কুরআন শরীফে সুরা ইউনুস এর ৫৮ নং আয়াতে রহমত বলতে হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকেই বুঝানো হয়েছে


قُلْ بِفَضْلِ اللَّهِ وَبِرَحْمَتِهِ فَبِذَلِكَ فَلْيَفْرَحُوا هُوَ خَيْرٌ مِمَّا يَجْمَعُونَ
হে আমার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনি বলে দিন, মহান আল্লাহ পাক উনার অনুগ্রহ ও রহমত পাওয়ার কারনে খুশি প্রকাশ করো। এই খুশি প্রকাশ করা হচ্ছে সব কিছুর চাইতে উত্তম।(সূরা ইউনূছ: আয়াত শরীফ ৫৮)
অনেকে তাদের অজ্ঞতার কারণে বলতে চান এখানে রহমত বলতে হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বুঝানো হয়নি! নাউযুবিল্লাহ
এখন প্রমান করা হবে যে রহমত বলতে হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকেই বুঝানো হয়েছে।
১. ” নিশ্চয় আমি আপনাকে সারা আলমের জন্য রহমত স্বরুপ পাঠিয়েছি ” পবিত্র সুরা আম্বিয়া ১০৭। এই আয়াত শরীফে রহমত বলতে হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বুঝানো হয়েছে। 
২. ইমাম ইবনে জাওযি রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেনঃ
أن فضل الله: العلم، ورحمته: محمد صلى الله عليه وسلم، رواه الضحاك عن ابن عباس.
অর্থঃ ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু থেকে বর্নিত “ অনুগ্রহ বলতে কুরআন শরীফ, রহমত বলতে হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকেই বুঝানো হয়েছে। [যা’আদ আল মাসীর ফি ইলম আট তাফসীর ৪:৪০]
৩.ইমাম আবু হাইয়ান আল আন্দালুসি রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেন “
الفضل العلم والرحمة محمد صلى الله عليه وسلم
অর্থঃ অনুগ্রহ মানে জ্ঞান , রহমত বলতে হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকেই বুঝানো হয়েছে।( তাফসীর আল বাহর আল মুহীতঃ ৫/ ১৭১)
৪. ইমাম জালালুদ্দীন সুয়ুতী রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেনঃ
وأخرج أبو الشيخ عن ابن عباس رضي الله عنهما في الآية قال: فضل الله العلم، ورحمته محمد صلى الله عليه وسلم، قال الله تعالى { وما أرسلناك إلا رحمة للعالمين } [الأنبياء: ১০৭].
আবু শেখ রহমতুল্লাহি আলাইহি ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু থেকে বর্নিত “ অনুগ্রহ বলতে কুরআন শরীফ, রহমত বলতে হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকেই বুঝানো হয়েছে।আল্লাহ পাক বলেন” নিশ্চয় আমি আপনাকে সারা আলমের জন্য রহমত স্বরুপ পাঠিয়েছি ” পবিত্র সুরা আম্বিয়া ১০৭। [দূর আল মানসুর ৪:৩৩০]
৫.আল্লামা আলুসী রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেনঃ
وأخرج الخطيب وابن عساكر عنه تفسير الفضل بالنبـي عليه الصلاة والسلام
অনুগ্রহ বলতেও হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে বুঝানো হয়। (রুহুল মায়ানী ১১:১৪১)

অর্থাৎ রহমত বলতে যে  হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকেই বুঝানো হয়েছে তা নিঃসন্দেহে প্রমাণিত।
আর আল্লাহ পাক সে রহমত পাওয়ার কারণে খুশি প্রকাশ করতে বলেছেন।
আর খুশি মানে ঈদ।
কার ঈদ ?
হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে পাওয়ার কারণে ঈদ।
অর্থাৎ ঈদে মিলাদে হাবিবুল্লাহ  হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম।