কেন মুসলমান নির্যাতিত হচ্ছেন? কি এর প্রতিকার?

আজকে সারা বিশ্বে মুসলমান সারা বিশ্বে কাফির-মুশরিক কতৃক নির্যাতিত।  সম্প্রতি মায়ানমারে জালিম বৌদ্ধ সন্ত্রাসীরা মুসলমানদের কঠিন নির্যাতন করছে।কিন্তু কেন এমন আযাব ? তার কারন আমরা খুজে দেখিনা ।মুলত যত আযাব-গযব তা মানুষের পাপের কারনেই হয় ।  মহান আল্লাহ  পাক ইরশাদ মুবারক করেন-
১. “‘জমিনে -পানিতে বিপর্যয় ছড়িয়ে পড়েছে মানুষের কৃতকর্মের দরুন। এর দ্বারা আল্লাহ তাদের কিছু কিছু কর্মের শাস্তি আস্বাদন করাতে চান, যাতে তারা (সরল পথে) ফিরে আসে’ (রূম ৩০/৪১)। । 
২.  “আমি কত জনপদ ধ্বংস করেছি এমতাবস্থায় যে, তারা ছিল গোনাহগার। এই সব জনপদ এখন ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে এবং কত কূপ পরিত্যক্ত হয়েছে ও কত সুদৃঢ় প্রাসাদ ধ্বংস হয়েছে”। পবিত্র সুরা হজ্ব শরিফ- আয়াত শরিফ  ৪৫ 
৩. “তোমাদেরকে যেসব বিপদাপদ স্পর্শ করে, সেগুলি তোমাদের কৃতকর্মের ফল। তবে অনেক পাপ আল্লাহ ক্ষমা করে থাকেন’ (শূরা ৪২/৩০)।

বান্দা কোন অন্যায় করলে আল্লাহ নাখোশ হন। কিন্তু অধিকাংশ সময় ক্ষমা করে দেন ও প্রতিশোধ নেন না। কিন্তু অবাধ্যতা সীমা ছাড়িয়ে যেতে থাকলে তিনি মাঝে-মধ্যে শাস্তি নামিয়ে দেন, যাকে আমরা ‘আল্লাহর গযব’ বলে থাকি। আল্লাহর সেই গযব হয় অতীব কঠোর, যাকে ঠেকানোর ক্ষমতা বান্দার থাকে না। 
বর্তমান প্রেক্ষাপটে আমরা যদি আমাদের দেশের দিকে তাকাই তাহলে এই পবিত্র কোরান শরিফ উনার হাকিকী অর্থ মুবারকের পরিপুর্ন প্রকাশ দেখতে  পাই । আমরা নিজেদের মুসলমান হিসেবে পরিচয় দেই কিন্তু আমাদের আসলে কি মুসলমানিত্ব আছে ? কয়জন আমরা ইসলাম উনাকে মানি, পালন করি ? 
আজ মুসলমানের মাঝে গনহারে বদআক্বিদা, বেপর্দা ,ছবি তোলা , টিভি দেখা, বেহায়াপনা , অশ্লীলতা , পরকিয়া , ব্যবিচার, নাস্তিকতা , ধর্মব্যবসা, হারাম গনতন্ত্র , হরতাল , লং মার্চ , অবরোধ, গান-বাজনা, খেলাধুলা , সুদ-ঘুষ , মাদক , মারামারি , কাটাকাটি ইত্যাদি যত ইসলাম বিরুদ্ধ কাজ আছে তা গণহারে প্রবেশ করছে । মুসলমান হারামে এত মশগুল যে হালাল কি তা ভুলেই গেছে । ধর্মব্যবসায়ী , বাতিল ফিরকাদের কারনে আজ মানুষ পবিত্র মিলাদ শরীফ, পবিত্র ঈদে মিলাদে হাবীবি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন তো করেইনা, উলটা বিরোধীতা করে নাউযুবিল্লাহ । 
মানুষ ভুলে গেছে যে  এই দুনিয়ার ভোগ-বিলাস ছেড়ে একদিন চলে যেতে হইবে। আজ  ইসলাম উনার কথা  বলতে গেলে মানুষ বিরক্ত হয় । আজ আমরা নামে মুসলমান । 
তাহলে আমাদের কি করতে হইবে ? 
আমরা যদি এসকল দুর্যোগ হতে নিরাপদে থাকতে চাই তাহলে আমাদের সকল হারাম কাজ বাদ দিয়ে  তওবা-ইস্তিগফার করে হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আদর্শ গ্রহণ করতে হবে। মুসলমানদের হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু  আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে নিসবত(সম্পর্ক) জোরদার করতে হবে। যার সর্বোত্তম মাধ্যম  বেশি বেশি করে পবিত্র ঈদে মিলাদে হাবীবি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন এবং পবিত্র  মিলাদ শরিফ পাঠ করা । তাহলে মহান আল্লাহ পাক আমাদের কুদরতিভাবে আমাদের হিফাযত করবেন । মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ করেন,  “যারা আল্লাহ পাক এবং উনার হাবীব হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদেরকে মানলো, ইস্তিকামত থাকলো উনাদের জন্য গায়েবী মদদ, ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম দিয়ে সাহায্য করা হবে”।
মহান আল্লাহ পাক এবং নুরে মুজাসসাম হাবিবুল্লাহ হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনারা আমাদের সকলকে পবিত্র ঈদে মিলাদে হাবীবি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এবং বেশি বেশি করে পবিত্র মিলাদ শরীফ পাঠ করার তাওফিক দান করুন--- আমীন।