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ের কথিত নামধারী হাদীস বিশারদ খন্দকার আ.ন.ম আবদুল্লাহ জাহাঙ্গীর নামের এক ব্যক্তির আরেকটি মিথ্যাচার

কুষ্টিয়া ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ের কথিত নামধারী হাদীস বিশারদ খন্দকার আ.ন.ম আবদুল্লাহ জাহাঙ্গীর নামের এক ব্যক্তির আরেকটি মিথ্যাচার

আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর তার বইতে লিখেছে
‘‘ইবন আববাস বলেন, একদিন তিনি নিজ বাড়িতে রাসূলুল্লাহ ﷺ-এর জন্মের ঘটনাবলি বর্ণনা করছিলেন। তখন রাসূলুল্লাহ ﷺ আগমন করেন এবং বলেন: তোমাদের জন্য আমার শাফাআত পাওনা হলো।’’ (জালিয়াত লক্ষ্য করে নি যে, ইবন আববাসের বয়স ৮ বৎসর পূর্ণ হওয়ার আগেই রাসূলুল্লাহ ﷺ-এর ইন্তেকাল হয়। তিনি কি ৫/৬ বৎসর বয়সে ছেলেমেয়েদের হাদীস শুনাচ্ছিলেন!)///
তথ্যসূত্র- ওহাবী/আহলে হাদীসদের ওয়েবসাইট
http://www.hadithbd.com/showqa.php?b=37&s=393
বিস্তারিত

কানা শয়তান সউদি গ্রান্ড মুফতের কাছে ঈদে মিলাদুননবি বিদয়াত হয়, আর ওহাবী ইহুদি সরকারের সব হারাম জায়েয ?

কানা শয়তান সউদি গ্রান্ড মুফতের কাছে ঈদে মিলাদুননবি বিদয়াত হয়, আর ওহাবী ইহুদি সরকারের সব হারাম জায়েয ?
কানা বাজ শয়তানীর পরম উদাহরন সৃষ্টি করে একের পর এক ইসলামের হালাল বিষয়কে হারাম ফতোয়া সেয়।

  • এই কানা শয়তান ঈদে মিলাদুননবিকে বিদয়াত বলে http://goo.gl/eKhySY কিন্তু এই কানা শয়তান যখন সারা বিশ্বে কাফিরেরা মুসলিম নির্যাতন করছে তাদের বিপক্ষে কিছু বলেনা। উলটা এই কানা শয়তান কাফিরদের বিরুদ্ধে জিহাদকে হারাম ফতোয়া দেয়।

http://goo.gl/mxohRo
বিস্তারিত

ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করা ফরয হওয়ার প্রমাণ

ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করা ফরয হওয়ার প্রমাণ
ঊছুলে ফিক্বাহর সমস্ত কিতাবেই উল্লেখ আছে যে, الامر للوجوب
অর্থাৎ আদেশসূচক বাক্য দ্বারা সাধারণত ফরয-ওয়াজিব সাব্যস্ত হয়ে থাকে। যেমন কালামুল্লাহ শরীফ-এ ইরশাদ হয়েছে, اقيموا الصلوة অর্থাৎ “তোমরা নামায আদায় করো।” কুরআন শরীফ-এর এ নির্দেশসূচক বাক্য দ্বারাই নামায ফরয সাব্যস্ত হয়েছে। অনুরূপ হাদীছ শরীফ-এ ইরশাদ হয়েছে, واعفوا للحى অর্থাৎ “তোমরা (পুরুষরা) দাড়ি লম্বা করো।” হাদীছ শরীফ-এর এ নির্দেশসূচক বাক্য দ্বারাই কমপক্ষে এক মুষ্ঠি পরিমাণ দাড়ি রাখা ফরয-ওয়াজিব সাব্যস্ত হয়েছে। ঠিক একইভাবে ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করা অর্থাৎ ১২ই রবীউল আউয়াল শরীফ সোমবার শরীফ-এ নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র বিলাদত শরীফ উপলক্ষে ঈদ করা তথা খুশি প্রকাশ করা বান্দা-বান্দী ও উম্মতের জন্য ফরয-ওয়াজিবের অন্তর্ভুক্ত। কেননা এ ব্যাপারে কুরআন শরীফ-এ মহান আল্লাহ পাক তিনি সূরা ইউনূস-এর ৫৮ নম্বর আয়াত শরীফ-এ বান্দা-বান্দী ও উম্মতদেরকে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে লাভ করার কারণে ঈদ বা খুশি প্রকাশ করতে সরাসরি নির্দেশ প্রদান করেন। তিনি ইরশাদ করেন,
বিস্তারিত

সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সম্পর্কে ওহাবীদের মতাদর্শ

সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সম্পর্কে ওহাবীদের মতাদর্শ
হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিলাদত শরীফ তথা সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ পালন করা জিন-ইনসানসহ গোটা কুল-কায়িনাতের জন্য ফরয-ওয়াজিব তো বটেই নাযাতেরও কারণ। কিন্তু আজকের তথাকথিত মালানা, মুফতে, মুহাদ্দিস,শাইখুল হদসরা ফতোয়া দেয় যে, ঈদে মীলানদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করা বিদায়াত এবং শরীয়তে দুই ঈদের বাইরে তৃতীয় কোন ঈদ নেই। (নাউযুবিল্লাহ মিন যালিক)। 
বিস্তারিত

ইন্তিকাল দিবসে আনন্দ প্রকাশ করা কি অন্যায় ? শরিয়ত কি বলে ?

