ষষ্ঠ হিজরী শতাব্দীর বিশ্বখ্যাত আলিমে দ্বীন হযরত ইমাম ফখরুদ্দীন রাযী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন-
مَا مِنْ شَخْصٍ قَرَاَ مَوْلِدَ النَّبِىّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلٰى مِلْحٍ اَوْ بُرّ اَوْ شَىْءٍ اٰخَرَ مِنَ الْمَأْكُوْلَاتِ اِلَّا ظَهَرَتْ فِيْهِ الْبَركَةُ فِىْ كُلّ شَىْءٍ.
অর্থ : “যে ব্যক্তি পবিত্র মীলাদ শরীফ পাঠ করে বা পবিত্র মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উদযাপন করে, লবণ, গম বা অন্য কোন খাদ্যদ্রব্যের উপর ফুঁক দেয়, তাহলে এই খাদ্যদ্রব্যে অবশ্যই বরকত প্রকাশ পাবে। এভাবে যে কোন কিছুর উপরই পাঠ করুক না কেন।” (তাতে বরকত হবেই)। সুবহানাল্লাহ! (আন নি’মাতুল কুবরা আলাল আলাম ফী মাওলিদি সাইয়্যিদি উইলদি আদম- ৯ম পৃষ্ঠা)
হযরত ইমাম ফখরুদ্দীন রাযী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি আরো বলেন,
وَصَلَ اِلَيْهِ مِنْ ذٰلِكَ الْمَأْكُوْلِ فَاِنَّهٗ يَضْطَرِبُ وَلَا يَسْتَقِرُّ حَتّٰى يَغْفِرَ اللهُ لاِٰكِلِهٖ.
অর্থ : “উক্ত মুবারক খাদ্য পবিত্র মীলাদ শরীফ পাঠকারী উনার বা পবিত্র মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উদযাপনকারী উনাদের জন্য মহান আল্লাহ পাক উনার নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করে, এমনকি তাঁকে ক্ষমা না করা পর্যন্ত সে ক্ষান্ত হয়না।” সুবহানাল্লাহ! (আন নি’মাতুল কুবরা আলাল আলাম ফী মাওলিদি সাইয়্যিদি উইলদি আদম- ৯ম পৃষ্ঠা)
হযরত ইমাম ফখরুদ্দীন রাযী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি আরো বলেন-
وَاِنْ قُرِئَ مَوْلِدُ النَّبِىِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلٰى مَاءٍ فَمَنْ شَرِبَ مِنْ ذٰلِكَ الْـمَاءِ دَخَلَ قَلْبَهٗ اَلْفُ نُوْرٍ وَّرَحَـمَةٍ وَخَرَجَ مِنْهُ اَلْفُ غِلّ وَّعِلَّةٍ وَلَايَـمُوْتُ ذٰلِكَ الْقَلْبُ يَوْمَ تَـمُوْتُ الْقُلُوْبُ.
অর্থ : “যদি পবিত্র মীলাদ শরীফ পাঠ করে বা পবিত্র মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উদযাপন করে কোন পানিতে ফুঁক দেয়, অতঃপর উক্ত পানি কেউ পান করে তাহলে উনার অন্তরে এক হাজার নূর ও রহমত প্রবেশ করবে। আর উনার থেকে হাজারটি বাহ্যিক ও অভ্যন্তরীণ রোগ দূর হবে। যে দিন সমস্ত ক্বলব (মানুষ) মৃত্যুবরণ করবে সেদিনও ওই পবিত্র মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পানি পানকারী ব্যক্তির অন্তর মৃত্যুবরণ করবেনা।” সুবহানাল্লাহ! (আন নি’মাতুল কুবরা আলাল আলাম ফী মাওলিদি সাইয়্যিদি উইলদি আদম- ৯ম পৃষ্ঠা)
হযরত ইমাম ফখরুদ্দীন রাযী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি আরো বলেন-
وَمَنْ قَرَأَ مَوْلِدَ النَّبِىّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلٰى دَرَاهِمَ مَسْكُوْكَةٍ فِضَّةٍ كَانَتْ اَوْ ذَهَبًا وَخَلَطَ تِلْكَ الدَّرَاهِم بِغَيْرِهَا وَقَعَتْ فِيْهَا الْبَرْكَةُ وَلَا يَفْتَقِرُ صَاحِبُهَا وَلَا تَفْرُغُ يَدُهٗ بِبَرْكَةِ النَّبِىّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ.
