@mozzammal hossain shaown এর মনগড়া যুক্তির ,তার মতামতেই খণ্ডন ---
১ নং বক্তব্য - " বলা বাহুল্য যে, আমার হাতে পাওয়া একটা কোরআনেও আমি "খুশিটা কে উদযাপন করা উচিৎ" এইটা দেখি নাই"।
উত্তর- আল্লাহ পাকের যেকোন আদেশ মানে করাটা ফরজ তা বিশ্বাস করেন নিশ্চয় । আল্লাহ পাক বলেছেন আনন্দ অর্থাৎ খুশি পালন করা উচিত। আল্লাহ পাক বলেছেন করা উচিত ।এখন আপনি কি বলবেন তা করা উচিত না ? তো খুশি মানে কি ? – ঈদ ? প্রশ্ন হল কার ঈদ , কিসের ঈদ ? ঈদ কিভাবে পালন করে ? উদযাপন করে নাকি এমনি এমনি ? যার উত্তর নিন্মে পাবেন ।
২ নং বক্তব্য- " এখন কথা হইল যে,আল্লাহর অনুগ্রহটা কি? আল্লাহর অনুগ্রহ সহজ কথায় হইলো যে আল কোরআনটা।আর এইটা আল্লাহই ইউনুস সুরা এর ৫৭ নম্বর আয়াতেই যেটা ৫৮এর আগের আয়াত,সেটাতে বলতাসেন যে,হে মানবকুল, তোমাদের কাছে উপদেশবানী এসেছে তোমাদের পরওয়ারদেগারের পক্ষ থেকে এবং অন্তরের রোগের নিরাময়, হেদায়েত ও রহমত মুসলমানদের জন্য।"
উত্তর – আপনার কাছে অনুগ্রহ হল আল কোরআন । জবাব দিন তো যে হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম জমিনে না আসলে কি কুরআন আসত ? তাহলে সর্বপ্রথম অনুগ্রহ কে ? “অন্তরের রোগের নিরাময়” করবেন কুরআন শরীফ না “হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম” ।
এ বিষয়ে আল্লাহ পাক কি বলেন-“ আল্লাহ ঈমানদারদের উপর অনুগ্রহ করেছেন যে, তাদের মাঝে তাদের নিজেদের মধ্য থেকে নবী পাঠিয়েছেন। তিনি তাদের জন্য তাঁর আয়াতসমূহ পাঠ করেন। তাদেরকে পরিশোধন করেন এবং তাদেরকে কিতাব ও কাজের কথা শিক্ষা দেন। বস্তুতঃ তারা ছিল পূর্ব থেকেই পথভ্রষ্ট” । এখানে স্পস্ট উল্লেখ করা হল আল্লাহ পাক অনুগ্রহ করে যে নবী পাঠিয়েছেন তিনি পরিশোধন করবেন। তাহলে “অন্তরের রোগের নিরাময়” করবেন কুরআন শরীফ নয় বরং “হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম”।
তাহলে কোরআন দিয়েই প্রমানিত যে অনুগ্রহ ও হলেন হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম।
৩ নং বক্তব্য- "এরপর রহমত বলতে হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। কে বুঝাইছেন,এইটাও মেনে নিলাম।উনি পৃথিবীর জন্যে রহমতই। আর আমাদের কাছে রয়েছে তার হাদিস সমূহ।এর জন্যেও আলহামদুলিল্লাহ,আমি অনেক খুশি। "
উত্তর - আল্লাহ পাক ইরশাদ করেনঃ-আমি আপনাকে বিশ্ববাসীর জন্যে রহমত স্বরূপই প্রেরণ করেছি”
তাহলে আপনি স্বীকার করে নিলেন হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম রহমত অর্থাৎ সুরা ইউনুসের ৫৮ নং আয়াতে রহমত বলতে হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে বুঝিয়েছেন তা মেনে নিলেন। তো এখন সেই রহমত পাওয়ার কারনে খুশি প্রকাশ করতে বলেছেন আল্লাহ পাক , আপনি কে অস্বীকার করছেন ? খুশি মানে ঈদ ? কার খুশি ? হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে পাওয়ার কারনে খুশি । দুটো কি দাড়াল “ ঈদে মিলাদুন্নবি “ । তাহলে আপনার স্বীকারোক্তিতেই প্রমানিত ঈদে মিলাদুন্নবির কথা খোদ কোরআনে আল্লাহ পাক বলেছেন ।
৪ নং বক্তব্য- " আমি ২টা কোরআন দেখলাম আমার নিজের হাতে। আর অনলাইনেও দুইটা কোরআন দেখলাম। এখানে বলছে যে,এক জায়গায় খুশি হওয়া উচিৎ ,একজায়গায় আনন্দ করা উচিৎ ,এক জায়গায় সন্তুষ্ট থাকা উচিৎ।আর একটা ইংরেজি কোরআনে লিখছে rejoice (to show or feel joyful) - oxford dictionary. একটাতেও দেখলাম না যে,খুশি টাকে উদযাপন করা উচিৎ অথবা ইংরেজীতে to celebrate".