ইন্তিকাল দিবসে আনন্দ প্রকাশ করা কি অন্যায় ? শরিয়ত কি বলে ?
উক্ত বক্তব্য কুরআন শরীফ ও সুন্নাহ শরীফ-এর সম্পূর্ণ খিলাফ, যা কাট্টা কুফরী। কেননা কুরআন শরীফ ও সুন্নাহ শরীফ-এ বর্ণিত রয়েছে, নবী-রসূল আলাইহিমুস সালামগণের বিলাদত শরীফ, বিছাল শরীফ, পুনরুত্থান প্রত্যেকটিই রহমত, বরকত ও সাকীনার কারণ এবং ঈদ বা খুশি প্রকাশের কারণ।
যেমন, হযরত ঈসা আলাইহিস সালাম উনার ব্যাপারে কুরআন শরীফ-এ ইরশাদ হয়েছে- ‘উনার প্রতি সালাম (শান্তি), যে দিন তিনি বিলাদত শরীফ লাভ করেছেন এবং যেদিন তিনি বিছাল শরীফ লাভ করবেন এবং যেদিন তিনি পুনরুত্থিত হবেন।’ (সূরা মারইয়াম-১৫)
অনুরূপ হযরত ইয়াহইয়া আলাইহিস সালাম সম্পর্কে উনার নিজের বক্তব্য কুরআন শরীফ-এ ইরশাদ হয়েছে- ‘আমার প্রতি সালাম যেদিন আমি বিলাদত শরীফ লাভ করি, যে দিন আমি বিছাল শরীফ লাভ করি এবং যেদিন পুনরুত্থিত হবো।’ (সূরা মারইয়াম -৩৩)
আর হাদীছ শরীফ-এ বর্ণিত রয়েছে- আল্লাহ পাক- উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন- ‘আমার হায়াত-মউত সব অবস্থাই তোমাদের জন্য কল্যাণ বা খায়ের-বরকতের কারণ।’ (কানযুল উম্মাল)
বিস্তারিত

ইসলামের সোনালী যুগ তথা খইরুল কুরুনে পবিত্র ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালিত হতো

ইসলামের সোনালী যুগ তথা খইরুল কুরুনে পবিত্র ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালিত হতো
খইরুল কুরুন হচ্ছে পর্যায়ক্রমে ছাহাবী, তাবিয়ী ও তাবি’ তাবিয়ীনগণের যুগ। আর উক্ত তিন যুগের প্রথম যুগই হচ্ছে হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমগণ- উনাদের যুগ এবং সে যুগেই ‘ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম’ উদযাপিত হয়েছে। সুবহানাল্লাহ!

যেমন-
১. এ প্রসঙ্গে হাদীছ শরীফ-এ বর্ণিত রয়েছে-
“হযরত আবূ দারদা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু হতে বর্ণিত আছে যে, একদা তিনি হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম- উনার সাথে হযরত আমির আনছারী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু- উনার গৃহে উপস্থিত হয়ে দেখতে পেলেন যে, তিনি উনার সন্তান-সন্ততি এবং আত্মীয়-স্বজন, জ্ঞাতি-গোষ্ঠী, পাড়া-প্রতিবেশীদেরকে নিয়ে হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম- উনার বিলাদত শরীফ উপলক্ষে খুশি প্রকাশ করে বিলাদত শরীফ-এর ঘটনাসমূহ শুনাচ্ছেন এবং বলছেন, এই দিবস, অর্র্থাৎ এই দিবসে রসূলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যমীনে তাশরীফ এনেছেন। এমন সময় হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সেখানে উপস্থিত হলেন। (তিনি যখন উপস্থিত হলেন সমবেত সবাই দাঁড়িয়ে উনাকে সালাম পেশ করতঃ অভ্যর্থনা বা স্বাগত জানিয়ে আসনে বসালেন।) তিনি মীলাদ শরীফ-এর অনুষ্ঠান এবং বিলাদত শরীফ-এর কারণে খুশি প্রকাশ করতে দেখে উনাদেরকে উদ্দেশ্য করে বললেন, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ তায়ালা তোমাদের জন্য রহমতের দরজা উন্মুক্ত করেছেন এবং সমস্ত ফেরেশতা তোমাদের জন্য মাগফিরাত তথা ক্ষমা প্রার্থনা করছেন এবং যে কেউ তোমাদের মতো এরূপ কাজ করবে, তোমাদের মতো তারাও রহমত ও মাগফিরাত এবং নাজাত লাভ করবে।” সুবহানাল্লাহ! 
বিস্তারিত

বছরের প্রায় অর্ধেক দিনই মু’মিন-মুসলমানের জন্য ঈদ বা খুশির দিন।

বছরের প্রায় অর্ধেক দিনই মু’মিন-মুসলমানের জন্য ঈদ বা খুশির দিন।
 ‘ইবনে মাযাহ ও মুয়াত্তা শরীফ’-এ , হযরত উবাইদ ইবনে সাব্বাক রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে মুরসাল হিসেবে বর্ণিত। রসূলে পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি একদিন জুমুয়ার দিনে ইরশাদ করেন, হে মুসলমানগণ! এই যে জুমুয়ার দিন, এ দিনকে মহান আল্লাহ পাক তিনি আপনাদের জন্য ঈদের দিন হিসেবে নির্ধারণ করে দিয়েছেন। সুবহানাল্লাহ!
 ‘তিরমিযী শরীফ’-এর উদ্ধৃতি , “হযরত ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত আছে যে, তিনি একদা ‘আজ আমি তোমাদের জন্য তোমাদের দ্বীনকে পূর্ণ করলাম’ এ আয়াত শরীফটি শেষ পর্যন্ত পাঠ করলেন। তখন উনার নিকট এক ইহুদী ছিলো সে বলে উঠলো, ‘যদি এই আয়াত শরীফ আমাদের ইহুদী সম্প্রদায়ের প্রতি নাযিল হতো আমরা আয়াত শরীফ নাযিলের দিনটিকে ‘ঈদের দিন বলে ঘোষণা করতাম।’ এটা শুনে হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু আনহু তিনি বললেন, এ আয়াত শরীফ সেই দিন নাযিল হয়েছে যেদিন এক সাথে দু’ঈদ ছিল- (১) জুমুয়ার দিন এবং (২) আরাফার দিন।” অর্থাৎ পুনরায় ঈদ ঘোষণা করতে হবে না। কেননা ঈদের দিনেই এ আয়াত শরীফ নাযিল হয়েছে।
বিস্তারিত

দেওবন্দিদের লিখিত " আল মুহান্নাদ আলাল মুফান্নাদ’ বইয়ে ঈদে মিলাদুন্নবীর স্বীকৃতি

দেওবন্দিদের লিখিত " আল মুহান্নাদ আলাল মুফান্নাদ’ বইয়ে ঈদে মিলাদুন্নবীর স্বীকৃতি

আজ থেকে ১১০ বছর আগে ১৩২৫ হিজরী সালে তৎকালীন দেওবন্দীদের কিছু লেখা নিয়ে আপত্তি জানিয়েছিলেন পবিত্র মক্কা-মদীনা শরীফের ইমাম খতিবরা। কারণ ঐ সময় দেওবন্দীদের কিছু লেখায় ঈদে মীলাদুন্নবী (নবীজির বিলাদত দিবস) ও মীলাদ শরীফকে কৌশলে কটাক্ষ করা হয়েছিল। সে সময় দেওবন্দীদের উক্ত কাজের তীব্র প্রতিবাদ করেছিলেন তৎকালীন পবিত্র মক্কা-মদীনা শরীফের ইমাম-খতিবরা এবং দেওবন্দীদের কাছে সেই কাজের জন্য লিখিত জবাবও চেয়েছিলেন তারা।
বিস্তারিত

