যে কোন নিয়ামতের ওপর কৃতজ্ঞতা আদায় ও আনন্দ প্রকাশের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে - আশরাফ আলী থানবি

“ সন্দেহ নেই যে আল্লাহতায়ালার প্রতিটি নিয়ামত শোকর ও কৃতজ্ঞতার দাবী রাখে। ------- তন্মধ্যেও যদি এমন বিশেষ নিয়ামত হয় যা সমস্ত দীনি ও দুনিয়াবী নিয়ামতের উৎস। এ নিয়ামত হলো হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের শুভ আগমন । কারন জাগতিক সকল নিয়ামতের উৎস ও তিনিই। শুধু মুসলমানদের জন্য নয় বরং সমগ্র বিশজগতের জন্য। যেমন আল্লাহ পাক ইরশাদ করেন”  হে আমার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আমি আপনাকে সমগ্র জগতের জন্য রহমত স্বরূপ প্রেরন করেছি। (সূরা আম্বিয়া ১০৭) 
--------  সুতরাং রাসুলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সমগ্র বিশজগএর জন্য রহমত এবং উনার আগমন সর্বেশ্রেষ্ঠ নিয়ামত হওয়া প্রমান ও যুক্তির নিরিখে সুপ্রমানিত। যখন রাসুলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের অস্তিত্ব সকল নিয়ামতের উৎস। আর যে কোন নিয়ামতের উপর কৃতজ্ঞতা আদায় ও আনন্দ প্রকাশের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যেমন আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেন” قُلْ بِفَضْلِ اللّهِ وَبِرَحْمَتِهِ فَبِذَلِكَ فَلْيَفْرَحُواْ هُوَ خَيْرٌ مِّمَّا يَجْمَعُونَ.
অর্থাৎ (হে মুহম্মদ)! আপনি বলে দিন , তারা যেন শুধু আল্লাহর অনুগ্রহ ও দয়ার উপর আনন্দিত হয়। কারন, তা দুনিয়া ও দুনিয়ার সবকিছুর থেকে উত্তম”। 
এ আয়াতে আদেশসুচক ক্রিয়াপদ বিদ্যমান। তাতে আনন্দ প্রকাশের নইর্দেশ দেওয়া হয়েছে। দুতরাং এ আনন্দ প্রকাশের উপর কে নিশেধাজ্ঞা আরোপ করতে পারে? এমন কোণ মুসলমান আছে , যে রাসুলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের আগমনের উপর আনন্দিত হবেনা কিংবা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করবেনা? 
(তথ্য সুত্রঃ 
মুল বইঃ ঈদে মিলাদুন্নবী কী শরয়ী হাইসিয়ত, লিখকঃ আশরাফ আলী থানবী ,অনুবাদঃ মাওলানা আবু তাহের রাহমানীর অনুবাদকৃত ‘শরিয়তের দৃষ্টিতে ঈদে মিলাদুন্নবী’ , পৃঃ ৩৬,৩৭