অর্থ : “যে ব্যক্তি পবিত্র মীলাদ শরীফ পাঠ করে বা পবিত্র মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উদযাপন করে রৌপ্যের দিরহামসমূহ অথবা স্বর্ণের দিনারসমূহের উপর ফুঁক দেয় অতঃপর তা অন্য জাতীয় মুদ্রার সাথে মিশায় তাহলে তাতে অবশ্যই বরকত হবে এবং এর পাঠক কখনই ফকীর হবে না। আর উক্ত পাঠকের হাত নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার (পবিত্র মীলাদ শরীফ পাঠের) বরকতে কখনো খালি হবে না।” সুবহানাল্লাহ! (আন নি’মাতুল কুবরা আলাল আলাম ফী মাওলিদি সাইয়্যিদি উইলদি আদম- ৯ম পৃষ্ঠা)
ষষ্ঠ হিজরী শতকে মিশরের সুলতান পবিত্র ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উদযাপন করতেন। এ দিবসে হাজার হাজার স্বর্ণমুদ্রা ব্যয় করতেন। যার সাক্ষী হলেন হযরত ইবনে জাওযী রহমতুল্লাহি আলাইহি। সুলতান আবূ হামু মুসা তালামসানী এবং পূর্বেকার আন্দালুস ও আকসার শাসকেরা পবিত্র ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করতেন। আবদুল্লাহ তন্সী সুম্মা তালামসানী এ উদযাপনের উপর বিস্তারিত একটি কিতাব লিখেছেন যার নাম দিয়েছেন “রাহ আল আরওয়াহ”। (সুবুলুল হুদা ওয়ার রাশাদ ফি সিরাতি খাইরিল ইবাদ লি মুহম্মদ বিন আলী ইউসুফ দামিস্কী; আদ্দূররুল মুনাজ্জাম ফি হুকমী মাওলিদিন নাবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম; আনওয়ারুস সাতিয়া ১৩০৭ হিজরী, পৃষ্ঠা ২৬১; ওয়াফইয়াতুদ দায়ান আনবা আবনাউয যামান, কায়রো; মুহাম্মদুর রসূলিল্লাহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, লেখক : আল্লামা মুহম্মদ রাজা মিস্র্রী, লাহোর, পৃষ্ঠা ৩৩)
হাফিজুল হাদীছ আবুল ফয়েয হযরত আব্দুর রহমান ইবনুল জাওযী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি লিখেন,
لَازَالَ اَهْلُ الْـحَرَمَيْنِ الشَّرِيْفَيْنِ وَالْـمِصْرِ وَالْيَمَنِ وَالشَّامِ وَسَائِرِ بِلَادِ الْعَرَبِ مِنَ الْـمَشْرِقِ وَالْـمَغْرِبِ يَـحْتَفِلُوْنَ بِـمَجْلِسِ مَوْلِدِ النَّبِىّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَيَفْرَحُوْنَ بِقُدُوْمِ هِلَالِ رَبِيْعِ الْاَوَّلِ وَيَغْتَسِلُوْنَ وَيَلْبَسُوْنَ الثّيَابَ الْفَاخِرَةَ وَيَتَزَيّـِنُوْنَ بِاَنْوَاعِ الزّيْنَةِ وَيَتَطَيّـِبُوْنَ وَيَكْتَحِلُوْنَ وَيَأْتُوْنَ بِالسُّرُوْرِ فِىْ هٰذِهِ الْاَيَّامِ وَيَبْذُلُوْنَ عَلَى النَّاسِ بِـمَا كَانَ عِنْدَهُمْ مِنَ الْـمَضْرُوْبِ وَالْاَجْنَاسِ وَيَهْتَمُّوْنَ اِهْتِمَامًا بَلِيْغًا عَلَى السّمَاعِ وَالْقِرَاءَةِ لِـمَوْلِدِ النَّبِىّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَيَنَالُوْنَ بِذَالِكَ اَجْرًا جَزِيْلًا وَفَوْزًا عَظِيْمًا.