যে সকল দেশে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে সরকারি ছুটি পালিত হয়…

যে সকল দেশে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে সরকারি ছুটি পালিত হয়…
পাকিশ্তান
আফগানিস্থান
উজবেকিস্থান
জর্ডান
দুবাই
বাহরাইন
বাংলাদেশ
আলজেরিয়া
আল জাজাইর
বিস্তারিত

ইবনে তাইমিয়া ও আবদুল ওহাব নজিদীর ঈদে মিলাদুননবীর পক্ষে মত

ইবনে তাইমিয়া ও আবদুল ওহাব নজিদীর ঈদে মিলাদুননবীর পক্ষে মত
বর্তমানে যারা পবিত্র ঈদে মিলাদুন্ননবীর বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে তাদের জিজ্ঞাসা করলে তারাই স্বীকার করবে তাদের একমাত্র পছন্দনীয় ইমাম হচ্ছে ইবনে তাইমিয়া ও আব্দুল ওহাব নজদী। এরা ইমামে আযম আবু হানীফা রহমতুল্লাহি আলাইহি থেকে শুরু করে সকল ইমাম মুস্তাহিদ আওলিয়ায়ে কিরামের বিরোধীতা করলেও ইবনে তাইমিয়া ও আব্দুল ওহাব নজদীর কোন বিরোধীতা করে না। কিন্তু মজার বিষয় হচ্ছে তাদের কোন ফতোয়া যদি নিজেদের মন মত না হয় তবে সেটা সযত্নে গোপন করে রাখে। কিন্তু সত্য কি গোপন রাখা যায়?
ওহাবীদের গুরু ইবনে তাইমিয়া (১২৬৩খৃঃ - ১৩২৮খৃঃ) তার কিতাব “ইক্তিদায়ে সিরাতে মুস্তাকীম” এ লিখেছে,
”যদি মিলাদ মাহফিল নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর প্রতি ভালবাসা ও সম্মান প্রদর্শনের জন্য করা হয়ে থাকে তবে আল্লাহ এ মুহাব্বত ও সম্মান প্রদর্শনের কারণে সওয়াব বা প্রতিদান দেবেন।” 
বিস্তারিত

নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি দায়িমীভাবেই পবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করেছেন

নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি দায়িমীভাবেই পবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করেছেন

পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত আছে- 
عن حضرت عفان رحمة الله عليه عن حضرت سعيد بن مينا رحمة الله عليه عن حضرت جابر و حضرت ابن عباس رضى الله تعالى عنه قال ولد رسول الله صلى الله عليه وسلم عام الفيل يوم الاثنين الثانى عشر من شهر ربيع الاول .
অর্থ: “হযরত আফফান রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার থেকে বর্ণিত। তিনি হযরত সাঈদ ইবনে মীনা রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার থেকে বর্ণনা করেছেন যে, হযরত জাবির রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু ও হযরত ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনারা বলেন, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সালাম উনার পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ ‘হস্তি বাহিনী বর্ষের পবিত্র ১২ই রবীউল আউওয়াল শরীফ ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম শরীফ হয়েছিল।” (বুলুগুল আমানী শরহিল ফাতহির রব্বানী, আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া)
উপরোক্ত পবিত্র হাদীছ শরীফ মুতাবিক পবিত্র ১২ই রবীউল আউওয়াল শরীফই হচ্ছে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সালাম উনার পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ দিবস।
বিস্তারিত

আতশ বাজি-পটকা, জশনে-জুলুস, রং বেরংয়ের আলোকসজ্জা, আনন্দ মিছিল প্রভৃতির মাধ্যমে ঈদ পালন করেন কিরূপে?

আতশ বাজি-পটকা, জশনে-জুলুস, রং বেরংয়ের আলোকসজ্জা, আনন্দ মিছিল প্রভৃতির মাধ্যমে ঈদ পালন করেন কিরূপে?

খারিজী, ওয়াবী, জামাতী, ইলিয়াসী তাবলীগ জামাত, দেওবন্দী গংদের যা চিরন্তন খাছলত। মাথায় ব্যাথার উপসর্গ দেখা দিলে তাতে ঔষধ প্রয়োগ না করে পুরো মাথাটিই কেটে ফেলা ওদের খাছলতগত প্রবৃত্তি। সব ফরয নামাযের পর মুনাজাত করলে মানুষ একে ফরয মনে করতে পারে এই অমূলক অশঙ্কায় পরিশেষে তারা ফরয নামাযের পর মুনাজাতই বন্ধ করে দিল, মুনাজাত করাকে বিদয়াত বলে প্রচার শুরু করল। (নাউযুবিল্লাহ্ মিন যালিক)

অথচ ঘাড় মসেহ্ করার মত মুস্তাহাব আমলকে অদ্যাবধি মানুষ মুস্তাহাব জেনেই করে আসছে। কেউ তাকে ফরয বলে গণ্য করছেনা, সে দৃষ্টান্তেও ওদের চেতনা নেই।
সূক্ষ্ম চিন্তানুভূতি আর ছহীহ্ সমঝের পরিবর্তে ওরা মোটা বুদ্ধি আর বক্র চিন্তায়ই অভ্যস্ত। 
বিস্তারিত