উত্তর – ইসলাম বুঝতে হলে গভির চিন্তার অধিকারী হতে হয় ,পড়াশুনা করতে হয় । আপনি যে বললেন “ rejoice (to show or feel joyful) - oxford dictionary. একটাতেও দেখলাম না যে,খুশি টাকে উদযাপন করা উচিৎ অথবা ইংরেজীতে to celebrate” । আপনার কথাতেই আপনার মনগড়া যুক্তি খন্ডন করছি। আপনি rejoice এর অর্থ ইংরেজীতে to celebrate তন্ন তন্ন করেও খুজে পাননি । অথচ দেখুন rejoice এর সমার্থক শব্দে celebration লিখা আছে ।আবার celebrate বাংলা লিখা যাছে উদযাপন করা। তাহলে আপনার কথামতেই তো সকলের এ দিবস উদযাপন করা উচিত। ( স্ন্যাপ শট দেওয়া )
তাহলে দেখা যাচ্ছে খোদ কোরআনেই আল্লাহ পাক ঈদে মিলাদুন্নবি পালন করার কথা বলেছেন ।
আপনি বারবার বলছেন কোরআনে ঈদে মিলাদুন্নবির কথা বলা নাই। কোরআনে আল্লাহ পাক অতি অল্পতে অনেক কিছু বুঝিয়েছেন । মানুষ তা ফিকির করে বের করেন । কোরানে নামায, খোদা ,রোযা, বেহেশ্ত , দোযগ ইত্যাফি শব্দ নাই কিন্তু আমরা সমার্থক শব্দ ছলাত, সিয়াম , আল্লাহ , জান্নাত, জাহান্নাম ব্যবহার করে থাকি। তেমনি আল্লাহ পাক যেহেতু হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে পাওয়ার কারনে খুশি প্রকাশ করতে বলেছেন । আর খুশি মানে ঈদ । যার কারনে নাম হয়েছে ঈদে মিলাদুন্নবি ।
আপনি যেহেতু কোরআন এ পেলে তা মেনে থাকেন , তাই কোরআন এর আয়াত নিয়ে আপনার মনগড়া যুক্তির সঠিক উত্তর দিয়ে দিলাম। এরপরেও কি আপনি ভ্রান্তির মধ্যে থাকবেন ? দিনের বেলায় ভরা সুর্যের আলো থাকার পরেও প্যাঁচার মত চোখ বন্ধ করে যদি বলেন সুর্যের আলো দেখিনা, তাহলে জীবনেও বুঝতে পারবেননা ।
১ নং বক্তব্য - " বলা বাহুল্য যে, আমার হাতে পাওয়া একটা কোরআনেও আমি "খুশিটা কে উদযাপন করা উচিৎ" এইটা দেখি নাই"।
উত্তর- আল্লাহ পাকের যেকোন আদেশ মানে করাটা ফরজ তা বিশ্বাস করেন নিশ্চয় । আল্লাহ পাক বলেছেন আনন্দ অর্থাৎ খুশি পালন করা উচিত। আল্লাহ পাক বলেছেন করা উচিত ।এখন আপনি কি বলবেন তা করা উচিত না ? তো খুশি মানে কি ? – ঈদ ? প্রশ্ন হল কার ঈদ , কিসের ঈদ ? ঈদ কিভাবে পালন করে ? উদযাপন করে নাকি এমনি এমনি ? যার উত্তর নিন্মে পাবেন ।
২ নং বক্তব্য- " এখন কথা হইল যে,আল্লাহর অনুগ্রহটা কি? আল্লাহর অনুগ্রহ সহজ কথায় হইলো যে আল কোরআনটা।আর এইটা আল্লাহই ইউনুস সুরা এর ৫৭ নম্বর আয়াতেই যেটা ৫৮এর আগের আয়াত,সেটাতে বলতাসেন যে,হে মানবকুল, তোমাদের কাছে উপদেশবানী এসেছে তোমাদের পরওয়ারদেগারের পক্ষ থেকে এবং অন্তরের রোগের নিরাময়, হেদায়েত ও রহমত মুসলমানদের জন্য।"
উত্তর – আপনার কাছে অনুগ্রহ হল আল কোরআন । জবাব দিন তো যে হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম জমিনে না আসলে কি কুরআন আসত ? তাহলে সর্বপ্রথম অনুগ্রহ কে ? “অন্তরের রোগের নিরাময়” করবেন কুরআন শরীফ না “হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম” ।
এ বিষয়ে আল্লাহ পাক কি বলেন-“ আল্লাহ ঈমানদারদের উপর অনুগ্রহ করেছেন যে, তাদের মাঝে তাদের নিজেদের মধ্য থেকে নবী পাঠিয়েছেন। তিনি তাদের জন্য তাঁর আয়াতসমূহ পাঠ করেন। তাদেরকে পরিশোধন করেন এবং তাদেরকে কিতাব ও কাজের কথা শিক্ষা দেন। বস্তুতঃ তারা ছিল পূর্ব থেকেই পথভ্রষ্ট” । এখানে স্পস্ট উল্লেখ করা হল আল্লাহ পাক অনুগ্রহ করে যে নবী পাঠিয়েছেন তিনি পরিশোধন করবেন। তাহলে “অন্তরের রোগের নিরাময়” করবেন কুরআন শরীফ নয় বরং “হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম”।