অর্থ : “হারামাইন শরীফাইন, মিশর, ইয়ামেন, সিরিয়া এবং পূর্ব থেকে পশ্চিম পর্যন্ত আরবের সকল শহর ও নগরের অধিবাসীদের মধ্যে অব্যাহতভাবে এ নিয়ম চলে আসছে যে, তারা নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র মীলাদ শরীফ উনার অনুষ্ঠান করেছেন। পবিত্র রবীউল আউওয়াল শরীফ উনার নতুন চাঁদের আগমনে আনন্দিত হন, গোসল করেন, দামী পোশাক পরিধান করেন, নানা প্রকার সাজ-সজ্জা করেন, সুগন্ধি ব্যবহার করেন, সুরমা লাগান, এই দিনগুলোতে আনন্দ উৎসব করেন, ধন-সম্পদ, টাকা-পয়সা মানুষের মধ্যে বিলিয়ে দেন এবং অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে পবিত্র মীলাদ শরীফ পাঠ ও শ্রবণের ব্যবস্থা করে অধিক ছাওয়াব এবং বিরাট সাফল্য অর্জন করেন। উনারা পবিত্র ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করে যে নিরাপত্তা ও স্বস্তি, জীবিকার মানোন্নয়ন, শিশু ও সম্পদ বৃদ্ধি এবং শহরের শান্তি ও উনাদের সাফল্য অর্জন করেছেন তা প্রকাশ করতেন।” (তাফসীরে রূহুল বয়ান লি শেখ ইসমাইল হাক্কী রহমতুল্লাহি আলাইহি- ৯ম খ-, পৃষ্ঠা ৫৬; মীলাদুল উরুস- উর্দু “বয়ান-ই-মিলাদুন নবী”, পৃষ্ঠা ৩৪-৩৫, লাহোর; দুররুল মুনাজ্জাম, পৃষ্ঠা ১০০-১০১; মীলাদুন নবী, পৃষ্ঠা ৫৮)
مَا مِنْ شَخْصٍ قَرَاَ مَوْلِدَ النَّبِىّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلٰى مِلْحٍ اَوْ بُرّ اَوْ شَىْءٍ اٰخَرَ مِنَ الْمَأْكُوْلَاتِ اِلَّا ظَهَرَتْ فِيْهِ الْبَركَةُ فِىْ كُلّ شَىْءٍ.
অর্থ : “যে ব্যক্তি পবিত্র মীলাদ শরীফ পাঠ করে বা পবিত্র মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উদযাপন করে, লবণ, গম বা অন্য কোন খাদ্যদ্রব্যের উপর ফুঁক দেয়, তাহলে এই খাদ্যদ্রব্যে অবশ্যই বরকত প্রকাশ পাবে। এভাবে যে কোন কিছুর উপরই পাঠ করুক না কেন।” (তাতে বরকত হবেই)। সুবহানাল্লাহ! (আন নি’মাতুল কুবরা আলাল আলাম ফী মাওলিদি সাইয়্যিদি উইলদি আদম- ৯ম পৃষ্ঠা)
হযরত ইমাম ফখরুদ্দীন রাযী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি আরো বলেন,
وَصَلَ اِلَيْهِ مِنْ ذٰلِكَ الْمَأْكُوْلِ فَاِنَّهٗ يَضْطَرِبُ وَلَا يَسْتَقِرُّ حَتّٰى يَغْفِرَ اللهُ لاِٰكِلِهٖ.
অর্থ : “উক্ত মুবারক খাদ্য পবিত্র মীলাদ শরীফ পাঠকারী উনার বা পবিত্র মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উদযাপনকারী উনাদের জন্য মহান আল্লাহ পাক উনার নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করে, এমনকি তাঁকে ক্ষমা না করা পর্যন্ত সে ক্ষান্ত হয়না।” সুবহানাল্লাহ! (আন নি’মাতুল কুবরা আলাল আলাম ফী মাওলিদি সাইয়্যিদি উইলদি আদম- ৯ম পৃষ্ঠা)
হযরত ইমাম ফখরুদ্দীন রাযী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি আরো বলেন-
وَاِنْ قُرِئَ مَوْلِدُ النَّبِىِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلٰى مَاءٍ فَمَنْ شَرِبَ مِنْ ذٰلِكَ الْـمَاءِ دَخَلَ قَلْبَهٗ اَلْفُ نُوْرٍ وَّرَحَـمَةٍ وَخَرَجَ مِنْهُ اَلْفُ غِلّ وَّعِلَّةٍ وَلَايَـمُوْتُ ذٰلِكَ الْقَلْبُ يَوْمَ تَـمُوْتُ الْقُلُوْبُ.
