হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিলাদত শরীফে সব চাইতে বেশি কষ্ট পেয়েছিলো কে জানেন ? সব চাইতে বেশি কষ্ট পেয়েছিলো ইবলিশ শয়তান । সে এতোটাই কষ্ট পেয়েছিল যে, কষ্টে সে রীতিমত কান্না করেছে।
এপ্রসঙ্গে কিতাবে বর্নিত আছে-
ﺃﻥ ﺇﺑﻠﻴﺲ ﺭﻥ ﺃﺭﺑﻊ ﺭﻧﺎﺕ ﺣﻴﻦ ﻟﻌﻦ ﻭﺣﻴﻦ
ﺃﻫﺒﻂ ﻭﺣﻴﻦ ﻭﻟﺪ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ
ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻭﺣﻴﻦ ﺃﻧﺰﻟﺖ ﺍﻟﻔﺎﺗﺤﺔ
“শয়তান চার বার উচ্চস্বরে কেঁদেছিল, প্রথম বার যখন আল্লাহ তায়ালা তাকে অভিশপ্ত আখ্যা দেন; দ্বিতীয়বার যখন তাকে বেহেস্ত থেকে বের করে দেয়া হয়। তৃতীয়বার, যখন হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বেলাদত শরীফ হয়। এবং চতুর্থবার যখন সূরা ফাতেহা নাযেল হয়।”
দলীল-
√ আল-বেদায়া ওয়ান নেহায়া-২য় খণ্ড ১৬৬ পৃষ্ঠা।
এখন সমাজে মানুষ রুপী কিছু ইবলিশ আছে, মীলাদুন্নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কথা শুনলেই এদের শরীর জ্বালা পোড়া করে। সূতরং প্রমান হচ্ছে, যারা ঈদে মীলাদুন্নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর বিরোধী তারা শয়তানের শাগরেদ । কারন এদিনে শয়তানও কষ্ট পেয়েছিল এখন তার শাগরেদরা কষ্ট পাচ্ছে। তাই এসকল শয়তানদের নিজেদের বিষের জ্বালায় জ্বলে পুড়ে মরতে দিন।
পরিশেষে যিনি বিখ্যাত মুহাদ্দিস , যিনি মদীনা শরীফে ইলমের চর্চা করেছেন। যিনি প্রতিদিন হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার যিয়ারত লাভ করতেন, সেই ইমামুল মুহাদ্দিসিন শায়েখ আব্দুল হক মুহাদ্দিস দেহলবী রহমাতুল্লাহি আলাইহি উনার বক্তব্য এবং দোয়ার মাধ্যমে আমরাও বলতে চাই-
” আয় আল্লাহ পাক ! আমার এমন কোন আমল নেই, যা আপনার মুবারক দরবারে পেশ করার উপযুক্ত মনে করি। আমার সমস্ত আমলের নিয়তের মধ্যে ত্রুটি রয়েছে । তবে আমি নগণ্যের শুধুমাত্র একটি আমল আপনার পবিত্র জাতের দয়ায় অনেক সম্মানিত বা মর্যাদাবান। আর সেটা হচ্ছে- পবিত্র মীলাদুন্নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম অর্থাৎ হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিলাদত শরীফ উপলক্ষে খুশি প্রকাশ করে এর মজলিস করি এবং এ মজলিসে ক্বিয়ামের সময় দাঁড়িয়ে সালাম পাঠ করি। আর একান্ত আজীজী,ইনকিসারী, মুহব্বত, ইখলাছের সাথে আপনার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি ছলাত-সালাম পাঠ করি।
আয় আল্লাহ পাক ! এমন কোন স্থান আছে কি যেখানে মীলাদ মুবারক উনার চাইতে অধিক খায়ের বরকত নাজিল হয় ?
হে আরহামুর রাহিমীন! আমার দৃঢ় বিশ্বাস যে, আমার এ আমল কখনো বৃথা যাবে না। বরং অবশ্যই আপনার পবিত্র দরবারে কবুল হবে এবং যে কেউ বিলাদত শরীফ উপলক্ষে খুশি প্রকাশ করে ছলাত-সালাম পাঠ করবে এবং উহাকে উসিলা করে দোয়া করবে সে কখনো মাহরূম হতে পারে না। অর্থাৎ সে অবশ্যই কবুলযোগ্য !”
দলীল-
√ আখবারুল আখইয়ার ৬২৪ পৃষ্ঠা
সুবহানাল্লাহ্ !!!