হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি নিজের মহাপবিত্র মীলাদ শরীফের আলোচনা করেছেন

বাতিল ফির্কার লোকেরা বলে পবিত্র মীলাদ শরীফ পাঠ করা বিদয়াত। নাউযুবিল্লাহ। অথচ তারা স্বল্প জ্ঞানের কারনে অনেক দলীলই খুঁজে পায় না। এমন হাদীছ শরীফ আছে যার থেকে প্রমাণ হয় স্বয়ং সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, হাবীবুল্লাহ হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি  নিজের মহাপবিত্র মীলাদ শরীফের  আলোচনা করেছেন। হাদীছ শরীফে  বর্ণিত আছে,

عن عائشة قالت : تذاكر رسول الله صلى الله عليه و سلم وأبو بكر ميلادهما عندي وكان رسول الله صلى الله عليه و سلم أكبر من أبي بكر فتوفي رسول الله صلى الله عليه و سلم وهو ابن ثلاث وستين [ وتوفي أبو بكر رضي الله عنه وهو ابن ثلاث وستين ] لسنتين ونصف التي عاش بعد رسول الله صلى الله عليه و سلم . يعني أبا بكر 

অর্থ: উম্মুল মু’মিনিন হযরত আয়েশা ছিদ্দীকা আলাইহাস সালাম তিনি বর্ণনা করেন, আমার কাছে  হাবীবুল্লাহ হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি এবং  হযরত ছিদ্দীকে আকবর আবু বকর ছিদ্দীক আলাইহিস সালাম উনারা  নিজেদের পবিত্র মীলাদ শরীফ বিষয়ে আলোচনা করেছেন। হাবীবুল্লাহ হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি  হযরত সিদ্দীকে আকবর আলাইহিস সালাম উনার থেকে বড় ছিলেন। হাবীবুল্লাহ হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ৬৩ বছর বয়স মুবারকে পর্দা করেন। (হযরত সিদ্দীকে আকবর আলাইহিস সালাম তিনিও ৬৩ বছর বয়সে বিছাল শরীফ প্রকাশ করেন) তিনি হাবীবুল্লাহ হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পরে আড়াই বছর দুনিয়াতে অবস্থান করেন। 

(মুজামুল কবীর তাবরানী ১/৫৮ : হাদীছ শরীফ ২৮, মাযমাউয যাওয়ায়েদ ৯/৫২: হাদীছ শরীফ নং ১৪৩৯২; প্রকাশনা: দারুল ফিকর বাইরুত লেবানন, আল ইছাবা লি ইবনে হাজার ৪/১৬৯, সিরাতুন নাবাবিয়া ইবনে কাছীর ৪/৫১২, বিদায়া ওয়ান নিহায়া ৫/২৭৮, তারীখে মাদীনাতু দিমাষ্ক ৩০/২৬)

ইমাম হযরত নুরুদ্দীন ইবনে হাজার হায়তামী রহমতুল্লাহি আলাইহি উপরোক্ত হাদীছ শরীফখানা বর্ণনা করে বলেন,

  رواه الطبراني وإسناده حسن

ইমাম হযরত তাবরানী রহমতুল্লাহি আলাইহি এটা বর্ণনা করেন, বর্ণনাটির সনদ হাসান। (মাযমাউয যাওয়ায়েদ ৯/৫২: হাদীছ শরীফ নং ১৪৩৯২)

উপরোক্ত নির্ভরযোগ্য বর্ণনা থেকে প্রমাণ হলো, স্বয়ং হাবীবুল্লাহ হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি এবং খলীফাতু রসূলিল্লাহ হযরত সিদ্দীকে আকবর আলাইহিস সালাম উনারা  নিজেদের সম্মানিত মীলাদ শরীফ বা পবিত্র বিলাদত শরীফের আলোচনা করতেন। সুতরাং প্রমাণ হলো পবিত্র মীলাদুন্নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের আলোচনা  করা খাছ সুন্নত । সুবহানাল্লাহ।

পূর্ববর্তী পোস্ট
পরবর্তী পোস্ট