অর্থ : “যদি পবিত্র মীলাদ শরীফ পাঠ করে বা পবিত্র মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উদযাপন করে কোন পানিতে ফুঁক দেয়, অতঃপর উক্ত পানি কেউ পান করে তাহলে উনার অন্তরে এক হাজার নূর ও রহমত প্রবেশ করবে। আর উনার থেকে হাজারটি বাহ্যিক ও অভ্যন্তরীণ রোগ দূর হবে। যে দিন সমস্ত ক্বলব (মানুষ) মৃত্যুবরণ করবে সেদিনও ওই পবিত্র মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পানি পানকারী ব্যক্তির অন্তর মৃত্যুবরণ করবেনা।” সুবহানাল্লাহ! (আন নি’মাতুল কুবরা আলাল আলাম ফী মাওলিদি সাইয়্যিদি উইলদি আদম- ৯ম পৃষ্ঠা)
হযরত ইমাম ফখরুদ্দীন রাযী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি আরো বলেন-
وَمَنْ قَرَأَ مَوْلِدَ النَّبِىّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلٰى دَرَاهِمَ مَسْكُوْكَةٍ فِضَّةٍ كَانَتْ اَوْ ذَهَبًا وَخَلَطَ تِلْكَ الدَّرَاهِم بِغَيْرِهَا وَقَعَتْ فِيْهَا الْبَرْكَةُ وَلَا يَفْتَقِرُ صَاحِبُهَا وَلَا تَفْرُغُ يَدُهٗ بِبَرْكَةِ النَّبِىّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ.
অর্থ : “যে ব্যক্তি পবিত্র মীলাদ শরীফ পাঠ করে বা পবিত্র মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উদযাপন করে রৌপ্যের দিরহামসমূহ অথবা স্বর্ণের দিনারসমূহের উপর ফুঁক দেয় অতঃপর তা অন্য জাতীয় মুদ্রার সাথে মিশায় তাহলে তাতে অবশ্যই বরকত হবে এবং এর পাঠক কখনই ফকীর হবে না। আর উক্ত পাঠকের হাত নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার (পবিত্র মীলাদ শরীফ পাঠের) বরকতে কখনো খালি হবে না।” সুবহানাল্লাহ! (আন নি’মাতুল কুবরা আলাল আলাম ফী মাওলিদি সাইয়্যিদি উইলদি আদম- ৯ম পৃষ্ঠা)
ষষ্ঠ হিজরী শতকে মিশরের সুলতান পবিত্র ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উদযাপন করতেন। এ দিবসে হাজার হাজার স্বর্ণমুদ্রা ব্যয় করতেন। যার সাক্ষী হলেন হযরত ইবনে জাওযী রহমতুল্লাহি আলাইহি। সুলতান আবূ হামু মুসা তালামসানী এবং পূর্বেকার আন্দালুস ও আকসার শাসকেরা পবিত্র ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করতেন। আবদুল্লাহ তন্সী সুম্মা তালামসানী এ উদযাপনের উপর বিস্তারিত একটি কিতাব লিখেছেন যার নাম দিয়েছেন “রাহ আল আরওয়াহ”। (সুবুলুল হুদা ওয়ার রাশাদ ফি সিরাতি খাইরিল ইবাদ লি মুহম্মদ বিন আলী ইউসুফ দামিস্কী; আদ্দূররুল মুনাজ্জাম ফি হুকমী মাওলিদিন নাবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম; আনওয়ারুস সাতিয়া ১৩০৭ হিজরী, পৃষ্ঠা ২৬১; ওয়াফইয়াতুদ দায়ান আনবা আবনাউয যামান, কায়রো; মুহাম্মদুর রসূলিল্লাহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, লেখক : আল্লামা মুহম্মদ রাজা মিস্র্রী, লাহোর, পৃষ্ঠা ৩৩)
হাফিজুল হাদীছ আবুল ফয়েয হযরত আব্দুর রহমান ইবনুল জাওযী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি লিখেন,
لَازَالَ اَهْلُ الْـحَرَمَيْنِ الشَّرِيْفَيْنِ وَالْـمِصْرِ وَالْيَمَنِ وَالشَّامِ وَسَائِرِ بِلَادِ الْعَرَبِ مِنَ الْـمَشْرِقِ وَالْـمَغْرِبِ يَـحْتَفِلُوْنَ بِـمَجْلِسِ مَوْلِدِ النَّبِىّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَيَفْرَحُوْنَ بِقُدُوْمِ هِلَالِ رَبِيْعِ الْاَوَّلِ وَيَغْتَسِلُوْنَ وَيَلْبَسُوْنَ الثّيَابَ الْفَاخِرَةَ وَيَتَزَيّـِنُوْنَ بِاَنْوَاعِ الزّيْنَةِ وَيَتَطَيّـِبُوْنَ وَيَكْتَحِلُوْنَ وَيَأْتُوْنَ بِالسُّرُوْرِ فِىْ هٰذِهِ الْاَيَّامِ وَيَبْذُلُوْنَ عَلَى النَّاسِ بِـمَا كَانَ عِنْدَهُمْ مِنَ الْـمَضْرُوْبِ وَالْاَجْنَاسِ وَيَهْتَمُّوْنَ اِهْتِمَامًا بَلِيْغًا عَلَى السّمَاعِ وَالْقِرَاءَةِ لِـمَوْلِدِ النَّبِىّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَيَنَالُوْنَ بِذَالِكَ اَجْرًا جَزِيْلًا وَفَوْزًا عَظِيْمًا.
