পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত রয়েছে-
عَنْ حَضْرَتْ اَبِـي قَتَادَةَ الأَنْصَارِيِّ رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ اَنَّ رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ سُئِلَ عَنْ صَوْمِ الاِثْنَيْنِ فَقَالَ فِيْهِ وُلِدْتُ وَفِيْهِ اُنْزِلَ عَلَىَّ.
অর্থ: “হযরত আবূ ক্বাতাদাহ্ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কাছে ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম শরীফ রোযা মুবারক রাখার ব্যাপারে সুওয়াল মুবারক করা হলে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, ওই দিন আমি পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করেছি এবং ওই দিন আমার উপর (পবিত্র কুরআন শরীফ) নাযিল হয়েছে।” (মুসলমি শরীফ: কিতাবুছ ছিয়াম: বাবু যিকরি ইখতিলাফি ‘আলা মূসা ইবনে ত্বলহা ফীল খাবারি ফী ছিয়ামি ছালাছাতি আইয়্যামিন মিনাশ শাহ্রি: হাদীছ শরীফ নং ২৬৪০)
উপরোক্ত পবিত্র হাদীছ শরীফ হতে প্রমাণিত যে, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম শরীফ রোযা মুবারক রাখতেন।
এখন আরবী মাসের হিসাব অনুযায়ী,বছরে ৫০ সপ্তাহ হয়ে থাকে। তাহলে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি কি বছরের প্রত্যেক সপ্তাহে রোযা মুবারক রাখতেন? এ প্রশ্নের উত্তরে পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত রয়েছে-
عَنْ اُمُّ الْمُؤْمِنِيْنْ حَضْرَتْ حَفْصَةَ عَلَيْهَ السَّلَامَ قَالَتْ أَرْبَعٌ لَـمْ يَكُنْ يَدَعُهُنَّ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ صِيَامَ عَاشُورَاءَ وَالْعَشْرَ وَثَلَاثَةَ اَيَّامٍ مِنْ كُلّ شَهْرٍ وَرَكْعَتَيْنِ قَبْلَ الْغَدَاةِ.
অর্থ: “উম্মুল মু’মিনীন আর রবি’য়াহ আলাইহাস সালাম উনার থেকে বর্ণিত যে, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি কখনো চারটি আমল পরিত্যাগ করেননি। সেগুলো হলো- পবিত্র আশূরা শরীফ উনার রোযা, পবিত্র যিলহজ্জ শরীফ উনার ১০ দিনের রোযা, প্রত্যেক মাসের তিন দিনের রোযা ও পবিত্র ফজর নামাযের পূর্বের দু’রাকয়াত নামায।” (নাসায়ী শরীফ- কিতাবুছ ছিয়াম: বাবু কাইফা ইয়াছূমু ছালাছাতা আইয়্যামিন মিন কুল্লি শাহ্রিন ওয়া যিকরিখ তিরাফিন নাক্বিলীনা লিলখ¦াবারি ফী যালিক; আহমদ শরীফ; হাকিম শরীফ)
সুতরাং অত্র পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার দ্বারা প্রমাণিত যে, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি প্রত্যেক মাসেই তিন দিন রোযা মুবারক রাখতেন, যা সারাবছরে কখনোই ছাড়তেন না। যেহেতু প্রত্যেক মাসেই তিন দিন রোযা মুবারক রাখতেন, তাই উক্ত তিন দিনের মধ্যে কখনো কখনো ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম শরীফ পড়ে যেত আবার কখনো কখনো ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম শরীফ বাদ পড়ে যেত। অর্থাৎ বছরের প্রত্যেক সপ্তাহের ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম শরীফ রোযার দিন পড়তো না।
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি প্রত্যেক মাসেই তিন দিন যে রোযা মুবারক রাখতেন, উক্ত তিন দিনের মধ্যে কখনো কখনো ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম শরীফ পড়ে যেত আবার কখনো কখনো ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম শরীফ বাদ পড়ে যেত। কেননা এ সম্পর্কে পবিত্র হাদীছ শরীফ উনাদের মধ্যে বর্ণিত রয়েছে-
عَنْ حَضْرَتْ هُنَيْدَةَ الْـخُزَاعِيَّ رَحْمَةُ اللهِ عَلَيْهَا قَالَ دَخَلْتُ عَلَى أُمِّ الْمُؤْمِنِينَ عَلَيْهَا السَّلَامَ سَـمِعْتُهَا تَقُولُ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَصُومُ مِنْ كُلِّ شَهْرٍ ثَلَاثَةَ أَيَّامٍ أَوَّلَ اثْنَيْنِ مِنَ الشَّهْرِ ثُـمَّ الْـخَمِيسَ ثُـمَّ الْـخَمِيسَ الَّذِيْ يَلِيْهِ.