দু’ঈদ ব্যতীত আর কোন ঈদ নেই এ কথা যারা বলে তারা জাহিল

দু’ঈদ ব্যতীত আর কোন ঈদ নেই এ কথা যারা বলে তারা জাহিল

অজপাড়া গায়ের বৃদ্ধ হাবীবুজ্জামান ক্ষেপে উঠেছে। সারাজীবন নিজ গ্রামের গন্ডীর বাইরে তার যাওয়া হয়নি। ছেলের পুনঃপুনঃ আমন্ত্রণে অবশেষে তাকে শহরে যেতে হয়েছিল। সেখানে জনৈক আলিমের ওয়াজে শোনা ‘ক্ষমা করা মহান আল্লাহ্ পাক-এর সুন্নত, মহান আল্লাহ্ পাক-এর রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর সুন্নত, হযরত ছাহাবা-ই-কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমগণের সুন্নত, হযরত আউলিয়া-ই-কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিমগণের সুন্নত’ এই বক্তব্য বৃদ্ধ হাবীবুজ্জামানকে রীতিমত ক্ষুদ্ধ করে তুলেছে। শহরে এটে উঠতে না পেরে স্বগ্রামে গিয়ে সে রীতিমত হট্টগোল পাকিয়ে তুলেছে। “হেই মিঞারা বুঝলেননি, শহরের আলিমরা আলিম না। হেরা গোমরাহ্, হেরা বেদাতী, কুফুরী আরম্ভ করিচ্ছে। সারাজীবন আমরা হুনলাম সুন্নত, সুন্নত আল্লাহ্ পাক-এর রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর সুন্নত। আর হেরা এখন নতুন বেদাতী শুরু করিচ্ছে। বলিচ্ছে, আল্লাহ্ পাক-এর সুন্নত, ছাহাবা-ই-কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমগণের সুন্নত, আউলিয়া-ই-কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিমগণের সুন্নত।
বিস্তারিত

যারা ঈদ-ই-মীলাদুন্ নবী উদযাপনকে লাহাবী উৎসব বলে তারা লাহাবী সন্তান।

যারা ঈদ-ই-মীলাদুন্ নবী  উদযাপনকে লাহাবী উৎসব বলে তারা লাহাবী সন্তান।
 ঈদ-ই-মীলাদুন্ নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালনের মত খোদায়ী ঈদ, মুত্তালিবী ঈদ, রসূল প্রেমিকদের ঈদ, সকল ঈদের ঈদ সে বিষয়টিকে মূল্যায়ণ না দিয়ে বাতিল ফিরকারা উল্লেখ করছে যে, " জন্মদিন পালন করা খৃষ্টানদের রীতি। অথচ এর পিছনে যে কোন ভিত্তি নেই যা তারাও জানে তাদের গুরু শয়তানও জানে।" 

“Encyclopedia Americana”- তে উল্লেখ আছে, BIRTHDAYS, anniversaries of the day of birth. The practice of markaing an individual’s exact reckoning of time by a fix Calendar.
The custom of observing birthday’s, althangh an ancient one and at present very popular in many countries is, far from being universal.
অর্থাৎ- “কারো জন্মের সঠিক তারিখটি সুনির্দিষ্ট করার রীতি চালু হয়েছে একটি নির্দিষ্ট ক্যালেন্ডার অনুযায়ী সময় গণনা করার ধারা প্রবর্তিত হওয়ার প্রেক্ষিতে। জন্মবার্ষিকী পালনের প্রথাটি খুবই প্রাচীন এবং বর্তমানে অনেক দেশেই অত্যন্ত জনপ্রিয়। তারপরেও তা সার্বজনীনতা লাভ করেনি।”
বিস্তারিত

হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর জন্মকালীন সময়ের ঘটনাসমুহ

হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর জন্মকালীন সময়ের ঘটনাসমুহ
রহমতুল্লিল আলামীন, মুখতাছারুস্ সীরাত, ইবনে হিশাম, বায়হাক্বী, তিবরানী, খাসায়েসুল কুবরা, ইবনে ইসহাক, আন নিয়ামাতুল কুবরা প্রভৃতি গ্রন্থ থেকে বর্ণনা পাওয়া যায় যে, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর যমীনে আগমণ মূহুর্তে স্বয়ং আল্লাহ্ পাক স্বীয় খুশীর নিদর্শন স্বরূপ অভূতপূর্ব কুদরতী ঘটনার সমাহার ঘটিয়েছেন।

হযরত আমিনা আলাইহাস সালাম বলেন, “আর আমি দেখতে লাগলাম, দীর্ঘ বাহুবিশিষ্ট জনেরা আমার নিকট দলে দলে আসছেন। আমি আমার গৃহের দিকে তাকালাম, এখানে নানান ভাষায় বৈচিত্রপূর্ণ দূর্বোধ্য কথা আমি শুনতে পেলাম। এসব কথা বর্তায় সুরিয়ানী ভাষার কথাগুলো বেশী মনে হচ্ছিল। হযরত আমিনা আলাইহাস সালাম বলেন, আমি সেসময় লক্ষ্য করলাম, দলে দলে ফেরেশতাগণ আমার ডানে-বামে উড়ছেন। তখন মহান আল্লাহ্ পাক হযরত জিব্রাঈল আলাইহিস সালামকে আদেশ করলেন, হে জিব্রাঈল আলাইহিস সালাম! রুহ সমূহকে পবিত্র শরাবের পাত্রের নিকট শ্রেণীবদ্ধ কর। হে রিদওয়ান! জান্নাতের নবোদভিন্না যুবতীগণকে নতুন সাজে সজ্জিত কর, আর পবিত্র মেশকের সুগন্ধি ছড়িয়ে দাও। সারা মাখলুকাতের যিনি মহান ব্যক্তিত্ব সেই মুহম্মদুর রসূলুল্লাহ্ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর আবির্ভাব উপলক্ষ্যে।

বিস্তারিত

ঈদে মীলাদুন নবী খ্রিস্টানদের থেকে নয়, বরং খ্রিস্টানরাই মুসলমানদের দেখে ক্রিসমাস চালু করেছে।

 ঈদে মীলাদুন নবী খ্রিস্টানদের থেকে নয়, বরং খ্রিস্টানরাই মুসলমানদের দেখে ক্রিসমাস চালু করেছে।
সাহাবীগণ ঈদে মীলাদুন্নবী পালন করাকে ফজিলতের কারণ হিসেব বর্ণনা করেছেন এ দলিল পাওয়া যায়। (সূত্র: ‘আন নি’মাতুল কুবরা আলাল আলাম’) এমনকি বড় বড় সব তাবেয়ী, তাবে-তাবেয়ীগণ ঈদে মীলাদুন নবী পালন করেছেন সেই দলিলও পাওয়া যায়।
হযরত আলী রদ্বিয়াল্লাহু’র ছাত্র ইমাম হাসান বসরী রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেছিলেন:
“আমার যদি উহুদ পর্বত পরিমাণ স্বর্ণ থাকতো, তবে আমি তা ঈদে মীলাদুন্নবীর জন্য খরচ করতাম” (বই-আন নি’মাতুল কুবরা আলাল আলাম)।
বিস্তারিত

