ঈদে মীলাদুন্নবীর বিরোধীতাকারীদের নিয়ে কিছু কথা

কয়েকটি পেইজ থেকে ঈদে মীলাদুন নবীর বিরুদ্ধে একটি লেখা কপি করে ছড়ানো হচ্ছে। লেখাটির হেডিং “ঈদে মিলাদুন্নবি - একটি জঘন্য প্রথা” নাউযুবিল্লাহ।
ক) https://goo.gl/4GizCE
খ) https://goo.gl/tVpZBz
গ) https://goo.gl/sW8FDt

ঘ) https://goo.gl/tqEF75
ঙ) https://goo.gl/MZOZpc
আমি তাদের লেখাগুলো যাচাই করতে গেলাম। তাদের লেখাগুলো পড়ে অবাক হলাম। তারা ডাইরেক্ট সহিহ হাদীস অস্বীকার করে একজন নাস্তিককে দলিল হিসেবে পেশ করছে। যেমন তারা বলছে-

১) “রসুলুল্লাহ (সাঃ) থেকে স্বীয় জন্ম তারিখ সম্পর্কে কোন বিবরণ পাওয়া যায়না। তাঁর জীবনীকার দের মধ্যে তিনি কবে জন্ম গ্রহণ করেছেন তা নিয়ে মতভেদ আছে। অনেকের মতে তার জন্মদিন হল ১২ রবিউল আউয়াল। আবার অনেকের মতে ৯ রবিউল আউয়াল।”
কথাটা সম্পূর্ণ মিথ্যা। কেননা সহিহ হাদীসে আছে নবীজির বিলাদত ১২ই রবিউল অাউয়াল তারিখ (https://goo.gl/MWAefG)। বিষয়টি নিয়ে সমস্ত ইমাম মুজহাতিদগণ ইজমা করেছেন। বিখ্যাত জীবনীগ্রন্থেও তার বর্ণনা আছে (https://goo.gl/Fdf0H5) এ কারণেই এত বছর ধরে সারা বিশ্বজুড়ে ১২ই রবিউল আউয়াল তারিখে নবীজির পৃথিবীতে আগমণ দিবস পালন হয়ে আসছে। কিন্তু এ নতুন দলটি মুসলমানদের মধ্যে ফেৎনা তৈরী করতে নবীজির সম্পর্কে মিথ্যা ইতিহাস ছড়াচ্ছে। নাউযুবিল্লাহ।
২) অপরদিকে দেখুন, সহিহ হাদীস ডাইরেক্ট অস্বীকার করে মাহমুদ পাশা নামক এক জোতির্বিদের কথা মানছে তারা। অথচ মাহমুদ পাশা ছিলো কট্টর নাস্তিক্যবাদী আন্দোলনের নেতা। মাহমুদ পাশা যে নাস্তিক্যবাদী মিশরীয় রেনেসা’র নেতা ছিলো সে সম্পর্কে জানতে পড়ুন:https://goo.gl/gQcojv
৩) এরপর বলা হচ্ছে, “মাহমুদ পাশার এ গবেষণার বিপরীত এখন পর্যন্তু কেউ প্রমাণ করতে পারেনি।”
সম্পূর্ণ মিথ্যা কথা। অনেক ‍মুসলিম বিজ্ঞানী প্রমাণ করেছেন, ১২ই রবিউল আউয়াল তারিখ-ই হচ্ছে নবীজির বিলাদত দিবস। এ সম্পর্কে দুটো লেখা পড়তে পারেন:
ক) এস্ট্রোনোমিকেল প্রমান :১২ই রবিউল আউয়াল শরিফ সোমবারই নবিজীর আগমন দিবস (http://goo.gl/QadMGf)
খ) নবীজি যে দিন বিলাদত (জন্ম) গ্রহণ করেন সেই দিন চাদ কেমন ছিলো ??
(https://goo.gl/qJPXvb)
মূলত মাহমুদ পাশা চেয়েছিলো পবিত্র হাদীস শরীফ বিকৃত করে তথ্য উপস্থাপন করতে, আর বর্তমানে ঈদে মীলাদুন নবীর বিরোধীতারা নিজের নৈতিকতা বাদ দিয়ে সহিহ হাদীস বাদ দিয়ে নাস্তিককে রেফারেন্স হিসেবে গ্রহণ করেছে। যারা নবীজি সম্পর্কে এ ধরনের মিথ্যা বলতে পারে, তাদের কথা কখনই গ্রহণযো্গ্য হতে পারে না। আমার সন্দেহ হয়, এরা কি মুসলিম, নাকি মুসলিমবেশী ইহুদীদের চর ?
পূর্ববর্তী পোস্ট
পরবর্তী পোস্ট