আপনারা যে স্ক্যান করা ছবি দেখতে পাচ্ছেন তা দেওবন্দ সিলসিলার অন্যতম আশরাফ আলী থানবী রচিত “ইছলাহুর রসুম” কিতাবের।
উক্ত কিতাবে আশরাফ আলী থানবী ৩ প্রকার মিলাদ শরীফের কথা বলেছে। ১ম যে প্রকার সেখানে হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিলাদত শরীফের আলোচনা, আর্দশ মুবারক, মুজেজা মুবারক, প্রশংসা মুবারক ইত্যাদি আলোচনা। সেখানে শরীয়তের অাহকাম থেকে আলোচনা ও খারাপ কাজে নিষেধ করার বিষয় থাকবে। হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার জীবনী মুবারক আলোচনা হবে। এধরনের মীলাদ শরীফকে আশরাফ আলী থানবী জায়িয ও মুস্তাহাব বলেছে।
এখানে যে বিষয়টা লক্ষনীয় সেটা হচ্ছে আশরাফ আলী থানবী বলেছে, “হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু আনহুম থেকে মীলাদ শরীফের এই পদ্মতির বর্ণনা পাওয়া যায়।” (ইছলাহুর রসুম ১০১ পৃষ্ঠা)
উল্লেখ্য যে তাদের দাবী খায়রুল কুরুনে মীলাদের কোন অস্তিত্ব ছিলো না। কোন ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু আনহুম মীলাদ পালন করেন নাই। অথচ আশরাফ অালী থানবী নিজেই স্বীকার করলো, হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু আনহুম থেকে মীলাদ শরীফের এই পদ্মতির বর্ণনা পাওয়া যায়।
তাহলে বর্তমানে ঢালাও ভাবে যারা বিদয়াত বলে তারা কোন হিসাবে বিদয়াত বলে?
আর আমরা যে মীলাদ শরীফ অায়োজন করি সেখানেও হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিলাদত শরীফের আলোচনা, আর্দশ মুবারক, মুজেজা মুবারক, প্রশংসা মুবারক ইত্যাদি আলোচনা থাকে। সেখানে শরীয়তের অাহকাম থেকে আলোচনা ও খারাপ কাজে নিষেধ করার বিষয় থাকে। হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার জীবনী মুবারক আলোচনা হয়, সলাত সালাম পাঠ করা হয়। সূতরাং আশরাফ অালী থানবীর বক্তব্য দ্বারা প্রমাণ হলো, আমরা যা করি তা হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু আনহুম থেকে মীলাদ শরীফের সেই পদ্মতি। সুবহানাল্লাহ।
উক্ত কিতাবে আশরাফ অালী থানবী ২য় যে প্রকার মীলাদের কথা বলেছে সেটা হচ্ছে শরীয়তের খিলাপ কাজ হয়, কুরআন সুন্নাহর খেলাপ কাজ হয়, গান বাজনা সেটা পালন করা যাবে না। আমরা সেটা পালন করি না বরং তার প্রতিবাদ করি।
অতএব অামরা যারা কুরআন সুন্নাহ ও হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু আনহুম উনাদে তর্জ তরীকা অনুযায়ী মীলাদ শরীফ অায়োজন করি তার বিরোধীতা বাদ দিতে হবে। নচেত হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু আনহুম উনাদের আমলের বিরোধীতা হয়ে ঈমান নষ্টের কারন হবে। সূতরাং সাবধান।