খারিজী, ওহাবী, বিদয়াতীরাই হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম জন্ম তারিখ নিয়ে সন্দেহ পোষণ করে

খারিজী, ওহাবী, বিদয়াতীরাই হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম জন্ম তারিখ নিয়ে সন্দেহ পোষণ করে

যারা বলে “নবীজীর (ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) জন্ম তারিখ নিয়ে মতভেদ আছে, ১২ই রবিউল আউয়াল জন্মদিন এটা সবচেয়ে দুর্বল মত।” তাদের এ কথার সমর্থনে পবিত্র কুরআন শরীফ ও সুন্নাহ্ শরীফ-এর ছহীহ্ কোন দলীল-প্রমাণ নেই। তাই সম্পূর্ণ উদ্ভট ও মনগড়া কথা। কাজেই তা গ্রহণযোগ্য নয়।


আর “১২ই রবিউল আউয়াল আখিরী রসূল, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর বিলাদত শরীফ-এর দিন এটাই সবচেয়ে ছহীহ্ ও মশহুর মত।”

যেমন, এ প্রসঙ্গে হাফিয আবূ বকর ইবনে আবী শায়বাহ ছহীহ্ সনদ সহকারে বর্ণনা করেছেন,
বিস্তারিত

কোন বিষয়ে মতভেদ থাকলে ইসলাম কি বলে ?

কোন বিষয়ে মতভেদ থাকলে ইসলাম কি বলে ?
কারণ, মহান আল্লাহ্ পাক তাঁর কালাম পাকে ইরশাদ করেছেন, “তোমরা সত্যবাদী হলে দলীল পেশ কর।” (সূরা নমল/৬৪)
অতএব, পবিত্র কুরআন শরীফ-সুন্নাহ্ শরীফ-এর দলীল সম্মত কথা হলো, মতভেদ সম্পর্কিত বিষয় পালন বা আমল করা অবশ্যই ঠিক।
এ প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ্ পাক ইরশাদ করেন, “হে মু’মিনগণ! তোমরা আল্লাহ্ পাককে ইতায়াত করো এবং রসূলে পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে ইতায়াত করো এবং তোমাদের মধ্যে যারা উলিল-আমর তাঁদেরকে ইতায়াত করো। অতঃএব যখন কোন বিষয়ে উলিল-আমরগণের মাঝে ইখতিলাফ দেখতে পাবে তখন (সে বিষয়টি ফায়সালার জন্য) তোমরা আল্লাহ্ পাক ও রসূলে পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর দিকে প্রত্যাবর্তন করো। অর্থাৎ যে উলিল-আমরের কুরআন-সুন্নাহর দলীল বেশী হবে তাঁরটিই গ্রহণ করো।” (সূরা নিসা/৫৯)
বিস্তারিত

ঈদে মিলাদুন্নবি পালন কি “ইহুদী-খৃষ্টানদের কালচার” নাকি পুর্ব থেকেই প্রচলিত ?

ঈদে মিলাদুন্নবি পালন কি “ইহুদী-খৃষ্টানদের কালচার” নাকি পুর্ব থেকেই প্রচলিত ?
তাদের এ বক্তব্য সম্পূর্ণ পবিত্র কুরআন শরীফ-সুন্নাহ্ শরীফ-এর খিলাফ ও কুফরী। কারণ ইহুদী-খৃষ্টানরা হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর জন্মদিন কখনোই পালন করেনা। এটা পালন করেন একমাত্র তাঁরাই যারা খালিছ ভাবে হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে মুহব্বত করেন।

“মাওয়াহিবুল্ লাদুন্নিয়া, যুরক্বানী, সীরাতে হালবিয়া, মাদারিজুন্ নুবুওয়াত” ইত্যাদি কিতাবে বর্ণিত রয়েছে, “১২ই রবিউল আউয়াল তারিখে হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিলাদত শরীফ-এর পবিত্র স্থানে উপস্থিত হয়ে মীলাদ শরীফ উদযাপনের নিয়ম প্রাচীনকাল থেকেই চলে আসছে।”
বিস্তারিত

খাঞ্জা পাঠানো ঈদ হলে নবিজির আগমন দিবস ঈদ হবেনা কেন ?

খাঞ্জা পাঠানো ঈদ হলে নবিজির আগমন দিবস ঈদ হবেনা কেন ?


আল্লাহ পাক তিনি কুরআন শরীফ-এ সূরা ইউনূস-এর ৫৮ নম্বর আয়াত পাক-এ ইরশাদ ফরমান-

قل بفضل الله وبرحمته فبذلك فليفرحوا هو خير مما يجمعون .

অর্র্থ: “হে হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনি উম্মাহকে জানিয়ে দিন, আল্লাহ পাক তিনি স্বীয় অনুগ্রহ ও রহমত হিসেবে উনার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে পাঠিয়েছেন। সে কারণে তারা যেনো খুশি প্রকাশ করে। এই খুশি প্রকাশ করাটা সেসব কিছু থেকে উত্তম, যা তারা দুনিয়া ও আখিরাতের জন্য সঞ্চয় করে।”
বিস্তারিত

হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সারা আলমের জন্য রহমত

হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সারা আলমের জন্য রহমত

আল্লাহ পাক তিনি কুরআন শরীফ-এ সূরা আল আম্বিয়া-এর ১০৭ নম্বর আয়াত পাক-এ ইরশাদ ফরমান-

وَمَا أَرْسَلْنَاكَ إِلَّا رَحْمَةً لِّلْعَالَمِينَ

অর্থ: “হে হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আমি অবশ্যই আপনাকে সারা আলমের জন্য রহমতস্বরূপ প্রেরণ করেছি।”

হে কায়িনাতবাসী! ঈমানদার বান্দা-উম্মাহ তো ইবলিসের মতো রহমতশূন্য গযবপ্রাপ্ত বিভ্রান্ত হতে পারে না। তাই রহমতুীল্লিল আলামীন হিসেবে যিনি প্রেরিত হয়েছেন তথা তাশরীফ এনেছেন উনার আগমন উপলক্ষে খুশি প্রকাশ করতে তারা সদা উন্মুখ। কারণ দুনিয়ার যেকোনো মানুষই কোনো বিষয়ে রহমতপ্রাপ্ত হলেই সেটাতে ইচ্ছা-অনিচ্ছাই খুশি প্রকাশ করে। তাহলে যিনি সারা আলমের জন্য রহমত উনাকে পেয়ে, উনার মুবারক তাশরীফ-এ আমরা ঈমানদার বান্দা-উম্মাহ হিসেবে কেনো ঈদ তথা খুশি প্রকাশ করবো না?
বিস্তারিত

কুরআন শরীফে ঈদে মিলাদুননবী

কুরআন শরীফে ঈদে মিলাদুননবী



আল্লাহ পাক তিনি কুরআন শরীফ- সূরা ইবরাহীম-এর নম্বর আয়াত পাক- ইরশাদ ফরমান-

وَلَقَدْ أَرْسَلْنَا مُوسَى بِآيَاتِنَا أَنْ أَخْرِجْ قَوْمَكَ مِنَ الظُّلُمَاتِ إِلَى النُّورِ وَذَكِّرْهُمْ بِأَيَّامِ اللّهِ إِنَّ فِي ذَلِكَ لآيَاتٍ لِّكُلِّ صَبَّارٍ شَكُورٍ

অর্থ: “আমি হযরত মুসা কালীমুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনাকে আমার নিদর্শনাবলীসহ উনার ক্বওমের নিকট প্রেরণ করেছিলাম যে, আপনি আপনার ক্বওমকে অন্ধকার তথা গোমরাহী থেকে আলো বা হিদায়েতের পথে আনয়ন করেন এবং তাদেরকে আল্লাহ পাক উনার (নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের বিশেষ বিশেষ ঘটনা সংঘটিত হওয়ার) দিনসমূহ স্মরণ করান। নিশ্চয়ই এতে প্রত্যেক ধৈর্যশীল শোকরগোযার বান্দাদের জন্যে নিদর্শনাবলী রয়েছে।
বিস্তারিত

হযরত আম্বিয়া আলাইহিমুস সালাম উনাদের বিলাদত ও বিছাল শরীফ উভয়টিই কায়িনাতের জন্য খুশির কারণ

হযরত আম্বিয়া আলাইহিমুস সালাম উনাদের বিলাদত ও বিছাল শরীফ উভয়টিই কায়িনাতের জন্য  খুশির কারণ
মূলত পবিত্র কুরআন শরীফ-এর মাঝেই সাইয়্যিদুল আম্বিয়া ওয়াল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শান, মর্যাদা বিশদভাবে আলোচিত হয়েছে। উনাকে সর্বোচ্চ উপায়ে যথাযথ তা’যীম-তাকরীম করার জন্য পবিত্র কুরআন শরীফ-এই বার বার তাগিদ এসেছে। এ কারণেই ১২ই রবীউল আউয়াল শরীফ উনার সুমহান বিলাদত শরীফ ও বিছাল শরীফ হওয়ার কারণে উম্মাহর প্রতিটি মু’মিন-মুসলমান আনন্দে উদ্বেলিত হয়, খুশি প্রকাশে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। কেননা এ দিন উপলক্ষে খুশি প্রকাশ করা প্রত্যেকের জন্যই ফরযে আইন। আর এর থেকে গাফিল ও বিরত থাকে একমাত্র ইবলিস শয়তান! যারা এই মহান ঈদ তথা খুশি প্রকাশে নিষেধ করে বা বিরত থাকে তারা কি পবিত্র কুরআন শরীফ থেকে একটি দলীলও পেশ করতে পারবে যে, সাইয়্যিদুল আম্বিয়া ওয়াল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শানে বা উনার স্মরণে খুশি প্রকাশ করা যাবেনা? অথচ আনন্দ, খুশি ও শুকরিয়া আদায় করার জন্য পবিত্র কুরআন শরীফ-এর অসংখ্য আয়াত শরীফ-এ বলা হয়েছে। যেমন-
বিস্তারিত

বুখারী শারীফের সর্বশ্রেষ্ঠ ব্যাখ্যাকার আল্লামা ইবন হাজর আসকলানি রহমতুল্লাহি আলাইহি এর নামে বানোয়াট উক্তি প্রচার করল জুনায়েদ বাবু নগরী

বুখারী শারীফের সর্বশ্রেষ্ঠ ব্যাখ্যাকার আল্লামা ইবন হাজর আসকলানি রহমতুল্লাহি আলাইহি এর নামে বানোয়াট উক্তি প্রচার করল জুনায়েদ বাবু নগরী

দেওবন্দী/কাওমী/হেফাজতিদের গুরু জুনায়েদ বাবু নগরী তার মিলাদ বিরোধী লিখায় সহীহ বুখারী শারীফের ব্যাখ্যাগ্রন্থ ফাতহুল বারীএর লেখক আল্লামা ইবন হাজর আসকলানি রাহমাতুল্লাহি আলাইহি কে একজন মিলাদ বিরোধী হিসেবে উপস্থাপন করতে গিয়ে ভুল তথ্য দিয়ে লিখে - 
  • আল্লামা হাফেজ ইব্নে হাজার আসক্বালানী শাফী (রাহ্.)কে প্রশ্ন করা হয়, মীলাদ অনুষ্ঠান কি বিদ্আত? না শরীয়তে এর কোন ভিত্তি আছে? জবাবে তিনি বলেন, “মীলাদ অনুষ্ঠান মলতঃ বিদ্আত। তিন পবিত্র যুগের সালফে সালিহীনের আমলে এর অস্তিত্ব ছিল না।” (হিওয়ার মাআল মালিকী-১৭৭ পৃষ্ঠা)।
বিস্তারিত

সহস্রাব্দের মুজাদ্দিদ আলফে সানী রাহমাতুল্লাহি আলাইহি এর নামে বানোয়াট উক্তি প্রচার করল জুনায়েদ বাবু নগরী

 সহস্রাব্দের মুজাদ্দিদ আলফে সানী রাহমাতুল্লাহি আলাইহি এর নামে বানোয়াট উক্তি প্রচার করল জুনায়েদ বাবু নগরী

দেওবন্দী/কাওমী/হেফাজতিদের গুরু জুনায়েদ বাবু নগরী তার মিলাদ বিরোধী লিখায় উপমহাদেশের মুজাদ্দিদ আলফে সানী রাহমাতুল্লাহি আলাইহি কে একজন মিলাদ বিরোধী হিসেবে উপস্থাপন করতে গিয়ে ভুল তথ্য দিয়ে লিখে-

