পক্ষান্তরে পবিত্র মীলাদ শরীফ বিরোধী ওহাবী, সালাফী, খারিজী, লা-মাযহাবীদের জন্য তা গাত্রদাহের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। তারা চিন্তা করলো যে, তারা যে এতদিন মিথ্যা প্রবাকা-া করে এসেছে, ‘তিনযুগে মীলাদুন নবী ছিল না’ উক্ত কিতাব উনার বর্ণনা দ্বারা তাদের প্রদত্ত বক্তব্যসমূহ মিথ্যে বলে প্রমাণিত হয়ে গেল। যদিও তাদের উক্ত বক্তব্য অনেক আগেই মিথ্যে বলে প্রমাণিত হয়েছে। তাই তারা আদা পানি খেয়ে উঠেপড়ে লাগলো, কিভাবে উল্লিখিত বর্ণনাগুলোকে মিথ্যা ও জাল বানানো যায়। নাউযুবিল্লাহ!
আর তারা এ জঘন্য কাজের জন্য বেছে নেয় ‘আব্দুল মালেক’ নামের কট্টর মীলাদ শরীফ বিদ্বেষী ওহাবী, খারিজী, চরম মিথ্যুক, ধোঁকাবাজ, জালিয়াত এক মৌলোভীকে।
সেই ওহাবী, খারিজী, চরম মিথ্যুক, ধোঁকাবাজ ও জালিয়াত মৌলোভী ওহাবীদের একটি অখ্যাত মুখপত্র “আল কাউসারে মার্চ ২০০৭ সংখ্যায় একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। আর কিছুদিন পূর্বে এ প্রতিবেদনের কথাগুলোই বক্তব্য আকারে ভিত্তিও করে ইন্টারনেটে প্রকাশ করে। যার পুরোটাই মিথ্যা, প্রতারণা, ধোঁকা ও জালিয়াতিতে পরিপূর্ণ।
উক্ত মিথ্যাচারপূর্ণ প্রতিবেদনে বিশ্ব সমাদৃত, সর্বজন স্বীকৃত ও গ্রহণযোগ্য কিতাব- “আন নি’মাতুল কুবরা আলাল আলাম ফী মাওলিদি সাইয়্যিদি ওলাদি আদম” ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! উনার মধ্যে উল্লিখিত বর্ণনাসমূহের সমালোচনা করতে গিয়ে লিখেছে, ‘আল বাইয়্যিনাত শরীফে যে নি’মাতুল কুবরা উনার উদ্ধৃতি দেয়া হয়েছে, সে কিতাবটি জাল- তাদের কাছে আসল নি’মাতুল কুবরা উনার পা-ুলিপির ফটোকপি রয়েছে, যাতে উল্লিখিত বর্ণনাসমূহ নেই।’ নাউযুবিল্লাহ! লা’নাতুল্লাহি আলাল কাযিবীন! লা-হাওলা পড়–ন!
বিষয়টি আমাদের নজরে আসে। আমরা ‘আল কাউসার’ কর্তৃপক্ষের কাছে কর্নেল (অব.) যোবায়েরুল্লাহ নামে এক ব্যক্তিকে পাঠাই তাদের কথিত আসল পা-ুলিপির ফটোকপি নিয়ে আসার জন্য। তারা উনাকে জানায়, পা-ুলিপিটি এখন কোথায় আছে তা তাদের জানা নেই। উনাকে তারা আরেকদিন যেতে বলে এবং উক্ত কিতাবের ফটোকপি দেয়ার কথাও ব্যক্ত করে। তাদের কথা মতে কর্নেল সাহেব আরেক দিন যান। সেদিনও তারা নানান টালবাহানা করে উনাকে ফিরিয়ে দেয়। এভাবে অনেকের মাধ্যমে অনেক চেষ্টা করেও তাদের কথিত আসল পা-ুলিপির কোনো কপি সংগ্রহ করা সম্ভব হয়নি। যার কারণে তাদের উক্ত মিথ্যাচারিতার জবাব দিতেও আমাদের অনেকটা বিলম্ব হয়ে যায়।
এরই মধ্যে তারা “ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার উৎপত্তি, ভিত্তি ও আপত্তি” নামক একটি রেসালার শেষ দিকে তাদের কথিত আসল পা-ুলিপির ২টি পৃষ্ঠা ছাপিয়ে প্রকাশ করে।
এখন দেশবাসীর নিকট আমাদের প্রশ্ন:
(১). তারা যদি সত্যবাদিই হয়ে থাকে আর তাদের নিকট যদি সত্যিই আসল পা-ুলিপি থেকে থাকে, তবে তারা কর্নেল (অব.) যোবায়েরুল্লাহ সাহেবের সাথে এরূপ ছল-চাতুরী করলো কেন?
(২). যদি তারা মিথ্যাবাদী না হয়, তবে বর্তমান মিডিয়া ও ইন্টারনেটের যুগে তাদের কথিত আসল পা-ুলিপিটি এখনো পর্যন্ত মিডিয়ায় প্রকাশ করতে পারলো না কেন?
(৩). তারা তাদের কথিত আসল পা-ুলিপির যে ২টি পৃষ্ঠা কিতাবে প্রকাশ করেছে, তা যে আসল পা-ুলিপির ফটোকপি তারই বা প্রমাণ কি?
(৪). তারা “দারুল কুতুবিল মিছরিয়্যায়” সংরক্ষিত যে পা-ুলিপির কথা বলছে, সেটাই যে আসল এবং ইবনে হাজার হাইতামী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার নিজ হাতে লেখা তারইবা কি প্রমাণ তাদের কাছে আছে?
(৫). ‘দারুল কুতুবিল মিছরিয়্যাহ’ যে জালিয়াতি করে ইবনে হাজার হাইতামী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার নাম ব্যবহার করে উক্ত পা-ুলিপিটি জাল করে নাই, তারইবা নিশ্চয়তা কি?
(৬). ‘মাকতাবাতুল হাক্বীক্বাহ’ প্রকাশনীটি কট্টর বিদয়াতপন্থী কুফর শিরক প্রচারকারী। আর ‘দারুল কুতুবিল মিছরিয়্যাহ’ ধোয়া তুলসি পাতা তাই না? পবিত্র মীলাদ শরীফ উনার পক্ষে হলেই বিদয়াত শিরক কুফর প্রচারকারী, আর পবিত্র মীলাদ শরীফ উনার বিরুদ্ধে হলেই পাক্কা সুন্নী। এটাই কি তাহলে তাদের মূলনীতি? নাউযুবিল্লাহ!