১. হানাফী মাযহাবের বিখ্যাত ইমাম হযরত ইমাম তাহাবী রহমতুল্লাহি আলাইহি (২২৯- ৩২১ হিজরী) তিনি বলেছেন,
ونقل الطحاوي عليه الرحمة في حواشي المختار عن بعض الشافعية أن أفضل الليالي ليلة مولده عليه الصلاة والسلام ثم ليلة القدر ثم ليلة الإسراء والمعراج ثم ليلة عرفة ثم ليلة الجمعة ثم ليلة النصف من شعبان ثم ليلة العيد
অর্থ: রাত সমূহের মধ্যে উত্তম রাত হচ্ছে পবিত্র মীলাদুন্নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের রাত, অতপর লাইলাতুল কদরের রাত, অতপর মিরাজ শরীফের রাত, অতপর আরাফার রাত, অতপর জুমুয়ার রাত, অতপর ১৫ শাবানের রাত, অতপর ঈদের রাত।”
(দলীল: স্ক্যান ক্যাপশন - তাফসীরে রুহুল মায়ানী ১৯/ ১৯৪, সূরা ক্বদরের তাফসীরে)
লক্ষ্যনীয় যে ইমাম তাহাবী রহমতুল্লাহি ১২০০ বছর আগের একজন জগৎবিখ্যাত ইমাম। সেই ইমাম তাহাবী রহতুল্লাহি আলাইহি তিনিও পবিত্র মীলাদুন্নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের ফযিলত সকল রাতের চাইতে বেশি সেটা বলে গেছেন।
২. হানাফী মাযহাবের বিখ্যাত ফতোয়ার কিতাব ‘রদ্দুল মুহতার আলা দুররুল মুখতার’ কিতাবে বর্ণিত আছে,
أَنَّ أَفْضَلَ اللَّيَالِي لَيْلَةُ مَوْلِدِهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ثُمَّ لَيْلَةُ الْقَدْرِ ، ثُمَّ لَيْلَةُ الْإِسْرَاءِ وَالْمِعْرَاجِ ، ثُمَّ لَيْلَةُ عَرَفَةَ ، ثُمَّ لَيْلَةُ الْجُمُعَةِ ، ثُمَّ لَيْلَةُ النِّصْفِ مِنْ شَعْبَانَ ، ثُمَّ لَيْلَةُ الْعِيدِ
অর্থ: রাত সমূহের মধ্যে উত্তম রাত হচ্ছে পবিত্র মীলাদুন্নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের রাত, অতপর লাইলাতুল কদরের রাত, অতপর মিরাজ শরীফের রাত, অতপর আরাফার রাত, অতপর জুমুয়ার রাত, অতপর ১৫ শাবানের রাত, অতপর ঈদের রাত।”
[দলীল: রদ্দুল মুহতার আলা দুররুল মুখতার ৮/২৮৫ (শামেলা) , পুরাতন ছাপা ৫০৫ পৃষ্ঠা]
৩.
قَالَ حَضْرَتِ الْاِمَامُ الشَّافِعِىُّ رَحِـمَهُ اللهُ مَنْ جَـمَعَ لِمَوْلِدِ النَّبِىّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اِخْوَانًا وَهَيَّاَ طَعَامًا وَاَخْلٰى مَكَانًا وَعَمَلَ اِحْسَانًا وَصَارَ سَبَبًا لّـِقِرَائَتِهٖ بَعَثَهُ اللهُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ مَعَ الصّدّيْقِيْنَ وَالشُّهَدَاءِ وَالصَّالِـحِيْنَ وَيَكُوْنُ فِىْ جَنَّاتِ النَّعِيْمِ.
অর্থ : শাফিয়ী মাযহাবের ইমাম হযরত ইমাম শাফিয়ী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, “যে ব্যক্তি মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র মীলাদ শরীফ উপলক্ষ্যে লোকজন একত্রিত করলো এবং খাদ্য তৈরি করলো ও জায়গা নির্দিষ্ট করলো এবং উত্তমভাবে (তথা সুন্নাহভিত্তিক) আমল করলো তাহলে উক্ত ব্যক্তিকে মহান আল্লাহ পাক তিনি হাশরের দিন ছিদ্দীক্ব, শহীদ, ছালিহীনগণ উনাদের সাথে উঠাবেন এবং উনার ঠিকানা হবে জান্নাতুন নায়ীমে।” সুবহানাল্লাহ! (আন নি’মাতুল কুবরা আলাল আলাম ফী মাওলিদি সাইয়্যিদি উইলদি আদম)
১. হযরত ইমাম তাহাবী একজন মুজতাহিদ শ্রেনীর আলেম।
২. এটা একটা মাযহাবের মুস্তাহিদের বক্তব্য।
৩. এটা ফিকাহের কিতাবেও আছে।
৪. সকল রাতের মধ্যে শ্রেষ্ঠ রাত হচ্ছে পবিত্র মীলাদুন্নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের রাত।
৫. অন্য সকল রাতের মর্যদা এই রাতে পরে।
৬. যারা বলে দুই ঈদা ছাড়া ঈদ নাই তাদের জ্ঞাতার্থে -ঈদের রাতের চাইতেও এ রাতের মর্যাদা বেশি।
৭. যারা পালন করবে তারা জান্নাতী
সূতরাং আমাদের উচিত এ রাতের যথাযথ সম্মান দেয়া, এবং অত্যান্ত মর্যাদার সাথে পালন করা।
http://eidmilaad.blogspot.com/