  • ইমামুল হিন্দ হযরত শায়েখ আহ্মদ সরহিন্দী মুজাদ্দিদে আল্ফে সানী হানাফী রহমতুল্লাহি আলাইহি যাঁকে মীলাদ সমর্থক আলেমগণও মুজাদ্দিদ বলে স্বীকার করেন,তাঁকে জিজ্ঞাসা করা হয়,মীলাদ মাহ্ফিল অনাচার মুক্ত হলেও তাতে দোষের কিছু আছে কি? তিনি বলেন, “আমি মনে করি,যতক্ষণ পর্যন্ত এর দরজা সম্পূর্ণ বন্ধ হবে না,স্বার্থপর লোকেরা এর থেকে বিরত থাকবে না।যদি এর কিঞ্চিৎ জায়েয হওয়ার ফাত্ওয়া দেওয়া হয়,,তবে জানি না ব্যাপারটি ক্রমশঃ কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়।” 
বিস্তারিত

কওমী দেওবন্দিদের গুরুদের গুরু মুহাজিরে মক্কী রাহমাতুল্লাহি আলাইহি দৃষ্টিতে আরবলের বাদশাহ

কওমী দেওবন্দিদের গুরুদের গুরু মুহাজিরে মক্কী রাহমাতুল্লাহি আলাইহি দৃষ্টিতে আরবলের বাদশাহ
বর্তমান দেওবন্দীরা বাদশাহ আবু সাঈদ মুজাফফার রহমতুল্লাহি আলাইহি এবং আবু খাত্তাব উমর ইবনে দিহইয়া রহমতুল্লাহি আলাইহি সম্পর্কে মিথ্যাচার করলে কি হবে? তাদের অতীতের অন্যতম নির্ভরযোগ্য আলেম মাওলানা হাফিজ মুহাম্মদ আব্দুল হক এলাহাবাদী মুহাজিরে মক্কী রাহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেন,
“রাজ রাজাদের মধ্যে আরবলের(বর্তমান ইরাকের একটি অঞ্চল) আবু সাঈদ কাওকারী ইবন যয়নুদ্দিন সর্বপ্রথম মিলাদ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন। তিনি মহান ও প্রসিদ্ধ দানশীল রাজা ছিলেন। হাফিজ ইমাম ইবন কাসির রহমতুল্লাহি আলাইহি তাঁর ‘তারিখ’ গ্রন্থে লিখেছেন, আরবলের মহান রাজা রবিউল আউওয়াল মাসে মিলাদুন্নবী
বিস্তারিত

ওহাবী/সালাফীরা যাকে মেনে থাকে সেই ইবনে কাসীর রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার দৃষ্টিতে আরবলের বাদশাহ

ওহাবী/সালাফীরা যাকে মেনে থাকে সেই ইবনে কাসীর রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার দৃষ্টিতে আরবলের বাদশাহ
ইবনে কাসীর রহমতুল্লাহি আলাইহি, যাকে সালাফী / ওহাবীরা তাফসীর ও ইতিহাস শাস্ত্রে সবচেয়ে বেশি শ্রদ্ধা করে থাকে, তিনি সর্বজন শ্রদ্ধেয় ইসলামের মুজাহিদ সুলতান গাযী সালাহউদ্দীন আইয়ুবীর ভগ্নিপতি শাহ মালিক আল-মুযাফফর রহমতুল্লাহি আলাইহি সম্পর্কে উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেন। অথচ সালাফীরাই ইবনে কাসীরের কথাকে বিকৃত করে এই মর্মে মিথ্যে ছড়িয়েছে যে মুযাফফর শাহ একজন ফাসেক, নিষ্ঠুর ও বেদআতী শাসক ছিলেন (নাউজুবিল্লাহ)।
প্রকৃতপক্ষে ইবনে কাসীর লিখেন:
  • অর্থ: “বাদশা হযরত মুজাফফরুদ্দীন ইবনে যাইনুদ্দীন আবু সাঈদ রাহমাতুল্লাহি আলাইহি তিনি দানশীল ও নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিদের অন্যতম ছিলেন। সাথে সাথে তিনি সম্মানিত বাদশাও ছিলেন। উনার বহু পূন্যময় কাজের আলামত এখনও বিদ্যমান রয়েছে।”
[সূত্রঃ- আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া, ১৩ তম, খন্ড ১৩৬ পৃষ্ঠা]
  • অর্থ: আরবলের বাদশা হযরত মালিক মুজাফফরুদ্দীন ইবনে যাইনুদ্দীন রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি প্রতি বছর পবিত্র ঈদে মীলাদুন্নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উপলক্ষে তিন লক্ষ দিনার ব্যায় করতেন।”
বিস্তারিত

আরবলের বাদশাহ সর্বপ্রথম ঈদে মিলাদুন্নবি পালন করেননি, পুর্ব থেকেই ছিল

আরবলের বাদশাহ সর্বপ্রথম ঈদে মিলাদুন্নবি পালন করেননি, পুর্ব থেকেই ছিল
আল্লামা ইসমাইল হাক্কী রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেন,
বাদশাহগণের মধ্যে সর্বপ্রথম রাষ্ট্রীয়ভাবে মিলাদুন্নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করেন আরবলের বাদশাহ মুজাফফার উদ্দিন রহমতুল্লাহি আলাইহি । তাঁর উদ্দেশ্যে মিলাদুন্নবীর কিতাব রচণা করেন ইবন দিহইয়া রহমতুল্লাহি আলাইহি। তিনি কিতাবখানার নামকরণ করেন ‘আত-তানভির ফি মাওলিদিল বাশিরিন নাজির’। বাদশাহ তাকে এই উদ্দেশ্যে ১০০০ হাজার স্বর্ণমুদ্রা উপহার দেন। বুখারী শারীফের নির্ভরযোগ্য ব্যাখ্যাকারী ইবন হাজস আসকলানী রহমতুল্লাহি আলাইহি মিলাদুন্নবীর ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর ভিত্তি সুন্নাহ হিসেবে প্রমাণ করেছেন এবং অনুরূপ প্রমাণ পেশ করেছেন ৯ম শতাব্দীর মুজাদ্দিদ ইমাম জালালুদ্দিন সুয়ুতি রহমতুল্লাহি আলাইহি । তাঁরা উভয়ই তাজুদ্দিন ফাকেহানী মালেকীর মতবাদ খন্ডন করেছেন যার মত হল” মিলাদুন্নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমলটি নিকৃষ্ট বিদাত। “আল্লামা নূরুদ্দীন আলী হলবী তাঁর ‘ইনসানুল ফি সীরাতিল আমিনীন মামুন’ গ্রন্থে এরূপ লিখেছেন। [তাফসীর রুহুল বয়ান ১খন্ড, পৃঃ ৫৭]

