পবিত্র ১২ই রবিউল আউয়াল তারিখের আমলগুলো কি ? কি ?

১) নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মুবারক শানে বাদ মাগরিব (এবছর ইছনাইনিল আযীম শরীফ (সোমবার) দিন সন্ধা থেকে পবিত্র ১২ই রবিউল আউওয়াল শরীফ শুরু) থেকে মাহফিল করবেন, সারারাতব্যাপী উনার প্রশংসা তথা ছানা-ছিফত, দুরুদ শরীফ, মিলাদ শরীফ পাঠ করবেন। উনার জীবনী মুবারক আলোচনা করবেন, তাসবিহ তাহলিল, নামাজ-কালাম-কুরআন শরীফ-তাহাজ্জুদ আদায় করবেন, তওবা ইস্তেগফার করবেন ।
২) যে মুবারক সময় নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি পবিত্র বিলাদত শান মুবারক প্রকাশ করেছেন তথা সুবহে সাদিকের সময় মিলাদ শরীফ, কিয়াম শরীফ, মুনাজাত করবেন।

৩) এ মুবারক দিনে গোসল করবেন, ভালো কাপড় পড়বেন, সুগন্ধি লাগাবেন, চোখে সুরমা দিবেন, ঘরবাড়ি সাজাবেন, ভালো খাবার খাবেন, মানুষকে খাওয়াবেন, সবার সাথে সবচেয়ে বড় ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন, হাদিয়া-তওফা দিবেন, গবীরের মাঝে দান খয়রাত করবেন। সবার সাথে মোলাকাত করবেন।
৪) দিনব্যাপী পরিবার পরিজন, আত্মীয় স্বজন, পাড়াপ্রতিবেশিী, বন্ধুবান্ধব সবার সাথে শুধু নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার জীবনী মুবারক, উনার সুন্নত মুবারক উনাদের আলোচনা করবেন।
৫) হাদীস শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছেন- নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে সবচাইতে বেশি মুহব্বত করতে হবে, নয়ত কেউ ঈমানদার হতে পারবে না। যেহেতু ঐদিনটি নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে সরাসরি সম্পৃক্ত, তাই ঐদিনে সবচেয়ে বেশি খুশি প্রকাশ করতে হবে। এমনকি রোজার ঈদ বা কোরবানী ঈদে আমরা যত বা যত ধরনের খুশি প্রকাশ করি, এ পবিত্র দিনে তার থেকে বহু বহু গুনে খুশি প্রকাশ করার চেষ্টা করতে হবে।
মহান আল্লাহ ইরশাদ করেন- “ নিশ্চয়ই আল্লাহ রব্বুল আলামীন এবং সমস্ত ফিরিশতাগণ রাসূলে পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের প্রতি দুরুদ পাঠ করেন। হে ঈমানদারগণ! তোমরাও উনার প্রতি দুরুদ পাঠ কর এবং উত্তমরুপে সালাম পেশ কর। (সূরা আহযাব-৫৬)। এ আয়াত শরীফ পাঠ করে বোঝা যায়, মহান আল্লাহ পাক কোন আমল করেন না, তবে তিনি কেবল একটি মাত্র আমল করেন, সেটা হলো- উনার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের প্রতি দুরুদ-সালাম পেশ করেন। অর্থাৎ প্রিয় নবী হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের প্রতি দুরুদ-সালাম পেশ তথা মিলাদ শরীফ পাঠ করা মহান আল্লাহ তায়ালার আমল, এই আমল হচ্ছে সবচেয়ে বড় আমল। সুবহানাল্লাহ। তাই সবেচেয়ে বড় ঈদের দিনে সবচেয়ে বড় আমল তথা পবিত্র মিলাদ শরীফ পাঠ সবচেয়ে বেশি পরিমাণে করতে হবে।