অর্থ: “হযরত হুনাইদা খুজায়িয়্যা রহমতুল্লাহি আলাইহা উনার থেকে বর্ণিত। তিনি উম্মুল মু’মিনীন আলাইহাস সালাম উনার থেকে শুনেছেন যে, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি প্রত্যেক মাসে তিন দিন রোযা মুবারক রাখতেন। মাসের প্রথম ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম শরীফ, তারপর ইয়াওমুল খ্বমীস এবং তার পরবর্তী ইয়াওমুল খ্বমীস।” (নাসায়ী শরীফ : কিতাবুছ ছিয়াম : বাবু কাইফা ইয়াছূমু ছালাছাতা আইয়্যামিন মিং কুল্লি শাহরিন ওয়া যিকরিখতিলাফিন নাক্বিলীনা লিল খাবারি ফী যালিক : হাদীছ শরীফ নং ২৪১৫)
অন্য পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত রয়েছে-
عَنْ حَضْرَتْ اِبْنِ عُمَرَ رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ اَنَّ رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يَصُوْمُ ثَلَاثَةَ اَيَّامٍ مِنْ كُلِّ شَهْرٍ يَوْمَ الاِثْنَيْنِ مِنْ اَوَّلِ الشَّهْرِ وَالْـخَمِيْسَ الَّذِيْ يَلِيْهِ ثُـمَّ الْـخَمِيْسَ الَّذِيْ يَلِيْهِ.
অর্থ: “হযরত ইবনে উমর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি প্রত্যেক মাসে তিন দিন রোযা মুবারক রাখতেন। মাসের প্রথম সপ্তাহে ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম শরীফ, তার পরবর্তী সপ্তাহে ইয়াওমুল খ্বমীস এবং তার পরবর্তী সপ্তাহে ইয়াওমুল খ্বমীস।” (নাসায়ী শরীফ : কিতাবুছ ছিয়াম : বাবু কাইফা ইয়াছূমু ছালাছাতা আইয়্যামিন মিং কুল্লি শাহরিন ওয়া যিকরিখতিলাফিন নাক্বিলীনা লিল খাবারি ফী যালিক : হাদীছ শরীফ নং ২৪১৪)
অন্য পবিত্র হাদীছ শরীফ উনাদের মধ্যে বর্ণিত রয়েছে-
عَنْ اُمُّ الْمُؤْمِنِيْنْ حَضْرَتْ حَفْصَةَ عَلَيْهَ السَّلَامَ قَالَتْ كَانَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَصُوْمُ مِنْ كُلِّ شَهْرٍ يَوْمَ الْـخَمِيْسِ وَيَوْمَ الاِثْنَيْنِ وَمِنَ الْـجُمُعَةِ الثَّانِيَةِ يَوْمَ الاِثْنَيْنِ.
অর্থ: “উম্মুল মু’মিনীন আর রবি’য়াহ আলাইহাস সালাম উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি মাসে তিন দিন রোযা মুবারক রাখতেন। মাসের প্রথম ইয়াওমুল খ্বমীস, তারপর ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম শরীফ এবং তার পরবতী ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম শরীফ।” (নাসায়ী শরীফ : কিতাবুছ ছিয়াম : বাবু ছাওমিন নাবিয়্যি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম : হাদীছ শরীফ নং ২৩৬৬)
অন্য পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত রয়েছে-
عَنْ اُمُّ الْمُؤْمِنِيْنْ حَضْرَتْ اُمِّ سَلَمَةَ عَلَيْهَا السَّلَامُ قَالَتْ كَانَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَصُوْمُ مِنْ كُلِّ شَهْرٍ ثَلَاثَةَ اَيَّامٍ الاِثْنَيْنِ وَالْـخَمِيْسَ مِنْ هٰذِهِ الْـجُمُعَةِ وَالاِثْنَيْنِ مِنَ الْمُقْبِلَةِ.
অর্থ: “উম্মুল মু’মিনীন আস সাদিসাহ আলাইহাস সালাম উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি মাসে তিন দিন রোযা মুবারক রাখতেন। (প্রথম সপ্তাহে) ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম শরীফ ও ইয়াওমুল খ্বমীস এবং পরবর্তী সপ্তাহে শুধু ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম শরীফ।” (নাসায়ী শরীফ : কিতাবুছ ছিয়াম : বাবু ছাওমিন নাবিয়্যি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম : হাদীছ শরীফ নং ২৩৬৫)
অন্য পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত রয়েছে-
عَنْ اُمُّ الْمُؤْمِنِيْنْ حَضْرَتْ عَائِشَةَ عَلَيْهَ السَّلَامَ قَالَتْ كَانَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَصُوْمُ مِنَ الشَّهْرِ السَّبْتَ وَالاَحَدَ وَالاِثْنَيْنِ وَمِنَ الشَّهْرِ الاٰخَرِ الثُّلَاثَاءَ وَالاَرْبِعَاءَ وَالْـخَمِيسَ.