বিস্তারিত

বাদশাহ আবু সাঈদ মুজাফফার রহমতুল্লাহি আলাইহি এবং আবু খাত্তাব উমর ইবনে দিহইয়া রহমতুল্লাহি আলাইহি সম্পর্কে বানোয়াট উক্তি প্রচার করল জুনায়েদ বাবু নগরী

বাদশাহ আবু সাঈদ মুজাফফার রহমতুল্লাহি আলাইহি এবং আবু খাত্তাব উমর ইবনে দিহইয়া রহমতুল্লাহি আলাইহি সম্পর্কে  বানোয়াট উক্তি প্রচার করল জুনায়েদ বাবু নগরী

দেওবন্দী/কওমী/হেফাজতিদের গুরু জুনায়েদ বাবু নগরী তার মিলাদ বিরোধী লিখায় বাদশাহ আবু সাঈদ মুজাফফার রহমতুল্লাহি আলাইহি  এবং আবু খাত্তাব উমর ইবনে দিহইয়া রহমতুল্লাহি আলাইহি কে অপব্যয়ী ও দ্বীনের প্রতি উদাসীন হিসেবে প্রমাণ করতে ব্যস্ত হয়ে লিখে
১.“তিনি ছিলেন এক অপব্যয়ী বাদশা। তিনি নিজস্ব ইজতিহাদ ও অভিরুচি মতে আমল করার জন্য সমকালীন আলেমদের আদেশ দিতেন এবং অন্য ইমামের অনুসরণ না করার জন্য উৎসাহ যোগাতেন। ফলে (স্বার্থপর) আলেমদের একটি দলকে তিনি বাগিয়ে নিয়েছিলেন। তিনি প্রতি রবীউল আউওয়াল মাসে মীলাদ অনুষ্ঠানের আয়োজন করতেন। সেই প্রথম বাদশা যিনি এই নবতর প্রথার ভিত্তি স্থাপন করেন।”নাউযুবিল্লাহ  (আল কাউলুল মু’তামাদ ফী আমালিল মাওলীদ, মিন্হাযুল ওয়াযিহ্-২৪৯)।
বিস্তারিত

দেওবন্দী , হেফাজতিদের গরু , হেফাজত নেতা জুনায়েদ বাবু নগরীর ঈদে মিলাদুননবী নিয়ে মিথ্যাচারের জবাব!!!

 দেওবন্দী , হেফাজতিদের গরু ,  হেফাজত নেতা জুনায়েদ বাবু নগরীর ঈদে মিলাদুননবী নিয়ে মিথ্যাচারের জবাব!!!


দেওবন্দী/কাওমী/হেফাজতিদের গুরু জুনায়েদ বাবু নগরী তার মিলাদ বিরোধী লিখায় শায়েখ আব্দুল আযীয দেহলবী রাহমাতুল্লাহি আলাইহি কে একজন মিলাদ বিরোধী হিসেবে উপস্থাপন করতে গিয়ে ভুল তথ্য দিয়ে লিখে –
১. “ হযরত শাহ্ আব্দুল আযীয মুহাদ্দিসে দেহলবী হানাফী রহমতুল্লাহি আলাইহি কে জিজ্ঞাসা করা হয়, রবীউল আউয়াল মাসে খাওয়া-দাওয়ার ব্যবস্থা করে এর সাওয়াব রাসলুল্লাহ্ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের রূহে পৌঁছানো, তেমনি মুহাররম মাসে হযরত হুসাইন আলাইহিস সালাম ও অন্যান্য আহলে বাইতের ঈসালে সাওয়াব উদ্দেশ্যে খানাপিনার আয়োজন করা কি জায়েয? উত্তরে তিনি বলেন, “নিজের আমলের সাওয়াব কোন বুযুর্গ ব্যক্তিকে বখশিশ করার ইখতিয়ার মানুষের আছে। তবে এর জন্য কোন মাস বা দিন-কাল নির্দিষ্ট করা বিদ্আত।“ (ফাতওয়ায়ে আযীযী-১৭৬)।
২. তিনি ‘তুহ্ফায়ে ইসনা আশারিয়া’ নামক গ্রন্থে মীলাদ উদযাপনকে শিয়াদের মুহাররম উদযাপনের সাথে তুলনা করে বলেন, “শিয়াদের সাদৃশ্য অবলম্বন থেকে দরে থাকা আবশ্যক।” (মাহনামায়ে দারুল উলূম, জানুয়ারী সংখ্যা, ১৯৮৯ইং)


বিস্তারিত

মোলভী আশরাফ থানভীর দৃষ্টিতে মীলাদের কিয়াম মুস্তাহাব

মোলভী আশরাফ থানভীর দৃষ্টিতে মীলাদের কিয়াম মুস্তাহাব

তার লিখিত “তাবলীগ” নামক পুস্তিকাটিতে মীলাদের সময় কিয়াম করাকে বিদয়াত বা নিন্দনীয় কাজ নয় বরং তা মুস্তাহাব বলে ফতোয়া দিয়েছে । মৌলভী আশরাফ থানভীর ভক্ত, মুরীদ ও অনুগত শিষ্যরা ভারত উপমহাদেশে অনেক দ্বীনি মাদরাসা প্রতিষ্ঠা করেছে । যেগুলো কওমী বা ওহাবী মাদরাসা নামে সর্বজন পরিচিত । 
  • আর এ সব মাদরাসায় উক্ত “তাবলীগ” নামক পুস্তিকাটি সিলেবাস ভুক্ত করে পাঠ দান করা হয় । উক্ত বইয়ের ৩৮ পৃষ্ঠায় মৌলভী আশরাফ থানভী বলে- অর্থাৎ- “ এভাবে কিয়াম করাকে আমরা অবৈধ বলি না বরং কোথাও রাসুলে করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের জন্ম বৃত্তান্ত আলোচনা কালে দাঁড়িয়ে যায়, আবার কখনো তার দুগ্ধ পানের ঘটনা বলার সময়, আবার কখনো মি’রাজুন্নবীর আলোকপাত কালে, এমনিভাবে কোন কোন খাস মাহফিলে ৩/৪ বারও কিয়াম করে থাকেন । তবে এরুপ মীলাদে কিয়াম করাকে কে নিষেধ করবে ?”
বিস্তারিত