শামসুল হক ফরীদপুরীর মিলাদের পক্ষে রায়

দেওবন্দ সিলসিলার অন্যতম মুরুব্বী, আশরাফ আলী থানবীর অন্যতম খলীফা হচ্ছে শামসুল হক ফরীদপুরী। শামসুল হক ফরীদপুরীর গ্রন্থাবলী নিয়ে রচিত এই বই। এ বইয়ের ২য় খন্ডে ফরীদপুরী সাহেবের “অছিয়তনামা” সংযুক্ত আছে। সেখানে তার একটা বানী হচ্ছে “ উহার একটি শব্দও আল্লাহ ইশারা না পাইয়া লিখি নাই”।
তো আসুন দেখা যাক ফরীদপুরী সাহেব “অছিয়তনামা” অধ্যায়ে আল্লাহ পাকের ইশারায় কি লিখেছেন-
“রসূলের ইশকে মত্ত হইয়া খাড়া হইয়া বা বসিয়া জগল বা কাছিদা পড়াকে , মওলুদ শরীফ পড়া বা পড়ানোকে আমি শুধু জায়িযই মনে করি না বরং অত্যান্ত জরুরী মনে করি। কেননা এই উসিলায় সাধারন লোকে হযরতের জন্মবৃত্তান্ত, জীবনবৃত্তান্ত, সত্য ধর্মের জন্য কষ্ট সহ্যের বৃত্তান্ত এবং রসূলের অন্যান্য গুনাবলি, কার্যাবলী ও সানা সিফত মোযেজাত জানিয়া, রসূলের পরিচয় পাইয়া রসূলকে এবং রসূলের তরীকাকে প্রনাধিক ভালোবাসিতে শিখিবে।” (শামসুল হক ফরীদপুরীর গ্রন্থাবলী ৩৮২)
শামসুল হক ফরীদপুরীর উক্ত ফতোয়া শুনিয়া কওমী দেওবন্দী ভ্রাতাগন কি বলিবেন? আপনারা কি উহাকে বিদয়াত বলিয়া অস্বীকার করিবেন? নাকি আপনাদের মুরুব্বীকে বিদয়াতী জ্ঞান করিবেন?