অর্থ: “উম্মুল মু’মিনীন আছ ছালিছাহ আলাইহাস সালাম উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি কোনো মাসে ইয়াওমুস সাব্ত, ইয়াওমুল আহাদ ও ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম শরীফ আবার কোনো মাসে ইয়াওমুছ ছুলাছা, ইয়াওমুল আরবিয়া ও ইয়াওমুল খমীস রোযা মুবারক রাখতেন।” (তিরমিযী শরীফ : কিতাবুছ ছিয়াম : বাবু মা-জায়া ফী ছাওমি ইয়ামুল ইছনাইন ওয়া খ্বমীস : হাদীছ শরীফ নং ৭৪৬)
নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি প্রত্যেক মাসেই তিন দিন যে রোযা মুবারক রাখতেন, উক্ত তিন দিনের রোযা মুবারক সম্পর্কিত পবিত্র হাদীছ শরীফ উনাদের আলোকে রোযা মুবারক রাখার পদ্ধতি নিচের সারণীতে দেখানো হলো-
সপ্তাহ ১ম পদ্ধতি ২য় পদ্ধতি ৩য় পদ্ধতি ৪র্থ পদ্ধতি ৫ম পদ্ধতি ফলাফল
১ম ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম শরীফ ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম শরীফ
ও ইয়াওমুল খ্বমীস ইয়াওমুল খ্বমীস ইয়াওমুস সাব্ত ইয়াওমুছ ছুলাছা ৩য়, ৪র্থ ও ৫ম পদ্ধতিতে রোযা রাখলে ১ম সপ্তাহে ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম শরীফ কোন রোযা পড়ে না।
২য় ইয়াওমুল খ্বমীস ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম শরীফ ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম শরীফ ইয়াওমুল আহাদ ইয়াওমুল আরবিয়া ১ম, ৪র্থ ও ৫ম পদ্ধতিতে রোযা রাখলে ২য় সপ্তাহে ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম শরীফ কোন রোযা পড়ে না।
৩য় ইয়াওমুল খ্বমীস - ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম শরীফ ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম শরীফ ইয়াওমুল খ্বমীস ১ম, ২য় ও ৫ম পদ্ধতিতে রোযা রাখলে ৩য় সপ্তাহে ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম শরীফ কোন রোযা পড়ে না।
৪র্থ - - - - ১ম, ২য়, ৩য়, ৪র্থ ও ৫ম কোন পদ্ধতিতেই ৪র্থ সপ্তাহে ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম শরীফ কোন রোযা পড়ে না।
সুতরাং মাসে তিন দিন রোযা মুবারক রাখার পবিত্র হাদীছ শরীফ থেকে যা দেখা গেল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি যে মাসে ১ম পদ্ধতি অবলম্বন করেছেন সে মাসের ১ম সপ্তাহ ছাড়া বাকি ৩ সপ্তাহে কোন ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম শরীফ রোযা পড়েনি। যে মাসে ৫ম পদ্ধতি অবলম্বন করেছেন সে মাসের কোন সপ্তাহেই ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম শরীফ রোযা পড়েনি। যে মাসে ২য় পদ্ধতি অবলম্বন করেছেন সে মাসের ৩য় ও ৪র্থ সপ্তাহে ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম শরীফ কোন রোযা পড়েনি। অনুরূপভাবে যে মাসে ৩য় পদ্ধতি অবলম্বন করেছেন সে মাসের ১ম ও ৪র্থ সপ্তাহে ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম শরীফ কোন রোযা পড়েনি। আর ৪র্থ পদ্ধতিতে ৩য় সপ্তাহ ছাড়া অন্য ৩ সপ্তাহে ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম শরীফ কোন রোযা পড়েনি।
প্রত্যেক সপ্তাহে বার যেহেতু ৭টি, তাই কোন একটি মাস শুরু হওয়ার ক্ষেত্রেও ৭টি পদ্ধতি অনুসারেই হবে। নিচের সারণীতে তা তুলে ধরা হলো-
সপ্তাহ তারিখ মাস শুরু হওয়ার বার
১ম ১ ইছনাইনিল আযীম শরীফ ছুলাছা আরবিয়া খ্বমীস
জুমুয়া সাবত আহাদ
২ ছুলাছা আরবিয়া খ্বমীস জুমুয়া সাবত আহাদ ইছনাইনিল আযীম শরীফ
৩ আরবিয়া খ্বমীস জুমুয়া সাবত আহাদ ইছনাইনিল আযীম শরীফ ছুলাছা
৪ খ্বমীস জুমুয়া সাবত আহাদ ইছনাইনিল আযীম শরীফ ছুলাছা আরবিয়া
৫ জুমুয়া সাবত আহাদ ইছনাইনিল আযীম শরীফ ছুলাছা আরবিয়া খ্বমীস
৬ সাবত আহাদ ইছনাইনিল আযীম শরীফ ছুলাছা আরবিয়া খ্বমীস জুমুয়া