অর্থ : “হারামাইন শরীফাইন, মিশর, ইয়ামেন, সিরিয়া এবং পূর্ব থেকে পশ্চিম পর্যন্ত আরবের সকল শহর ও নগরের অধিবাসীদের মধ্যে অব্যাহতভাবে এ নিয়ম চলে আসছে যে, তারা নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র মীলাদ শরীফ উনার অনুষ্ঠান করেছেন। পবিত্র রবীউল আউওয়াল শরীফ উনার নতুন চাঁদের আগমনে আনন্দিত হন, গোসল করেন, দামী পোশাক পরিধান করেন, নানা প্রকার সাজ-সজ্জা করেন, সুগন্ধি ব্যবহার করেন, সুরমা লাগান, এই দিনগুলোতে আনন্দ উৎসব করেন, ধন-সম্পদ, টাকা-পয়সা মানুষের মধ্যে বিলিয়ে দেন এবং অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে পবিত্র মীলাদ শরীফ পাঠ ও শ্রবণের ব্যবস্থা করে অধিক ছাওয়াব এবং বিরাট সাফল্য অর্জন করেন। উনারা পবিত্র ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করে যে নিরাপত্তা ও স্বস্তি, জীবিকার মানোন্নয়ন, শিশু ও সম্পদ বৃদ্ধি এবং শহরের শান্তি ও উনাদের সাফল্য অর্জন করেছেন তা প্রকাশ করতেন।” (তাফসীরে রূহুল বয়ান লি শেখ ইসমাইল হাক্কী রহমতুল্লাহি আলাইহি- ৯ম খ-, পৃষ্ঠা ৫৬; মীলাদুল উরুস- উর্দু “বয়ান-ই-মিলাদুন নবী”, পৃষ্ঠা ৩৪-৩৫, লাহোর; দুররুল মুনাজ্জাম, পৃষ্ঠা ১০০-১০১; মীলাদুন নবী, পৃষ্ঠা ৫৮)
মুহম্মদ বিন আব্দুল্লাহ বিন জুফার মক্কী রহমতুল্লাহি আলাইহি ( ৪৯৭- ৫৬৫ হিজরী) তিনি উনার “দুররুল মুনাজ্জাম” গ্রন্থে লিখেন,
وقال العلامة ابن ظفر - رحمه الله تعالى -: بل في الدر المنتظم: وقد عمل المحبون للنبي صلى الله عليه وسلم فرحا بمولده الولائم -، فمن ذلك ما عمله بالقاهرة المعزية من الولائم الكبار الشيخ أبو الحسن المعروف بابن قفل قدس الله تعالى سره، شيخ شيخنا أبي عبد الله محمد بن النعمان، وعمل ذلك قبل جمال الدين العجمي الهمذاني وممن عمل ذلك على قدر وسعه يوسف الحجار بمصر وقد رأى النبي صلى الله عليه وسلم وهو يحرض يوسف المذكور على عمل ذلك
হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আশিকগন হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর বিলাদত শরীফের খুশিতে খাওয়া – দাওয়া ও দাওয়াতের আয়োজন করে আসছেন। কায়রো যে সকল ব্যক্তি বড় বড় দাওয়াতের আয়োজন করেছেন, তাদের মধ্যে শায়েখ আবুল হাসান যিনি মশহুর ছিলেন ইবনে কুফুল কুদ্দিসা সিরহুল নামে। তিনি আমাদের শায়েখ আবু আব্দুল্লাহ ইবনে নুমান রহমতুল্লাহি আলাইহি। এই বরকতময় আমল হযরত জামালুদ্দীন আযমী হামদানী রহতুল্লাহি আলাইহিও করেছেন। মিশরে হযরত ইউসূফ হাজ্জার রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনিও ব্যাপক পরিসরে উদযাপন করেছেন। এরপর তিনি হাবীবুল্লাহ হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে স্বপ্নে দেখলেন যে, হাবীবুল্লাহ হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হযরত ইউসুফ হাজ্জার রহমতুল্লাহি আলাইহি