সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ খুশির দিন মহাপবিত্র ১২ই রবীউল আউওয়াল শরীফ উনার সারারাত্র মাহফিল শরীফ তথা ফালয়াফরাহু শরীফ পালন করার জন্য মাগরিবের সময় জয়তুন তেল শরীরে মাখিয়ে গোলাপ পানি যুক্ত হাম্মামখানায় গোসল সেরে নিতে হবে। তারপর উত্তমরুপে আতর সহ অন্যান্য সুঘ্রাণযুক্ত সহকারে নিজেকে এবং নিজ পোশাক সুরভিত করে সর্বাগ্রে খুশী প্রকাশ করে মিষ্টান্ন গ্রহণ করতে হবে।
তারপর ময়দানে গিয়ে মাহফিলে উপস্থিত হয়ে সকলে একত্রে মিলাদ শরীফ পাঠ করবেন। তারপর সারাদিন সাইয়্যিদুল আইয়্যাদ শরীফ
উপলক্ষে দফায় দফায় মজলিস করে কোটি কোটি মানুষ সহ ছলাত সালাম পেশ করত: তাবারুক বিতরণ করবেন। অত:পর বাড়িতে বাড়িতে যেমন প্রতিবেশী আত্মীয় স্বজনদের গৃহে দুই ঈদের চাইতেও অধিক সাড়ম্বর আয়োজনে তাবারুক পাক করে প্রেরণ করবেন। বিশেষ করে ঐদিন দুনিয়ার বুকে সবচেয়ে বড় হালাল কুরবানীর প্রাণী যেমন সবচেয়ে বড় উট, সবচেয়ে বড় গরু, সবচেয়ে বড় মহিষ নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযুর পাক ছল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার জন্য এবং উনার মহাসম্মানিত হযরত আহলে বাইত শরীফ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের ইসমে জাত পাক মুবারকে কুরবানী দিতে হবে। সামরিক বাহিনীর সদস্যরা সেদিন আলাদাভাবে সামরিক সম্মান তথা কুচকাওয়াজের ব্যবস্থা করবেন। সমাজের সর্বস্তরের মানুষেরা একজন আরেকজনের সাথে মুয়ানাকা করবেন। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার লক্বব মুবারক দিয়ে তাকবীর ধ্বনি উচ্চারণ করবেন। এতো অধিক খুশি প্রকাশ করতে হবে যা হবে বেমেছাল। আশেপাশে আর কোন মানুষ যেন সেদিন সুখাদ্য গ্রহন থেকে বঞ্চিত না থাকে তা দেখতে হবে। সবাই এতো খুশী প্রকাশ করবেন যেন স্বয়ং মহান আল্লাহ পাক উনাকে হাছিল করেছেন।