বিখ্যাত মুহাদ্দিছ হযরত শায়েখ ওয়ালীউল্লাহ মুহাদ্দিছ দেহলবী রহমতুল্লাহি আলাইহি পবিত্র মীলাদ শরীফ সর্ম্পকে বলেন,



“এর পূর্বে আমি পবিত্র মক্কা মুয়াজ্জামাতে হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সুমহান বিলাদত শরীফের দিনে এমন একটি মীলাদ মাহফিলে অংশগ্রহন করলাম, যেখানে মানুষ উনার দরবারে দরূদ শরীফ ও সালামের হাদীয়া পেশ করছিলো এবং ঐ সকল ঘটনাসমূহ বর্ণনা করছিলো যা সুমহান বিলাদত শরীফের সময় প্রকাশ হয়েছিলো এবং সম্মানিত নবী হিসাবে আত্মপ্রকাশের আগে প্রকাশ পেয়েছিলো। হঠাৎ আমি দেখলাম, সেই মজলিসে নূর বর্ষিত হয়ে চলছে। আমি এ কথা বলছি না যে, কেবল রূহানী দৃষ্টিতে প্রত্যক্ষ করেছি। আল্লাহ পাক ভালো জানেন, এই দুই অবস্থার কোনটি কার্যকর ছিলো। মোটকথা, আমি সে নুর সর্ম্পকে চিন্তা ভাবনা ও ত্বত্ত তালাশ করলাম। আমার মধ্যে এই হাকীকত প্রকাশ পেলো যে, এই নূরগুলো সে সকল ফিরিশতা আলাইহিমুস সালাম যারা এই মাহফিলে উপস্থিত মানুষের সাথে মিলিত হবার নির্দেশ লাভ করেছিলো এবং নিয়োজিত হয়েছিলো। আর আমি এটাও প্রত্যক্ষ করেছি, ফিরিশতাদের নূর গুলো সাথে সাথে রহমতের নুরগুলো বর্ষিত হয়ে চলেছে।” (ফুয়ুজুল হারামইন ৩৩-৩৪ পৃষ্ঠা)

উপরোক্ত ঘটনা থেকে যা প্রমাণ হলো,
১) পবিত্র মক্কা শরীফে ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ পালন হতো।
২) পবিত্র বিলাদত শরীফের দিনে অনুস্ঠান হতো।
৩) মানুষজন সে দিনে সলাত সালাম ও ঘটনা সমূহ আলোচনা করতো।
৪) সে মাহফিল সমূহে ফিরিশতা আলাইহিমুস সালাম তাশরীফ আনতেন।
৫) মাহফিলে রহমতের নূর নাযিল হতো।
৬) সর্বজনমান্য বিখ্যাত মুহাদ্দিছ হযরত শায়েখ ওয়ালীউল্লাহ মুহাদ্দিছ দেহলবী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি নিজেও মাহফিলে অংশগ্রহন করে পালন করতেন।

সূতরাং যারা বিরোধীতা করে তাদের এখনি সাবধান হওয়া উচিত। বিরোধীতা করলে রহমত থেকে বঞ্চিত হতে হবে নিশ্চিত।