হযরত আম্বিয়া আলাইহিমুস সালাম উনাদের বিলাদত ও বিছাল শরীফ উভয়টিই কায়িনাতের জন্য খুশির কারণ

মূলত পবিত্র কুরআন শরীফ-এর মাঝেই সাইয়্যিদুল আম্বিয়া ওয়াল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শান, মর্যাদা বিশদভাবে আলোচিত হয়েছে। উনাকে সর্বোচ্চ উপায়ে যথাযথ তা’যীম-তাকরীম করার জন্য পবিত্র কুরআন শরীফ-এই বার বার তাগিদ এসেছে। এ কারণেই ১২ই রবীউল আউয়াল শরীফ উনার সুমহান বিলাদত শরীফ ও বিছাল শরীফ হওয়ার কারণে উম্মাহর প্রতিটি মু’মিন-মুসলমান আনন্দে উদ্বেলিত হয়, খুশি প্রকাশে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। কেননা এ দিন উপলক্ষে খুশি প্রকাশ করা প্রত্যেকের জন্যই ফরযে আইন। আর এর থেকে গাফিল ও বিরত থাকে একমাত্র ইবলিস শয়তান! যারা এই মহান ঈদ তথা খুশি প্রকাশে নিষেধ করে বা বিরত থাকে তারা কি পবিত্র কুরআন শরীফ থেকে একটি দলীলও পেশ করতে পারবে যে, সাইয়্যিদুল আম্বিয়া ওয়াল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শানে বা উনার স্মরণে খুশি প্রকাশ করা যাবেনা? অথচ আনন্দ, খুশি ও শুকরিয়া আদায় করার জন্য পবিত্র কুরআন শরীফ-এর অসংখ্য আয়াত শরীফ-এ বলা হয়েছে। যেমন-


আল্লাহ পাক তিনি কুরআন শরীফ সূরা মারইয়াম-এর ১৫ নম্বর আয়াত পাক-এ হযরত ইয়াহইয়া আলাইহিস সালাম উনার শানে ইরশাদ ফরমান-

وَسَلَامٌ عَلَيْهِ يَوْمَ وُلِدَ وَيَوْمَ يَمُوتُ وَيَوْمَ يُبْعَثُ حَيًّا

অর্থ: “উনার প্রতি শান্তি সালাম অবারিত ধারায় বর্ষিত হোক যেদিন তিনি দুনিয়ায় আগমন করেন অর্থাৎ বিলাদত শরীফ লাভ করেন ও যেদিন তিনি বিছাল শরীফ লাভ করেন আবার যেদিন তিনি জীবিত অবস্থায় পুনরুথিত হবেন।” সুবহানাল্লাহ!

অনুরূপ হযরত ঈসা আলাইহিস সালাম উনার নিজের বক্তব্য উল্লেখ করে কালামুল্লাহ শরীফ-এ ইরশাদ হয়েছে-

وَالسَّلَامُ عَلَيَّ يَوْمَ وُلِدتُّ وَيَوْمَ أَمُوتُ وَيَوْمَ أُبْعَثُ حَيًّا

অর্থ: “আমার প্রতি সালাম (অবারিত শান্তি) যেদিন আমি বিলাদত শরীফ লাভ করি, যেদিন আমি বিছাল শরীফ লাভ করবো এবং যেদিন আমি জীবিত অবস্থায় পুনরুত্থিত হবো।” সুবহানাল্লাহ! (সূরা মারইয়াম : আয়াত শরীফ ৩৩)

এই আয়াত শরীফ থেকে প্রত্যেক ঈমানদার মুসলমানসহ কায়িনাতের সকলের জন্যই জানা জরুরী যে, হযরত আম্বিয়া আলাইহিমুস সালাম উনাদের বিলাদত ও বিছাল শরীফ উভয়টিই উম্মাহ তথা কায়িনাতের জন্য শান্তি ইতমিনান ও রহমত হাছিল এবং খুশির কারণ। যেহেতু এতে স্বয়ং আল্লাহ রব্বুল ইজ্জত তিনি খুশি থাকেন। আল্লাহ পাক উনার খুশিতে নারাজী প্রকাশ করার চিন্তা কোনো ঈমানদার মুসলমান কস্মিনকালেও করতে পারে না।