৭ আহাদ ইছনাইনিল আযীম শরীফ ছুলাছা আরবিয়া খ্বমীস জুমুয়া সাবত
২য় ৮ ইছনাইনিল আযীম শরীফ ছুলাছা আরবিয়া খ্বমীস জুমুয়া সাবত আহাদ
৯ ছুলাছা আরবিয়া খ্বমীস জুমুয়া সাবত আহাদ ইছনাইনিল আযীম শরীফ
১০ আরবিয়া খ্বমীস জুমুয়া সাবত আহাদ ইছনাইনিল আযীম শরীফ ছুলাছা
১১ খ্বমীস জুমুয়া সাবত আহাদ ইছনাইনিল আযীম শরীফ ছুলাছা আরবিয়া
১২ জুমুয়া সাবত আহাদ ইছনাইনিল আযীম শরীফ ছুলাছা আরবিয়া খ্বমীস
১৩ সাবত আহাদ ইছনাইনিল আযীম শরীফ ছুলাছা আরবিয়া খ্বমীস জুমুয়া
১৪ আহাদ ইছনাইনিল আযীম শরীফ ছুলাছা আরবিয়া খ্বমীস জুমুয়া সাবত
উপরের সারণী হতে দেখা যাচ্ছে যে, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ১২ই শরীফ ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম শরীফ হওয়ার সুযোগ তখনই হয় যদি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র রবী‘উল আউওয়াল শরীফ মাস ইয়াওমুল খ্বমীস দিয়ে শুরু হয়।
এখন পবিত্র হাদীছ শরীফ উনাদের আলোকে বিশ্লেষণ করলে দেখা যায় যে, ১ম, ৪র্থ ও ৫ম পদ্ধতিতে রোযা মুবারক রাখলেও এই ৩টি পদ্ধতিতে যেহেতু ২য় সপ্তাহে ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম শরীফ কোন রোযা পড়ে না। তাই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ১২ই শরীফ রোযা হওয়ার কোন সম্ভাবনাই নেই। শুধুমাত্র রোযা মুবারক রাখার ক্ষেত্রে ২য় ও ৩য় পদ্ধতি অবলম্বন করলেই কেবল মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ১২ই শরীফ রোযা হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দেয়, তাও যদি মাসটি ইয়াওমুল খ্বমীস দিয়ে শুরু হয়।
সুতরাং দেখা যাচ্ছে যে, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ১২ই শরীফ ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম শরীফ হওয়ার এবং সে দিন রোযা হওয়ার সম্ভাবনার সাথে ২টি শর্ত সম্পর্কিত-
১. যদি মাসটি ইয়াওমুল খ্বমীস দিয়ে শুরু হয়।
২. যদি ২য় বা ৩য় পদ্ধতি অবলম্বনে রোযা রাখা হয়।
এই ২টি শর্ত একত্রে পূরণ না হলে কখনোই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ১২ই শরীফ রোযা হওয়ার সম্ভাবনা নেই।
তাহলে প্রমাণিত হলো যে, যেহেতু মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র রবী‘উল আউওয়াল শরীফ মাস ইয়াওমুল খ্বমীস দিয়ে শুরু হলে এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র রবী‘উল আউওয়াল শরীফ মাস উনার মধ্যে ২য় সপ্তাহের ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম শরীফ রোযা হয় এই পদ্ধতিতে রোযা রাখলেই কেবলমাত্র মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ১২ই শরীফ ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম শরীফ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার দুনিয়ার যমীনে অবস্থানকালীন সময়ে তিনি উনার পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ উপলক্ষ্যে ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম শরীফ যে রোযা রাখতেন উক্ত রোযা মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ১২ই শরীফ উনার দিনে হওয়া ছিল একটি বিরল ঘটনা।
তাহলে যারা বলে থাকে যে, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উনার পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ উপলক্ষ্যে ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম শরীফ রাখতেন রোযা, আর আপনারা করেন ঈদ এবং তিনি নির্ধারণ করলেন বার আর আপনারা নির্ধারণ করেন তারিখ। তাদের বক্তব্যে জবাবে সুস্পষ্টভাবে বলা যায় যে, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ উপলক্ষ্যে তারিখ নির্ধারণ করে ঈদ উদযাপনে যেমন কোন বাধা নেই, ঠিক তেমনি বার নির্ধারণ করে রোযা পালনের মধ্যেও রয়েছে এক মহান সুন্নত।