তাহলে কোরআন দিয়েই প্রমানিত যে অনুগ্রহ ও হলেন হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম।
৩ নং বক্তব্য- "এরপর রহমত বলতে হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। কে বুঝাইছেন,এইটাও মেনে নিলাম।উনি পৃথিবীর জন্যে রহমতই। আর আমাদের কাছে রয়েছে তার হাদিস সমূহ।এর জন্যেও আলহামদুলিল্লাহ,আমি অনেক খুশি। "
উত্তর - আল্লাহ পাক ইরশাদ করেনঃ-আমি আপনাকে বিশ্ববাসীর জন্যে রহমত স্বরূপই প্রেরণ করেছি”
তাহলে আপনি স্বীকার করে নিলেন হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম রহমত অর্থাৎ সুরা ইউনুসের ৫৮ নং আয়াতে রহমত বলতে হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে বুঝিয়েছেন তা মেনে নিলেন। তো এখন সেই রহমত পাওয়ার কারনে খুশি প্রকাশ করতে বলেছেন আল্লাহ পাক , আপনি কে অস্বীকার করছেন ? খুশি মানে ঈদ ? কার খুশি ? হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে পাওয়ার কারনে খুশি । দুটো কি দাড়াল “ ঈদে মিলাদুন্নবি “ । তাহলে আপনার স্বীকারোক্তিতেই প্রমানিত ঈদে মিলাদুন্নবির কথা খোদ কোরআনে আল্লাহ পাক বলেছেন ।
৪ নং বক্তব্য- " আমি ২টা কোরআন দেখলাম আমার নিজের হাতে। আর অনলাইনেও দুইটা কোরআন দেখলাম। এখানে বলছে যে,এক জায়গায় খুশি হওয়া উচিৎ ,একজায়গায় আনন্দ করা উচিৎ ,এক জায়গায় সন্তুষ্ট থাকা উচিৎ।আর একটা ইংরেজি কোরআনে লিখছে rejoice (to show or feel joyful) - oxford dictionary. একটাতেও দেখলাম না যে,খুশি টাকে উদযাপন করা উচিৎ অথবা ইংরেজীতে to celebrate".
উত্তর – ইসলাম বুঝতে হলে গভির চিন্তার অধিকারী হতে হয় ,পড়াশুনা করতে হয় । আপনি যে বললেন “ rejoice (to show or feel joyful) - oxford dictionary. একটাতেও দেখলাম না যে,খুশি টাকে উদযাপন করা উচিৎ অথবা ইংরেজীতে to celebrate” । আপনার কথাতেই আপনার মনগড়া যুক্তি খন্ডন করছি। আপনি rejoice এর অর্থ ইংরেজীতে to celebrate তন্ন তন্ন করেও খুজে পাননি । অথচ দেখুন rejoice এর সমার্থক শব্দে celebration লিখা আছে ।আবার celebrate বাংলা লিখা যাছে উদযাপন করা। তাহলে আপনার কথামতেই তো সকলের এ দিবস উদযাপন করা উচিত। ( স্ন্যাপ শট দেওয়া )
তাহলে দেখা যাচ্ছে খোদ কোরআনেই আল্লাহ পাক ঈদে মিলাদুন্নবি পালন করার কথা বলেছেন ।
আপনি বারবার বলছেন কোরআনে ঈদে মিলাদুন্নবির কথা বলা নাই। কোরআনে আল্লাহ পাক অতি অল্পতে অনেক কিছু বুঝিয়েছেন । মানুষ তা ফিকির করে বের করেন । কোরানে নামায, খোদা ,রোযা, বেহেশ্ত , দোযগ ইত্যাফি শব্দ নাই কিন্তু আমরা সমার্থক শব্দ ছলাত, সিয়াম , আল্লাহ , জান্নাত, জাহান্নাম ব্যবহার করে থাকি। তেমনি আল্লাহ পাক যেহেতু হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে পাওয়ার কারনে খুশি প্রকাশ করতে বলেছেন । আর খুশি মানে ঈদ । যার কারনে নাম হয়েছে ঈদে মিলাদুন্নবি ।
আপনি যেহেতু কোরআন এ পেলে তা মেনে থাকেন , তাই কোরআন এর আয়াত নিয়ে আপনার মনগড়া যুক্তির সঠিক উত্তর দিয়ে দিলাম। এরপরেও কি আপনি ভ্রান্তির মধ্যে থাকবেন ? দিনের বেলায় ভরা সুর্যের আলো থাকার পরেও প্যাঁচার মত চোখ বন্ধ করে যদি বলেন সুর্যের আলো দেখিনা, তাহলে জীবনেও বুঝতে পারবেননা ।